Ajker Patrika

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার ৭০০ দিন, হতাহত দুই লাখের বেশি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসরায়েলি আগ্রাসনে তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে গাজাবাসী। তারপরও ত্রাণের আশায় বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই ভিড় করে থাকে ফিলিস্তিনি শিশুরা। ছবি: আনাদোলু
ইসরায়েলি আগ্রাসনে তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে গাজাবাসী। তারপরও ত্রাণের আশায় বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই ভিড় করে থাকে ফিলিস্তিনি শিশুরা। ছবি: আনাদোলু

ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যামূলক আগ্রাসনের ৭০০ দিন পূর্ণ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েল গাজায় ৬৪ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করলেও এই বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্ব কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে অঞ্চলটিতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ আহত হয়েছে। পুরো অঞ্চল স্রেফ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

গাজার জনসংযোগ দপ্তর গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের ধারাবাহিক ৭০০ দিনের বোমাবর্ষণে উপত্যকার প্রায় সব অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে সৃষ্ট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এক বিবৃতিতে দপ্তর বলেছে, ইসরায়েল গাজার অবকাঠামোর প্রায় ৯০ শতাংশ ধ্বংস করে দিয়েছে। পাশাপাশি চলছে ‘পদ্ধতিগত গণহত্যা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির নীতি।’

দপ্তরের হিসাবে, এ পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি শিশু ও সাড়ে ১২ হাজার নারী। এ ছাড়া, ২ হাজার ৭০০ পরিবার পুরোপুরি নামের তালিকা থেকে মুছে গেছে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৬৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ২৪৮ জন সাংবাদিক, ১৩৯ জন সিভিল ডিফেন্স সদস্য এবং ১৭৩ জন পৌর কর্মচারী। আরও ১ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁদের অনেকে অঙ্গহানি, পক্ষাঘাত কিংবা দৃষ্টি হারানোর মতো জীবন পরিবর্তনকারী গুরুতর আঘাত নিয়ে বেঁচে আছেন।

দপ্তরটি আরও জানিয়েছে, এ সময়ে ৩৮টি হাসপাতাল, ৮৩৩টি মসজিদ ও ১৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। পাশাপাশি হাজার হাজার অন্যান্য জনসুবিধা কেন্দ্রও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: আনাদোলু

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত