Ajker Patrika

কখনো না গেলেও গাজা ভালো করেই চিনি, সেখানে যেতে চাই: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ২৫
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কখনো গাজায় না গেলেও অঞ্চলটিতে বেশ ভালোভাবেই ‘চেনেন।’ এমনকি তিনি সেখানে যাওয়ারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, সেখানে যেতে পারলে তিনি ‘গর্ববোধ করবেন।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সময় আজ সোমবার ইসরায়েল নামার প্রাক্কালে এয়ার ফোর্স ওয়ানে থাকা সাংবাদিকেরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি গাজা ভ্রমণ করতে চান? জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি সেখানে যেতে পারলে ‘গর্ববোধ করবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি জায়গাটা ভালোভাবেই চিনি, যদিও কখনো যাইনি। আমি যেতে চাই, অন্তত সেখানে পা রাখতে চাই।’

এরপর ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আগামী কয়েক দশকে এখানে এক দারুণ অলৌকিক পরিবর্তন হবে। যদি খুব দ্রুত এগোনো হয়, তাহলে সেটা ভালো হবে না। সঠিক গতিতে যেতে হবে, খুব তাড়াহুড়ো করা যাবে না।’

একই দিনে এয়ারফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতিক্রমেই পুনরায় সশস্ত্র হয়েছে। ট্রাম্পের ভাষায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থেই হামাসের হাতে অস্ত্র রাখার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, হামাস পুনরায় সংগঠিত হয়ে ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনী হিসেবে কাজ শুরু করছে—এমন প্রতিবেদন সত্যিই এসেছে। তিনি জানান, কয়েক মাসের যুদ্ধের পর তারা গাজায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘তারা বিষয়টি প্রকাশ্যেই করেছে এবং আমরা তাদের কিছু সময়ের জন্য অনুমতি দিয়েছি। আপনাকে বুঝতে হবে—তারা প্রায় ৬০ হাজার মানুষ হারিয়েছে। এটা অনেক বড় প্রতিশোধের বিষয়।’ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি শিশু।

ট্রাম্প আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় গাজার বাসিন্দারা যেন নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে এবং পুনর্গঠন শুরু করতে পারে। তিনি গাজাকে বর্ণনা করেন ‘আক্ষরিক অর্থেই ধ্বংসপ্রাপ্ত’ অঞ্চল হিসেবে এবং সতর্ক করে বলেন, ‘মানুষ ফিরতে শুরু করলে অনেক ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে।’

হামাসের অস্ত্র সমর্পণ বা নিরস্ত্রীকরণের সময়সূচি এখন যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম বড় বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলোচকেরা এখনো একমত হতে পারেননি, কীভাবে এবং কখন এই নিরস্ত্রীকরণ কার্যকর হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শুরু থেকে শেষ: হংকংয়ের মাটিতে বাংলাদেশের ড্র

ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’

সখীপুরে শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

অব্যাহতি চাওয়ার পর মাউশি মহাপরিচালক আজাদ খানকে ওএসডি

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত