
সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ডের পর এখনো মেলেনি ন্যায়বিচার। হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সৌদি আরবের ওপর কোনো চাপও তৈরি করতে পারেনি বিশ্ব। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জামাল খাশোগিকে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সে হিসাবে গতকাল সোমবার ছিল সাংবাদিক ও কলামিস্ট জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর। তাঁর হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। অভিযোগের তির ওঠে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দিকে। তবে তাঁর সংশ্লিষ্টতা কোনোভাবেই প্রমাণ করা যায়নি এখনো। সেই থেকে সৌদি অধিকারকর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে যাচ্ছেন।
অধিকারকর্মীদের মতে, জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে পশ্চিমা বিশ্বের উচিত সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হওয়া। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-আউস বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, বিশ্বের সরকারগুলোকে সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা করতে হবে। কিন্তু মানবাধিকার বা মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো দেশ যখন একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচারী সরকারগুলোর সঙ্গে কাজ করে, তখন সেই দেশের নিজস্ব যে কৌশল বা মানবাধিকারের ধারণা, তা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
আব্দুল্লাহ আল-আউস আরও বলেন, ‘আপনি যখন নিরাপত্তার খাতিরে স্বাধীনতা জলাঞ্জলি দেন, তখন আসলে কোনোটিই আর টেকে না।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরেকটি মানবাধিকার সংগঠনের নেতা লিনা আল-হাসলুল বলেন, ‘আপনি যেমন সৌদি আরবের তেল কিনতে পারেন, তেমনি একই সঙ্গে তাদের দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনাও করতে পারেন।’ হাসলুল তাঁর বোনের ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
হাসলুলের বোন লুজাইন বহু বছর ধরে সৌদি আরবের নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। তিনি সৌদি আরবে নারী গাড়িচালকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এই আন্দোলন করতে গিয়ে লুজাইনকে তিন বছর জেল খাটতে হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেলের বাইরে থাকলেও সৌদি আরব ত্যাগে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
গত এক মাসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সৌদি আরবের খবরগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে কেমন করে সবকিছু স্বাভাবিক হতে পারে বা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি, গ্রিসের সঙ্গে বিদ্যুতের গ্রিডের সংযোগ কিংবা সৌদি আরবে মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান লুসিড তাদের প্রথম কারখানা বসাচ্ছে—এসবই প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু পাঁচ বছর আগে এই সময়টাতে খবর ছিল ভিন্ন।
যেমন ওয়াশিংটন পোস্টের খবর ছিল—‘সিআইএ বলছে, খাশোগি হত্যার পেছনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের হাত।’ অথবা নিউইয়র্ক টাইমসের খবর ছিল, ‘খাশোগি হত্যা: সৌদি আরবে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস।’
অধিকারকর্মীরা পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশে বলছেন, আপনি হয়তো সৌদি আরবকে হারাতে চান না, কিন্তু আসলে আপনারা সবাইকে হারাচ্ছেন। কারণ আপনারা বিশ্বের কাছে এবং প্রত্যেক স্বৈরাচারীর কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছেন যে—যার হাতে যতক্ষণ তেলসম্পদ রয়েছে, ততক্ষণ সে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যেতে পারবে।

সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ডের পর এখনো মেলেনি ন্যায়বিচার। হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সৌদি আরবের ওপর কোনো চাপও তৈরি করতে পারেনি বিশ্ব। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জামাল খাশোগিকে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সে হিসাবে গতকাল সোমবার ছিল সাংবাদিক ও কলামিস্ট জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর। তাঁর হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। অভিযোগের তির ওঠে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দিকে। তবে তাঁর সংশ্লিষ্টতা কোনোভাবেই প্রমাণ করা যায়নি এখনো। সেই থেকে সৌদি অধিকারকর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে যাচ্ছেন।
অধিকারকর্মীদের মতে, জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে পশ্চিমা বিশ্বের উচিত সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হওয়া। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-আউস বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, বিশ্বের সরকারগুলোকে সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা করতে হবে। কিন্তু মানবাধিকার বা মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো দেশ যখন একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচারী সরকারগুলোর সঙ্গে কাজ করে, তখন সেই দেশের নিজস্ব যে কৌশল বা মানবাধিকারের ধারণা, তা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
আব্দুল্লাহ আল-আউস আরও বলেন, ‘আপনি যখন নিরাপত্তার খাতিরে স্বাধীনতা জলাঞ্জলি দেন, তখন আসলে কোনোটিই আর টেকে না।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরেকটি মানবাধিকার সংগঠনের নেতা লিনা আল-হাসলুল বলেন, ‘আপনি যেমন সৌদি আরবের তেল কিনতে পারেন, তেমনি একই সঙ্গে তাদের দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনাও করতে পারেন।’ হাসলুল তাঁর বোনের ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
হাসলুলের বোন লুজাইন বহু বছর ধরে সৌদি আরবের নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। তিনি সৌদি আরবে নারী গাড়িচালকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এই আন্দোলন করতে গিয়ে লুজাইনকে তিন বছর জেল খাটতে হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেলের বাইরে থাকলেও সৌদি আরব ত্যাগে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
গত এক মাসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সৌদি আরবের খবরগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে কেমন করে সবকিছু স্বাভাবিক হতে পারে বা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি, গ্রিসের সঙ্গে বিদ্যুতের গ্রিডের সংযোগ কিংবা সৌদি আরবে মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান লুসিড তাদের প্রথম কারখানা বসাচ্ছে—এসবই প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু পাঁচ বছর আগে এই সময়টাতে খবর ছিল ভিন্ন।
যেমন ওয়াশিংটন পোস্টের খবর ছিল—‘সিআইএ বলছে, খাশোগি হত্যার পেছনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের হাত।’ অথবা নিউইয়র্ক টাইমসের খবর ছিল, ‘খাশোগি হত্যা: সৌদি আরবে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস।’
অধিকারকর্মীরা পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশে বলছেন, আপনি হয়তো সৌদি আরবকে হারাতে চান না, কিন্তু আসলে আপনারা সবাইকে হারাচ্ছেন। কারণ আপনারা বিশ্বের কাছে এবং প্রত্যেক স্বৈরাচারীর কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছেন যে—যার হাতে যতক্ষণ তেলসম্পদ রয়েছে, ততক্ষণ সে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যেতে পারবে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
১ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জন্য গঠিত তহবিলে অনুদানের পরিমাণ একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ৭ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল আহমেদ দুই সন্তানের বাবা। ঘটনার সময় তিনি পার্ক করা একটি গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে পেছন দিক থেকে এক বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।
ধস্তাধস্তির ওই মুহূর্তটিতে দ্বিতীয় এক হামলাকারীর গুলিতে আহমেদ নিজেও আহত হন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানান, আহমেদ দুবার গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গুলি তাঁর হাত ও বাহুতে লেগেছে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবিসি নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার দিক দেখেছি একটি সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে। কিন্তু একই সঙ্গে দেখেছি মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ—আহমেদ আল আহমেদ নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিপদের দিকে ছুটে গেছেন এবং মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’
আহমেদের বাবা মোহাম্মদ ফাতেহ আল আহমেদ বলেন, তাঁর ছেলে একজন নায়ক। তিনি আগে পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার প্রবল মানসিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বিবেকই তাকে সন্ত্রাসীর ওপর পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য করেছে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স হাসপাতালে গিয়ে আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আহমেদ একজন বাস্তব জীবনের নায়ক।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাঁর বাম হাত প্লাস্টারে বাঁধা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে তাঁকে ‘অত্যন্ত সাহসী মানুষ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে আহমেদের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো ও তাঁকে সহযোগিতার জন্য ‘গোফান্ডমি’-তে খোলা একটি স্বপ্রণোদিত তহবিলে একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গেছে। এই তহবিলে মার্কিন ধনকুবের বিল অ্যাকম্যান একাই ৯৯ হাজার ৯৯৯ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন।
হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষ ফুল নিয়ে এসে আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এই সাহস শুধু বন্ডাই বিচের নয়—এটি সমগ্র মানবতার।
রোববার বিকেলে (১৪ ডিসেম্বর) একটি ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন। অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে। এটি প্রায় তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জন্য গঠিত তহবিলে অনুদানের পরিমাণ একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ৭ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল আহমেদ দুই সন্তানের বাবা। ঘটনার সময় তিনি পার্ক করা একটি গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে পেছন দিক থেকে এক বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।
ধস্তাধস্তির ওই মুহূর্তটিতে দ্বিতীয় এক হামলাকারীর গুলিতে আহমেদ নিজেও আহত হন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানান, আহমেদ দুবার গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গুলি তাঁর হাত ও বাহুতে লেগেছে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবিসি নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার দিক দেখেছি একটি সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে। কিন্তু একই সঙ্গে দেখেছি মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ—আহমেদ আল আহমেদ নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিপদের দিকে ছুটে গেছেন এবং মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’
আহমেদের বাবা মোহাম্মদ ফাতেহ আল আহমেদ বলেন, তাঁর ছেলে একজন নায়ক। তিনি আগে পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার প্রবল মানসিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বিবেকই তাকে সন্ত্রাসীর ওপর পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য করেছে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স হাসপাতালে গিয়ে আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আহমেদ একজন বাস্তব জীবনের নায়ক।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাঁর বাম হাত প্লাস্টারে বাঁধা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে তাঁকে ‘অত্যন্ত সাহসী মানুষ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে আহমেদের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো ও তাঁকে সহযোগিতার জন্য ‘গোফান্ডমি’-তে খোলা একটি স্বপ্রণোদিত তহবিলে একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গেছে। এই তহবিলে মার্কিন ধনকুবের বিল অ্যাকম্যান একাই ৯৯ হাজার ৯৯৯ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন।
হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষ ফুল নিয়ে এসে আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এই সাহস শুধু বন্ডাই বিচের নয়—এটি সমগ্র মানবতার।
রোববার বিকেলে (১৪ ডিসেম্বর) একটি ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন। অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে। এটি প্রায় তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা।

সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ডের পর এখনো মেলেনি ন্যায়বিচার। হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সৌদি আরবের ওপর কোনো চাপও তৈরি করতে পারেনি বিশ্ব
০৩ অক্টোবর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
১ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেন। এই সাহসী উদ্যোগের ফলে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হনুক্কাহ অনুষ্ঠানে ওই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অন্যজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।
প্রাণঘাতী ওই হামলার সংকটময় মুহূর্তটিতে শুধু একজন সাধারণ দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন না আহমেদ আল আহমেদ। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে এক হামলাকারীর সঙ্গে কুস্তি করতে এবং বন্দুক ছিনিয়ে নিতে দেখা যায়, যা মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আমিরাত-ভিত্তিক ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, সিরিয়ার ইদলিব অঞ্চল থেকে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন আহমেদ। তিনি পেশায় একজন ফল বিক্রেতা এবং দুই কন্যাসন্তানের জনক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুরুতর আহত হন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যে কাজটি করেছেন, তার ফলেই বহু মানুষ আজ বেঁচে আছেন।’
আহমেদের বাবা-মা অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর শরীরেও অন্তত দুটি গুলির ক্ষত রয়েছে এবং অস্ত্রোপচারের পর তিনি সিডনির কোগারাহ এলাকার সেন্ট জর্জ হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আহমেদের বাবা বলেন, ‘সে মানসিকভাবে ভালো আছে। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে, সে মানুষ বাঁচাতে পেরেছে।’
এই সাহসী ভূমিকার জন্য আহমেদ আল আহমেদকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স ভিডিওটিকে ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
এমনকি নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিও আহমেদকে ঘৃণার বিরুদ্ধে সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ আহমেদের চিকিৎসা ও পরিবারের সহায়তার জন্য সাধারণ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি তহবিল তৈরি করেছে। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই তহবিলে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার জমা পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেন। এই সাহসী উদ্যোগের ফলে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হনুক্কাহ অনুষ্ঠানে ওই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অন্যজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।
প্রাণঘাতী ওই হামলার সংকটময় মুহূর্তটিতে শুধু একজন সাধারণ দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন না আহমেদ আল আহমেদ। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে এক হামলাকারীর সঙ্গে কুস্তি করতে এবং বন্দুক ছিনিয়ে নিতে দেখা যায়, যা মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আমিরাত-ভিত্তিক ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, সিরিয়ার ইদলিব অঞ্চল থেকে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন আহমেদ। তিনি পেশায় একজন ফল বিক্রেতা এবং দুই কন্যাসন্তানের জনক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুরুতর আহত হন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যে কাজটি করেছেন, তার ফলেই বহু মানুষ আজ বেঁচে আছেন।’
আহমেদের বাবা-মা অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর শরীরেও অন্তত দুটি গুলির ক্ষত রয়েছে এবং অস্ত্রোপচারের পর তিনি সিডনির কোগারাহ এলাকার সেন্ট জর্জ হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আহমেদের বাবা বলেন, ‘সে মানসিকভাবে ভালো আছে। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে, সে মানুষ বাঁচাতে পেরেছে।’
এই সাহসী ভূমিকার জন্য আহমেদ আল আহমেদকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স ভিডিওটিকে ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
এমনকি নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিও আহমেদকে ঘৃণার বিরুদ্ধে সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ আহমেদের চিকিৎসা ও পরিবারের সহায়তার জন্য সাধারণ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি তহবিল তৈরি করেছে। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই তহবিলে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার জমা পড়েছে।

সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ডের পর এখনো মেলেনি ন্যায়বিচার। হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সৌদি আরবের ওপর কোনো চাপও তৈরি করতে পারেনি বিশ্ব
০৩ অক্টোবর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
১১ মিনিট আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
সানাম প্রথমে হতবাক হলেও পরে জানতে পারেন, তাঁর জন্মস্থানই এর কারণ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এত বছর ধরে কাগজপত্র, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে, আমি আর এগোতে পারব না। এটি খুবই হৃদয়বিদারক।’
সানামের মতো আরও অনেক বৈধ অভিবাসী মার্কিন নাগরিক হওয়ার প্রতিটি ধাপ পার করে কেবল চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই এখন ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।
চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের (যার মধ্যে ইরান অন্যতম) অভিবাসীর নাগরিকত্বের শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করে। শুধু চূড়ান্ত ধাপে থাকা ব্যক্তিরাই নন, প্রক্রিয়াটির যেকোনো পর্যায়ে থাকা অভিবাসীদের জন্যও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, আমেরিকানদের জীবন বাঁচাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর পেছনের কারণ গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলা। ওই দিন আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। সে সময় নতুন করে ন্যাশনাল গার্ডের আরও ৫০০ সদস্যকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওয়ার্কিং ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভিন্ন অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী অলাভজনক সংস্থা নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের (এনওয়াইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শুধু নিউইয়র্কেই ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী আনুমানিক ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের মধ্যে ভেনেজুয়েলাও রয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে—ট্রাম্প প্রশাসন কি ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী প্রায় দেড় লাখ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেবে? তাঁরা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন?
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিও ব্রুজোন বিবিসিকে বলেন, সহজ কথায়, একটি অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ মানেই নিষেধাজ্ঞা। তারা ওয়াশিংটন ডিসির হামলার ঘটনাকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর আক্রমণ বাড়ানোর একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
ভেনেজুয়েলার অভিবাসী জর্জেরও ৩ ডিসেম্বর শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি জানতে পারেন, এটি বাতিল করা হয়েছে। জর্জ বলেন, ‘আমার সবকিছু প্রস্তুত ছিল...কিন্তু পরের দিন শপথ অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় এখন কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
জর্জ অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত যে অভিবাসীদের বিষয়ে ‘কঠোর যাচাই-বাছাই’ হওয়া উচিত। তিনি বাইডেন প্রশাসনকে দেশে অতিরিক্ত অভিবাসী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেন। জর্জ বলেন, তিনি যদি ভোট দিতে পারতেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সমর্থন করতেন।
সানামের স্বামী নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেখুন, আমাদের কেমন ভাগ্য! যদি ন্যাশনাল গার্ডের ওপর গত সপ্তাহে হামলা না হয়ে এই সপ্তাহে হতো, তবে আমার স্ত্রী এখন একজন মার্কিন নাগরিক হতেন।’
প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ১৯টি দেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন স্থগিত করে। ১৯টি দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
সানাম প্রথমে হতবাক হলেও পরে জানতে পারেন, তাঁর জন্মস্থানই এর কারণ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এত বছর ধরে কাগজপত্র, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে, আমি আর এগোতে পারব না। এটি খুবই হৃদয়বিদারক।’
সানামের মতো আরও অনেক বৈধ অভিবাসী মার্কিন নাগরিক হওয়ার প্রতিটি ধাপ পার করে কেবল চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই এখন ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।
চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের (যার মধ্যে ইরান অন্যতম) অভিবাসীর নাগরিকত্বের শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করে। শুধু চূড়ান্ত ধাপে থাকা ব্যক্তিরাই নন, প্রক্রিয়াটির যেকোনো পর্যায়ে থাকা অভিবাসীদের জন্যও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, আমেরিকানদের জীবন বাঁচাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর পেছনের কারণ গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলা। ওই দিন আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। সে সময় নতুন করে ন্যাশনাল গার্ডের আরও ৫০০ সদস্যকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওয়ার্কিং ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভিন্ন অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী অলাভজনক সংস্থা নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের (এনওয়াইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শুধু নিউইয়র্কেই ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী আনুমানিক ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের মধ্যে ভেনেজুয়েলাও রয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে—ট্রাম্প প্রশাসন কি ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী প্রায় দেড় লাখ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেবে? তাঁরা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন?
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিও ব্রুজোন বিবিসিকে বলেন, সহজ কথায়, একটি অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ মানেই নিষেধাজ্ঞা। তারা ওয়াশিংটন ডিসির হামলার ঘটনাকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর আক্রমণ বাড়ানোর একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
ভেনেজুয়েলার অভিবাসী জর্জেরও ৩ ডিসেম্বর শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি জানতে পারেন, এটি বাতিল করা হয়েছে। জর্জ বলেন, ‘আমার সবকিছু প্রস্তুত ছিল...কিন্তু পরের দিন শপথ অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় এখন কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
জর্জ অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত যে অভিবাসীদের বিষয়ে ‘কঠোর যাচাই-বাছাই’ হওয়া উচিত। তিনি বাইডেন প্রশাসনকে দেশে অতিরিক্ত অভিবাসী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেন। জর্জ বলেন, তিনি যদি ভোট দিতে পারতেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সমর্থন করতেন।
সানামের স্বামী নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেখুন, আমাদের কেমন ভাগ্য! যদি ন্যাশনাল গার্ডের ওপর গত সপ্তাহে হামলা না হয়ে এই সপ্তাহে হতো, তবে আমার স্ত্রী এখন একজন মার্কিন নাগরিক হতেন।’
প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ১৯টি দেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন স্থগিত করে। ১৯টি দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ডের পর এখনো মেলেনি ন্যায়বিচার। হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সৌদি আরবের ওপর কোনো চাপও তৈরি করতে পারেনি বিশ্ব
০৩ অক্টোবর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি তাইওয়ানে চীনা আগ্রাসন পরিস্থিতি তৈরি করে মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এবং এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কগুলোকেও অচল করে দিতে পারে। অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ এই নথির নাম হলো ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ।’
পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা এই দলিলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার উন্নত এবং মহামূল্যবান অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ায় চীনের দ্রুত তৈরি করা কম দামি অস্ত্রের সামনে সে বড়ই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে।
ওই প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন আমেরিকান সম্পদগুলো অকেজো করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর কয়েক দিন আগেই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ান প্রশ্নটি ‘পরম বিচক্ষণতার সঙ্গে সামলাতে’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
২০২১ সালে যখন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’ রিপোর্টের সারসংক্ষেপ পান, তখন তিনি ‘ফ্যাকাশে’ হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত এক মার্কিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সেই কর্মকর্তা বুঝেছিলেন যে, ‘আমাদের তূণে যত কৌশল ছিল, চীনারা তার প্রতিটির জন্য একাধিক বিকল্প তৈরি করে রেখেছে।’
চীন তাইওয়ানকে অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এবং জোর দিয়ে বলে যে,২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপটিকে শেষ পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতেই হবে—প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম, স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে করে। তাদের বক্তব্য, তাইওয়ানের অবস্থার যেকোনো পরিবর্তন গণতান্ত্রিক উপায়ে সেখানকার জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া চাই, চীনের দ্বারা চাপানো কোনোভাবেই নয়।
যদিও চীন তাইওয়ান আক্রমণ করার কোনো সময়সীমা দেয়নি, তবুও পশ্চিমা শক্তিগুলোর মূল্যায়ন ও গোয়েন্দা তথ্য দাবি করে যে, চীন সম্ভবত ২০২৭ সালের কাছাকাছি সময়ে তাইওয়ান দখলের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করতে পারে—যা সি চিন পিংয়ের সামরিক আধুনিকীকরণের লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে চীন যে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, তা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই আমেরিকার অনেক উন্নত অস্ত্র, যেমন বিমানবাহী রণতরীগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি মার্কিন নৌবাহিনীর সব থেকে নতুন রণতরীটিও প্রায়শই চীনা আক্রমণ সামলাতে সক্ষম হবে না—এমনটাই জানাচ্ছে সেই মূল্যায়ন।
এতে উদাহরণ হিসেবে আমেরিকার সব থেকে নতুন ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড রণতরীটির উল্লেখ করা হয়েছে, যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং যা ২০২২ সালে মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি—যার মধ্যে আরও উন্নত পারমাণবিক চুল্লিও রয়েছে—তা থাকা সত্ত্বেও এই রণতরীটি চীনা হামলা থেকে রক্ষা পেতে পারবে না।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভেনেজুয়েলার মতো দুর্বল শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরী হলেও ফোর্ড রণতরীটি ‘আক্রমণের নতুন রূপে মারাত্মকভাবে অরক্ষিত।’ এ ছাড়া, এই প্রতিবেদনে বাস্তব-জগতের উদাহরণও টানা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা নিচ্ছে এবং আমেরিকার প্রতিপক্ষরা তাদের দুর্বলতা ও শক্তি উভয় সম্পর্কেই জানতে পারছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে যে ট্যাংকগুলো কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ এই মূল্যায়নে আরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, একটি প্রধান শক্তির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য প্রয়োজনীয় গতি এবং পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করার শিল্প ক্ষমতা আমেরিকার আর নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন বেইজিং এবং মস্কোর তুলনায় দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে, কারণ তারা ‘মহামূল্যবান ও অরক্ষিত অস্ত্রের ওপর অতি-নির্ভরশীল।’ এর আগে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ চীনের বিরুদ্ধে পেন্টাগনের যুদ্ধ মহড়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিবারই হারি’, এবং তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানবাহী রণতরীগুলো সহজেই ধ্বংস করতে পারে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল ও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানোর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত ইতিমধ্যেই কমে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিতে আছে। সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান পূর্বে সতর্ক করেছিলেন যে, চীনের সঙ্গে যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোলাবারুদের মজুত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এখন ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অনেক এগিয়ে, যদিও উভয় দেশেই প্রায় ৪০০টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
জুনে ইরানের ১২ দিনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষা করতে গিয়ে ওয়াশিংটন তার উচ্চ-উচ্চতার ক্ষেপণাস্ত্র ডিটারেন্ট–গুলোর প্রায় এক-চতুর্থাংশ খরচ করে ফেলেছে বলেও খবর আছে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পেন্টাগন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি তাইওয়ানে চীনা আগ্রাসন পরিস্থিতি তৈরি করে মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এবং এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কগুলোকেও অচল করে দিতে পারে। অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ এই নথির নাম হলো ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ।’
পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা এই দলিলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার উন্নত এবং মহামূল্যবান অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ায় চীনের দ্রুত তৈরি করা কম দামি অস্ত্রের সামনে সে বড়ই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে।
ওই প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন আমেরিকান সম্পদগুলো অকেজো করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর কয়েক দিন আগেই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ান প্রশ্নটি ‘পরম বিচক্ষণতার সঙ্গে সামলাতে’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
২০২১ সালে যখন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’ রিপোর্টের সারসংক্ষেপ পান, তখন তিনি ‘ফ্যাকাশে’ হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত এক মার্কিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সেই কর্মকর্তা বুঝেছিলেন যে, ‘আমাদের তূণে যত কৌশল ছিল, চীনারা তার প্রতিটির জন্য একাধিক বিকল্প তৈরি করে রেখেছে।’
চীন তাইওয়ানকে অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এবং জোর দিয়ে বলে যে,২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপটিকে শেষ পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতেই হবে—প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম, স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে করে। তাদের বক্তব্য, তাইওয়ানের অবস্থার যেকোনো পরিবর্তন গণতান্ত্রিক উপায়ে সেখানকার জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া চাই, চীনের দ্বারা চাপানো কোনোভাবেই নয়।
যদিও চীন তাইওয়ান আক্রমণ করার কোনো সময়সীমা দেয়নি, তবুও পশ্চিমা শক্তিগুলোর মূল্যায়ন ও গোয়েন্দা তথ্য দাবি করে যে, চীন সম্ভবত ২০২৭ সালের কাছাকাছি সময়ে তাইওয়ান দখলের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করতে পারে—যা সি চিন পিংয়ের সামরিক আধুনিকীকরণের লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে চীন যে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, তা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই আমেরিকার অনেক উন্নত অস্ত্র, যেমন বিমানবাহী রণতরীগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি মার্কিন নৌবাহিনীর সব থেকে নতুন রণতরীটিও প্রায়শই চীনা আক্রমণ সামলাতে সক্ষম হবে না—এমনটাই জানাচ্ছে সেই মূল্যায়ন।
এতে উদাহরণ হিসেবে আমেরিকার সব থেকে নতুন ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড রণতরীটির উল্লেখ করা হয়েছে, যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং যা ২০২২ সালে মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি—যার মধ্যে আরও উন্নত পারমাণবিক চুল্লিও রয়েছে—তা থাকা সত্ত্বেও এই রণতরীটি চীনা হামলা থেকে রক্ষা পেতে পারবে না।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভেনেজুয়েলার মতো দুর্বল শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরী হলেও ফোর্ড রণতরীটি ‘আক্রমণের নতুন রূপে মারাত্মকভাবে অরক্ষিত।’ এ ছাড়া, এই প্রতিবেদনে বাস্তব-জগতের উদাহরণও টানা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা নিচ্ছে এবং আমেরিকার প্রতিপক্ষরা তাদের দুর্বলতা ও শক্তি উভয় সম্পর্কেই জানতে পারছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে যে ট্যাংকগুলো কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ এই মূল্যায়নে আরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, একটি প্রধান শক্তির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য প্রয়োজনীয় গতি এবং পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করার শিল্প ক্ষমতা আমেরিকার আর নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন বেইজিং এবং মস্কোর তুলনায় দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে, কারণ তারা ‘মহামূল্যবান ও অরক্ষিত অস্ত্রের ওপর অতি-নির্ভরশীল।’ এর আগে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ চীনের বিরুদ্ধে পেন্টাগনের যুদ্ধ মহড়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিবারই হারি’, এবং তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানবাহী রণতরীগুলো সহজেই ধ্বংস করতে পারে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল ও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানোর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত ইতিমধ্যেই কমে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিতে আছে। সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান পূর্বে সতর্ক করেছিলেন যে, চীনের সঙ্গে যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোলাবারুদের মজুত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এখন ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অনেক এগিয়ে, যদিও উভয় দেশেই প্রায় ৪০০টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
জুনে ইরানের ১২ দিনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষা করতে গিয়ে ওয়াশিংটন তার উচ্চ-উচ্চতার ক্ষেপণাস্ত্র ডিটারেন্ট–গুলোর প্রায় এক-চতুর্থাংশ খরচ করে ফেলেছে বলেও খবর আছে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পেন্টাগন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

সৌদি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ডের পর এখনো মেলেনি ন্যায়বিচার। হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সৌদি আরবের ওপর কোনো চাপও তৈরি করতে পারেনি বিশ্ব
০৩ অক্টোবর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
১ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে