
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
ইসরায়েলি গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় নাসরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই লোকচক্ষুর অন্তরালে। রহস্যময় এই ছায়ামানবের ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়ে গেছে। তাঁর নেতৃত্বেই হিজবুল্লাহ লেবাননসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে এক বিশেষ অবস্থান অর্জন করেছে এবং আজকের এই অবস্থানে এসেছে। সমর্থকদের মধ্যে নাসরুল্লাহ ব্যাপক জনপ্রিয়।
নাসরুল্লাহর নেতৃত্বেই হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, ইরাক ও ইয়েমেনের মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরান থেকে পাওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটের বিশাল মজুত গড়ে তুলেছে।
লেবাননে মূলত ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেখান থেকে নাসরুল্লাহ গোষ্ঠীটিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখার আকার লেবাননের মূল সেনাবাহিনীর চেয়েও বড়। সামরিক শক্তিতে হিজবুল্লাহ লেবানিজ সশস্ত্র বাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী। দেশটির ক্ষমতার অন্যতম ভারকেন্দ্র এই গোষ্ঠী। সামরিক শাখার বাইরেও গোষ্ঠীটি লেবাননের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সেবা খাতের প্রতিষ্ঠাতা। শিক্ষা, সমাজ সেবার এমন কোনো খাত নেই যেখানে হিজবুল্লাহর পদচারণা নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহকে ইরানের সবচেয়ে বড় প্রক্সি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ ১৯৬০ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পূর্বাঞ্চলের বুর্জ হাম্মাদ নামা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা বাবা আব্দুল করিম ছোট্ট একটি ফল ও শাকসবজির দোকান পরিচালনা করতে। নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বড়।
লেবাননে ১৯৭৫ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তিনি আমল মুভমেন্ট নামে শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে তিনি ইরাকের শিয়া ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র শহর নাজাফে একটি শিয়া আশ্রমে যোগ দেন। পরে তিনি আবারও আমল মুভমেন্টে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার জবাবে ইসরায়েল লেবাননে আক্রমণ চালালে নাসরুল্লাহ আমল গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে আসেন।
পরে তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সহায়তায় গঠিত ইসলামিক আমল নামে একটি নতুন গোষ্ঠীতে যোগ দেন। লেবাননের বেকা উপত্যকাকেন্দ্রীক ছিল এই গোষ্ঠীটি। অল্প দিনের মধ্যেই গোষ্ঠীটি খ্যাতি অর্জন করে এবং শিয়া গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। যা পরে হিজবুল্লাহ নাম ধারণ করে।
হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৫ সালে আত্মপ্রকাশ করে। সে বছর এক খোলা চিঠিতে গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে ইসলামের মূল শত্রু হিসেবে ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে, মুসলিমদের ভূমি দখল করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করায় ইসরায়েলের বিলুপ্তি চায়।
হিজবুল্লাহর শক্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসান নাসরুল্লাহরও পদমর্যাদা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তিনি হিজবুল্লাহর বালবেক অঞ্চলের পরিচালক নিযুক্ত হন। পরে পুরো বেকা অঞ্চলের। এরপর ১৯৯২ সালে হিজবুল্লাহর তৎকালীন প্রধান আব্বাস আল-মুসাভি ইসরায়েলি হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হওয়ার তিনি মাত্র ৩২ বছর বয়সে গোষ্ঠীটির প্রধান নিযুক্ত হন। এরপর থেকে তিনিই গোষ্ঠীটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নেতা হিসেবে তার প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি ছিল মুসাভির হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া। তিনি উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে এক কিশোরী মারা যায়। তুরস্কে ইসরায়েলি দূতাবাসের একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা গাড়ি বোমায় নিহত হন এবং আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে ইসরায়েলি দূতাবাসে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৯ জন নিহত হয়।
হিজবুল্লাহ ২০০০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননে একটি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ইসরায়েলি বাহিনী সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে এই যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু এই যুদ্ধে তাঁর বড় ছেলে হাদি ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের পর ইসরায়েল দাবি করে, এই প্রথমবার কোনো আরব পক্ষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জয়লাভ করল। সে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, হিজবুল্লাহ অস্ত্র সংবরণ করবে না। তিনি বলেন, শেবা ফার্মসহ লেবাননের যেসব জায়গা ইসরায়েল দখল করে রেখেছে তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। সে বছর হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে আক্রমণ শুরু করে যাতে ৮ ইসরায়েলে সেনা নিহত হয় এবং দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।
জবাবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণে এবং বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করে। একই সময়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে প্রায় ৪ হাজার রকেট নিক্ষেপ করে। ৩৪ দিনে এই যুদ্ধে ১ হাজার ১২৫ জন বেসামরিক লেবানিজ, যাদের ১১৯ ইসরায়েলি সৈন্য এবং ৪৫ জন বেসামরিক লোক মারা যায়। এ সময় নাসরুল্লাহর বাড়ি ও কার্যালয়ে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায় কিন্তু তিনি অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান।
এরপর ২০০৯ সালে নাসরুল্লাহ একটি নতুন রাজনৈতিক ইশতেহার জারি করেন যা হিজবুল্লাহর ‘রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি’ তুলে ধরে। এই ইশতেহারে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের গঠনের কথা বাদ দেয় গোষ্ঠীটি। কিন্তু ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় রাখে। এই ইশতেহারে হিজবুল্লাহ এই দাবি পুনর্ব্যক্ত করে যে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ সশস্ত্র অবস্থায় থাকবে।
এর চার বছর পর, ২০১৩ সালে নাসরুল্লাহ ঘোষণা করেন, হিজবুল্লাহ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে বিদ্রোহ দমন করতে সিরিয়ায় যোদ্ধা পাঠাবে। ২০১৯ সালে লেবাননে গভীর অর্থনৈতিক সংকট, দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনা এবং অবহেলার অভিযোগে রাজনৈতিক এলিটদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। নাসরুল্লাহ প্রাথমিকভাবে সংস্কারের আহ্বানের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন, কিন্তু আন্দোলনকারী রাজনৈতিক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তনের দাবি করতে শুরু করলে তিনি মনোভাব পরিবর্তন করেন।
এরপর, দীর্ঘদিন শান্ত অবস্থা বজায় রাখে হিজবুল্লাহ। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর চিত্র পাল্টে যায়। এই হামলার পরদিন গাজায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করে। গোষ্ঠীটি উত্তর ইসরায়েল এবং ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানগুলোতে অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছে এবং বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে।
এর কয়েক দিন পর, ইসরায়েল নাটকীয়ভাবে হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়, ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করে। যাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছে।
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
ইসরায়েলি গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় নাসরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই লোকচক্ষুর অন্তরালে। রহস্যময় এই ছায়ামানবের ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়ে গেছে। তাঁর নেতৃত্বেই হিজবুল্লাহ লেবাননসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে এক বিশেষ অবস্থান অর্জন করেছে এবং আজকের এই অবস্থানে এসেছে। সমর্থকদের মধ্যে নাসরুল্লাহ ব্যাপক জনপ্রিয়।
নাসরুল্লাহর নেতৃত্বেই হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, ইরাক ও ইয়েমেনের মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরান থেকে পাওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটের বিশাল মজুত গড়ে তুলেছে।
লেবাননে মূলত ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেখান থেকে নাসরুল্লাহ গোষ্ঠীটিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখার আকার লেবাননের মূল সেনাবাহিনীর চেয়েও বড়। সামরিক শক্তিতে হিজবুল্লাহ লেবানিজ সশস্ত্র বাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী। দেশটির ক্ষমতার অন্যতম ভারকেন্দ্র এই গোষ্ঠী। সামরিক শাখার বাইরেও গোষ্ঠীটি লেবাননের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সেবা খাতের প্রতিষ্ঠাতা। শিক্ষা, সমাজ সেবার এমন কোনো খাত নেই যেখানে হিজবুল্লাহর পদচারণা নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহকে ইরানের সবচেয়ে বড় প্রক্সি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ ১৯৬০ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পূর্বাঞ্চলের বুর্জ হাম্মাদ নামা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা বাবা আব্দুল করিম ছোট্ট একটি ফল ও শাকসবজির দোকান পরিচালনা করতে। নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বড়।
লেবাননে ১৯৭৫ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তিনি আমল মুভমেন্ট নামে শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে তিনি ইরাকের শিয়া ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র শহর নাজাফে একটি শিয়া আশ্রমে যোগ দেন। পরে তিনি আবারও আমল মুভমেন্টে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার জবাবে ইসরায়েল লেবাননে আক্রমণ চালালে নাসরুল্লাহ আমল গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে আসেন।
পরে তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সহায়তায় গঠিত ইসলামিক আমল নামে একটি নতুন গোষ্ঠীতে যোগ দেন। লেবাননের বেকা উপত্যকাকেন্দ্রীক ছিল এই গোষ্ঠীটি। অল্প দিনের মধ্যেই গোষ্ঠীটি খ্যাতি অর্জন করে এবং শিয়া গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। যা পরে হিজবুল্লাহ নাম ধারণ করে।
হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৫ সালে আত্মপ্রকাশ করে। সে বছর এক খোলা চিঠিতে গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে ইসলামের মূল শত্রু হিসেবে ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে, মুসলিমদের ভূমি দখল করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করায় ইসরায়েলের বিলুপ্তি চায়।
হিজবুল্লাহর শক্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসান নাসরুল্লাহরও পদমর্যাদা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তিনি হিজবুল্লাহর বালবেক অঞ্চলের পরিচালক নিযুক্ত হন। পরে পুরো বেকা অঞ্চলের। এরপর ১৯৯২ সালে হিজবুল্লাহর তৎকালীন প্রধান আব্বাস আল-মুসাভি ইসরায়েলি হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হওয়ার তিনি মাত্র ৩২ বছর বয়সে গোষ্ঠীটির প্রধান নিযুক্ত হন। এরপর থেকে তিনিই গোষ্ঠীটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নেতা হিসেবে তার প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি ছিল মুসাভির হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া। তিনি উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে এক কিশোরী মারা যায়। তুরস্কে ইসরায়েলি দূতাবাসের একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা গাড়ি বোমায় নিহত হন এবং আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে ইসরায়েলি দূতাবাসে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৯ জন নিহত হয়।
হিজবুল্লাহ ২০০০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননে একটি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ইসরায়েলি বাহিনী সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে এই যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু এই যুদ্ধে তাঁর বড় ছেলে হাদি ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের পর ইসরায়েল দাবি করে, এই প্রথমবার কোনো আরব পক্ষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জয়লাভ করল। সে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, হিজবুল্লাহ অস্ত্র সংবরণ করবে না। তিনি বলেন, শেবা ফার্মসহ লেবাননের যেসব জায়গা ইসরায়েল দখল করে রেখেছে তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। সে বছর হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে আক্রমণ শুরু করে যাতে ৮ ইসরায়েলে সেনা নিহত হয় এবং দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।
জবাবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণে এবং বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করে। একই সময়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে প্রায় ৪ হাজার রকেট নিক্ষেপ করে। ৩৪ দিনে এই যুদ্ধে ১ হাজার ১২৫ জন বেসামরিক লেবানিজ, যাদের ১১৯ ইসরায়েলি সৈন্য এবং ৪৫ জন বেসামরিক লোক মারা যায়। এ সময় নাসরুল্লাহর বাড়ি ও কার্যালয়ে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায় কিন্তু তিনি অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান।
এরপর ২০০৯ সালে নাসরুল্লাহ একটি নতুন রাজনৈতিক ইশতেহার জারি করেন যা হিজবুল্লাহর ‘রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি’ তুলে ধরে। এই ইশতেহারে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের গঠনের কথা বাদ দেয় গোষ্ঠীটি। কিন্তু ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় রাখে। এই ইশতেহারে হিজবুল্লাহ এই দাবি পুনর্ব্যক্ত করে যে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ সশস্ত্র অবস্থায় থাকবে।
এর চার বছর পর, ২০১৩ সালে নাসরুল্লাহ ঘোষণা করেন, হিজবুল্লাহ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে বিদ্রোহ দমন করতে সিরিয়ায় যোদ্ধা পাঠাবে। ২০১৯ সালে লেবাননে গভীর অর্থনৈতিক সংকট, দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনা এবং অবহেলার অভিযোগে রাজনৈতিক এলিটদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। নাসরুল্লাহ প্রাথমিকভাবে সংস্কারের আহ্বানের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন, কিন্তু আন্দোলনকারী রাজনৈতিক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তনের দাবি করতে শুরু করলে তিনি মনোভাব পরিবর্তন করেন।
এরপর, দীর্ঘদিন শান্ত অবস্থা বজায় রাখে হিজবুল্লাহ। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর চিত্র পাল্টে যায়। এই হামলার পরদিন গাজায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করে। গোষ্ঠীটি উত্তর ইসরায়েল এবং ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানগুলোতে অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছে এবং বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে।
এর কয়েক দিন পর, ইসরায়েল নাটকীয়ভাবে হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়, ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করে। যাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছে।
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
১ ঘণ্টা আগে
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে, কেবল এই জাহাজই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলের আশপাশে মোতায়েন করেছেন মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর ষষ্ঠ নৌবহরের প্রাণ ভোমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড। অবশ্য পুরো ষষ্ঠ নৌবহর ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস গ্রেভলি ত্রিনিদাদের রাজধানী পোর্ট অব স্পেনে পৌঁছায়। এতে মার্কিন মেরিন সদস্যরাও ছিলেন। তারা পরিকল্পিত যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। যুদ্ধজাহাজটিতে উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে এবং এটি হেলিকপ্টারও পরিচালনা করতে পারে। সম্প্রতি এটি মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছিল।
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি এই জাহাজের আগমন ঘটল এমন সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহে ওয়াশিংটন ওই অঞ্চলে একাধিক বিতর্কিত ও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে, যেগুলোকে তারা ‘মাদকবাহী নৌকা’ লক্ষ্য করে চালানো অভিযান বলে দাবি করেছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর নিশ্চিত করেছে, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ওই অঞ্চলে মোতায়েন করছে। এতে দুই দেশের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান আরও তীব্র হয়েছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ তৈরি করার’ অভিযোগ তুলেছেন।
কোনো প্রমাণ না দেখিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সংগঠিত অপরাধচক্র ত্রেন দে আরাগুয়ার নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। পোর্ট অব স্পেন থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক জুলিয়া গালিয়ানো জানান, ত্রিনিদাদ সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাইছে যে যুদ্ধজাহাজটির আগমনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আল–জাজিরাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ধরনের যৌথ সামরিক কার্যক্রম নিয়মিতই অনুষ্ঠিত হয় এবং এবারও এটি কোনো যুদ্ধের পূর্বাভাস নয়। তবে গালিয়ানো বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনাকে ঘিরে ‘অনেকটা সংশয় ও উদ্বেগ’ দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘বাজারে আমরা যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন—এটি দেশের জন্য কী অর্থ বহন করতে পারে, তা ভেবে তারা আতঙ্কিত।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জাভেদ আলী আল–জাজিরাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখানে উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে, যার লক্ষ্য মাদুরো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।’ তিনি যোগ করেন, ‘হোয়াইট হাউস কী ভাবছে তা বোঝা কঠিন। তবে এই সামরিক উপস্থিতি ভেনেজুয়েলায় সরাসরি আক্রমণের জন্য যথেষ্ট বড় নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী যুদ্ধের ধরন দেখলে বোঝা যায়, এত ক্ষুদ্র উপস্থিতি নিয়ে তারা কখনো যুদ্ধ শুরু করে না।’
মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র আগস্টে ওই অঞ্চলে আটটি যুদ্ধজাহাজ, ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন পাঠিয়েছিল—১৯৮৯ সালে পানামা আক্রমণের পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ। শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো জানান, তাদের দেশ ‘বৃহৎ পরিসরের সামরিক হুমকি’ মোকাবিলায় উপকূল প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করেছে।

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে, কেবল এই জাহাজই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলের আশপাশে মোতায়েন করেছেন মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর ষষ্ঠ নৌবহরের প্রাণ ভোমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড। অবশ্য পুরো ষষ্ঠ নৌবহর ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস গ্রেভলি ত্রিনিদাদের রাজধানী পোর্ট অব স্পেনে পৌঁছায়। এতে মার্কিন মেরিন সদস্যরাও ছিলেন। তারা পরিকল্পিত যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। যুদ্ধজাহাজটিতে উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে এবং এটি হেলিকপ্টারও পরিচালনা করতে পারে। সম্প্রতি এটি মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছিল।
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি এই জাহাজের আগমন ঘটল এমন সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহে ওয়াশিংটন ওই অঞ্চলে একাধিক বিতর্কিত ও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে, যেগুলোকে তারা ‘মাদকবাহী নৌকা’ লক্ষ্য করে চালানো অভিযান বলে দাবি করেছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর নিশ্চিত করেছে, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ওই অঞ্চলে মোতায়েন করছে। এতে দুই দেশের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান আরও তীব্র হয়েছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ তৈরি করার’ অভিযোগ তুলেছেন।
কোনো প্রমাণ না দেখিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সংগঠিত অপরাধচক্র ত্রেন দে আরাগুয়ার নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। পোর্ট অব স্পেন থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক জুলিয়া গালিয়ানো জানান, ত্রিনিদাদ সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাইছে যে যুদ্ধজাহাজটির আগমনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আল–জাজিরাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ধরনের যৌথ সামরিক কার্যক্রম নিয়মিতই অনুষ্ঠিত হয় এবং এবারও এটি কোনো যুদ্ধের পূর্বাভাস নয়। তবে গালিয়ানো বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনাকে ঘিরে ‘অনেকটা সংশয় ও উদ্বেগ’ দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘বাজারে আমরা যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন—এটি দেশের জন্য কী অর্থ বহন করতে পারে, তা ভেবে তারা আতঙ্কিত।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জাভেদ আলী আল–জাজিরাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখানে উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে, যার লক্ষ্য মাদুরো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।’ তিনি যোগ করেন, ‘হোয়াইট হাউস কী ভাবছে তা বোঝা কঠিন। তবে এই সামরিক উপস্থিতি ভেনেজুয়েলায় সরাসরি আক্রমণের জন্য যথেষ্ট বড় নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী যুদ্ধের ধরন দেখলে বোঝা যায়, এত ক্ষুদ্র উপস্থিতি নিয়ে তারা কখনো যুদ্ধ শুরু করে না।’
মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র আগস্টে ওই অঞ্চলে আটটি যুদ্ধজাহাজ, ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন পাঠিয়েছিল—১৯৮৯ সালে পানামা আক্রমণের পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ। শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো জানান, তাদের দেশ ‘বৃহৎ পরিসরের সামরিক হুমকি’ মোকাবিলায় উপকূল প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
১ ঘণ্টা আগে
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল দুই বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি হিসেবে হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ২০ দফা পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছে। তবে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘দখলদারত্বের অবসান হলে এসব অস্ত্র রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
তবে আল-হাইয়া কোন কোন রাষ্ট্রের কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি কি কোনো নতুন বা এখনো গঠিত না হওয়া ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক কাঠামোর কথা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটিও জানা যায়নি।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয় হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে। হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল দুই বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি হিসেবে হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ২০ দফা পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছে। তবে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘দখলদারত্বের অবসান হলে এসব অস্ত্র রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
তবে আল-হাইয়া কোন কোন রাষ্ট্রের কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি কি কোনো নতুন বা এখনো গঠিত না হওয়া ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক কাঠামোর কথা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটিও জানা যায়নি।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয় হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে। হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১১ ঘণ্টা আগেবিবিসির সাক্ষাৎকার
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
১ ঘণ্টা আগে
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১১ ঘণ্টা আগে