আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাজার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের অন্যান্য এলাকায়ও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। গতকাল শুক্রবার গাজাসহ ফিলিস্তিনে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে হামাসের বিরুদ্ধে ‘কাজ শেষ করার’ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তরকে (ওসিএইচএ) উদ্ধৃত করে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েল ‘প্রতি ৮ থেকে ৯ মিনিট অন্তর একবার করে বোমা হামলা চালিয়েছে’।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্থল অভিযান শুরুর পর গাজায় হামলা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। শুধু গাজা শহরেই ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আল-ওয়াহদা স্ট্রিট, শাতি শরণার্থীশিবির এবং নাসর এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালানো হয়। পশ্চিম গাজার আবাসিক রিমাল এলাকাও হামলার শিকার হয়েছে।
রিমাল এলাকা থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক ইব্রাহিম আল-খলিলি জানান, কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই হামলা করা হয়। ওই সময় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে জীবিতদের উদ্ধার করছিলেন আর চিকিৎসাকর্মীরা নিহতদের মরদেহ সরিয়ে নিচ্ছিলেন।
খালিলি আরও বলেন, ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা বাড়ার ফলে পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন স্থাপনা ও এলাকাকে টার্গেট করছে।
ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি চিকিৎসা সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিতর্কিত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত সহায়তা কেন্দ্রগুলো থেকে সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করার সময় শুক্রবার আরও ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাতে আল জাজিরা জানায়, অবরোধের কারণে অনাহার ও চিকিৎসা না পেয়ে কেন্দ্রীয় গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ওই কিশোরের মৃত্যু গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক ও স্বাস্থ্যসংকটকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত অপুষ্টিজনিত কারণে অন্তত ৪৪০ জন মারা গেছে, যাদের মধ্যে ১৪৭ জনই শিশু।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজা শহরে তাদের ক্লিনিকগুলো ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, শুধু গত সপ্তাহেই তারা অপুষ্টি, যুদ্ধজনিত আঘাত এবং মাতৃসেবার রোগীদের ৩ হাজার ৬৪০টির বেশি চিকিৎসা পরামর্শ দিয়েছে।
এমএসএফ সতর্ক করে বলেছে, গাজা শহরে এখনো কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি আটকা পড়ে আছে আর গোটা উপত্যকার হাসপাতালগুলো কর্মী ও সরঞ্জামের অভাবে চরম চাপে রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচারও গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে জানান, সেখানে বহু ফিলিস্তিনি অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো ভয়াবহ বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আরোপ করা বাধার কারণে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
গাজার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের অন্যান্য এলাকায়ও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। গতকাল শুক্রবার গাজাসহ ফিলিস্তিনে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে হামাসের বিরুদ্ধে ‘কাজ শেষ করার’ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তরকে (ওসিএইচএ) উদ্ধৃত করে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েল ‘প্রতি ৮ থেকে ৯ মিনিট অন্তর একবার করে বোমা হামলা চালিয়েছে’।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্থল অভিযান শুরুর পর গাজায় হামলা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। শুধু গাজা শহরেই ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আল-ওয়াহদা স্ট্রিট, শাতি শরণার্থীশিবির এবং নাসর এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালানো হয়। পশ্চিম গাজার আবাসিক রিমাল এলাকাও হামলার শিকার হয়েছে।
রিমাল এলাকা থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক ইব্রাহিম আল-খলিলি জানান, কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই হামলা করা হয়। ওই সময় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে জীবিতদের উদ্ধার করছিলেন আর চিকিৎসাকর্মীরা নিহতদের মরদেহ সরিয়ে নিচ্ছিলেন।
খালিলি আরও বলেন, ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা বাড়ার ফলে পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন স্থাপনা ও এলাকাকে টার্গেট করছে।
ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি চিকিৎসা সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিতর্কিত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত সহায়তা কেন্দ্রগুলো থেকে সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করার সময় শুক্রবার আরও ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাতে আল জাজিরা জানায়, অবরোধের কারণে অনাহার ও চিকিৎসা না পেয়ে কেন্দ্রীয় গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ওই কিশোরের মৃত্যু গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক ও স্বাস্থ্যসংকটকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত অপুষ্টিজনিত কারণে অন্তত ৪৪০ জন মারা গেছে, যাদের মধ্যে ১৪৭ জনই শিশু।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজা শহরে তাদের ক্লিনিকগুলো ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, শুধু গত সপ্তাহেই তারা অপুষ্টি, যুদ্ধজনিত আঘাত এবং মাতৃসেবার রোগীদের ৩ হাজার ৬৪০টির বেশি চিকিৎসা পরামর্শ দিয়েছে।
এমএসএফ সতর্ক করে বলেছে, গাজা শহরে এখনো কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি আটকা পড়ে আছে আর গোটা উপত্যকার হাসপাতালগুলো কর্মী ও সরঞ্জামের অভাবে চরম চাপে রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচারও গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে জানান, সেখানে বহু ফিলিস্তিনি অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো ভয়াবহ বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আরোপ করা বাধার কারণে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
সর্বশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। কিন্তু এই ছবি পছন্দ না হওয়ায় ম্যাগাজিনটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন—ছবিতে তাঁর চুল ‘গায়েব’ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেমাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জেরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এ ঘোষণা এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
১২ ঘণ্টা আগে