আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গাজায় এখন কঠিন চাপের মুখে। টানা ২০ মাস ধরে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে সংগঠনটির বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কমান্ডার-যোদ্ধাসংকট, টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের বড় অংশ ধ্বংস, বিদ্রোহী গোত্রের উত্থান ও মিত্র ইরানের সহযোগিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত হামাস।
হামাসের ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের যোদ্ধারা এখন নিজ নিজ জায়গা থেকে স্বাধীনভাবে লড়ছে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দিন সম্ভব টিকে থাকার। তবে গোষ্ঠীটি নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ, ইসরায়েল সরাসরি হামাসবিরোধী কিছু গোত্রকে সমর্থন দিচ্ছে।
গাজায় মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ আকার নেওয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। হামাসও এখন মরিয়া হয়ে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, জানিয়েছে হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র। সূত্রটি আরও বলেছে, যুদ্ধবিরতি হলে শুধু সাধারণ গাজাবাসীর জন্য স্বস্তি আসবে না, হামাসও এই সুযোগে কিছু বিদ্রোহী গ্রুপ, কিছু গোত্র ও ত্রাণ লুটপাটে জড়িত অপরাধীদের দমন করতে পারবে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তারা হামাসের বর্তমান অবস্থার যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তাতে দেখা যায়—গোষ্ঠীটি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিছুটা প্রভাব ও সামরিক সক্ষমতা এখনো রয়ে গেছে, তবে পরিস্থিতি খুবই কঠিন।
তবে এখনো হামাস আঘাত হানতে সক্ষম। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় হামলায় তারা সাতজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের তিন কূটনীতিকের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভেঙে পড়েছে। এখন তারা কেবল ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন হামলা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে অব্যাহত মানবিক সংকটে গাজায় সাধারণ মানুষ হামাসের ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপও বাড়ছে যুদ্ধবিরতির জন্য। হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সংগঠনটি এখন যুদ্ধবিরতির জন্য মরিয়া। কারণ, এতে শুধু সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে না, হামাসও এই সুযোগে বিদ্রোহী গ্রুপ, লুটেরা ও কিছু গোত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এই পরিস্থিতিতে হামাসের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে ইয়াসির আবু শাবাব নামের এক বেদুইন নেতা। তিনি দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় অবস্থান করছেন। হামাসের তিনটি সূত্র জানিয়েছে, আবু শাবাবকে হত্যা কিংবা আটক করতে শীর্ষ যোদ্ধাদের পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আড়ালে আছেন।
হামাসের অভিযোগ, আবু শাবাব ইসরায়েলের সহযোগিতায় সংগঠনটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আবু শাবাবের গোষ্ঠী অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কোনোভাবেই ইসরায়েলের সহযোগিতা নেয়নি। বরং নিজেদের ‘জনগণের জন্য কাজ করা বাহিনী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে, যারা ত্রাণের ট্রাক পাহারা দেয় এবং লুটপাট ঠেকায়। তারা হামাসের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর ও ভিন্নমত দমনের অভিযোগ তুলেছে।
হামাসের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা এই সহযোগিতাকারী ইয়াসির আবু শাবাবের গ্যাংকে নির্মূল করব। তারা গাজায় বিশৃঙ্খলা তৈরি ও আইনশৃঙ্খলা ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে।’
ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তাদের দাবি, তারা এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। গাজার উপকূলীয় এলাকায় কয়েক শ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ ধ্বংস বা অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। গাজার বড় অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, হামাস এখন হতদরিদ্র, বাস্তুচ্যুত তরুণদের মধ্য থেকে নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ করছে। ফলে সংগঠনটির যোদ্ধাদের গড় বয়স প্রতিদিনই কমছে।
গাজা সিটির বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী নির্মাণশ্রমিক এসসাম বলেন, ‘তারা (হামাস) আগের মতো শক্তিশালী নেই। তবে মাঝেমধ্যে তারা দেখা দেয়—রুটির দোকানে লাইন নিয়ন্ত্রণ করে, ত্রাণ পাহারা দেয়, অপরাধীদের শাস্তি দেয়। তারা আছে, তবে আগের মতো আর নয়।’
রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে হামাসের শীর্ষ নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় রাজি আছি, সব বন্দীকে একসঙ্গে মুক্তি দিতেও প্রস্তুত। তবে আত্মসমর্পণের প্রশ্নই ওঠে না। আমরা চাই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক, ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করুক।’
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অভিজ্ঞ গবেষক ইয়াজিদ সাইঘ বলেন, হামাসের এখন বেঁচে থাকার লড়াই চলছে। সামরিকভাবে টিকে থাকার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও সংগঠনটি বড় সংকটে পড়েছে। বৈরুতের ‘কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের’ এই জ্যেষ্ঠ গবেষক রয়টার্সকে বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ না হলে হামাস শুধু মাঠ থেকে নয়, গাজার সম্ভাব্য রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ থেকেই মুছে যেতে পারে। তারা এখন অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম চালাচ্ছে।’
গাজার স্থানীয় রাজনীতি ও গোত্রের ভূমিকা নিয়েও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে বলেছেন, তাঁরা হামাসবিরোধী কিছু ফিলিস্তিনি গোত্রকে অস্ত্র দিচ্ছেন। তবে তিনি কোন কোন গোত্রের কথা বলেছেন, তা খোলাসা করেননি। রাফাহের আবু শাবাবের গ্রুপই এখন হামাসের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। তারা পূর্ব রাফাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
ফেসবুকে তাদের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, তারা কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ত্রাণের ট্রাক প্রবেশে সহায়তা করছে। আবু শাবাবের গোষ্ঠী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কোনো প্রশাসনিক কর্তৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছে না। তারা শুধু বলছে, রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া লোকজন যেন ঘরে ফিরে আসে, তাদের জন্য খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে গাজার উত্তরের কিছু গোত্রও হামাসের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি তারা উত্তরের গাজায় ত্রাণের ট্রাক লুটপাট ঠেকিয়েছে। হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনায় হামাস তাদের অনুমতি দিয়েছিল। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, ত্রাণের ট্রাকগুলো হামাসের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। হামাস ও সংশ্লিষ্ট গোত্রগুলো অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হামাসের আরেকটি বড় সংকট তৈরি হয়েছে ইরানের ভূমিকা নিয়ে। এত দিন ইরানের সহযোগিতায় হামাসের সামরিক শাখা শক্তিশালী হয়েছিল। বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও জটিল হামলার কৌশল শিখিয়েছিল ইরান। কিন্তু সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলের হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সাঈদ ইজাদি নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। ইজাদি সরাসরি হামাসের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
হামাস ইরানকে সমবেদনা জানিয়ে ইজাদিকে ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরানের সহযোগিতা কমার ঝুঁকি রয়েছে। এতে হামাসের অর্থায়ন ও সামরিক দক্ষতা বাড়ানোর সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে হামাসের অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘ইরান বড় ও শক্তিশালী দেশ, তাকে সহজে হারানো যাবে না। ইরানের সহযোগিতার ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।’
গাজা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক আকরাম আতা-আল্লাহ মনে করেন, ইয়াসির আবু শাবাবের উত্থান মূলত হামাসের দুর্বলতারই প্রতিফলন। তিনি বলেন, আবু শাবাবের মতো কেউই সফল হতে পারবেন না, কারণ, ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সহযোগিতাকে ঘৃণা করে। তবে একই সংস্কৃতির ভেতর থেকে এমন শত্রু থাকাটা হামাসের জন্য বড় হুমকি। যত দিন পর্যন্ত তাঁকে সরিয়ে ফেলা না যায়, হুমকি থেকেই যাবে।
গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকা কূটনৈতিক মহল এবং বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, হামাস এখন আর আগের মতো সংগঠিত ও শক্তিশালী নেই। সংগঠনটির সামনে টিকে থাকার জন্য কেবল সামরিক নয়, বড় রাজনৈতিক যুদ্ধও অপেক্ষা করছে। আর সেই যুদ্ধে হামাস কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে যুদ্ধ থামার সুযোগ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির মোড় ঘোরানোর ওপর।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গাজায় এখন কঠিন চাপের মুখে। টানা ২০ মাস ধরে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে সংগঠনটির বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কমান্ডার-যোদ্ধাসংকট, টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের বড় অংশ ধ্বংস, বিদ্রোহী গোত্রের উত্থান ও মিত্র ইরানের সহযোগিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত হামাস।
হামাসের ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের যোদ্ধারা এখন নিজ নিজ জায়গা থেকে স্বাধীনভাবে লড়ছে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দিন সম্ভব টিকে থাকার। তবে গোষ্ঠীটি নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ, ইসরায়েল সরাসরি হামাসবিরোধী কিছু গোত্রকে সমর্থন দিচ্ছে।
গাজায় মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ আকার নেওয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। হামাসও এখন মরিয়া হয়ে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, জানিয়েছে হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র। সূত্রটি আরও বলেছে, যুদ্ধবিরতি হলে শুধু সাধারণ গাজাবাসীর জন্য স্বস্তি আসবে না, হামাসও এই সুযোগে কিছু বিদ্রোহী গ্রুপ, কিছু গোত্র ও ত্রাণ লুটপাটে জড়িত অপরাধীদের দমন করতে পারবে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তারা হামাসের বর্তমান অবস্থার যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তাতে দেখা যায়—গোষ্ঠীটি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিছুটা প্রভাব ও সামরিক সক্ষমতা এখনো রয়ে গেছে, তবে পরিস্থিতি খুবই কঠিন।
তবে এখনো হামাস আঘাত হানতে সক্ষম। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় হামলায় তারা সাতজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের তিন কূটনীতিকের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভেঙে পড়েছে। এখন তারা কেবল ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন হামলা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে অব্যাহত মানবিক সংকটে গাজায় সাধারণ মানুষ হামাসের ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপও বাড়ছে যুদ্ধবিরতির জন্য। হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সংগঠনটি এখন যুদ্ধবিরতির জন্য মরিয়া। কারণ, এতে শুধু সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে না, হামাসও এই সুযোগে বিদ্রোহী গ্রুপ, লুটেরা ও কিছু গোত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এই পরিস্থিতিতে হামাসের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে ইয়াসির আবু শাবাব নামের এক বেদুইন নেতা। তিনি দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় অবস্থান করছেন। হামাসের তিনটি সূত্র জানিয়েছে, আবু শাবাবকে হত্যা কিংবা আটক করতে শীর্ষ যোদ্ধাদের পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আড়ালে আছেন।
হামাসের অভিযোগ, আবু শাবাব ইসরায়েলের সহযোগিতায় সংগঠনটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আবু শাবাবের গোষ্ঠী অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কোনোভাবেই ইসরায়েলের সহযোগিতা নেয়নি। বরং নিজেদের ‘জনগণের জন্য কাজ করা বাহিনী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে, যারা ত্রাণের ট্রাক পাহারা দেয় এবং লুটপাট ঠেকায়। তারা হামাসের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর ও ভিন্নমত দমনের অভিযোগ তুলেছে।
হামাসের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা এই সহযোগিতাকারী ইয়াসির আবু শাবাবের গ্যাংকে নির্মূল করব। তারা গাজায় বিশৃঙ্খলা তৈরি ও আইনশৃঙ্খলা ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে।’
ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তাদের দাবি, তারা এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। গাজার উপকূলীয় এলাকায় কয়েক শ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ ধ্বংস বা অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। গাজার বড় অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, হামাস এখন হতদরিদ্র, বাস্তুচ্যুত তরুণদের মধ্য থেকে নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ করছে। ফলে সংগঠনটির যোদ্ধাদের গড় বয়স প্রতিদিনই কমছে।
গাজা সিটির বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী নির্মাণশ্রমিক এসসাম বলেন, ‘তারা (হামাস) আগের মতো শক্তিশালী নেই। তবে মাঝেমধ্যে তারা দেখা দেয়—রুটির দোকানে লাইন নিয়ন্ত্রণ করে, ত্রাণ পাহারা দেয়, অপরাধীদের শাস্তি দেয়। তারা আছে, তবে আগের মতো আর নয়।’
রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে হামাসের শীর্ষ নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় রাজি আছি, সব বন্দীকে একসঙ্গে মুক্তি দিতেও প্রস্তুত। তবে আত্মসমর্পণের প্রশ্নই ওঠে না। আমরা চাই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক, ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করুক।’
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অভিজ্ঞ গবেষক ইয়াজিদ সাইঘ বলেন, হামাসের এখন বেঁচে থাকার লড়াই চলছে। সামরিকভাবে টিকে থাকার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও সংগঠনটি বড় সংকটে পড়েছে। বৈরুতের ‘কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের’ এই জ্যেষ্ঠ গবেষক রয়টার্সকে বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ না হলে হামাস শুধু মাঠ থেকে নয়, গাজার সম্ভাব্য রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ থেকেই মুছে যেতে পারে। তারা এখন অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম চালাচ্ছে।’
গাজার স্থানীয় রাজনীতি ও গোত্রের ভূমিকা নিয়েও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে বলেছেন, তাঁরা হামাসবিরোধী কিছু ফিলিস্তিনি গোত্রকে অস্ত্র দিচ্ছেন। তবে তিনি কোন কোন গোত্রের কথা বলেছেন, তা খোলাসা করেননি। রাফাহের আবু শাবাবের গ্রুপই এখন হামাসের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। তারা পূর্ব রাফাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
ফেসবুকে তাদের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, তারা কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ত্রাণের ট্রাক প্রবেশে সহায়তা করছে। আবু শাবাবের গোষ্ঠী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কোনো প্রশাসনিক কর্তৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছে না। তারা শুধু বলছে, রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া লোকজন যেন ঘরে ফিরে আসে, তাদের জন্য খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে গাজার উত্তরের কিছু গোত্রও হামাসের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি তারা উত্তরের গাজায় ত্রাণের ট্রাক লুটপাট ঠেকিয়েছে। হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনায় হামাস তাদের অনুমতি দিয়েছিল। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, ত্রাণের ট্রাকগুলো হামাসের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। হামাস ও সংশ্লিষ্ট গোত্রগুলো অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হামাসের আরেকটি বড় সংকট তৈরি হয়েছে ইরানের ভূমিকা নিয়ে। এত দিন ইরানের সহযোগিতায় হামাসের সামরিক শাখা শক্তিশালী হয়েছিল। বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও জটিল হামলার কৌশল শিখিয়েছিল ইরান। কিন্তু সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলের হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সাঈদ ইজাদি নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। ইজাদি সরাসরি হামাসের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
হামাস ইরানকে সমবেদনা জানিয়ে ইজাদিকে ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরানের সহযোগিতা কমার ঝুঁকি রয়েছে। এতে হামাসের অর্থায়ন ও সামরিক দক্ষতা বাড়ানোর সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে হামাসের অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘ইরান বড় ও শক্তিশালী দেশ, তাকে সহজে হারানো যাবে না। ইরানের সহযোগিতার ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।’
গাজা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক আকরাম আতা-আল্লাহ মনে করেন, ইয়াসির আবু শাবাবের উত্থান মূলত হামাসের দুর্বলতারই প্রতিফলন। তিনি বলেন, আবু শাবাবের মতো কেউই সফল হতে পারবেন না, কারণ, ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সহযোগিতাকে ঘৃণা করে। তবে একই সংস্কৃতির ভেতর থেকে এমন শত্রু থাকাটা হামাসের জন্য বড় হুমকি। যত দিন পর্যন্ত তাঁকে সরিয়ে ফেলা না যায়, হুমকি থেকেই যাবে।
গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকা কূটনৈতিক মহল এবং বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, হামাস এখন আর আগের মতো সংগঠিত ও শক্তিশালী নেই। সংগঠনটির সামনে টিকে থাকার জন্য কেবল সামরিক নয়, বড় রাজনৈতিক যুদ্ধও অপেক্ষা করছে। আর সেই যুদ্ধে হামাস কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে যুদ্ধ থামার সুযোগ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির মোড় ঘোরানোর ওপর।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গাজায় এখন কঠিন চাপের মুখে। টানা ২০ মাস ধরে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে সংগঠনটির বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কমান্ডার-যোদ্ধাসংকট, টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের বড় অংশ ধ্বংস, বিদ্রোহী গোত্রের উত্থান ও মিত্র ইরানের সহযোগিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত হামাস।
হামাসের ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের যোদ্ধারা এখন নিজ নিজ জায়গা থেকে স্বাধীনভাবে লড়ছে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দিন সম্ভব টিকে থাকার। তবে গোষ্ঠীটি নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ, ইসরায়েল সরাসরি হামাসবিরোধী কিছু গোত্রকে সমর্থন দিচ্ছে।
গাজায় মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ আকার নেওয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। হামাসও এখন মরিয়া হয়ে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, জানিয়েছে হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র। সূত্রটি আরও বলেছে, যুদ্ধবিরতি হলে শুধু সাধারণ গাজাবাসীর জন্য স্বস্তি আসবে না, হামাসও এই সুযোগে কিছু বিদ্রোহী গ্রুপ, কিছু গোত্র ও ত্রাণ লুটপাটে জড়িত অপরাধীদের দমন করতে পারবে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তারা হামাসের বর্তমান অবস্থার যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তাতে দেখা যায়—গোষ্ঠীটি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিছুটা প্রভাব ও সামরিক সক্ষমতা এখনো রয়ে গেছে, তবে পরিস্থিতি খুবই কঠিন।
তবে এখনো হামাস আঘাত হানতে সক্ষম। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় হামলায় তারা সাতজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের তিন কূটনীতিকের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভেঙে পড়েছে। এখন তারা কেবল ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন হামলা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে অব্যাহত মানবিক সংকটে গাজায় সাধারণ মানুষ হামাসের ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপও বাড়ছে যুদ্ধবিরতির জন্য। হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সংগঠনটি এখন যুদ্ধবিরতির জন্য মরিয়া। কারণ, এতে শুধু সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে না, হামাসও এই সুযোগে বিদ্রোহী গ্রুপ, লুটেরা ও কিছু গোত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এই পরিস্থিতিতে হামাসের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে ইয়াসির আবু শাবাব নামের এক বেদুইন নেতা। তিনি দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় অবস্থান করছেন। হামাসের তিনটি সূত্র জানিয়েছে, আবু শাবাবকে হত্যা কিংবা আটক করতে শীর্ষ যোদ্ধাদের পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আড়ালে আছেন।
হামাসের অভিযোগ, আবু শাবাব ইসরায়েলের সহযোগিতায় সংগঠনটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আবু শাবাবের গোষ্ঠী অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কোনোভাবেই ইসরায়েলের সহযোগিতা নেয়নি। বরং নিজেদের ‘জনগণের জন্য কাজ করা বাহিনী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে, যারা ত্রাণের ট্রাক পাহারা দেয় এবং লুটপাট ঠেকায়। তারা হামাসের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর ও ভিন্নমত দমনের অভিযোগ তুলেছে।
হামাসের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা এই সহযোগিতাকারী ইয়াসির আবু শাবাবের গ্যাংকে নির্মূল করব। তারা গাজায় বিশৃঙ্খলা তৈরি ও আইনশৃঙ্খলা ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে।’
ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তাদের দাবি, তারা এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। গাজার উপকূলীয় এলাকায় কয়েক শ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ ধ্বংস বা অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। গাজার বড় অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, হামাস এখন হতদরিদ্র, বাস্তুচ্যুত তরুণদের মধ্য থেকে নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ করছে। ফলে সংগঠনটির যোদ্ধাদের গড় বয়স প্রতিদিনই কমছে।
গাজা সিটির বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী নির্মাণশ্রমিক এসসাম বলেন, ‘তারা (হামাস) আগের মতো শক্তিশালী নেই। তবে মাঝেমধ্যে তারা দেখা দেয়—রুটির দোকানে লাইন নিয়ন্ত্রণ করে, ত্রাণ পাহারা দেয়, অপরাধীদের শাস্তি দেয়। তারা আছে, তবে আগের মতো আর নয়।’
রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে হামাসের শীর্ষ নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় রাজি আছি, সব বন্দীকে একসঙ্গে মুক্তি দিতেও প্রস্তুত। তবে আত্মসমর্পণের প্রশ্নই ওঠে না। আমরা চাই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক, ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করুক।’
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অভিজ্ঞ গবেষক ইয়াজিদ সাইঘ বলেন, হামাসের এখন বেঁচে থাকার লড়াই চলছে। সামরিকভাবে টিকে থাকার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও সংগঠনটি বড় সংকটে পড়েছে। বৈরুতের ‘কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের’ এই জ্যেষ্ঠ গবেষক রয়টার্সকে বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ না হলে হামাস শুধু মাঠ থেকে নয়, গাজার সম্ভাব্য রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ থেকেই মুছে যেতে পারে। তারা এখন অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম চালাচ্ছে।’
গাজার স্থানীয় রাজনীতি ও গোত্রের ভূমিকা নিয়েও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে বলেছেন, তাঁরা হামাসবিরোধী কিছু ফিলিস্তিনি গোত্রকে অস্ত্র দিচ্ছেন। তবে তিনি কোন কোন গোত্রের কথা বলেছেন, তা খোলাসা করেননি। রাফাহের আবু শাবাবের গ্রুপই এখন হামাসের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। তারা পূর্ব রাফাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
ফেসবুকে তাদের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, তারা কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ত্রাণের ট্রাক প্রবেশে সহায়তা করছে। আবু শাবাবের গোষ্ঠী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কোনো প্রশাসনিক কর্তৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছে না। তারা শুধু বলছে, রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া লোকজন যেন ঘরে ফিরে আসে, তাদের জন্য খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে গাজার উত্তরের কিছু গোত্রও হামাসের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি তারা উত্তরের গাজায় ত্রাণের ট্রাক লুটপাট ঠেকিয়েছে। হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনায় হামাস তাদের অনুমতি দিয়েছিল। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, ত্রাণের ট্রাকগুলো হামাসের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। হামাস ও সংশ্লিষ্ট গোত্রগুলো অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হামাসের আরেকটি বড় সংকট তৈরি হয়েছে ইরানের ভূমিকা নিয়ে। এত দিন ইরানের সহযোগিতায় হামাসের সামরিক শাখা শক্তিশালী হয়েছিল। বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও জটিল হামলার কৌশল শিখিয়েছিল ইরান। কিন্তু সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলের হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সাঈদ ইজাদি নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। ইজাদি সরাসরি হামাসের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
হামাস ইরানকে সমবেদনা জানিয়ে ইজাদিকে ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরানের সহযোগিতা কমার ঝুঁকি রয়েছে। এতে হামাসের অর্থায়ন ও সামরিক দক্ষতা বাড়ানোর সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে হামাসের অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘ইরান বড় ও শক্তিশালী দেশ, তাকে সহজে হারানো যাবে না। ইরানের সহযোগিতার ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।’
গাজা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক আকরাম আতা-আল্লাহ মনে করেন, ইয়াসির আবু শাবাবের উত্থান মূলত হামাসের দুর্বলতারই প্রতিফলন। তিনি বলেন, আবু শাবাবের মতো কেউই সফল হতে পারবেন না, কারণ, ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সহযোগিতাকে ঘৃণা করে। তবে একই সংস্কৃতির ভেতর থেকে এমন শত্রু থাকাটা হামাসের জন্য বড় হুমকি। যত দিন পর্যন্ত তাঁকে সরিয়ে ফেলা না যায়, হুমকি থেকেই যাবে।
গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকা কূটনৈতিক মহল এবং বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, হামাস এখন আর আগের মতো সংগঠিত ও শক্তিশালী নেই। সংগঠনটির সামনে টিকে থাকার জন্য কেবল সামরিক নয়, বড় রাজনৈতিক যুদ্ধও অপেক্ষা করছে। আর সেই যুদ্ধে হামাস কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে যুদ্ধ থামার সুযোগ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির মোড় ঘোরানোর ওপর।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গাজায় এখন কঠিন চাপের মুখে। টানা ২০ মাস ধরে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে সংগঠনটির বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কমান্ডার-যোদ্ধাসংকট, টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের বড় অংশ ধ্বংস, বিদ্রোহী গোত্রের উত্থান ও মিত্র ইরানের সহযোগিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত হামাস।
হামাসের ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের যোদ্ধারা এখন নিজ নিজ জায়গা থেকে স্বাধীনভাবে লড়ছে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দিন সম্ভব টিকে থাকার। তবে গোষ্ঠীটি নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ, ইসরায়েল সরাসরি হামাসবিরোধী কিছু গোত্রকে সমর্থন দিচ্ছে।
গাজায় মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ আকার নেওয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। হামাসও এখন মরিয়া হয়ে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, জানিয়েছে হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র। সূত্রটি আরও বলেছে, যুদ্ধবিরতি হলে শুধু সাধারণ গাজাবাসীর জন্য স্বস্তি আসবে না, হামাসও এই সুযোগে কিছু বিদ্রোহী গ্রুপ, কিছু গোত্র ও ত্রাণ লুটপাটে জড়িত অপরাধীদের দমন করতে পারবে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তারা হামাসের বর্তমান অবস্থার যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তাতে দেখা যায়—গোষ্ঠীটি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিছুটা প্রভাব ও সামরিক সক্ষমতা এখনো রয়ে গেছে, তবে পরিস্থিতি খুবই কঠিন।
তবে এখনো হামাস আঘাত হানতে সক্ষম। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় হামলায় তারা সাতজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের তিন কূটনীতিকের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভেঙে পড়েছে। এখন তারা কেবল ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন হামলা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে অব্যাহত মানবিক সংকটে গাজায় সাধারণ মানুষ হামাসের ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপও বাড়ছে যুদ্ধবিরতির জন্য। হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সংগঠনটি এখন যুদ্ধবিরতির জন্য মরিয়া। কারণ, এতে শুধু সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে না, হামাসও এই সুযোগে বিদ্রোহী গ্রুপ, লুটেরা ও কিছু গোত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এই পরিস্থিতিতে হামাসের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে ইয়াসির আবু শাবাব নামের এক বেদুইন নেতা। তিনি দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় অবস্থান করছেন। হামাসের তিনটি সূত্র জানিয়েছে, আবু শাবাবকে হত্যা কিংবা আটক করতে শীর্ষ যোদ্ধাদের পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আড়ালে আছেন।
হামাসের অভিযোগ, আবু শাবাব ইসরায়েলের সহযোগিতায় সংগঠনটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আবু শাবাবের গোষ্ঠী অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কোনোভাবেই ইসরায়েলের সহযোগিতা নেয়নি। বরং নিজেদের ‘জনগণের জন্য কাজ করা বাহিনী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে, যারা ত্রাণের ট্রাক পাহারা দেয় এবং লুটপাট ঠেকায়। তারা হামাসের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর ও ভিন্নমত দমনের অভিযোগ তুলেছে।
হামাসের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা এই সহযোগিতাকারী ইয়াসির আবু শাবাবের গ্যাংকে নির্মূল করব। তারা গাজায় বিশৃঙ্খলা তৈরি ও আইনশৃঙ্খলা ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে।’
ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তাদের দাবি, তারা এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। গাজার উপকূলীয় এলাকায় কয়েক শ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ ধ্বংস বা অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। গাজার বড় অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, হামাস এখন হতদরিদ্র, বাস্তুচ্যুত তরুণদের মধ্য থেকে নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ করছে। ফলে সংগঠনটির যোদ্ধাদের গড় বয়স প্রতিদিনই কমছে।
গাজা সিটির বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী নির্মাণশ্রমিক এসসাম বলেন, ‘তারা (হামাস) আগের মতো শক্তিশালী নেই। তবে মাঝেমধ্যে তারা দেখা দেয়—রুটির দোকানে লাইন নিয়ন্ত্রণ করে, ত্রাণ পাহারা দেয়, অপরাধীদের শাস্তি দেয়। তারা আছে, তবে আগের মতো আর নয়।’
রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে হামাসের শীর্ষ নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় রাজি আছি, সব বন্দীকে একসঙ্গে মুক্তি দিতেও প্রস্তুত। তবে আত্মসমর্পণের প্রশ্নই ওঠে না। আমরা চাই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক, ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করুক।’
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অভিজ্ঞ গবেষক ইয়াজিদ সাইঘ বলেন, হামাসের এখন বেঁচে থাকার লড়াই চলছে। সামরিকভাবে টিকে থাকার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও সংগঠনটি বড় সংকটে পড়েছে। বৈরুতের ‘কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের’ এই জ্যেষ্ঠ গবেষক রয়টার্সকে বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ না হলে হামাস শুধু মাঠ থেকে নয়, গাজার সম্ভাব্য রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ থেকেই মুছে যেতে পারে। তারা এখন অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম চালাচ্ছে।’
গাজার স্থানীয় রাজনীতি ও গোত্রের ভূমিকা নিয়েও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে বলেছেন, তাঁরা হামাসবিরোধী কিছু ফিলিস্তিনি গোত্রকে অস্ত্র দিচ্ছেন। তবে তিনি কোন কোন গোত্রের কথা বলেছেন, তা খোলাসা করেননি। রাফাহের আবু শাবাবের গ্রুপই এখন হামাসের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। তারা পূর্ব রাফাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
ফেসবুকে তাদের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, তারা কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ত্রাণের ট্রাক প্রবেশে সহায়তা করছে। আবু শাবাবের গোষ্ঠী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কোনো প্রশাসনিক কর্তৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছে না। তারা শুধু বলছে, রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া লোকজন যেন ঘরে ফিরে আসে, তাদের জন্য খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে গাজার উত্তরের কিছু গোত্রও হামাসের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি তারা উত্তরের গাজায় ত্রাণের ট্রাক লুটপাট ঠেকিয়েছে। হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনায় হামাস তাদের অনুমতি দিয়েছিল। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, ত্রাণের ট্রাকগুলো হামাসের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। হামাস ও সংশ্লিষ্ট গোত্রগুলো অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হামাসের আরেকটি বড় সংকট তৈরি হয়েছে ইরানের ভূমিকা নিয়ে। এত দিন ইরানের সহযোগিতায় হামাসের সামরিক শাখা শক্তিশালী হয়েছিল। বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও জটিল হামলার কৌশল শিখিয়েছিল ইরান। কিন্তু সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলের হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সাঈদ ইজাদি নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। ইজাদি সরাসরি হামাসের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
হামাস ইরানকে সমবেদনা জানিয়ে ইজাদিকে ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরানের সহযোগিতা কমার ঝুঁকি রয়েছে। এতে হামাসের অর্থায়ন ও সামরিক দক্ষতা বাড়ানোর সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে হামাসের অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘ইরান বড় ও শক্তিশালী দেশ, তাকে সহজে হারানো যাবে না। ইরানের সহযোগিতার ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।’
গাজা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক আকরাম আতা-আল্লাহ মনে করেন, ইয়াসির আবু শাবাবের উত্থান মূলত হামাসের দুর্বলতারই প্রতিফলন। তিনি বলেন, আবু শাবাবের মতো কেউই সফল হতে পারবেন না, কারণ, ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সহযোগিতাকে ঘৃণা করে। তবে একই সংস্কৃতির ভেতর থেকে এমন শত্রু থাকাটা হামাসের জন্য বড় হুমকি। যত দিন পর্যন্ত তাঁকে সরিয়ে ফেলা না যায়, হুমকি থেকেই যাবে।
গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকা কূটনৈতিক মহল এবং বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, হামাস এখন আর আগের মতো সংগঠিত ও শক্তিশালী নেই। সংগঠনটির সামনে টিকে থাকার জন্য কেবল সামরিক নয়, বড় রাজনৈতিক যুদ্ধও অপেক্ষা করছে। আর সেই যুদ্ধে হামাস কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে যুদ্ধ থামার সুযোগ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির মোড় ঘোরানোর ওপর।

২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, নারা জেলা আদালতে ১৪ তম শুনানিতে হাজির হয়ে আবে পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন ইয়ামাগামি। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি আবে পরিবারের ভোগান্তির জন্য অনুতপ্ত। তিন বছর ছয় মাস ধরে তারা যে কষ্টে আছে, তা আমি চাইনি, কিন্তু তা হয়েছে—এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’
তিনি জানান, নিজের পরিবারেও একজনকে হারানোর অভিজ্ঞতা থাকায় এই কষ্টের মূল্য তিনি বোঝেন।
ইয়ামাগামি স্বীকার করেছেন, তিনি পরিকল্পিতভাবেই ওই হামলা চালিয়েছিলেন। এর আগে আদালতে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই হত্যা করেছি। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইয়ামাগামির উদ্দেশ্য ছিল ‘ইউনিফিকেশন চার্চ’ নিয়ে ক্ষোভ। তিনি দাবি করেন, এই ধর্মীয় সংগঠনে তাঁর মা বিপুল অর্থ দান করায় তাঁদের পরিবার দেউলিয়া হয়ে পড়ে। ইয়ামাগামির ভাষায়, আবে ছিলেন এই চার্চের অন্যতম প্রভাবশালী সমর্থক, তাই তিনি তাঁকে লক্ষ্য বানান।
ইয়ামাগামির আইনজীবী আদালতকে জানান, ব্যবহৃত অস্ত্রটি হাতে তৈরি হওয়ায় জাপানের ‘ফায়ারআর্মস অ্যান্ড সোয়ার্ডস কন্ট্রোল অ্যাক্ট’-এর অধীনে সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তাই শাস্তি কমানোর অনুরোধ জানানো হয়।
ইউনিফিকেশন চার্চের বিরুদ্ধে জাপানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। আবে হত্যার পর সংগঠনটির কার্যক্রম তদন্তের আওতায় আসে। চলতি বছরের মার্চে আদালত চার্চ বিলুপ্তির আদেশ দেয়, যদিও সংগঠনটি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আদালতের শুনানিতে শিনজো আবের স্ত্রী আকিয়ে আবেও উপস্থিত থাকেন। তবে ক্ষমা প্রার্থনার দিন তিনি আদালতে ছিলেন না। আগের দিন তিনি হত্যাকারীর মুখোমুখি হন এবং নীরবে শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন।
মামলার রায় এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে জাপানে এটি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।

২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, নারা জেলা আদালতে ১৪ তম শুনানিতে হাজির হয়ে আবে পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন ইয়ামাগামি। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি আবে পরিবারের ভোগান্তির জন্য অনুতপ্ত। তিন বছর ছয় মাস ধরে তারা যে কষ্টে আছে, তা আমি চাইনি, কিন্তু তা হয়েছে—এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’
তিনি জানান, নিজের পরিবারেও একজনকে হারানোর অভিজ্ঞতা থাকায় এই কষ্টের মূল্য তিনি বোঝেন।
ইয়ামাগামি স্বীকার করেছেন, তিনি পরিকল্পিতভাবেই ওই হামলা চালিয়েছিলেন। এর আগে আদালতে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই হত্যা করেছি। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইয়ামাগামির উদ্দেশ্য ছিল ‘ইউনিফিকেশন চার্চ’ নিয়ে ক্ষোভ। তিনি দাবি করেন, এই ধর্মীয় সংগঠনে তাঁর মা বিপুল অর্থ দান করায় তাঁদের পরিবার দেউলিয়া হয়ে পড়ে। ইয়ামাগামির ভাষায়, আবে ছিলেন এই চার্চের অন্যতম প্রভাবশালী সমর্থক, তাই তিনি তাঁকে লক্ষ্য বানান।
ইয়ামাগামির আইনজীবী আদালতকে জানান, ব্যবহৃত অস্ত্রটি হাতে তৈরি হওয়ায় জাপানের ‘ফায়ারআর্মস অ্যান্ড সোয়ার্ডস কন্ট্রোল অ্যাক্ট’-এর অধীনে সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তাই শাস্তি কমানোর অনুরোধ জানানো হয়।
ইউনিফিকেশন চার্চের বিরুদ্ধে জাপানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। আবে হত্যার পর সংগঠনটির কার্যক্রম তদন্তের আওতায় আসে। চলতি বছরের মার্চে আদালত চার্চ বিলুপ্তির আদেশ দেয়, যদিও সংগঠনটি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আদালতের শুনানিতে শিনজো আবের স্ত্রী আকিয়ে আবেও উপস্থিত থাকেন। তবে ক্ষমা প্রার্থনার দিন তিনি আদালতে ছিলেন না। আগের দিন তিনি হত্যাকারীর মুখোমুখি হন এবং নীরবে শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন।
মামলার রায় এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে জাপানে এটি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গাজায় এখন কঠিন চাপের মুখে। টানা ২০ মাস ধরে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে সংগঠনটির বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কমান্ডার-যোদ্ধাসংকট, টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের বড় অংশ ধ্বংস, বিদ্রোহী গোত্রের উত্থান ও মিত্র ইরানের সহযোগিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত
২৮ জুন ২০২৫
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতে গতকাল রাশিয়ার টিভি চ্যানেল আরটিকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন পুতিন। এ সময় বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও রাশিয়া—দুই দেশের সামঞ্জস্যতার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ছাড়া জ্বালানি খাত, বিশেষ করে কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহযোগিতার বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলে একটি নতুন ওষুধ কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট।
দুই দিনের সফরে পুতিনকে বিমানবন্দরে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এ মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
ভারত বলেছে, ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য ও অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না, জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত—জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সব নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে তাঁরা চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। গতকাল দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে গতকালের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগে পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতে গতকাল রাশিয়ার টিভি চ্যানেল আরটিকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন পুতিন। এ সময় বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও রাশিয়া—দুই দেশের সামঞ্জস্যতার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ছাড়া জ্বালানি খাত, বিশেষ করে কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহযোগিতার বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলে একটি নতুন ওষুধ কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট।
দুই দিনের সফরে পুতিনকে বিমানবন্দরে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এ মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
ভারত বলেছে, ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য ও অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না, জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত—জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সব নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে তাঁরা চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। গতকাল দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে গতকালের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগে পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গাজায় এখন কঠিন চাপের মুখে। টানা ২০ মাস ধরে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে সংগঠনটির বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কমান্ডার-যোদ্ধাসংকট, টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের বড় অংশ ধ্বংস, বিদ্রোহী গোত্রের উত্থান ও মিত্র ইরানের সহযোগিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত
২৮ জুন ২০২৫
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গত নভেম্বর থেকে ‘দ্য গোল্ডেন এজ অব ট্রাভেল স্টার্টস উইথ ইউ’ শিরোনামে একটি প্রচারণা শুরু করেছে। এই প্রচারণার লক্ষ্য বিমান ভ্রমণে শালীনতা, সৌজন্য এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এক সংবাদ সম্মেলনে ডাফি বলেন, ‘জিনস আর পরিষ্কার শার্টই যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যেন অন্তত স্লিপার আর পায়জামা পরে বিমানবন্দরে না আসি।’ তাঁর দাবি—ভালো পোশাক মানুষকে আচরণেও আরও ভদ্র করে।
তবে ডাফির এই বক্তব্য অনেকের কাছে সীমা অতিক্রম বলে মনে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ করে টিকটক ও এক্সে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ডেমোক্রেটিক অ্যাকটিভিস্ট জনি পালমাদেসা পায়জামা পরে এক ভিডিওতে বলেন, ‘এই প্রশাসনের অগ্রাধিকার একেবারেই সঠিক নয়।’ তিনি মত দেন, ট্রাম্প এবং ডাফির উচিত বিমান ভাড়া ও ভ্রমণ ব্যয় কমানো, যাতে মানুষ চাইলেই সুন্দর পোশাক কিনতে পারে।
আরেকজন টিকটকার পায়জামা পরে বিমানবন্দরে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যেহেতু নিষেধ করা হয়েছে, এখন অবশ্যই পায়জামা পরেই যাব!’
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, নতুন এই প্রচারণার পক্ষে বিভাগটি ২০১৯ সালের পর যাত্রী অসদাচরণ বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের দাবি—গত চার বছরে যাত্রীদের প্রায় ১৪ হাজার বিশৃঙ্খল আচরণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৪০০ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গত নভেম্বর থেকে ‘দ্য গোল্ডেন এজ অব ট্রাভেল স্টার্টস উইথ ইউ’ শিরোনামে একটি প্রচারণা শুরু করেছে। এই প্রচারণার লক্ষ্য বিমান ভ্রমণে শালীনতা, সৌজন্য এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এক সংবাদ সম্মেলনে ডাফি বলেন, ‘জিনস আর পরিষ্কার শার্টই যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যেন অন্তত স্লিপার আর পায়জামা পরে বিমানবন্দরে না আসি।’ তাঁর দাবি—ভালো পোশাক মানুষকে আচরণেও আরও ভদ্র করে।
তবে ডাফির এই বক্তব্য অনেকের কাছে সীমা অতিক্রম বলে মনে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ করে টিকটক ও এক্সে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ডেমোক্রেটিক অ্যাকটিভিস্ট জনি পালমাদেসা পায়জামা পরে এক ভিডিওতে বলেন, ‘এই প্রশাসনের অগ্রাধিকার একেবারেই সঠিক নয়।’ তিনি মত দেন, ট্রাম্প এবং ডাফির উচিত বিমান ভাড়া ও ভ্রমণ ব্যয় কমানো, যাতে মানুষ চাইলেই সুন্দর পোশাক কিনতে পারে।
আরেকজন টিকটকার পায়জামা পরে বিমানবন্দরে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যেহেতু নিষেধ করা হয়েছে, এখন অবশ্যই পায়জামা পরেই যাব!’
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, নতুন এই প্রচারণার পক্ষে বিভাগটি ২০১৯ সালের পর যাত্রী অসদাচরণ বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের দাবি—গত চার বছরে যাত্রীদের প্রায় ১৪ হাজার বিশৃঙ্খল আচরণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৪০০ শতাংশ বেশি।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গাজায় এখন কঠিন চাপের মুখে। টানা ২০ মাস ধরে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে সংগঠনটির বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কমান্ডার-যোদ্ধাসংকট, টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের বড় অংশ ধ্বংস, বিদ্রোহী গোত্রের উত্থান ও মিত্র ইরানের সহযোগিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত
২৮ জুন ২০২৫
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজের ‘দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকারে নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করতে যাচ্ছে কিনা। জবাবে তিনি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না জানালেও বলেন, ‘সংখ্যা ৩০-এর বেশি হবে এবং প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশ নিয়ে বিবেচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
চলতি বছরের জুনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন এবং আরও ৭টি দেশের ওপর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করেন। বিদেশি সন্ত্রাসী ও নিরাপত্তা ঝুঁকি ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু অভিবাসনের জন্য আবেদনকারীদের নয়, পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
ক্রিস্টি নোয়েম জানান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের স্থিতিশীলতা ও পরিচয় যাচাই ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দেশের স্থিতিশীল সরকার না থাকে এবং তারা তাদের নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে কেন আমরা সেই দেশের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেব?’
ইতিপূর্বে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছে।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি আরও কঠোর হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। ঘটনাটির সঙ্গে অভিযুক্ত আফগান নাগরিক ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন, যা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে অভিবাসন অধিকার সংগঠন ও আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্তকে কঠোর ও বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই নীতি অভিবাসন প্রক্রিয়াকে অকারণে স্থবির করছে এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রদানের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হচ্ছে।
অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রহী অনেক আবেদনকারীর ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজের ‘দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকারে নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করতে যাচ্ছে কিনা। জবাবে তিনি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না জানালেও বলেন, ‘সংখ্যা ৩০-এর বেশি হবে এবং প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশ নিয়ে বিবেচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
চলতি বছরের জুনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন এবং আরও ৭টি দেশের ওপর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করেন। বিদেশি সন্ত্রাসী ও নিরাপত্তা ঝুঁকি ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু অভিবাসনের জন্য আবেদনকারীদের নয়, পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
ক্রিস্টি নোয়েম জানান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের স্থিতিশীলতা ও পরিচয় যাচাই ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দেশের স্থিতিশীল সরকার না থাকে এবং তারা তাদের নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে কেন আমরা সেই দেশের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেব?’
ইতিপূর্বে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছে।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি আরও কঠোর হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। ঘটনাটির সঙ্গে অভিযুক্ত আফগান নাগরিক ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন, যা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে অভিবাসন অধিকার সংগঠন ও আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্তকে কঠোর ও বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই নীতি অভিবাসন প্রক্রিয়াকে অকারণে স্থবির করছে এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রদানের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হচ্ছে।
অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রহী অনেক আবেদনকারীর ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গাজায় এখন কঠিন চাপের মুখে। টানা ২০ মাস ধরে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে সংগঠনটির বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কমান্ডার-যোদ্ধাসংকট, টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের বড় অংশ ধ্বংস, বিদ্রোহী গোত্রের উত্থান ও মিত্র ইরানের সহযোগিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত
২৮ জুন ২০২৫
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
১১ ঘণ্টা আগে