সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ডের পর এখনো মেলেনি ন্যায়বিচার। হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সৌদি আরবের ওপর কোনো চাপও তৈরি করতে পারেনি বিশ্ব। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জামাল খাশোগিকে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সে হিসাবে গতকাল সোমবার ছিল সাংবাদিক ও কলামিস্ট জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর। তাঁর হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। অভিযোগের তির ওঠে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দিকে। তবে তাঁর সংশ্লিষ্টতা কোনোভাবেই প্রমাণ করা যায়নি এখনো। সেই থেকে সৌদি অধিকারকর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে যাচ্ছেন।
অধিকারকর্মীদের মতে, জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে পশ্চিমা বিশ্বের উচিত সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হওয়া। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-আউস বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, বিশ্বের সরকারগুলোকে সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা করতে হবে। কিন্তু মানবাধিকার বা মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো দেশ যখন একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচারী সরকারগুলোর সঙ্গে কাজ করে, তখন সেই দেশের নিজস্ব যে কৌশল বা মানবাধিকারের ধারণা, তা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
আব্দুল্লাহ আল-আউস আরও বলেন, ‘আপনি যখন নিরাপত্তার খাতিরে স্বাধীনতা জলাঞ্জলি দেন, তখন আসলে কোনোটিই আর টেকে না।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরেকটি মানবাধিকার সংগঠনের নেতা লিনা আল-হাসলুল বলেন, ‘আপনি যেমন সৌদি আরবের তেল কিনতে পারেন, তেমনি একই সঙ্গে তাদের দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনাও করতে পারেন।’ হাসলুল তাঁর বোনের ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
হাসলুলের বোন লুজাইন বহু বছর ধরে সৌদি আরবের নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। তিনি সৌদি আরবে নারী গাড়িচালকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এই আন্দোলন করতে গিয়ে লুজাইনকে তিন বছর জেল খাটতে হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেলের বাইরে থাকলেও সৌদি আরব ত্যাগে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
গত এক মাসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সৌদি আরবের খবরগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে কেমন করে সবকিছু স্বাভাবিক হতে পারে বা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি, গ্রিসের সঙ্গে বিদ্যুতের গ্রিডের সংযোগ কিংবা সৌদি আরবে মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান লুসিড তাদের প্রথম কারখানা বসাচ্ছে—এসবই প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু পাঁচ বছর আগে এই সময়টাতে খবর ছিল ভিন্ন।
যেমন ওয়াশিংটন পোস্টের খবর ছিল—‘সিআইএ বলছে, খাশোগি হত্যার পেছনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের হাত।’ অথবা নিউইয়র্ক টাইমসের খবর ছিল, ‘খাশোগি হত্যা: সৌদি আরবে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস।’
অধিকারকর্মীরা পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশে বলছেন, আপনি হয়তো সৌদি আরবকে হারাতে চান না, কিন্তু আসলে আপনারা সবাইকে হারাচ্ছেন। কারণ আপনারা বিশ্বের কাছে এবং প্রত্যেক স্বৈরাচারীর কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছেন যে—যার হাতে যতক্ষণ তেলসম্পদ রয়েছে, ততক্ষণ সে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যেতে পারবে।
সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ডের পর এখনো মেলেনি ন্যায়বিচার। হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সৌদি আরবের ওপর কোনো চাপও তৈরি করতে পারেনি বিশ্ব। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জামাল খাশোগিকে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সে হিসাবে গতকাল সোমবার ছিল সাংবাদিক ও কলামিস্ট জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর। তাঁর হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। অভিযোগের তির ওঠে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দিকে। তবে তাঁর সংশ্লিষ্টতা কোনোভাবেই প্রমাণ করা যায়নি এখনো। সেই থেকে সৌদি অধিকারকর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে যাচ্ছেন।
অধিকারকর্মীদের মতে, জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে পশ্চিমা বিশ্বের উচিত সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হওয়া। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-আউস বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, বিশ্বের সরকারগুলোকে সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা করতে হবে। কিন্তু মানবাধিকার বা মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো দেশ যখন একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচারী সরকারগুলোর সঙ্গে কাজ করে, তখন সেই দেশের নিজস্ব যে কৌশল বা মানবাধিকারের ধারণা, তা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
আব্দুল্লাহ আল-আউস আরও বলেন, ‘আপনি যখন নিরাপত্তার খাতিরে স্বাধীনতা জলাঞ্জলি দেন, তখন আসলে কোনোটিই আর টেকে না।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরেকটি মানবাধিকার সংগঠনের নেতা লিনা আল-হাসলুল বলেন, ‘আপনি যেমন সৌদি আরবের তেল কিনতে পারেন, তেমনি একই সঙ্গে তাদের দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনাও করতে পারেন।’ হাসলুল তাঁর বোনের ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
হাসলুলের বোন লুজাইন বহু বছর ধরে সৌদি আরবের নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। তিনি সৌদি আরবে নারী গাড়িচালকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এই আন্দোলন করতে গিয়ে লুজাইনকে তিন বছর জেল খাটতে হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেলের বাইরে থাকলেও সৌদি আরব ত্যাগে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
গত এক মাসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সৌদি আরবের খবরগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে কেমন করে সবকিছু স্বাভাবিক হতে পারে বা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি, গ্রিসের সঙ্গে বিদ্যুতের গ্রিডের সংযোগ কিংবা সৌদি আরবে মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান লুসিড তাদের প্রথম কারখানা বসাচ্ছে—এসবই প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু পাঁচ বছর আগে এই সময়টাতে খবর ছিল ভিন্ন।
যেমন ওয়াশিংটন পোস্টের খবর ছিল—‘সিআইএ বলছে, খাশোগি হত্যার পেছনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের হাত।’ অথবা নিউইয়র্ক টাইমসের খবর ছিল, ‘খাশোগি হত্যা: সৌদি আরবে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস।’
অধিকারকর্মীরা পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশে বলছেন, আপনি হয়তো সৌদি আরবকে হারাতে চান না, কিন্তু আসলে আপনারা সবাইকে হারাচ্ছেন। কারণ আপনারা বিশ্বের কাছে এবং প্রত্যেক স্বৈরাচারীর কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছেন যে—যার হাতে যতক্ষণ তেলসম্পদ রয়েছে, ততক্ষণ সে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যেতে পারবে।
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১১ ঘণ্টা আগে