Ajker Patrika

পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সুসম্পর্কের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও জ্বালানি!

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ২১: ০২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কাছাকাছি সময়ের মধ্যে পরপর দুবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও হাইড্রোকার্বন খাতে সহযোগিতায় আগ্রহী।

বিবৃতিতে রুবিও বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, হাইড্রোকার্বনসহ নতুন অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো খুঁজে দেখতে ও গতিশীল ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে আশাবাদী। যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম ও বাণিজ্যে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততাকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে।’

আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এ বিষয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গত মাসে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদ একটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তি পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী শুল্ক কমানো ও বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে মূলত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে খনন প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এসব প্রকল্প পরিচালনা করা হবে এবং লিজ সুবিধাসহ বিভিন্ন ছাড় দেওয়া হবে।

বেলুচিস্তান প্রদেশে রয়েছে খনিজ সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ খনন প্রকল্প। এর মধ্যে রেকো ডিক খনি উল্লেখযোগ্য। কানাডাভিত্তিক ব্যারিক গোল্ড পরিচালিত এ খনিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনা ও তামার খনি হিসেবে ধরা হয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের আগের মেয়াদ থেকে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছিল। এর অন্যতম কারণ ছিল চীনের উত্থান ঠেকাতে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া আফগানিস্তান ইস্যুতেও ওয়াশিংটনের ক্ষোভ ছিল ইসলামাবাদের ওপর। বিশেষ করে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খলভাবে সরে আসা ও তালেবানদের ক্ষমতা দখলের ঘটনায়। ওয়াশিংটন অভিযোগ করে, ইসলামাবাদ তালেবানকে সহায়তা দিয়েছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। গত এপ্রিলে ভারতশাসিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার সময়ে যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা রাখার কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। পাকিস্তান ট্রাম্পের উদ্যোগের প্রশংসা করে, তবে ভারত বলেছে—নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করবে, বাইরের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।

গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ সন্ত্রাসবিরোধী সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মিকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক ও ফরেন পলিসি পত্রিকার লেখক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, ‘আমার দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী সংলাপের যৌথ বিবৃতিটি বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে ইতিবাচক ও প্রাণবন্ত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত