আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দুই বছর যুদ্ধের পর অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত আছেন। সোমবার পর্যন্ত জারি থাকা ৭২ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের আক্রমণে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে অপহরণ করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৪৮ জন এখনো হামাসের হাতে বন্দী। ৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এতে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জীবিত বলে ধারণা করা বন্দীরা
এরিয়েল কুনিও (২৮): নির ওজ কিবুতজ থেকে ৭ অক্টোবর অপহৃত হন। তাঁর ভাই ইতান জানান, এরিয়েল সর্বশেষ মেসেজে লিখেছিলেন, ‘আমরা যেন এক ভৌতিক সিনেমায় আছি।’ এরিয়েলের সঙ্গী আরবেল ইয়েহুদ ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পান। সে সময় হামাস ২৫ জীবিত ও ৮ মৃত বন্দীকে ফেরত দিয়েছিল।
ডেভিড কুনিও (৩৫): এরিয়েলের ভাই, তাঁকেও নির ওজ থেকে অপহরণ করা হয়। তাঁর স্ত্রী শ্যারন ও তাঁদের তিন বছরের যমজ কন্যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি পান। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর পরিবার জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন বন্দী জানিয়েছেন, ডেভিডকে সম্প্রতি জীবিত দেখা গেছে।
গালি ও জিভ বারম্যান (২৮ বছর বয়সী যমজ ভাই): কফার আযা কিবুতজ থেকে প্রতিবেশী এমিলি দামারির সঙ্গে অপহৃত হন। জিভ ও এমিলিকে প্রথমে একসঙ্গে আটক রাখা হলেও পরে আলাদা করা হয়। এমিলি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পান। গালি ও জিভের পরিবার জানিয়েছে, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া কয়েকজন বন্দী জানিয়েছেন, তাঁরা দুজনই জীবিত আছেন।
মাতান অ্যাংগ্রেস্ট (২২): ইসরায়েলি সেনা সদস্য। গাজা সীমান্তের কাছে তাঁর ট্যাংকে হামলা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, আহত অবস্থায় তাঁকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একদল লোক। পরিবার জানিয়েছে, তিনি হাঁপানি, পোড়া ঘা ও নানা সংক্রমণে ভুগছেন।
মাতান জানগাউকার (২৫): নির ওজ থেকে তাঁর সঙ্গী ইলানা গ্রিটজেভস্কির সঙ্গে অপহৃত হন। ইলানা ২০২৩ সালের নভেম্বরে মুক্তি পান। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে মাতান জানান খাদ্য, পানি এবং ওষুধের ঘাটতিতে তাঁরা কষ্টে আছেন।
এইতান হর্ন (৩৮): ইসরায়েল-আর্জেন্টিনার নাগরিক, ভাই ইয়ায়েরের সঙ্গে অপহৃত হন। ইয়ায়ের ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পান। হামাসের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দুই ভাইকে আলিঙ্গন করে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল।
নিমরদ কোহেন (২১): ইসরায়েলি সেনা, নাহাল ওজ ঘাঁটিতে ট্যাংকে হামলায় অপহৃত হন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর পরিবার জানতে পারে, তিনি জীবিত কিন্তু শারীরিকভাবে দুর্বল। নতুন যুদ্ধবিরতির পর তাঁর মা ভিকি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘আমার সন্তান, তুমি ঘরে ফিরছ।’
ওমরি মিরান (৪৮): নাহাল ওজের নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন। তাঁর স্ত্রী লিশে জানান, স্বামীকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ২০২৫ সালের এপ্রিলে হামাসের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দিদশায় ৪৮তম জন্মদিন উদ্যাপন করছেন তিনি।
নোভা সংগীত উৎসব থেকে অপহৃতরা
৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে বহু মানুষকে বন্দী করা হয়। তাঁদের মধ্যে জীবিত বলে ধারণা করা কয়েকজন হলেন—
গাই গিলবোয়া-দালাল (২৪): ভাই গালের সঙ্গে উৎসবে অংশ নেন। গাল পালিয়ে বাঁচলেও গাইকে অপহরণ করা হয়। আগস্টে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, গাই ও আলন ওহেলকে গাজা শহরে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আলন ওহেল (২৪): ইসরায়েলি-জার্মান-সার্বিয়ান নাগরিক। ২০২৫ সালের আগস্টে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁর এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে।
ইয়োসেফ-হাইম ওহানা (২৫) ও এলকানা বোহবট (৩৬): নোভা সংগীত উৎসব থেকে একসঙ্গে অপহৃত হন। ২০২৫ সালের মে মাসে এক ভিডিওতে দেখা যায়, এলকানা মাটিতে শুয়ে আছেন। তাঁর পাশে বসে আছেন ইয়োসেফ। তাঁদের অবস্থা ছিল শোচনীয়।
আভিনাতান ওর (৩২): প্রেমিকা নোয়া আরগামানসহ অপহৃত হন, তবে এরপরই তাঁদের আলাদা করা হয়। নোয়াকে ২০২৪ সালের জুনে ইসরায়েলি অভিযানে উদ্ধার করা হয়। ২০২৫ সালের মার্চে তাঁর পরিবার জানায়, আভিনাতান জীবিত বলে তাঁরা খবর পেয়েছেন।
এইতান মোর (২৫): উৎসবে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি বহু মানুষকে বাঁচানোর পর হামাসের হাতে বন্দী হন। ২০২৫ সালের মে মাসে মুক্তিপ্রাপ্ত এক বন্দী জানান, এইতান ছিলেন অন্যদের উৎসাহদাতা ও ‘বন্দীদের মুখপাত্র’।
ম্যাকসিম হারকিন (৩৭) ও বার কুপারস্টেইন (২৩): উৎসব থেকে বন্দী হন। ২০২৫ সালের এপ্রিল ও মে মাসে তাঁদের ভিডিও প্রকাশ করে হামাস, যেখানে দেখা যায় ম্যাকসিম আহত অবস্থায় ব্যান্ডেজে বাঁধা।
সেগেভ কালফন (২৭), এভিয়াতার ডেভিড (২৪) ও রোম ব্রাসলাবস্কি (২১): তিনজনকেই নোভা সংগীত উৎসব থেকে বন্দী করে নিয়ে যায় হামাস। আগস্টে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে রোমকে কাঁদতে দেখা যায়। সে সময় তিনি বলছিলেন, ‘খাদ্য ও পানি শেষ, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে আছি।’ চিকিৎসকেরা ওই ভিডিও দেখার পর বলেন, তিনি ‘দীর্ঘমেয়াদি অনাহারে’ ভুগছিলেন।
যাঁদের অবস্থান এখনো অজানা
তামির নিমরোদি (২০): ৭ অক্টোবর এরেজ ক্রসিং থেকে অপহৃত হন। শেষবার তাঁকে দেখা যায় অপহরণের ভিডিওতে। তারপর আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিপিন জোশি (২৪): নেপালি শিক্ষার্থী বিপিন জোশি কিবুতজ আলুমিম থেকে অপহৃত হন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে আছেন তিনি। পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁর জীবিত থাকার প্রমাণ হিসেবে আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করে।
যাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত
অন্তত ২০ জন বন্দীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—
তামির আদার (৩৮): নির ওজের নিরাপত্তা সদস্য, যুদ্ধে নিহত। কিন্তু তাঁর দেহ এখনো গাজায় আটকে আছে। সনথায়া আক্রাসরি (৩০): থাই কৃষিশ্রমিক, কিবুতজ বেয়েরিতে নিহত হন। মুহাম্মদ আল-আতারাশ (৩৯): ইসরায়েলি সেনা, নাহাল ওজে নিহত হন। সাহার বারুখ (২৪): উদ্ধার অভিযানে নিহত। ইনবার হেইম্যান (২৭): নোভা উৎসব থেকে অপহৃত হয়ে বন্দিদশায় নিহত। তিনিই ছিলেন শেষ নারী বন্দী। ওমের নয়ট্রা (২১): ইসরায়েলি-আমেরিকান ট্যাংক কমান্ডার, ৭ অক্টোবরের হামলায় নিহত হন। লিওর রুদাইফ (৬১), ইয়োসি শারাবি (৫৩), আরিয়ে জালমানোভিচ (৮৫) প্রমুখ: এঁদের দেহ এখনো হামাসের নিয়ন্ত্রণে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
দুই বছর যুদ্ধের পর অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত আছেন। সোমবার পর্যন্ত জারি থাকা ৭২ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের আক্রমণে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে অপহরণ করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৪৮ জন এখনো হামাসের হাতে বন্দী। ৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এতে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জীবিত বলে ধারণা করা বন্দীরা
এরিয়েল কুনিও (২৮): নির ওজ কিবুতজ থেকে ৭ অক্টোবর অপহৃত হন। তাঁর ভাই ইতান জানান, এরিয়েল সর্বশেষ মেসেজে লিখেছিলেন, ‘আমরা যেন এক ভৌতিক সিনেমায় আছি।’ এরিয়েলের সঙ্গী আরবেল ইয়েহুদ ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পান। সে সময় হামাস ২৫ জীবিত ও ৮ মৃত বন্দীকে ফেরত দিয়েছিল।
ডেভিড কুনিও (৩৫): এরিয়েলের ভাই, তাঁকেও নির ওজ থেকে অপহরণ করা হয়। তাঁর স্ত্রী শ্যারন ও তাঁদের তিন বছরের যমজ কন্যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি পান। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর পরিবার জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন বন্দী জানিয়েছেন, ডেভিডকে সম্প্রতি জীবিত দেখা গেছে।
গালি ও জিভ বারম্যান (২৮ বছর বয়সী যমজ ভাই): কফার আযা কিবুতজ থেকে প্রতিবেশী এমিলি দামারির সঙ্গে অপহৃত হন। জিভ ও এমিলিকে প্রথমে একসঙ্গে আটক রাখা হলেও পরে আলাদা করা হয়। এমিলি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পান। গালি ও জিভের পরিবার জানিয়েছে, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া কয়েকজন বন্দী জানিয়েছেন, তাঁরা দুজনই জীবিত আছেন।
মাতান অ্যাংগ্রেস্ট (২২): ইসরায়েলি সেনা সদস্য। গাজা সীমান্তের কাছে তাঁর ট্যাংকে হামলা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, আহত অবস্থায় তাঁকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একদল লোক। পরিবার জানিয়েছে, তিনি হাঁপানি, পোড়া ঘা ও নানা সংক্রমণে ভুগছেন।
মাতান জানগাউকার (২৫): নির ওজ থেকে তাঁর সঙ্গী ইলানা গ্রিটজেভস্কির সঙ্গে অপহৃত হন। ইলানা ২০২৩ সালের নভেম্বরে মুক্তি পান। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে মাতান জানান খাদ্য, পানি এবং ওষুধের ঘাটতিতে তাঁরা কষ্টে আছেন।
এইতান হর্ন (৩৮): ইসরায়েল-আর্জেন্টিনার নাগরিক, ভাই ইয়ায়েরের সঙ্গে অপহৃত হন। ইয়ায়ের ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পান। হামাসের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দুই ভাইকে আলিঙ্গন করে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল।
নিমরদ কোহেন (২১): ইসরায়েলি সেনা, নাহাল ওজ ঘাঁটিতে ট্যাংকে হামলায় অপহৃত হন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর পরিবার জানতে পারে, তিনি জীবিত কিন্তু শারীরিকভাবে দুর্বল। নতুন যুদ্ধবিরতির পর তাঁর মা ভিকি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘আমার সন্তান, তুমি ঘরে ফিরছ।’
ওমরি মিরান (৪৮): নাহাল ওজের নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন। তাঁর স্ত্রী লিশে জানান, স্বামীকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ২০২৫ সালের এপ্রিলে হামাসের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দিদশায় ৪৮তম জন্মদিন উদ্যাপন করছেন তিনি।
নোভা সংগীত উৎসব থেকে অপহৃতরা
৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে বহু মানুষকে বন্দী করা হয়। তাঁদের মধ্যে জীবিত বলে ধারণা করা কয়েকজন হলেন—
গাই গিলবোয়া-দালাল (২৪): ভাই গালের সঙ্গে উৎসবে অংশ নেন। গাল পালিয়ে বাঁচলেও গাইকে অপহরণ করা হয়। আগস্টে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, গাই ও আলন ওহেলকে গাজা শহরে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আলন ওহেল (২৪): ইসরায়েলি-জার্মান-সার্বিয়ান নাগরিক। ২০২৫ সালের আগস্টে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁর এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে।
ইয়োসেফ-হাইম ওহানা (২৫) ও এলকানা বোহবট (৩৬): নোভা সংগীত উৎসব থেকে একসঙ্গে অপহৃত হন। ২০২৫ সালের মে মাসে এক ভিডিওতে দেখা যায়, এলকানা মাটিতে শুয়ে আছেন। তাঁর পাশে বসে আছেন ইয়োসেফ। তাঁদের অবস্থা ছিল শোচনীয়।
আভিনাতান ওর (৩২): প্রেমিকা নোয়া আরগামানসহ অপহৃত হন, তবে এরপরই তাঁদের আলাদা করা হয়। নোয়াকে ২০২৪ সালের জুনে ইসরায়েলি অভিযানে উদ্ধার করা হয়। ২০২৫ সালের মার্চে তাঁর পরিবার জানায়, আভিনাতান জীবিত বলে তাঁরা খবর পেয়েছেন।
এইতান মোর (২৫): উৎসবে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি বহু মানুষকে বাঁচানোর পর হামাসের হাতে বন্দী হন। ২০২৫ সালের মে মাসে মুক্তিপ্রাপ্ত এক বন্দী জানান, এইতান ছিলেন অন্যদের উৎসাহদাতা ও ‘বন্দীদের মুখপাত্র’।
ম্যাকসিম হারকিন (৩৭) ও বার কুপারস্টেইন (২৩): উৎসব থেকে বন্দী হন। ২০২৫ সালের এপ্রিল ও মে মাসে তাঁদের ভিডিও প্রকাশ করে হামাস, যেখানে দেখা যায় ম্যাকসিম আহত অবস্থায় ব্যান্ডেজে বাঁধা।
সেগেভ কালফন (২৭), এভিয়াতার ডেভিড (২৪) ও রোম ব্রাসলাবস্কি (২১): তিনজনকেই নোভা সংগীত উৎসব থেকে বন্দী করে নিয়ে যায় হামাস। আগস্টে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে রোমকে কাঁদতে দেখা যায়। সে সময় তিনি বলছিলেন, ‘খাদ্য ও পানি শেষ, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে আছি।’ চিকিৎসকেরা ওই ভিডিও দেখার পর বলেন, তিনি ‘দীর্ঘমেয়াদি অনাহারে’ ভুগছিলেন।
যাঁদের অবস্থান এখনো অজানা
তামির নিমরোদি (২০): ৭ অক্টোবর এরেজ ক্রসিং থেকে অপহৃত হন। শেষবার তাঁকে দেখা যায় অপহরণের ভিডিওতে। তারপর আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিপিন জোশি (২৪): নেপালি শিক্ষার্থী বিপিন জোশি কিবুতজ আলুমিম থেকে অপহৃত হন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে আছেন তিনি। পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁর জীবিত থাকার প্রমাণ হিসেবে আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করে।
যাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত
অন্তত ২০ জন বন্দীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—
তামির আদার (৩৮): নির ওজের নিরাপত্তা সদস্য, যুদ্ধে নিহত। কিন্তু তাঁর দেহ এখনো গাজায় আটকে আছে। সনথায়া আক্রাসরি (৩০): থাই কৃষিশ্রমিক, কিবুতজ বেয়েরিতে নিহত হন। মুহাম্মদ আল-আতারাশ (৩৯): ইসরায়েলি সেনা, নাহাল ওজে নিহত হন। সাহার বারুখ (২৪): উদ্ধার অভিযানে নিহত। ইনবার হেইম্যান (২৭): নোভা উৎসব থেকে অপহৃত হয়ে বন্দিদশায় নিহত। তিনিই ছিলেন শেষ নারী বন্দী। ওমের নয়ট্রা (২১): ইসরায়েলি-আমেরিকান ট্যাংক কমান্ডার, ৭ অক্টোবরের হামলায় নিহত হন। লিওর রুদাইফ (৬১), ইয়োসি শারাবি (৫৩), আরিয়ে জালমানোভিচ (৮৫) প্রমুখ: এঁদের দেহ এখনো হামাসের নিয়ন্ত্রণে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
সর্বশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। কিন্তু এই ছবি পছন্দ না হওয়ায় ম্যাগাজিনটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন—ছবিতে তাঁর চুল ‘গায়েব’ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেমাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জেরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এ ঘোষণা এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
১২ ঘণ্টা আগে