Ajker Patrika

পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ, ‘প্রকৃত স্বাধীনতার’ জন্য লড়াইয়ের আহ্বান ইমরানের

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৩, ২২: ৪৭
পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ, ‘প্রকৃত স্বাধীনতার’ জন্য লড়াইয়ের আহ্বান ইমরানের

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারে তাঁর জামান পার্কের বাসভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তাঁর বাসভবনের সামনে এখনো পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। পাকিস্তানের আরও বেশ কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ ছড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা ও দ্য ডন।

টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ইমরান খান বলেছেন, ‘প্রকৃত স্বাধীনতার অধিকারের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তাঁরা মনে করছে, আমাকে গ্রেপ্তার করলে পুরো দেশ ঘুমিয়ে পড়বে। তাঁদের এই ধারণা ভুল প্রমাণ করতে হবে।’

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোরে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও ইমরান খানের সমর্থক আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের ইট-পাটকেলের জবাবে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ।

পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে ছড়িয়েছে বিক্ষোভডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান প্রধান শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, করাচিসহ আরও বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ চলছে।

ইসলামাবাদ পুলিশ দাবি করেছে, ইমরান খানের বাড়ির ছাদ থেকে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে। এতে ৫ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

এর আগে একজন নারী বিচারককে হুমকি দেওয়ার মামলায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ইসলামাবাদের দায়রা আদালত।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশজিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ আগস্ট এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইমরান খান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট জেবা চৌধুরী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকি দেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়।

গতকাল সোমবার ওই মামলার তিন পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করেন সিভিল জজ রানা মুজাহিদ রহিম। একই সঙ্গে তিনি ‘হাজিরায় বারবার অনুপস্থিত’ থাকার কারণ দেখিয়ে ইমরানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

জিও নিউজ আরও জানিয়েছে, শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য বিচারকের সামনে শারীরিকভাবে উপস্থিত হওয়া থেকে অব্যাহতির অবেদন করেছিলেন ইমরান খান। একই সঙ্গে তিনি ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রমে যোগদানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে আদালত তাঁর আবেদন নাকচ করেছেন। 

ইমরান খানের বাসভবন জামান পার্কের সামনে পুলিশ-পিটিআই সমর্থক সংঘর্ষপাকিস্তানে ক্ষমতাসীন শাহবাজ সরকার ইমরান খানকে কারারুদ্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এর আগে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে হেলিকপ্টারে করে লাহোরে গিয়েছিল ইসলামাবাদ পুলিশ। কিন্তু সেবার পুলিশ পিটিআই চেয়ারম্যানকে বাড়িতে না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যায়।

উল্লেখ্য, ৫ মার্চ তোশাখানা মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে লাহোরে তাঁর জামান পার্কের বাড়িতে গিয়েছিল ইসলামাবাদ পুলিশ। তখন পুলিশকে বলা হয়, ইমরান বাড়িতে নেই। ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার না করেই ফিরে যায় পুলিশ।

গতকাল সোমবার তোশাখানা মামলায়ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গত বছরের এপ্রিলে আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। এর পর থেকে রাজপথে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। আগামী রোববার তিনি লাহোরে আবারও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রিটেনে সিগারেটসেবীর চেয়ে ভ্যাপ সেবনকারী বেশি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৫
অপ্রাপ্তবয়স্ক ভ্যাপ গ্রহণকারীও বেড়েছে ব্রিটেনে। ছবি: সংগৃহীত
অপ্রাপ্তবয়স্ক ভ্যাপ গ্রহণকারীও বেড়েছে ব্রিটেনে। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটেনে ভ্যাপ বা ই-সিগারেট সেবনের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে সিগারেটসেবীর চেয়ে ই-সিগারেট বা ভ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি।

২০২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৫.৪ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দৈনিক বা মাঝেমধ্যে ভ্যাপ ব্যবহার করেন, যেখানে সিগারেট সেবনকারীর সংখ্যা ৪.৯ মিলিয়ন।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে দৈনিক ভ্যাপ ব্যবহার সবচেয়ে বেশি এবং নারীদের মধ্যে এর ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে।

গত এক দশকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায় ধূমপানের হার ক্রমাগত কমছে। অন্যদিকে ভ্যাপিং তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে তরুণদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএস জানিয়েছে, সিগারেট বা ধূমপানের তুলনায় ভ্যাপিং বা ই-সিগারেট খুব সামান্য ঝুঁকি বহন করে। কারণ, সিগারেট পুড়লে হাজারো রাসায়নিক নির্গত হয়, যার বেশির ভাগই বিষাক্ত ও ক্যানসার সৃষ্টিকারী।

তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ভ্যাপিং সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। শিশু ও অধূমপায়ীদের এটি কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়। সিগারেট ছেড়ে ভ্যাপিংয়ে গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়; তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।

ধূমপানবিরোধী সংস্থা অ্যাকশন অন স্মোকিং অ্যান্ড হেলথ (এএসএইচ) জানিয়েছে, ধূমপানের হার কমা জনস্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক খবর। তবে যাঁরা এখনো ধূমপান করছেন, তাঁরা একটি আসক্তির চক্রে বন্দী, যা শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে।

সংস্থাটি বলছে, যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ধূমপানের কারণে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যেসব অঞ্চলে ধূমপানের হার এখনো বেশি, সেখানে বিনিয়োগ ও সহায়তা বাড়াতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে এএসএইচ।

ওএনএসের অপিনিয়নস অ্যান্ড লাইফস্টাইল সার্ভে অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ১৬ বছর ও তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন বা মাঝেমধ্যে ই-সিগারেট ব্যবহার করে, যা ধূমপানকারীর ৯ দশমিক ১ শতাংশ সংখ্যার চেয়ে সামান্য বেশি।

১৯৭০-এর দশকে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ধূমপায়ী ছিল। সে সময় ৩০ শতাংশ মানুষ ধূমপান ত্যাগ করেছিল। কিন্তু সেই সময় থেকে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ২০০৬-২০০৭ সালে বদ্ধ জনসমাগমের স্থান এবং কর্মক্ষেত্রে ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ২০১৫ সালে শিশুদের সঙ্গে গাড়িতে ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু করা হয়। এরপর ২০১৭ সালে সাধারণ সিগারেট প্যাকেজিং চালু করা হয়। এতে ধূমপায়ীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

ওএনএস বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে। ২০২৪ সালে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ ধূমপান ছেড়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ ছাড়া বর্তমানে সংসদে প্রক্রিয়াধীন টোব্যাকো অ্যান্ড ভ্যাপস বিল অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর জন্ম নেওয়া কেউ যুক্তরাজ্যে তামাক কেনার অনুমতি পাবে না।

দোকানগুলোতে ভ্যাপের প্যাকেজিং এবং প্রদর্শনের নিয়মে কড়াকড়ি আনা হচ্ছে, যাতে এগুলো শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় না দেখায়।

এ ছাড়া পরিবেশ রক্ষা এবং শিশু ও তরুণদের ভ্যাপিং কমাতে ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে যুক্তরাজ্যে একবার ব্যবহার করা যায়, এমন বা ডিসপোজেবল ভ্যাপ বিক্রি বা সরবরাহ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সীদের নিকোটিন পাউচ এবং অন্যান্য নিকোটিন পণ্য বিক্রি করা নিষিদ্ধ হবে।

ওএনএসের জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর এবং তার বেশি বয়সীদের মধ্যে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন ভ্যাপ বা ই-সিগারেট ব্যবহার করছে, যা ২০২৩ সালের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মাঝেমধ্যে ব্যবহার করে।

এর মানে বর্তমানে ৫.৪ মিলিয়ন মানুষ ভ্যাপ ব্যবহার করছে, যা ২০২৩ সালের ৫.১ মিলিয়নের তুলনায় বেশি।

ধূমপানের বিরুদ্ধে লড়াই করা সংস্থা এএসএইচের প্রধান নির্বাহী হ্যাজেল চিসম্যান বলেন, এখন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে কখনোই ধূমপান করেননি, এমন ব্যক্তিরা এখন ভ্যাপিং শুরু করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোদির ‘সরকার উল্টে দেওয়ার’ হুমকি মমতার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মমতা হুমকি দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি মোদির সরকার উল্টে দেবেন। ছবি: সংগৃহীত
মমতা হুমকি দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি মোদির সরকার উল্টে দেবেন। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছেন—যদি রাজ্যের তালিকা থেকে একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকার পতন অনিবার্য হবে। তিনি রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি কাগজপত্র না থাকে, আমাদের শিবিরে আসুন। আমরা যেকোনো মূল্যে সাহায্য করব। প্রয়োজনে থালাবাটি বিক্রি করে হলেও সাহায্য করব।’

পশ্চিমবঙ্গে গতকাল মঙ্গলবারই এসআইআর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৮০ হাজারের বেশি মাঠকর্মী ঘরে ঘরে গিয়ে জরিপ শুরু করেছেন। এদিন কলকাতায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রার মাধ্যমে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানা মমতা ও তাঁর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রা শুরু হয় ড. বিআর আম্বেদকরের ভাস্কর্যের সামনে থেকে এবং শেষ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে।

পদযাত্রার পর জনসমক্ষে মমতা বলেন, এসআইআর হলো ‘নীরব, অদৃশ্য কেলেঙ্কারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ভয় পাবেন না। সবই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নিন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বলছি, ভয় পাবেন না, দিদি আছেন। যেকোনো উপায়ে রক্ষা করব। যদি জোরপূর্বক বিতাড়ন করা হয়, সবাই মিলে তা মোকাবিলা করতে হবে। সংখ্যালঘুদেরও কোনো ভয় নেই।’

এসআইআর প্রক্রিয়ার ‘হঠাৎ বাস্তবায়ন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০১ সালের পর। ২০০২-২০০৩ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০০৪ সালে নির্বাচনের আগে এসআইআর চলেছিল দেড় থেকে দুই বছর ধরে। আজ এত তাড়াহুড়া কেন? একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে, আমি বিজেপি সরকার উল্টে দেব।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম না নিয়ে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এত বড় জাতীয়তাবাদীই হবেন, তাহলে বলুন—চার নির্বাচনী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, আসাম এবং তিনটি বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে এসআইআর চালু করলেন, কিন্তু আসামে কেন নয়? ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। তিন মাসে কি ১০ কোটি মানুষকে এই ফরম পূরণ করানো সম্ভব? কেন নির্বাচন পরে করা যায়নি? আসামে কেন নয়? কারণ আপনি হেরে যেতেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, মিথ্যা ভোট দিয়ে সব সময় জিততে পারবেন না।’

মোদির দল বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়া ‘অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি’দের তালিকা থেকে সরিয়ে দেবে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কোথা থেকে আসবে? নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ থেকে। সেখানেও কি এসআইআর হলো? বাংলাদেশিরা ত্রিপুরা ও আসাম থেকেও আসে। আসামে ১৯ লাখ নাম বাদ পড়েছিল, যার মধ্যে ১২ লাখ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষ। ক্ষমতায় থাকার কারণে বিজেপি যা ইচ্ছে তাই করছে।’

অমিত শাহের দ্বিচারী নীতির সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘তিনি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির সমালোচনা করেন, অথচ নিজের ছেলেকে আইসিসির সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।’ নির্বাচন কমিশনের ওপর আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কারও পিতামাতার নাম তালিকায় নেই, তাহলে কি আবার প্রমাণ দিতে হবে যে তারা এই রাজ্যে জন্মেছেন? কমিশন তালিকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ভুলের দায়িত্ব কে নেবে? নির্বাচনের পর করাই ভালো হতো না কি? জন্ম ও স্বাধীনতার এত বছর পরও কি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫১
মা মীরা নায়ার ও স্ত্রী রামা দুয়াজির সঙ্গে জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত
মা মীরা নায়ার ও স্ত্রী রামা দুয়াজির সঙ্গে জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত

জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।

গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শের এই নেতা হেভিওয়েট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে ভোটের ময়দানে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার একটি দিক বিশেষভাবে নজর কেড়েছে—আর তা হলো তাঁর ‘বাংলা প্রীতি’।

জোহরান মামদানি তাঁর ক্যাম্পেইনের শুরুতে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার করেছিলেন, যার মধ্যে বাংলা ছিল অন্যতম। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লিটল বাংলাদেশ কেনসিংটনে তিনি স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার শাহানা আরিফের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রচার ভিডিও বানান।

এই ভিডিওটিতে একটি বিশেষ দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মামদানি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির প্লেট সামনে নিয়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় ‘র‍্যাংকড চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতি সাধারণ ভোটারদের কাছে ব্যাখ্যা করছিলেন। ভিডিওর শেষে নিজের বাংলা দক্ষতা নিয়ে তাঁর কৌতূহলী প্রশ্ন, ‘আমার বাংলা ভালোই, না?’ শাহানা আরিফের দ্বিধান্বিত উত্তর ছিল, ‘খারাপ না!’ এই কথোপকথন ভোটারদের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণতা তৈরি করেছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নেতা হিন্দি ও উর্দুর পাশাপাশি যে বাংলাতেও মোটামুটি সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন, তাতে জ্যাকসন হাইটসসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার অনেকে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে বাঙালি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে বাংলায় ছোটখাটো আলাপ করতেও দেখা গেছে।

প্রাইমারিতে চমক জাগানো জয়ের পর দেওয়া ‘অ্যাকসেপ্টেন্স স্পিচ’-এও মামদানি বাঙালি সমাজের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি। এই সাফল্যের পেছনে ‘বাংলাদেশি আন্টি’দের ভূমিকার কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। প্রাইমারিতে জেতার পর তিনি বেশ কয়েকবার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় গেছেন। হিলসাইড অ্যাভিনিউ মুখরিত হয়েছিল ‘আমার মেয়র, তোমার মেয়র, মামদানি, মামদানি, জোহরান মামদানি!’ স্লোগানে।

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ভোটের প্রয়োজনেই কি মামদানির এই বাংলা-প্রীতি, নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে?

সংক্ষেপে উত্তর হলো, জোহরানের বাংলা যোগের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তাঁর মা মীরা নায়ারের। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রপরিচালক।

মীরা নায়ারের জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত শহর রাউরকেল্লাতে। তিনি বেড়ে উঠেছেন ওই রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে, যেখানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বাঙালি। তাঁর শৈশবে অনেক বাঙালি বন্ধু ছিল এবং তাঁর গানের শিক্ষকও ছিলেন একজন বাঙালি। এই প্রত্যক্ষ সংযোগের কারণেই মীরা নায়ার নিজে বাংলা বোঝেন এবং কিছুটা বলতেও পারেন।

মীরা নায়ারের বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি ‘নেমসেক’। এটি বাঙালি পরিবারের আমেরিকান লেখিকা, পুলিৎজার-জয়ী ঝুম্পা লাহিড়ির একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন। সিনেমাটির মূল বিষয়বস্তু ছিল আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী বাঙালি দম্পতি অশোক ও অসীমা গাঙ্গুলির জীবনসংগ্রাম।

মজার বিষয় হলো, জোহরান মামদানিই তাঁর মাকে ‘নেমসেক’ ছবিটি বানাতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ২০০৭ সালে, যখন মীরা নায়ার ‘নেমসেক’ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখনই তিনি বিখ্যাত হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির পঞ্চম পর্ব পরিচালনার একটি লোভনীয় প্রস্তাব পান। দ্বিধান্বিত মা তখন কিশোর ছেলে জোহরানের কাছে পরামর্শ চান।

তখন জোহরানের বয়স মাত্র চৌদ্দ, এবং তিনি নিজেও হ্যারি পটার সিরিজের পাঁড় ভক্ত। তবুও তিনি মাকে বলেছিলেন, ‘আরও অনেক ভালো ভালো পরিচালক আছেন যারা হ্যারি পটার বানাতে পারবেন—কিন্তু নেমসেক একজনই বানাতে পারবে, আর সেটা তুমি!’ ছেলের এই অনুপ্রেরণাতেই মীরা নায়ার শেষ পর্যন্ত বাঙালি অভিবাসী সংস্কৃতি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেন। বাঙালি দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে এই সিনেমা।

জোহরান মামদানির মতো দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের সন্তানেরা আমেরিকায় দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী হিসেবে বেড়ে ওঠেন। আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগা এই প্রজন্মকে অনেকেই ‘আমেরিকা বর্ন কনফিউজড দিশি’ বা ‘এবিসিডি’ প্রজন্ম বলে বর্ণনা করেন। ‘নেমসেক’-এর মুখ্য চরিত্র গোগল গাঙ্গুলীও এমন এক তরুণ।

নির্বাচনী সমাবেশে জোহরান মামদানিও সেদিকই ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই শহরে যাদের কখনো সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, কিংবা কর্মস্থলে নিজের নাম বিকৃত হতে শুনেছেন—তাঁদের হাত তুলতে বলছি। আমরা যারা নিজেদের পরিচয়ের কারণে হেয়বোধ করেছি, এই নির্বাচনের লড়াই আমাদের সবার জন্য।’

তবে জোহরান মামদানি তাঁর সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবনে প্রমাণ করেছেন, পরিচয়ে ‘এবিসিডি’ হলেও তাঁর জীবনদর্শন বা রাজনৈতিক ভাবনায় কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। তাঁর টিম ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, উর্দু ও বাংলাতে ক্যাম্পেইন ভিডিও তৈরি করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটিতে ব্যবহৃত হয়েছে বলিউডের পুরোনো ব্লকবাস্টার ‘দিওয়ার’ ছবির থিম। এই ‘দিওয়ার’-এর বিখ্যাত সংলাপ ‘মেরে পাস মা হ্যায়’-এর আদলে মামদানিও যেন নীরবে বারবার বার্তা দিয়েছেন—তাঁর সঙ্গে তাঁর মা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের লুইসভিলে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৭

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কেনটাকির লুইসভিলে একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
কেনটাকির লুইসভিলে একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, ইউপিএ ফ্লাইট–২৯৭৬ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে লুইসভিলের মুহাম্মদ আলী বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয়।

দুর্ঘটনার পর প্রথম বার্তায় ইউপিএস জানায়, বিমানে তিনজন ক্রু ছিলেন। তবে কোনো হতাহতের তথ্য তারা দেয়নি। তবে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, নিহত সাতজনের মধ্যে চারজন বিমানটির বাইরে ছিলেন।

কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেন, ‘যারা ছবির বা ভিডিও দেখেছেন, তারা জানেন এই দুর্ঘটনা কতটা ভয়ানক।’ আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কিছু গুরুতর। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। আশঙ্কা করছি, এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’ বেসিয়ার জানান, জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করবে, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের সহায়তা করবে।

দুর্ঘটনা স্থলের এয়ারিয়াল ফুটেজে দেখা গেছে, দীর্ঘ দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষের পথ এবং অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আগুনে পানি ঢালছেন। ধোঁয়া অনেক দূর পর্যন্ত উড়ছে। বেসিয়ার জানান, বিমানটি সরাসরি দুটি স্থানীয় ভবনকে ধাক্কা দিয়েছে। যার মধ্যে একটি ভবন একটি জ্বালানি তেল রিসাইক্লিং কোম্পানির এবং একটি অটো পার্টস কোম্পানির।

লুইসভিল মেট্রো পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে তারা সব স্থানে ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ বা এই ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা নাগরিকদের নিরাপদে আশ্রয়ে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

শহরের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমরা সব জরুরি সংস্থা ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন এবং আগুন এখনো জ্বলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার অনেক রাস্তা বন্ধ। অনুগ্রহ করে সেখানে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।’ তিনি এই দুর্ঘটনাকে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য ‘এক অবিশ্বাস্য ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

লুইসভিল বিমানবন্দর ইউপিএস ওয়ার্ল্ড পোর্টের অন্যতম মূল কেন্দ্র। এটি কোম্পানিটির বিশ্বব্যাপী কার্গো অপারেশনের প্রধান কেন্দ্র। এই বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ হ্যান্ডেলিং সুবিধা দেয়। এখানে হাজার হাজার কর্মী কাজ করেন এবং দিনে প্রায় ৩০০টি কার্গো ফ্লাইট চলাচল করে।

ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটি একটি ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি–১১ মডেলের কার্গো বিমান ছিল। এই ফ্লাইটটি লুইসভিল থেকে হাওয়াইয়ের হনলুলু যাচ্ছিল। ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, বিমানটি মঙ্গলবার লুইসভিল থেকে বাল্টিমোরে গিয়েছিল এবং পরে লুইসভিলে ফিরে এসেছে।

লুইসভিল বিমানবন্দর জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনা ইউপিএস কোম্পানির ডেলিভারিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। এতে কোম্পানির বড় গ্রাহকেরা যেমন—অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট এবং মার্কিন ডাকসেবা প্রভাবিত হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত