নিজের দলকে ‘ইমরান খানের দল’ ঘোষণা দিলেন আল্লামা রাজা নাসির

কারাবন্দী নেতা ইমরান খানের নির্দেশে তাঁর দল পিটিআই সমর্থিত বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাকিস্তানের মজলিশ ওয়াহদাত মুসলিমীনে (এমডব্লিউএম) যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিটিআই-এর এই ঘোষণার প্রশংসা করে এমডব্লিউএম দলের চেয়ারম্যান আল্লামা রাজা নাসির বলেছেন, তাঁর দল এখন ইমরান খানের নিজস্ব দল হয়ে গেছে। দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত ইমরান খান নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এক লাইভ প্রতিবেদনে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাক্সে পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে নিজের দল এমডব্লিউএমকে ইমরান খানের দল হিসেবে ঘোষণা করেছেন আল্লামা রাজা নাসির। তিনি ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘পিটিআইয়ের সঙ্গে আমাদের জোট একটি ইশতেহারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। এই ইশতেহার মুক্ত বিদেশনীতি, অভ্যন্তরীণ স্বায়ত্তশাসন, সীমান্ত সুরক্ষা, বৈশ্বিক শক্তির দাসত্ব প্রত্যাখ্যান, মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং গিলগিট-বালতিস্তানের সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে আমাদের রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত অবিচল থাকবে।’

রাজা নাসির আরও লিখেছেন, ‘আমাদের অবস্থান প্রথম দিন থেকেই সর্বদা অটল ছিল এবং আমাদের ক্রিয়াকলাপ প্রমাণ করেছে যে, আমরা কোনো পক্ষকে বোঝাই না বরং কঠিন সময়ে বিশ্বস্তভাবে একসঙ্গে দাঁড়িয়েছি।’

নাসির জোর দিয়ে বলেছেন—ইমরান খানের নেতৃত্বে প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি স্বাধীন, স্বায়ত্তশাসিত ও মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সমগ্র জাতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ২৬৬টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯২টি আসন পেয়েছে। নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন ৭৫টি এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি ৫৪টি আসন নিশ্চিত করেছে। এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ৭০টি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেবে দলগুলো। সংরক্ষিত আসনসহ কোনো দল কিংবা জোটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য জাতীয় পরিষদে কমপক্ষে ১৬৯টি আসন থাকতে হবে।

নির্বাচনে পিটিআইকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। ফলে এই দলের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২টি আসনে জয় পেলেও দল না থাকায় সংরক্ষিত আসনে কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষমতা ছিল না তাঁদের। উদ্ভূত এমন পরিস্থিতির মধ্যেই কারাবন্দী নেতা ইমরান খানের নির্দেশে এমডব্লিউএম-এ যোগদান করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর ফলে ওই দলটির ব্যানারে মোট আসনসংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত আসনও পেতে পারেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এভাবে আরও অন্তত ২০টি আসন পাবে পিটিআই সমর্থিতরা।

এমডব্লিউএম-এ যোগদানের পর সংরক্ষিত আসন পেতে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের ইসিপিতে হলফনামা জমা দিতে হবে যে, তারা এমডব্লিউএম-এ যোগ দিচ্ছেন। পরে এমডব্লিউএম প্রধান লিখিতভাবে ইসিপিকে জানাবেন যে, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের গ্রহণ করেছেন।