পাকিস্তানি সমাজের চিরাচরিত প্রথা ভেঙে এখন নিজেদের জীবনসঙ্গী নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন অবিবাহিত তরুণ-তরুণীরা। আর এ বিষয়টিকে সহজ করতেই সম্প্রতি লাহোরে বিবাহযোগ্য তরুণ-তরুণীদের এক সম্মিলনের আয়োজন করেছিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি বিয়ে ব্যবস্থাপনা অ্যাপ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে বিবাহযোগ্যরা নিজের মনের মতো করে তাঁদের জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারেন—সেই বিষয়টি সহজ করা। বিশেষ করে দেশটির রক্ষণশীল সমাজকে পাশ কাটিয়ে বিষয়টিকে আরও সহজ করার উদ্দেশ্য ছিল এই আয়োজনের।
প্রায় ২৪ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানে তরুণ-তরুণীদের বিয়ের বিষয়টি বাবা-মায়েরাই সমাধা করে থাকেন। তাঁরা নিজ নিজ সন্তানদের জন্য তাঁদের পছন্দসই-মানানসই সঙ্গী নির্বাচন করেন। সাধারণত, নিজ নিজ সম্প্রদায় এবং এমনকি নিজের পরিবারের বর্ধিত অংশের মধ্যেই বিয়ের রেওয়াজ প্রচলিত আছে দেশটিতে। দেশটিতে ডেটিং অ্যাপ বা বিয়ের অ্যাপগুলোকে এখনো নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবেই ধরা হয়।
লাহোরের এই আয়োজনটি করেছিল মুজ—যা আগে মুজম্যাচ নামে পরিচিত ছিল। মুজের এই আয়োজনে প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন। এই অ্যাপটির দাবি, তারা ইসলামি আদব-কেতা মেনেই বিয়ের আলাপ এগিয়ে নেয়। এই অ্যাপটি মুসলিমদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া স্পষ্ট ছবি দেখানো হয় না এবং কেবল উভয় পক্ষের সব শর্ত মিলে গেলেই তাঁরা দেখা সাক্ষাৎ করতে পারে।
নিজের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় প্রকাশ না করে আইমেন নামে ৩১ বছরের এক নারী রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাঁর ভাইয়ের পরামর্শে তিনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘আমি টানা দুই সপ্তাহ এই অ্যাপটি ব্যবহার করি। এরপর আমি এই ইভেন্টের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। তখন আমি ভাবলাম, কেন আমি কিছু লোকের সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হওয়া থেকে বিরত থাকব?’ আইমেন আরও জানান, তাঁর মা তাঁর সঙ্গে আসতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি অসুস্থতার কারণে আসেননি।
২৭ বছর বয়সী মুয়াজ জানান, তিনি এক বছর ধরে মুজ ব্যবহার করছেন এবং অ্যাপটির মাধ্যমে জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘অনেকের সঙ্গেই আমার মেলে। কিন্তু তাদের সবার আলাদা আলাদা চাহিদা আছে।’ মুয়াজ জানান, এই অ্যাপের অধিকাংশ নারী ব্যবহারকারীই শুরু থেকেই তাঁদের বাবা-মাকে জড়িত করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী।
নূর উল আইন চৌধুরী নামে আয়োজকদের একজন জানান, অনলাইনে এই ইভেন্টটি ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে যে এখানে ‘হুক আপ সংস্কৃতি’ প্রসার করা হচ্ছে। তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই আয়োজন মূলত অবিবাহিতদের একসঙ্গে বসার জন্য ছিল এবং যাতে সবাই নিরাপদে এই অনুষ্ঠান শেষ করতে পারে; সেদিকে আমাদের কড়া দৃষ্টি ছিল।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ব্রিটেনে প্রথমবার চালু হয় মুজ। দেশটিতে উল্লেখযোগ্য মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। পাকিস্তানেও এই অ্যাপটির ১৫ লাখের বেশি। তবে এই অ্যাপের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে।
পাকিস্তানি সমাজের চিরাচরিত প্রথা ভেঙে এখন নিজেদের জীবনসঙ্গী নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন অবিবাহিত তরুণ-তরুণীরা। আর এ বিষয়টিকে সহজ করতেই সম্প্রতি লাহোরে বিবাহযোগ্য তরুণ-তরুণীদের এক সম্মিলনের আয়োজন করেছিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি বিয়ে ব্যবস্থাপনা অ্যাপ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে বিবাহযোগ্যরা নিজের মনের মতো করে তাঁদের জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারেন—সেই বিষয়টি সহজ করা। বিশেষ করে দেশটির রক্ষণশীল সমাজকে পাশ কাটিয়ে বিষয়টিকে আরও সহজ করার উদ্দেশ্য ছিল এই আয়োজনের।
প্রায় ২৪ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানে তরুণ-তরুণীদের বিয়ের বিষয়টি বাবা-মায়েরাই সমাধা করে থাকেন। তাঁরা নিজ নিজ সন্তানদের জন্য তাঁদের পছন্দসই-মানানসই সঙ্গী নির্বাচন করেন। সাধারণত, নিজ নিজ সম্প্রদায় এবং এমনকি নিজের পরিবারের বর্ধিত অংশের মধ্যেই বিয়ের রেওয়াজ প্রচলিত আছে দেশটিতে। দেশটিতে ডেটিং অ্যাপ বা বিয়ের অ্যাপগুলোকে এখনো নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবেই ধরা হয়।
লাহোরের এই আয়োজনটি করেছিল মুজ—যা আগে মুজম্যাচ নামে পরিচিত ছিল। মুজের এই আয়োজনে প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন। এই অ্যাপটির দাবি, তারা ইসলামি আদব-কেতা মেনেই বিয়ের আলাপ এগিয়ে নেয়। এই অ্যাপটি মুসলিমদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া স্পষ্ট ছবি দেখানো হয় না এবং কেবল উভয় পক্ষের সব শর্ত মিলে গেলেই তাঁরা দেখা সাক্ষাৎ করতে পারে।
নিজের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় প্রকাশ না করে আইমেন নামে ৩১ বছরের এক নারী রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাঁর ভাইয়ের পরামর্শে তিনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘আমি টানা দুই সপ্তাহ এই অ্যাপটি ব্যবহার করি। এরপর আমি এই ইভেন্টের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। তখন আমি ভাবলাম, কেন আমি কিছু লোকের সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হওয়া থেকে বিরত থাকব?’ আইমেন আরও জানান, তাঁর মা তাঁর সঙ্গে আসতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি অসুস্থতার কারণে আসেননি।
২৭ বছর বয়সী মুয়াজ জানান, তিনি এক বছর ধরে মুজ ব্যবহার করছেন এবং অ্যাপটির মাধ্যমে জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘অনেকের সঙ্গেই আমার মেলে। কিন্তু তাদের সবার আলাদা আলাদা চাহিদা আছে।’ মুয়াজ জানান, এই অ্যাপের অধিকাংশ নারী ব্যবহারকারীই শুরু থেকেই তাঁদের বাবা-মাকে জড়িত করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী।
নূর উল আইন চৌধুরী নামে আয়োজকদের একজন জানান, অনলাইনে এই ইভেন্টটি ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে যে এখানে ‘হুক আপ সংস্কৃতি’ প্রসার করা হচ্ছে। তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই আয়োজন মূলত অবিবাহিতদের একসঙ্গে বসার জন্য ছিল এবং যাতে সবাই নিরাপদে এই অনুষ্ঠান শেষ করতে পারে; সেদিকে আমাদের কড়া দৃষ্টি ছিল।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ব্রিটেনে প্রথমবার চালু হয় মুজ। দেশটিতে উল্লেখযোগ্য মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। পাকিস্তানেও এই অ্যাপটির ১৫ লাখের বেশি। তবে এই অ্যাপের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে।
সিমলা চুক্তি প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর (এফও) জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাতিলের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
৩৭ মিনিট আগেইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলের শহর প্রিলুকিতে বুধবার গভীর রাতে এক রুশ ড্রোন হামলায় পাঁচজন নিহত ও ৯ জন আহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় দমকল বিভাগের প্রধান। সেখানে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন, নিহতদের মধ্যে আছেন তাঁর স্ত্রী, পুলিশ অফিসার কন্যা এবং এক বছর বয়সী নাতি।
১ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ কাউন্সিলকে ‘অবাঞ্ছিত সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তর। অভিযোগ, এই সংগঠনটি ইংরেজি শেখানোর ছদ্মবেশে যুক্তরাজ্যের স্বার্থকে তোষণ করছে এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতিকে ক্ষুণ্ন করছে।
২ ঘণ্টা আগেসোনা বানু, সারা জীবন আসামেই বসবাস করেছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তাঁকে বারবার প্রমাণ করতে হচ্ছে, তিনি ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশের ‘অবৈধ অভিবাসী’ নন।
২ ঘণ্টা আগে