পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির বলেছেন, ভারতের সামরিক শক্তি বা আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে পাকিস্তানকে ভয় দেখানো যাবে না। তিনি ঘোষণা করেন, কাশ্মীরের জন্য যদি ১০টি যুদ্ধও করতে হয়, তবে পাকিস্তান তা করতে প্রস্তুত। গত বুধবার পাকিস্তানভুক্ত আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি ভারতকে উদ্দেশ্য করে এই হুমকি দেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুজাফফরাবাদের প্রবীণ ও সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘দেশের সাময়িক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও পাকিস্তান কাশ্মীরি জনগণের পাশে থাকবে এবং তাদের ন্যায়সংগত ও বৈধ সংগ্রামে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
আসিম মুনির বলেন, ‘পাকিস্তান এরই মধ্যে কাশ্মীরের জন্য তিনটি যুদ্ধ করেছে, যদি আরও ১০টি যুদ্ধের প্রয়োজন হয়, তাহলে পাকিস্তান তা করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সামরিক শক্তি বা আধুনিক প্রযুক্তির কাছে পাকিস্তান ভীত হবে না।’
কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জুগুলার ভেইন’ বা জীবনীশক্তি আখ্যা দিয়ে জেনারেল আসিম মুনির বলেন, ‘যদি জুগুলার ভেইন কাটা যায়, তবে মৃত্যু অনিবার্য। কাশ্মীর আমাদের জীবন। কোনো সন্দেহ নেই, একদিন কাশ্মীর স্বাধীন হবে এবং পাকিস্তানের অংশ হবে—এটাই কাশ্মীরি জনগণের ভাগ্য।’
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, ‘ভারতের দমন-পীড়ন ও ক্রমবর্ধমান হিন্দুত্ববাদী উগ্রতা কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের সংগ্রামকে আরও দৃঢ় করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে ক্ষমতাবানদের কণ্ঠস্বরই শোনা হয়, আর পাকিস্তান একটি শক্তিশালী দেশ।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘পাকিস্তান উন্নতির পথে রয়েছে এবং যারা বলছে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে, তারা মিথ্যা বলছে। মাত্র এক বছরের অর্থনৈতিক উন্নতিতে পাকিস্তান আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) ও বিশ্বব্যাংককেও বিস্মিত করেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। দেশটির ৪৮ বিলিয়ন ডলারের গ্যাস পাইপলাইন নেটওয়ার্ক এবং ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদ রয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, ‘এত মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলে কোনো দেশ কখনো দেউলিয়া হতে পারে না।’
জেনারেল আসিম প্রবীণ ও অভিজ্ঞ কাশ্মীরিদের জানান, তিনি আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের (এজেকে) নীলম উপত্যকা, চকোঠি ও পান্ডুর মতো মনোরম এলাকায় তাঁর সামরিক ক্যারিয়ারের কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। তিনি বলেন, তিনি এজেকেতে পর্যটন খাতের বিকাশে আগ্রহী।
তিনি পাকিস্তানিদের আহ্বান জানান, তারা যেন ওই অঞ্চলে বিনিয়োগ করে এবং স্থানীয়রা পর্যটন খাতে সেবা প্রদান করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। তিনি জানান, সরকার স্টারলিংকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে শিগগির এই অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে।
মুজাফফরাবাদ সফরে জেনারেল আসিম কাশ্মীরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর তথা আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, আজাদ কাশ্মীরের রাজধানীতে পৌঁছালে সেখানে তাঁকে রাওয়ালপিন্ডি কোর কমান্ডার স্বাগত জানান।
সেনাপ্রধান পাকিস্তানি সেনাদের উচ্চ মনোবল ও সতর্কতার প্রশংসা করে বলেন, যেকোনো শত্রুপক্ষের উসকানির মোকাবিলায় সর্বোচ্চ যুদ্ধ প্রস্তুতি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সেনাবাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতির প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন। সেনাপ্রধান পুনর্ব্যক্ত করেন যে, যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব সব সময়ই দেওয়া হবে এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির বলেছেন, ভারতের সামরিক শক্তি বা আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে পাকিস্তানকে ভয় দেখানো যাবে না। তিনি ঘোষণা করেন, কাশ্মীরের জন্য যদি ১০টি যুদ্ধও করতে হয়, তবে পাকিস্তান তা করতে প্রস্তুত। গত বুধবার পাকিস্তানভুক্ত আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি ভারতকে উদ্দেশ্য করে এই হুমকি দেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুজাফফরাবাদের প্রবীণ ও সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘দেশের সাময়িক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও পাকিস্তান কাশ্মীরি জনগণের পাশে থাকবে এবং তাদের ন্যায়সংগত ও বৈধ সংগ্রামে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
আসিম মুনির বলেন, ‘পাকিস্তান এরই মধ্যে কাশ্মীরের জন্য তিনটি যুদ্ধ করেছে, যদি আরও ১০টি যুদ্ধের প্রয়োজন হয়, তাহলে পাকিস্তান তা করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সামরিক শক্তি বা আধুনিক প্রযুক্তির কাছে পাকিস্তান ভীত হবে না।’
কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জুগুলার ভেইন’ বা জীবনীশক্তি আখ্যা দিয়ে জেনারেল আসিম মুনির বলেন, ‘যদি জুগুলার ভেইন কাটা যায়, তবে মৃত্যু অনিবার্য। কাশ্মীর আমাদের জীবন। কোনো সন্দেহ নেই, একদিন কাশ্মীর স্বাধীন হবে এবং পাকিস্তানের অংশ হবে—এটাই কাশ্মীরি জনগণের ভাগ্য।’
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, ‘ভারতের দমন-পীড়ন ও ক্রমবর্ধমান হিন্দুত্ববাদী উগ্রতা কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের সংগ্রামকে আরও দৃঢ় করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে ক্ষমতাবানদের কণ্ঠস্বরই শোনা হয়, আর পাকিস্তান একটি শক্তিশালী দেশ।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘পাকিস্তান উন্নতির পথে রয়েছে এবং যারা বলছে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে, তারা মিথ্যা বলছে। মাত্র এক বছরের অর্থনৈতিক উন্নতিতে পাকিস্তান আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) ও বিশ্বব্যাংককেও বিস্মিত করেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। দেশটির ৪৮ বিলিয়ন ডলারের গ্যাস পাইপলাইন নেটওয়ার্ক এবং ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদ রয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, ‘এত মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলে কোনো দেশ কখনো দেউলিয়া হতে পারে না।’
জেনারেল আসিম প্রবীণ ও অভিজ্ঞ কাশ্মীরিদের জানান, তিনি আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের (এজেকে) নীলম উপত্যকা, চকোঠি ও পান্ডুর মতো মনোরম এলাকায় তাঁর সামরিক ক্যারিয়ারের কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। তিনি বলেন, তিনি এজেকেতে পর্যটন খাতের বিকাশে আগ্রহী।
তিনি পাকিস্তানিদের আহ্বান জানান, তারা যেন ওই অঞ্চলে বিনিয়োগ করে এবং স্থানীয়রা পর্যটন খাতে সেবা প্রদান করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। তিনি জানান, সরকার স্টারলিংকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে শিগগির এই অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে।
মুজাফফরাবাদ সফরে জেনারেল আসিম কাশ্মীরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর তথা আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, আজাদ কাশ্মীরের রাজধানীতে পৌঁছালে সেখানে তাঁকে রাওয়ালপিন্ডি কোর কমান্ডার স্বাগত জানান।
সেনাপ্রধান পাকিস্তানি সেনাদের উচ্চ মনোবল ও সতর্কতার প্রশংসা করে বলেন, যেকোনো শত্রুপক্ষের উসকানির মোকাবিলায় সর্বোচ্চ যুদ্ধ প্রস্তুতি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সেনাবাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতির প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন। সেনাপ্রধান পুনর্ব্যক্ত করেন যে, যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব সব সময়ই দেওয়া হবে এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির ওপর চাপ বাড়ছে। এরই মধ্যে এই দাবিতে দেশটির ৯টি রাজনৈতিক দলের ২২০ জন এমপি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ মিনিট আগেইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দাদের জন্য আরবি ভাষা ও ইসলামিক জ্ঞানার্জন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মূলত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গোয়েন্দা ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গোয়েন্দা শাখার সব সৈনিক ও কর্মকর্তার জন্য আরবি ভাষা এবং ইসলামিক স্টাডিজ প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে।
২০ মিনিট আগেঘরে-বাইরে চাপের মুখে থাকলেও লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ইসরায়েলে ‘এক টনও’ কয়লা রপ্তানি না করা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অটল। গত বৃহস্পতিবার তিনি এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। তিনি এমন এক সময়ে এই নির্দেশ দিলেন, যখন ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় লাখো মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে আছে।
১ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল আরোপিত দুর্ভিক্ষের ছবি যখন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করছে, তখন ভারত ও ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তারা সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অনেক আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থা...
১ ঘণ্টা আগে