
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির নির্বিচার আগ্রাসনে অঞ্চলটির ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় লাখখানেক। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসন গাজা ছাড়িয়ে লেবাননেও পৌঁছে গেছে। সেখানেও প্রায় তিন-চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
কেবল সাধারণ মানুষ নয়, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গত জুলাইয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হন। এরপর গোষ্ঠীটির প্রধান নির্বাচিত ইয়াহইয়া সিনওয়ার। তিনিও গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে এসেছে। তা হলো আগামী দিনে হামাসকে নেতৃত্ব দেবেন কে বা কারা।
এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম সামনে আছে। তাঁরা হলেন খালিদ মেশাল, খলিল আল হাইয়্যা, মুসা আবু মারজুক, মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ও মোহাম্মদ সিনওয়ার। কম আলোচনায় থাকলেও মাহমুদ আল-জাহার, মোহাম্মদ শাবানা ও রওহি মুশতাহাদের মতো নেতারাও গোষ্ঠীটিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
খালিদ মেশাল
হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৬৮ বছর বয়সী খালিদ মেশাল ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মাধ্যমে হামাসের নতুন সর্বোচ্চ নেতা হতে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামাসের এই নেতা ১৯৯৭ সালে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সে সময় তাঁকে হত্যার জন্য ইসরায়েলি এজেন্টরা জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি গুপ্তহত্যা মিশনে তাঁকে বিষ মেশানো ইনজেকশন দিয়েছিল।
খলিল আল-হাইয়্যা
খলিল আল-হাইয়্যা গাজায় ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ডেপুটি। সম্প্রতি হানিয়ার তত্ত্বাবধানে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তেহরানে হানিয়ার বাসভবনেই হাইয়্যার আবাস ছিল। কিন্তু যখন ভবনটিতে হামলা হয়, তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে তিনি দুই দফায় ইসরায়েলি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে এক ইসরায়েল তাঁর বাড়িতে আঘাত করে বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে হত্যা করে। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আবারও তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। সেই দফায়ও তিনি বেঁচে যান, তবে তাঁর বড় ছেলে নিহত হন।
মুসা আবু মারজুক
মুসা আবু মারজুক ১৯৫১ সালে গাজার সীমান্ত শহর রাফাহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠার সময় অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি এর পলিটব্যুরোর সদস্য হন। বর্তমানেও তিনি সক্রিয়ভাবে গোষ্ঠীটির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
মারজুকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে ফিলিস্তিনের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হামাসের পলিটব্যুরোর প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যোগ থাকায় ১৯৯৫ ও ১৯৯৯ সালে জর্ডান তাঁকে দুবার নির্বাসনে পাঠায়। প্রথমবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে এফবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে তাঁকে ফের জর্ডানে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে জর্ডান থেকে তাঁকে সিরিয়ায় নির্বাসন দেওয়া হয়। তিনি ২০১২ সালে সিরিয়া ত্যাগ করেন। এর পর থেকে গাজা, মিসর ও কাতারে সময় কাটাচ্ছেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ার
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার (৪৯)। তিনি গাজার খান ইউনিসে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার সরাসরি ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি হামাসের প্রথম ব্যাচে যোগ দেওয়া কর্মীদের অন্যতম । ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৯ মাস দেশটির কারাগারে বন্দী ছিলেন। পরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাগারেও কাটিয়েছেন তিন বছর। ২০০০ সালে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা আবদুল-আজিজ আল-রানতিসির আদর্শিক প্রভাবে বেড়ে ওঠেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার অন্যতম কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয়, ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দায়েফ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ সিনওয়ার।
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ‘আবু ওমর হাসান’ নামেও পরিচিত। তিনি হামাসের শুরা কাউন্সিলের প্রধান। ৬ অক্টোবর তাঁকে হামাসের শুরা কাউন্সিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। এই বাইরে তাঁর সম্পর্কে খুব একটা তথ্য জানা যায় না।
মাহমুদ আল-জাহার
৭৯ বছর বয়সী মাহমুদ আল-জাহার পেশায় একজন সার্জন। ইসরায়েল ও হামাসের অন্যান্য বিরোধীর প্রতি তাঁর কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বন্ধু ও শত্রুরা তাঁকে ‘জেনারেল’ বলে ডাকত। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে জাহার কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি। এরপর তাঁকে দেখাও যায়নি। তিনি জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের এই নেতা ২০০৩ সালে একবার ইসরায়েলি হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে গৃহযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে হামাস ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোহাম্মদ শাবানা
হামাস নেতা শাবানা, আবু আনাস শাবানা নামে বেশি পরিচিত। তিনি এখনো বেঁচে থাকা হামাসের শীর্ষ ও অভিজ্ঞ সশস্ত্র কমান্ডারদের একজন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণে রাফাহে হামাসের একটি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হামাস সূত্র জানিয়েছে, শাবানা রাফাহে টানেল নেটওয়ার্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৪ সালে ৫০ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল হামাসের তিনজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পর শাবানা রাফাহ ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব নেন।
রওহি মুশতাহা
রওহি মুশতাহা হামাসের ভেতরে সিনওয়ারের আস্থাভাজন ও শক্তিশালী মিত্র। সিনওয়ারের সঙ্গে মিলে মুশতাহা ১৯৮০–এর দশকের শেষের দিকে হামাসের প্রথম নিরাপত্তাব্যবস্থা (সিকিউরিটি সিস্টেম) প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাকিং এবং হত্যার জন্য দায়ী ছিল। তিনিও ২০১১ সালে সিনওয়ারের সঙ্গে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান। সম্প্রতি তাঁকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং অপারেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গাজায় হামাস ও মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ওয়াইনেট, ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফরেইন রিলেশন ও আল জাজিরা

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির নির্বিচার আগ্রাসনে অঞ্চলটির ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় লাখখানেক। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসন গাজা ছাড়িয়ে লেবাননেও পৌঁছে গেছে। সেখানেও প্রায় তিন-চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
কেবল সাধারণ মানুষ নয়, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গত জুলাইয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হন। এরপর গোষ্ঠীটির প্রধান নির্বাচিত ইয়াহইয়া সিনওয়ার। তিনিও গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে এসেছে। তা হলো আগামী দিনে হামাসকে নেতৃত্ব দেবেন কে বা কারা।
এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম সামনে আছে। তাঁরা হলেন খালিদ মেশাল, খলিল আল হাইয়্যা, মুসা আবু মারজুক, মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ও মোহাম্মদ সিনওয়ার। কম আলোচনায় থাকলেও মাহমুদ আল-জাহার, মোহাম্মদ শাবানা ও রওহি মুশতাহাদের মতো নেতারাও গোষ্ঠীটিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
খালিদ মেশাল
হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৬৮ বছর বয়সী খালিদ মেশাল ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মাধ্যমে হামাসের নতুন সর্বোচ্চ নেতা হতে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামাসের এই নেতা ১৯৯৭ সালে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সে সময় তাঁকে হত্যার জন্য ইসরায়েলি এজেন্টরা জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি গুপ্তহত্যা মিশনে তাঁকে বিষ মেশানো ইনজেকশন দিয়েছিল।
খলিল আল-হাইয়্যা
খলিল আল-হাইয়্যা গাজায় ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ডেপুটি। সম্প্রতি হানিয়ার তত্ত্বাবধানে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তেহরানে হানিয়ার বাসভবনেই হাইয়্যার আবাস ছিল। কিন্তু যখন ভবনটিতে হামলা হয়, তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে তিনি দুই দফায় ইসরায়েলি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে এক ইসরায়েল তাঁর বাড়িতে আঘাত করে বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে হত্যা করে। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আবারও তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। সেই দফায়ও তিনি বেঁচে যান, তবে তাঁর বড় ছেলে নিহত হন।
মুসা আবু মারজুক
মুসা আবু মারজুক ১৯৫১ সালে গাজার সীমান্ত শহর রাফাহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠার সময় অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি এর পলিটব্যুরোর সদস্য হন। বর্তমানেও তিনি সক্রিয়ভাবে গোষ্ঠীটির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
মারজুকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে ফিলিস্তিনের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হামাসের পলিটব্যুরোর প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যোগ থাকায় ১৯৯৫ ও ১৯৯৯ সালে জর্ডান তাঁকে দুবার নির্বাসনে পাঠায়। প্রথমবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে এফবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে তাঁকে ফের জর্ডানে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে জর্ডান থেকে তাঁকে সিরিয়ায় নির্বাসন দেওয়া হয়। তিনি ২০১২ সালে সিরিয়া ত্যাগ করেন। এর পর থেকে গাজা, মিসর ও কাতারে সময় কাটাচ্ছেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ার
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার (৪৯)। তিনি গাজার খান ইউনিসে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার সরাসরি ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি হামাসের প্রথম ব্যাচে যোগ দেওয়া কর্মীদের অন্যতম । ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৯ মাস দেশটির কারাগারে বন্দী ছিলেন। পরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাগারেও কাটিয়েছেন তিন বছর। ২০০০ সালে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা আবদুল-আজিজ আল-রানতিসির আদর্শিক প্রভাবে বেড়ে ওঠেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার অন্যতম কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয়, ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দায়েফ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ সিনওয়ার।
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ‘আবু ওমর হাসান’ নামেও পরিচিত। তিনি হামাসের শুরা কাউন্সিলের প্রধান। ৬ অক্টোবর তাঁকে হামাসের শুরা কাউন্সিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। এই বাইরে তাঁর সম্পর্কে খুব একটা তথ্য জানা যায় না।
মাহমুদ আল-জাহার
৭৯ বছর বয়সী মাহমুদ আল-জাহার পেশায় একজন সার্জন। ইসরায়েল ও হামাসের অন্যান্য বিরোধীর প্রতি তাঁর কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বন্ধু ও শত্রুরা তাঁকে ‘জেনারেল’ বলে ডাকত। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে জাহার কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি। এরপর তাঁকে দেখাও যায়নি। তিনি জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের এই নেতা ২০০৩ সালে একবার ইসরায়েলি হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে গৃহযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে হামাস ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোহাম্মদ শাবানা
হামাস নেতা শাবানা, আবু আনাস শাবানা নামে বেশি পরিচিত। তিনি এখনো বেঁচে থাকা হামাসের শীর্ষ ও অভিজ্ঞ সশস্ত্র কমান্ডারদের একজন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণে রাফাহে হামাসের একটি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হামাস সূত্র জানিয়েছে, শাবানা রাফাহে টানেল নেটওয়ার্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৪ সালে ৫০ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল হামাসের তিনজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পর শাবানা রাফাহ ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব নেন।
রওহি মুশতাহা
রওহি মুশতাহা হামাসের ভেতরে সিনওয়ারের আস্থাভাজন ও শক্তিশালী মিত্র। সিনওয়ারের সঙ্গে মিলে মুশতাহা ১৯৮০–এর দশকের শেষের দিকে হামাসের প্রথম নিরাপত্তাব্যবস্থা (সিকিউরিটি সিস্টেম) প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাকিং এবং হত্যার জন্য দায়ী ছিল। তিনিও ২০১১ সালে সিনওয়ারের সঙ্গে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান। সম্প্রতি তাঁকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং অপারেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গাজায় হামাস ও মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ওয়াইনেট, ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফরেইন রিলেশন ও আল জাজিরা

গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
৬ মিনিট আগে
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এখন প্রতি দুই শ মিটার অন্তর হলুদ রঙের কংক্রিটের ছোট ছোট পিলার বসাচ্ছে—যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল নির্ধারণের জন্য। এই লাইন কার্যত গাজাকে দুই ভাগে কেটে ফেলেছে। পশ্চিমাংশে হামাস আংশিক ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর সৃষ্ট শূন্যতায় নিজেদের কর্তৃত্ব ফেরাতে চাইছে। তারা প্রকাশ্যে দমন করছে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ও গ্যাং সদস্যদের। যাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের মদদপুষ্ট হওয়ার অভিযোগ আছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের গাজার উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্ত সংলগ্ন পূর্বাংশে আইডিএফ তাদের সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা জোরদার। যে বা যারা ভুলেও এই লাইন পার হওয়ার চেষ্টা করছে তাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে তারা। এই বিষয়ে ওই হলুদ লাইনের পূর্ব পাশের—যা এখন আইডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকা—এক সময়ের বাসিন্দা খালেদ আল–হুসাইন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ওই হলুদ লাইনগুলো স্পষ্ট দেখা যায় না। কোথা থেকে শুরু, কোথায় শেষ, কিছুই জানি না।’
তিনি বলেন, ‘যেই আমরা ঘরের কাছাকাছি যাই, চারদিক থেকে গুলি ছুটতে থাকে। ছোট ছোট ড্রোন, ওই কোয়াডকপ্টারগুলো, মাথার ওপর ঝুলে থাকে, আমাদের প্রতিটি নড়াচড়া দেখে। গতকাল এক বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ি, গুলি থামা পর্যন্ত ওভাবেই ছিলাম। ঘরে ফিরতে পারিনি। আমার মনে হয়, যুদ্ধটা শেষই হয়নি। আমি যদি এখনো ঘরে ফিরতে না পারি, তাহলে এই যুদ্ধবিরতির মানে আসলে কী?’
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় তখন, যখন দেখি অন্যরা ঘরে ফিরছে, আর আমি রয়ে গেছি আশা আর আতঙ্কের মাঝে। কিন্তু সবচেয়ে ভয় পাই এই ভেবে—এই লাইন হয়তো আর উঠবে না, কেউ হয়তো আর কখনো আমাদের নিজ ভূমিতে ফিরতে দেবে না।’

রোববার ইসরায়েল জানিয়ে দিয়েছে, গাজার নিরাপত্তা তাদেরই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, কোথায়, কাকে আঘাত করবে এবং কোন দেশকে গাজায় শান্তিরক্ষায় অংশ নিতে দেবে—এই সব সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নিজেই নেবে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই রক্ষা করব এবং নিজের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করব। এর জন্য কারও অনুমতি আমাদের দরকার নেই।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের আদেশে ওই হলুদ লাইনে গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৯ অক্টোবর রাফাহ শহরে এক হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনার নিহত হওয়ার পর এই নির্দেশ জারি করা হয়।
যুদ্ধবিরতির দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, কিন্তু প্রতিদিনই এখনো গড়ে ২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন, বেশির ভাগই ওই হলুদ লাইন সংলগ্ন এলাকায়। ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষদের খুব কমই কেউ ফিরে যেতে সাহস করছেন আইডিএফ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছানোও এখন দূরবর্তী স্বপ্ন। সেই পর্যায়ে হামাসকে নিরস্ত্র করে একটি বহুজাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর হাতে প্রশাসন হস্তান্তর এবং আইডিএফের ওই হলুদ লাইন থেকে আরও পিছু হটার কথা ছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর জোটের ডানপন্থীরা এমন প্রত্যাহার বা আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণের তীব্র বিরোধিতা করছে।
এই অচলাবস্থার মধ্যেই হলুদ লাইনটি আরও স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এটি এখন প্রায়শই ‘নতুন সীমান্ত’ নামে উল্লেখ করা হচ্ছে। ইয়েদিওথ আহরোনথ পত্রিকায় সামরিক প্রতিবেদক ইয়োয়াভ জিতুন লিখেছেন, এই লাইনটি ‘ক্রমে একটি উচ্চ, উন্নত প্রাচীরে রূপ নেবে, যা গাজাকে আরও ছোট করবে, পশ্চিম নেগেভকে বড় করবে এবং সেখানে নতুন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের পথ খুলে দেবে।’
মানবাধিকার সংস্থা রিফিউজিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জেরেমি কোনিনডাইক বলেন, ‘এটা আসলে ধীরে ধীরে গাজা দখলের প্রক্রিয়া।’
মার্কিন মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হলুদ লাইনে আইডিএফের অবস্থান মানে গাজার ৫৩ শতাংশ এলাকা তাদের দখলে থাকবে। কিন্তু বিবিসির স্যাটেলাইট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন চিহ্নগুলো প্রস্তাবিত সীমারেখার চেয়ে কয়েক শ মিটার ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে—অর্থাৎ আরও এক দফা ভূমি দখল। এ বিষয়ে আইডিএফের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আগের এক বিবৃতিতে শুধু বলা হয়েছিল, ‘ভূমিতে কৌশলগত স্পষ্টতা আনতে ৩ দশমিক ৫ মিটার উচ্চ কংক্রিটের স্তম্ভে হলুদ রঙের দণ্ড বসানো হচ্ছে।’
এখন যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তা হলো—গাজা ক্রমেই দ্বিখণ্ডিত হচ্ছে। ২১ লাখ বেঁচে থাকা মানুষের অর্ধেক এখন গাদাগাদি করে আছে এক অংশে, দুই বছরের টানা বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত এক ভূমিতে। আয়মান আবু মানদিল নামে এক গাজাবাসী বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি, ওই হলুদ লাইন সালাহউদ্দিন সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে।’ গাজা উপত্যকার এই প্রধান সড়কটি উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেছে।
৫৮ বছর বয়সী ৯ সন্তানের জনক মানদিলের বাড়ি ছিল আল-কারারার পূর্ব অংশে, যা এখন আইডিএফের দখলে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা সেখানে ক্রেন, ওয়াচটাওয়ার, ট্যাংক বসিয়েছে। তারা প্রতিটি নড়াচড়া নজরদারি করছে এবং কেউ কাছে গেলে গুলি চালাচ্ছে। আমরা নিজের চোখে ওই হলুদ চিহ্নগুলো দেখিনি, কারণ যে কেউ কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। মনে হয় যেন নিজের জমির দিকে হাঁটা এখন অপরাধ।’
এই বিভাজন ও সহিংসতার মূল কারণ হলো যুদ্ধবিরতির অস্পষ্টতা। ‘ট্রাম্প শান্তি পরিকল্পনা’ নামের ২০ দফা নীতিমালায় কোনো ধাপ বা সময়সীমা ছিল না, কেবল অস্পষ্ট লক্ষ্যগুলোর তালিকা। দাতব্য সংস্থা মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইনসের নীতিনির্ধারক রোহান ট্যালবট বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্যভাবে অস্পষ্ট। এখন ইসরায়েলি সরকার, আমেরিকা, আন্তর্জাতিক সমাজ ও মানবিক সংস্থাসহ সবাই নিজেদের মতো করে এই যুদ্ধবিরতি ব্যাখ্যা করছে ও নিজেদের স্বার্থে চালনা করতে চাইছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে পাওয়া ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের শিখতে হবে—ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যে কোনো ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’ খুব দ্রুত স্থায়ী হয়ে যায়।’ এই অবস্থায় গাজার অর্ধেক জনগণ এখনো ঘরে ফিরতে পারছে না, পুনর্গঠনের কথাও ভাবতে পারছে না। যুদ্ধবিরতির যে আশা জেগেছিল, তা দ্রুত ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল আবাসন আল-কবিরার বাসিন্দা সালাহ আবু সালাহ। যুদ্ধবিরতির কারণে তিনি এখন ‘ভুল’ পাশে পড়ে গেছেন, হলুদ লাইনের ওপারে—যেখানে তার ঘর, কিন্তু প্রবেশাধিকার নেই। তিনি বলেন, ‘প্রতিবার যখন ঘরের দিকে যাই, দেখি নতুন ধ্বংস, নতুন গোলাবর্ষণ, নতুন সেনা অগ্রযাত্রা। ট্যাংক, ড্রোন আর কামান থেকে গোলা ছোড়া বন্ধ হয়নি। মনে হয় যুদ্ধটা যেন কখনো শেষই হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভয় হয়, সেনারা হয়তো সত্যিই নতুন সীমান্ত তৈরি করছে, যা আমরা আর কখনো পার হতে পারব না।’

গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এখন প্রতি দুই শ মিটার অন্তর হলুদ রঙের কংক্রিটের ছোট ছোট পিলার বসাচ্ছে—যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল নির্ধারণের জন্য। এই লাইন কার্যত গাজাকে দুই ভাগে কেটে ফেলেছে। পশ্চিমাংশে হামাস আংশিক ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর সৃষ্ট শূন্যতায় নিজেদের কর্তৃত্ব ফেরাতে চাইছে। তারা প্রকাশ্যে দমন করছে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ও গ্যাং সদস্যদের। যাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের মদদপুষ্ট হওয়ার অভিযোগ আছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের গাজার উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্ত সংলগ্ন পূর্বাংশে আইডিএফ তাদের সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা জোরদার। যে বা যারা ভুলেও এই লাইন পার হওয়ার চেষ্টা করছে তাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে তারা। এই বিষয়ে ওই হলুদ লাইনের পূর্ব পাশের—যা এখন আইডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকা—এক সময়ের বাসিন্দা খালেদ আল–হুসাইন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ওই হলুদ লাইনগুলো স্পষ্ট দেখা যায় না। কোথা থেকে শুরু, কোথায় শেষ, কিছুই জানি না।’
তিনি বলেন, ‘যেই আমরা ঘরের কাছাকাছি যাই, চারদিক থেকে গুলি ছুটতে থাকে। ছোট ছোট ড্রোন, ওই কোয়াডকপ্টারগুলো, মাথার ওপর ঝুলে থাকে, আমাদের প্রতিটি নড়াচড়া দেখে। গতকাল এক বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ি, গুলি থামা পর্যন্ত ওভাবেই ছিলাম। ঘরে ফিরতে পারিনি। আমার মনে হয়, যুদ্ধটা শেষই হয়নি। আমি যদি এখনো ঘরে ফিরতে না পারি, তাহলে এই যুদ্ধবিরতির মানে আসলে কী?’
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় তখন, যখন দেখি অন্যরা ঘরে ফিরছে, আর আমি রয়ে গেছি আশা আর আতঙ্কের মাঝে। কিন্তু সবচেয়ে ভয় পাই এই ভেবে—এই লাইন হয়তো আর উঠবে না, কেউ হয়তো আর কখনো আমাদের নিজ ভূমিতে ফিরতে দেবে না।’

রোববার ইসরায়েল জানিয়ে দিয়েছে, গাজার নিরাপত্তা তাদেরই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, কোথায়, কাকে আঘাত করবে এবং কোন দেশকে গাজায় শান্তিরক্ষায় অংশ নিতে দেবে—এই সব সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নিজেই নেবে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই রক্ষা করব এবং নিজের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করব। এর জন্য কারও অনুমতি আমাদের দরকার নেই।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের আদেশে ওই হলুদ লাইনে গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৯ অক্টোবর রাফাহ শহরে এক হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনার নিহত হওয়ার পর এই নির্দেশ জারি করা হয়।
যুদ্ধবিরতির দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, কিন্তু প্রতিদিনই এখনো গড়ে ২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন, বেশির ভাগই ওই হলুদ লাইন সংলগ্ন এলাকায়। ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষদের খুব কমই কেউ ফিরে যেতে সাহস করছেন আইডিএফ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছানোও এখন দূরবর্তী স্বপ্ন। সেই পর্যায়ে হামাসকে নিরস্ত্র করে একটি বহুজাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর হাতে প্রশাসন হস্তান্তর এবং আইডিএফের ওই হলুদ লাইন থেকে আরও পিছু হটার কথা ছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর জোটের ডানপন্থীরা এমন প্রত্যাহার বা আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণের তীব্র বিরোধিতা করছে।
এই অচলাবস্থার মধ্যেই হলুদ লাইনটি আরও স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এটি এখন প্রায়শই ‘নতুন সীমান্ত’ নামে উল্লেখ করা হচ্ছে। ইয়েদিওথ আহরোনথ পত্রিকায় সামরিক প্রতিবেদক ইয়োয়াভ জিতুন লিখেছেন, এই লাইনটি ‘ক্রমে একটি উচ্চ, উন্নত প্রাচীরে রূপ নেবে, যা গাজাকে আরও ছোট করবে, পশ্চিম নেগেভকে বড় করবে এবং সেখানে নতুন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের পথ খুলে দেবে।’
মানবাধিকার সংস্থা রিফিউজিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জেরেমি কোনিনডাইক বলেন, ‘এটা আসলে ধীরে ধীরে গাজা দখলের প্রক্রিয়া।’
মার্কিন মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হলুদ লাইনে আইডিএফের অবস্থান মানে গাজার ৫৩ শতাংশ এলাকা তাদের দখলে থাকবে। কিন্তু বিবিসির স্যাটেলাইট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন চিহ্নগুলো প্রস্তাবিত সীমারেখার চেয়ে কয়েক শ মিটার ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে—অর্থাৎ আরও এক দফা ভূমি দখল। এ বিষয়ে আইডিএফের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আগের এক বিবৃতিতে শুধু বলা হয়েছিল, ‘ভূমিতে কৌশলগত স্পষ্টতা আনতে ৩ দশমিক ৫ মিটার উচ্চ কংক্রিটের স্তম্ভে হলুদ রঙের দণ্ড বসানো হচ্ছে।’
এখন যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তা হলো—গাজা ক্রমেই দ্বিখণ্ডিত হচ্ছে। ২১ লাখ বেঁচে থাকা মানুষের অর্ধেক এখন গাদাগাদি করে আছে এক অংশে, দুই বছরের টানা বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত এক ভূমিতে। আয়মান আবু মানদিল নামে এক গাজাবাসী বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি, ওই হলুদ লাইন সালাহউদ্দিন সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে।’ গাজা উপত্যকার এই প্রধান সড়কটি উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেছে।
৫৮ বছর বয়সী ৯ সন্তানের জনক মানদিলের বাড়ি ছিল আল-কারারার পূর্ব অংশে, যা এখন আইডিএফের দখলে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা সেখানে ক্রেন, ওয়াচটাওয়ার, ট্যাংক বসিয়েছে। তারা প্রতিটি নড়াচড়া নজরদারি করছে এবং কেউ কাছে গেলে গুলি চালাচ্ছে। আমরা নিজের চোখে ওই হলুদ চিহ্নগুলো দেখিনি, কারণ যে কেউ কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। মনে হয় যেন নিজের জমির দিকে হাঁটা এখন অপরাধ।’
এই বিভাজন ও সহিংসতার মূল কারণ হলো যুদ্ধবিরতির অস্পষ্টতা। ‘ট্রাম্প শান্তি পরিকল্পনা’ নামের ২০ দফা নীতিমালায় কোনো ধাপ বা সময়সীমা ছিল না, কেবল অস্পষ্ট লক্ষ্যগুলোর তালিকা। দাতব্য সংস্থা মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইনসের নীতিনির্ধারক রোহান ট্যালবট বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্যভাবে অস্পষ্ট। এখন ইসরায়েলি সরকার, আমেরিকা, আন্তর্জাতিক সমাজ ও মানবিক সংস্থাসহ সবাই নিজেদের মতো করে এই যুদ্ধবিরতি ব্যাখ্যা করছে ও নিজেদের স্বার্থে চালনা করতে চাইছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে পাওয়া ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের শিখতে হবে—ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যে কোনো ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’ খুব দ্রুত স্থায়ী হয়ে যায়।’ এই অবস্থায় গাজার অর্ধেক জনগণ এখনো ঘরে ফিরতে পারছে না, পুনর্গঠনের কথাও ভাবতে পারছে না। যুদ্ধবিরতির যে আশা জেগেছিল, তা দ্রুত ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল আবাসন আল-কবিরার বাসিন্দা সালাহ আবু সালাহ। যুদ্ধবিরতির কারণে তিনি এখন ‘ভুল’ পাশে পড়ে গেছেন, হলুদ লাইনের ওপারে—যেখানে তার ঘর, কিন্তু প্রবেশাধিকার নেই। তিনি বলেন, ‘প্রতিবার যখন ঘরের দিকে যাই, দেখি নতুন ধ্বংস, নতুন গোলাবর্ষণ, নতুন সেনা অগ্রযাত্রা। ট্যাংক, ড্রোন আর কামান থেকে গোলা ছোড়া বন্ধ হয়নি। মনে হয় যুদ্ধটা যেন কখনো শেষই হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভয় হয়, সেনারা হয়তো সত্যিই নতুন সীমান্ত তৈরি করছে, যা আমরা আর কখনো পার হতে পারব না।’

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তারা বলছেন, নরিনকোর এই পি–৬০ যান প্রমাণ করে চীন কীভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের নেতারাই এখন সেনাবাহিনীকে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। রয়টার্স শতাধিক গবেষণাপত্র, পেটেন্ট ও সরকারি ক্রয় নথি বিশ্লেষণ করে দেখেছে, চীন নিয়মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
চীনের এসব নতুন অস্ত্র কীভাবে কাজ করে, তা গোপন। তবে পেটেন্ট ও ক্রয়ের নথিপত্র থেকে দেখা যায়, দেশটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো প্রযুক্তি তৈরি করছে। আর এসবই মূলত যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দেওয়ার লক্ষ্যে। তবে, রয়টার্স নিশ্চিত হতে পারেনি এসব পণ্য তৈরি করা হয়েছে কি না। কারণ, পেটেন্ট মানেই যে সেগুলো তৈরি হয়ে গেছে এমন নয়।
নথিতে দেখা গেছে, চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এখনো এনভিডিয়ার চিপ ব্যবহার করছে বা খুঁজছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র এই চিপের যে মডেলগুলোর রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে, সেগুলোও তালাশ করছে চীন। এই চিপগুলো নিষেধাজ্ঞার আগেই মজুত করা হয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি।
এনভিডিয়ার মুখপাত্র বলেছেন, পুরোনো বা পুনর্ব্যবহৃত চিপ দিয়ে নতুন কিছু সম্ভব নয়, আর সামরিক কাজে এগুলো ব্যবহার করাও কঠিন,। কারণ সফটওয়্যার ও রক্ষণাবেক্ষণের সহায়তা পাওয়া যাবে না। আর তাই চীনের সেনাবাহিনী এখন দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের গবেষক সানি চিয়ুং বলেন, পিএলএ এখন বেশি ঠিকাদার ব্যবহার করছে যারা কেবল দেশীয় পণ্য, যেমন হুয়াওয়ের চিপ, ব্যবহার করার পক্ষে।
দরপত্র ও পেটেন্ট নথিতে দেখা গেছে, পিএলএ–এর বিভিন্ন ইউনিট হুয়াওয়ে চিপ ব্যবহার করছে। হুয়াওয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, নরিনকো, ও ডিপসিকও সামরিক কাজে এআই ব্যবহারের বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি।
ডিপসিক নির্ভরতা
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে পিএলএ–এর এক ডজনেরও বেশি দরপত্রে ডিপসিক মডেলের উল্লেখ আছে। অন্যদিকে আলিবাবার প্রতিদ্বন্দ্বী মডেল ‘কিউওয়েন’–এর উল্লেখ মাত্র একটিতে। ডিপসিক–সম্পর্কিত দরপত্রের সংখ্যা এ বছর অনেক বেড়েছে। প্রায়ই নতুন সামরিক প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে পিএলএর ওয়েবসাইটে।
ডিপসিকের জনপ্রিয়তা চীনের ঘোষিত ‘অ্যালগরিদমিক সার্বভৌমত্ব’-এর অংশ। অর্থাৎ, পশ্চিমা প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। তবে তারা বলেছে, ডিপসিক চীনের সেনা ও গোয়েন্দা কার্যক্রমে সহায়তা দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিতে পারে। তারা আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপদভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের হাত থেকে তা রক্ষা করবে।
এআই–নির্ভর পরিকল্পনা ও যুদ্ধ প্রযুক্তি
চীন এখন যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার বাড়াচ্ছে। তারা এমন রোবট কুকুর বানাতে চায়, যেগুলো দলবদ্ধভাবে টহল দেবে, হুমকি খুঁজে বের করবে এবং বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করবে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে চীনের সেনাবাহিনী (পিএলএ) এই রোবট কুকুরের জন্য দরপত্র দেয়। তবে তা কার্যকর হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেখা গেছে, পিএলএ আগেও ইউনিট্রি নামের কোম্পানির তৈরি সশস্ত্র রোবট কুকুর মহড়ায় ব্যবহার করেছে। কোম্পানিটি কোনো মন্তব্য করেনি। গত দুই বছরে প্রকাশিত পেটেন্ট, দরপত্র ও গবেষণাপত্রে দেখা যায়—পিএলএ এখন যুদ্ধ ও সামরিকবাহিনী সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকল্পনায় এআই ব্যবহার করছে। এআই স্যাটেলাইট ও ড্রোনের তোলা ছবি দ্রুত বিশ্লেষণের প্রযুক্তি তৈরি করছে।
ল্যান্ডশিপ ইনফরমেশন টেকনোলজি নামে একটি কোম্পানি জানিয়েছে, হুয়াওয়ের চিপে তৈরি তাদের প্রযুক্তি দ্রুত লক্ষ্য শনাক্ত করতে পারে। এটি রাডার ও বিমানের সঙ্গে কাজ করে অভিযান পরিচালনা করতে পারে। শি’আন টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এআইয়ের কারণে অভিযান পরিকল্পনা অনেক দ্রুত করা যায়। তাদের তৈরি ডিপসিক সিস্টেম ৪৮ সেকেন্ডে ১০ হাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে। এই কাজ সাধারণ মানুষের দল করলে ৪৮ ঘণ্টা লাগত।
স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা
চীনের সেনাবাহিনী এখন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র তৈরিতে বিনিয়োগ করছে। বিভিন্ন পেটেন্ট ও দরপত্রে দেখা গেছে, তারা ড্রোনে এআই সংযোজন করছে, যাতে ড্রোনগুলো নিজে থেকে লক্ষ্য চিনে ফেলতে ও অনুসরণ করতে পারে। বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয় এক পেটেন্টে জানিয়েছে, তারা ডিপসিক প্রযুক্তি দিয়ে ড্রোন স্কোয়াডের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সক্ষমতা উন্নত করছে। বিশেষ করে ছোট, ধীর ও নিম্নউচ্চতার হুমকি শনাক্তে।
চীনের প্রতিরক্ষা নেতৃত্ব বলেছে, অস্ত্র ব্যবস্থায় মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তারা এআইচালিত অস্ত্রের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এড়াতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রও এআইভিত্তিক যুদ্ধ প্রযুক্তি বাড়াচ্ছে। তারা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ হাজারো স্বয়ংক্রিয় ড্রোন মোতায়েন করতে চায়। এর লক্ষ্য—চীনের ড্রোন সংখ্যার আধিক্য মোকাবিলা করা।
আমেরিকান চিপ, চীনা মডেল
চীনের প্রতিরক্ষা কোম্পানি শানসি ১০০ ট্রাস্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি বলেছে, তারা এখন দেশীয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করছে। হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ দিয়ে তারা এআই মডেল চালাচ্ছে। তবে গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, এখনো এনভিডিয়া কোম্পানির চিপ ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়।
পিএলএ–এর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজি (এনইউডিটি) এবং ‘সেভেন সন্স’ নামে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় এনভিডিয়ার A100 চিপের ওপর ভিত্তি করে ৩৫টি আবেদন করেছে। তারা হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ দিয়েও ১৫টি এআই-সম্পর্কিত পেটেন্ট জমা দিয়েছে।
২০২৫ সালের জুনে পিএলএ–এর রকেট ফোর্স ইউনিভার্সিটি জানায়, তারা দূর-সংবেদনশীল লক্ষ্য শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় এ–১০০ চিপ ব্যবহার করেছে। এনইউডিটির কর্নেল ঝু কিচাও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তাদের গবেষণায় কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু তারা প্রযুক্তিগত ব্যবধান কমাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এনভিডিয়ার কর্মকর্তা রিজ্জো বলেন, চীনের সেনাবাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত দেশীয় চিপ রয়েছে, তাই তাদের এনভিডিয়া চিপের ওপর তেমন নির্ভর করতে হয় না।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তারা বলছেন, নরিনকোর এই পি–৬০ যান প্রমাণ করে চীন কীভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের নেতারাই এখন সেনাবাহিনীকে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। রয়টার্স শতাধিক গবেষণাপত্র, পেটেন্ট ও সরকারি ক্রয় নথি বিশ্লেষণ করে দেখেছে, চীন নিয়মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
চীনের এসব নতুন অস্ত্র কীভাবে কাজ করে, তা গোপন। তবে পেটেন্ট ও ক্রয়ের নথিপত্র থেকে দেখা যায়, দেশটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো প্রযুক্তি তৈরি করছে। আর এসবই মূলত যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দেওয়ার লক্ষ্যে। তবে, রয়টার্স নিশ্চিত হতে পারেনি এসব পণ্য তৈরি করা হয়েছে কি না। কারণ, পেটেন্ট মানেই যে সেগুলো তৈরি হয়ে গেছে এমন নয়।
নথিতে দেখা গেছে, চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এখনো এনভিডিয়ার চিপ ব্যবহার করছে বা খুঁজছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র এই চিপের যে মডেলগুলোর রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে, সেগুলোও তালাশ করছে চীন। এই চিপগুলো নিষেধাজ্ঞার আগেই মজুত করা হয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি।
এনভিডিয়ার মুখপাত্র বলেছেন, পুরোনো বা পুনর্ব্যবহৃত চিপ দিয়ে নতুন কিছু সম্ভব নয়, আর সামরিক কাজে এগুলো ব্যবহার করাও কঠিন,। কারণ সফটওয়্যার ও রক্ষণাবেক্ষণের সহায়তা পাওয়া যাবে না। আর তাই চীনের সেনাবাহিনী এখন দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের গবেষক সানি চিয়ুং বলেন, পিএলএ এখন বেশি ঠিকাদার ব্যবহার করছে যারা কেবল দেশীয় পণ্য, যেমন হুয়াওয়ের চিপ, ব্যবহার করার পক্ষে।
দরপত্র ও পেটেন্ট নথিতে দেখা গেছে, পিএলএ–এর বিভিন্ন ইউনিট হুয়াওয়ে চিপ ব্যবহার করছে। হুয়াওয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, নরিনকো, ও ডিপসিকও সামরিক কাজে এআই ব্যবহারের বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি।
ডিপসিক নির্ভরতা
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে পিএলএ–এর এক ডজনেরও বেশি দরপত্রে ডিপসিক মডেলের উল্লেখ আছে। অন্যদিকে আলিবাবার প্রতিদ্বন্দ্বী মডেল ‘কিউওয়েন’–এর উল্লেখ মাত্র একটিতে। ডিপসিক–সম্পর্কিত দরপত্রের সংখ্যা এ বছর অনেক বেড়েছে। প্রায়ই নতুন সামরিক প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে পিএলএর ওয়েবসাইটে।
ডিপসিকের জনপ্রিয়তা চীনের ঘোষিত ‘অ্যালগরিদমিক সার্বভৌমত্ব’-এর অংশ। অর্থাৎ, পশ্চিমা প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। তবে তারা বলেছে, ডিপসিক চীনের সেনা ও গোয়েন্দা কার্যক্রমে সহায়তা দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিতে পারে। তারা আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপদভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের হাত থেকে তা রক্ষা করবে।
এআই–নির্ভর পরিকল্পনা ও যুদ্ধ প্রযুক্তি
চীন এখন যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার বাড়াচ্ছে। তারা এমন রোবট কুকুর বানাতে চায়, যেগুলো দলবদ্ধভাবে টহল দেবে, হুমকি খুঁজে বের করবে এবং বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করবে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে চীনের সেনাবাহিনী (পিএলএ) এই রোবট কুকুরের জন্য দরপত্র দেয়। তবে তা কার্যকর হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেখা গেছে, পিএলএ আগেও ইউনিট্রি নামের কোম্পানির তৈরি সশস্ত্র রোবট কুকুর মহড়ায় ব্যবহার করেছে। কোম্পানিটি কোনো মন্তব্য করেনি। গত দুই বছরে প্রকাশিত পেটেন্ট, দরপত্র ও গবেষণাপত্রে দেখা যায়—পিএলএ এখন যুদ্ধ ও সামরিকবাহিনী সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকল্পনায় এআই ব্যবহার করছে। এআই স্যাটেলাইট ও ড্রোনের তোলা ছবি দ্রুত বিশ্লেষণের প্রযুক্তি তৈরি করছে।
ল্যান্ডশিপ ইনফরমেশন টেকনোলজি নামে একটি কোম্পানি জানিয়েছে, হুয়াওয়ের চিপে তৈরি তাদের প্রযুক্তি দ্রুত লক্ষ্য শনাক্ত করতে পারে। এটি রাডার ও বিমানের সঙ্গে কাজ করে অভিযান পরিচালনা করতে পারে। শি’আন টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এআইয়ের কারণে অভিযান পরিকল্পনা অনেক দ্রুত করা যায়। তাদের তৈরি ডিপসিক সিস্টেম ৪৮ সেকেন্ডে ১০ হাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে। এই কাজ সাধারণ মানুষের দল করলে ৪৮ ঘণ্টা লাগত।
স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা
চীনের সেনাবাহিনী এখন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র তৈরিতে বিনিয়োগ করছে। বিভিন্ন পেটেন্ট ও দরপত্রে দেখা গেছে, তারা ড্রোনে এআই সংযোজন করছে, যাতে ড্রোনগুলো নিজে থেকে লক্ষ্য চিনে ফেলতে ও অনুসরণ করতে পারে। বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয় এক পেটেন্টে জানিয়েছে, তারা ডিপসিক প্রযুক্তি দিয়ে ড্রোন স্কোয়াডের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সক্ষমতা উন্নত করছে। বিশেষ করে ছোট, ধীর ও নিম্নউচ্চতার হুমকি শনাক্তে।
চীনের প্রতিরক্ষা নেতৃত্ব বলেছে, অস্ত্র ব্যবস্থায় মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তারা এআইচালিত অস্ত্রের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এড়াতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রও এআইভিত্তিক যুদ্ধ প্রযুক্তি বাড়াচ্ছে। তারা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ হাজারো স্বয়ংক্রিয় ড্রোন মোতায়েন করতে চায়। এর লক্ষ্য—চীনের ড্রোন সংখ্যার আধিক্য মোকাবিলা করা।
আমেরিকান চিপ, চীনা মডেল
চীনের প্রতিরক্ষা কোম্পানি শানসি ১০০ ট্রাস্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি বলেছে, তারা এখন দেশীয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করছে। হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ দিয়ে তারা এআই মডেল চালাচ্ছে। তবে গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, এখনো এনভিডিয়া কোম্পানির চিপ ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়।
পিএলএ–এর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজি (এনইউডিটি) এবং ‘সেভেন সন্স’ নামে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় এনভিডিয়ার A100 চিপের ওপর ভিত্তি করে ৩৫টি আবেদন করেছে। তারা হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ দিয়েও ১৫টি এআই-সম্পর্কিত পেটেন্ট জমা দিয়েছে।
২০২৫ সালের জুনে পিএলএ–এর রকেট ফোর্স ইউনিভার্সিটি জানায়, তারা দূর-সংবেদনশীল লক্ষ্য শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় এ–১০০ চিপ ব্যবহার করেছে। এনইউডিটির কর্নেল ঝু কিচাও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তাদের গবেষণায় কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু তারা প্রযুক্তিগত ব্যবধান কমাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এনভিডিয়ার কর্মকর্তা রিজ্জো বলেন, চীনের সেনাবাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত দেশীয় চিপ রয়েছে, তাই তাদের এনভিডিয়া চিপের ওপর তেমন নির্ভর করতে হয় না।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
৬ মিনিট আগে
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে, কেবল এই জাহাজই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলের আশপাশে মোতায়েন করেছেন মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর ষষ্ঠ নৌবহরের প্রাণ ভোমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড। অবশ্য পুরো ষষ্ঠ নৌবহর ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস গ্রেভলি ত্রিনিদাদের রাজধানী পোর্ট অব স্পেনে পৌঁছায়। এতে মার্কিন মেরিন সদস্যরাও ছিলেন। তারা পরিকল্পিত যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। যুদ্ধজাহাজটিতে উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে এবং এটি হেলিকপ্টারও পরিচালনা করতে পারে। সম্প্রতি এটি মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছিল।
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি এই জাহাজের আগমন ঘটল এমন সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহে ওয়াশিংটন ওই অঞ্চলে একাধিক বিতর্কিত ও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে, যেগুলোকে তারা ‘মাদকবাহী নৌকা’ লক্ষ্য করে চালানো অভিযান বলে দাবি করেছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর নিশ্চিত করেছে, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ওই অঞ্চলে মোতায়েন করছে। এতে দুই দেশের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান আরও তীব্র হয়েছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ তৈরি করার’ অভিযোগ তুলেছেন।
কোনো প্রমাণ না দেখিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সংগঠিত অপরাধচক্র ত্রেন দে আরাগুয়ার নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। পোর্ট অব স্পেন থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক জুলিয়া গালিয়ানো জানান, ত্রিনিদাদ সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাইছে যে যুদ্ধজাহাজটির আগমনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আল–জাজিরাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ধরনের যৌথ সামরিক কার্যক্রম নিয়মিতই অনুষ্ঠিত হয় এবং এবারও এটি কোনো যুদ্ধের পূর্বাভাস নয়। তবে গালিয়ানো বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনাকে ঘিরে ‘অনেকটা সংশয় ও উদ্বেগ’ দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘বাজারে আমরা যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন—এটি দেশের জন্য কী অর্থ বহন করতে পারে, তা ভেবে তারা আতঙ্কিত।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জাভেদ আলী আল–জাজিরাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখানে উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে, যার লক্ষ্য মাদুরো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।’ তিনি যোগ করেন, ‘হোয়াইট হাউস কী ভাবছে তা বোঝা কঠিন। তবে এই সামরিক উপস্থিতি ভেনেজুয়েলায় সরাসরি আক্রমণের জন্য যথেষ্ট বড় নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী যুদ্ধের ধরন দেখলে বোঝা যায়, এত ক্ষুদ্র উপস্থিতি নিয়ে তারা কখনো যুদ্ধ শুরু করে না।’
মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র আগস্টে ওই অঞ্চলে আটটি যুদ্ধজাহাজ, ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন পাঠিয়েছিল—১৯৮৯ সালে পানামা আক্রমণের পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ। শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো জানান, তাদের দেশ ‘বৃহৎ পরিসরের সামরিক হুমকি’ মোকাবিলায় উপকূল প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করেছে।

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে, কেবল এই জাহাজই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলের আশপাশে মোতায়েন করেছেন মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর ষষ্ঠ নৌবহরের প্রাণ ভোমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড। অবশ্য পুরো ষষ্ঠ নৌবহর ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস গ্রেভলি ত্রিনিদাদের রাজধানী পোর্ট অব স্পেনে পৌঁছায়। এতে মার্কিন মেরিন সদস্যরাও ছিলেন। তারা পরিকল্পিত যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। যুদ্ধজাহাজটিতে উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে এবং এটি হেলিকপ্টারও পরিচালনা করতে পারে। সম্প্রতি এটি মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছিল।
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি এই জাহাজের আগমন ঘটল এমন সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহে ওয়াশিংটন ওই অঞ্চলে একাধিক বিতর্কিত ও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে, যেগুলোকে তারা ‘মাদকবাহী নৌকা’ লক্ষ্য করে চালানো অভিযান বলে দাবি করেছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর নিশ্চিত করেছে, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ওই অঞ্চলে মোতায়েন করছে। এতে দুই দেশের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান আরও তীব্র হয়েছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ তৈরি করার’ অভিযোগ তুলেছেন।
কোনো প্রমাণ না দেখিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সংগঠিত অপরাধচক্র ত্রেন দে আরাগুয়ার নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। পোর্ট অব স্পেন থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক জুলিয়া গালিয়ানো জানান, ত্রিনিদাদ সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাইছে যে যুদ্ধজাহাজটির আগমনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আল–জাজিরাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ধরনের যৌথ সামরিক কার্যক্রম নিয়মিতই অনুষ্ঠিত হয় এবং এবারও এটি কোনো যুদ্ধের পূর্বাভাস নয়। তবে গালিয়ানো বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনাকে ঘিরে ‘অনেকটা সংশয় ও উদ্বেগ’ দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘বাজারে আমরা যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন—এটি দেশের জন্য কী অর্থ বহন করতে পারে, তা ভেবে তারা আতঙ্কিত।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জাভেদ আলী আল–জাজিরাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখানে উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে, যার লক্ষ্য মাদুরো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।’ তিনি যোগ করেন, ‘হোয়াইট হাউস কী ভাবছে তা বোঝা কঠিন। তবে এই সামরিক উপস্থিতি ভেনেজুয়েলায় সরাসরি আক্রমণের জন্য যথেষ্ট বড় নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী যুদ্ধের ধরন দেখলে বোঝা যায়, এত ক্ষুদ্র উপস্থিতি নিয়ে তারা কখনো যুদ্ধ শুরু করে না।’
মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র আগস্টে ওই অঞ্চলে আটটি যুদ্ধজাহাজ, ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন পাঠিয়েছিল—১৯৮৯ সালে পানামা আক্রমণের পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ। শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো জানান, তাদের দেশ ‘বৃহৎ পরিসরের সামরিক হুমকি’ মোকাবিলায় উপকূল প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করেছে।

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
৬ মিনিট আগে
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল দুই বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি হিসেবে হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ২০ দফা পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছে। তবে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘দখলদারত্বের অবসান হলে এসব অস্ত্র রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
তবে আল-হাইয়া কোন কোন রাষ্ট্রের কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি কি কোনো নতুন বা এখনো গঠিত না হওয়া ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক কাঠামোর কথা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটিও জানা যায়নি।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয় হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে। হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল দুই বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি হিসেবে হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ২০ দফা পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছে। তবে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘দখলদারত্বের অবসান হলে এসব অস্ত্র রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
তবে আল-হাইয়া কোন কোন রাষ্ট্রের কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি কি কোনো নতুন বা এখনো গঠিত না হওয়া ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক কাঠামোর কথা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটিও জানা যায়নি।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয় হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে। হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতির সীমারেখা হিসেবে আঁকা তথাকথিত অদৃশ্য হলুদ লাইন এখন যেন ক্রমেই বাস্তব রূপ নিচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যখনই থমকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখনই এই সীমারেখা যেন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার হুমকি হয়ে উঠেছে।
৬ মিনিট আগে
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন এক সামরিক যান উন্মোচন করে। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে নিজে থেকেই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এই যানটি চালিত হয় চীনের প্রযুক্তি খাতের গর্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘ডিপসিক’ দিয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার। এটি এমন সময়ে ওই অঞ্চলে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
২ ঘণ্টা আগে