
দীর্ঘদিনের আশঙ্কা সত্যি করে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শতাধিক লেবানিজ নিহত হয়েছেন। জবাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে কয়েক শ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এই অবস্থায় এই যুদ্ধ আঞ্চলিক রূপ নেওয়ার আগেই ২১ দিনের যুদ্ধবিরতি আনতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটিতে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতি আনতে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারো বিষয়টি জানিয়েছেন।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘একটি কূটনৈতিক সমাধান সত্যিই সম্ভব। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আমরা আমাদের মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে ২১ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে আলোচনা ও কাজ করে যাচ্ছি।’ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন তিনি জানান, এ বিষয়ক পরিকল্পনা শিগগির প্রকাশ করা হবে।
জ্যঁ-নোয়েল ব্যারো আরও বলেন, ‘বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা এবং কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করার অনুমতি দেওয়ার জন্য আমরা বিলম্ব না করে এটি (যুদ্ধবিরতি) গ্রহণ করার জন্য উভয় পক্ষের (ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ) ওপর নির্ভর করছি।’
এদিকে, ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় একটি সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, লেবাননে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তাদের সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত স্থল অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণরত সেনাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জেরে বছরখানেক ধরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে আন্তসীমান্ত লড়াই চলছে। এতে শত শত মানুষ মারা গেছে। নিহতদের বেশির ভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এ ছাড়া উভয় পক্ষে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হিজবুল্লাহ বলছে, তারা হামাসের সমর্থনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত তারা এটি থামাবে না।

দীর্ঘদিনের আশঙ্কা সত্যি করে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শতাধিক লেবানিজ নিহত হয়েছেন। জবাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে কয়েক শ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এই অবস্থায় এই যুদ্ধ আঞ্চলিক রূপ নেওয়ার আগেই ২১ দিনের যুদ্ধবিরতি আনতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটিতে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতি আনতে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারো বিষয়টি জানিয়েছেন।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘একটি কূটনৈতিক সমাধান সত্যিই সম্ভব। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আমরা আমাদের মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে ২১ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে আলোচনা ও কাজ করে যাচ্ছি।’ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন তিনি জানান, এ বিষয়ক পরিকল্পনা শিগগির প্রকাশ করা হবে।
জ্যঁ-নোয়েল ব্যারো আরও বলেন, ‘বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা এবং কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করার অনুমতি দেওয়ার জন্য আমরা বিলম্ব না করে এটি (যুদ্ধবিরতি) গ্রহণ করার জন্য উভয় পক্ষের (ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ) ওপর নির্ভর করছি।’
এদিকে, ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় একটি সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, লেবাননে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তাদের সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত স্থল অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণরত সেনাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জেরে বছরখানেক ধরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে আন্তসীমান্ত লড়াই চলছে। এতে শত শত মানুষ মারা গেছে। নিহতদের বেশির ভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এ ছাড়া উভয় পক্ষে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হিজবুল্লাহ বলছে, তারা হামাসের সমর্থনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত তারা এটি থামাবে না।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল
১৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩০ মিনিট আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন, যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল উৎপাদক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এই খবর সামনে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রসনেফট ও লুকওয়েলসহ তাদের অন্তর্ভুক্ত প্রায় তিন ডজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা দিতে সম্মত হয়েছে।
রসনেফট ও লুকওয়েল রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে। যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর এই দুটি কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ট্রাম্পের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ। মূল লক্ষ্য হলো—ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রকে চালাতে তেল যে আয়ের জোগান দেয়, তা বন্ধ করে দেওয়া।
ওয়াশিংটন আশা করছে, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে আঘাত হানবে এবং পুতিনকে আলোচনার টেবিলে ফিরতে বাধ্য করবে। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নিষেধাজ্ঞাকে বলেছেন, ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’ যা ‘রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ককে শক্তিশালী করে না।’ তাঁর ভাষায়, এটি ‘রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা’, তবে এটি ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ উদ্যোগ’—বলে মনে করেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন কোনো দেশ কখনো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয় না।’ তিনি দাবি করেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না, তবে ‘কিছু ক্ষতি অনিবার্য।’ এ সময় তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তাঁর উচিত ভেবে দেখা—তাঁর প্রশাসন আসলে কার স্বার্থে কাজ করছে।’ তিনি সতর্ক করেন, এই নিষেধাজ্ঞা তেলের দাম আরও বাড়াবে।
পুতিন আরও হুঁশিয়ারি দেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘টমাহক ক্রুজ মিসাইল’ দেয় এবং তা দিয়ে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ‘অত্যন্ত শক্তিশালী, এমনকি ধ্বংসাত্মক।’
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অন্যান্য দেশ ও কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার বড় তেল উৎপাদকদের সঙ্গে ব্যবসা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে তারা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার বৃহৎ অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবারই এর প্রাথমিক প্রভাব দেখা গেছে। রাশিয়ার দুই প্রধান ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত তেল আমদানি স্থগিতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানায়, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রক্রিয়া ‘পুনর্মূল্যায়ন’ করছে। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘রিলায়েন্স সম্পূর্ণভাবে ভারতের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাশিয়ান তেল আমদানিতে সামঞ্জস্য আনছে।’ রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলোও আপাতত সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা স্থগিত করেছে। তারা আশঙ্কা করছে, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জটিলতায় না জড়িয়ে পড়ে।
রাশিয়ার জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশই তেল ও গ্যাস খাত থেকে আসে। চীন ও ভারতের মতো প্রধান ক্রেতারা যদি হঠাৎ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তা ক্রেমলিনের অর্থনীতিতে ভয়াবহ আঘাত হানবে, আর বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন এবং ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে এবং দুই দেশই এত দিন পশ্চিমা চাপকে ‘ফাঁপা হুমকি’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এবার তারা বাস্তবিকই নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। নিষেধাজ্ঞা মানতে হলে তাদের রাশিয়ার সস্তা তেল ত্যাগ করতে হবে, যা তাদের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট থেকে রক্ষা করেছিল।
এদিকে, ট্রাম্প বুদাপেস্টে বৈঠকের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা বাতিলের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, বৈঠকটি ‘সম্ভবত পিছিয়ে যাবে’ এবং যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া তা আয়োজন করা ‘ভুল হবে।’ তবে তিনি জানান, তিনি এখনো ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, কারণ ‘সংলাপ সর্বদা যুদ্ধের চেয়ে ভালো।’
রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য অনেক কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ‘যুদ্ধের ঘোষণা।’ তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শত্রু। তাদের বাচাল ‘শান্তিদূত’ এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পথে পা রেখেছে।’
ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ কিছু বিশেষজ্ঞও স্বীকার করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রুশ অর্থনীতিতে আঘাত আনতে পারে। রাশিয়া সরকারের অধীন ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইগর ইউশকভ কমেরসান্ত পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে এশীয় ক্রেতারা সরাসরি রুশ তেল কিনতে দ্বিধা করবে। এতে কোম্পানিগুলোকে মধ্যস্বত্বভোগী ও জটিল লজিস্টিক চেইনের ওপর নির্ভর করতে হবে, যা খরচ বাড়াবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত প্রভাব নির্ভর করবে তা কতটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয় তার ওপর—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কি সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধেও ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ দেবে, যারা রুশ তেল কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার হাতে এখনো এক মাস সময় আছে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে। মস্কো সম্ভবত সেই সময়টা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যবহার করবে।
আগেও রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গেছে বিভিন্ন গোপন বাণিজ্যিক কৌশল ও তাদের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয় পুরোনো জাহাজ, যেগুলো অচেনা পতাকা নিয়ে চলে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অজানা কোম্পানির নামে নিবন্ধিত। এই পদ্ধতিতেই রাশিয়া এখনো ভারত ও চীনের মতো ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে, জি-৭ এর দামের সীমা ও ইইউ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও।
মস্কোর অনেকে আবার আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়া এবারও টিকে যাবে। রুশ সামরিক ঘনিষ্ঠ ব্লগার মিখাইল জভিঞ্চুক বলেন, ‘নতুন বিক্রয় কাঠামো গড়ে উঠবে। এতে পরিবহন জটিলতা ও খরচ বাড়বে ঠিকই, কিন্তু তেল ব্যবসা গত তিন বছর ধরেই এসব সামলে নিয়েছে, এখনো পারবে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল উৎপাদক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এই খবর সামনে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রসনেফট ও লুকওয়েলসহ তাদের অন্তর্ভুক্ত প্রায় তিন ডজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা দিতে সম্মত হয়েছে।
রসনেফট ও লুকওয়েল রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে। যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর এই দুটি কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ট্রাম্পের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ। মূল লক্ষ্য হলো—ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রকে চালাতে তেল যে আয়ের জোগান দেয়, তা বন্ধ করে দেওয়া।
ওয়াশিংটন আশা করছে, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে আঘাত হানবে এবং পুতিনকে আলোচনার টেবিলে ফিরতে বাধ্য করবে। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নিষেধাজ্ঞাকে বলেছেন, ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’ যা ‘রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ককে শক্তিশালী করে না।’ তাঁর ভাষায়, এটি ‘রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা’, তবে এটি ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ উদ্যোগ’—বলে মনে করেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন কোনো দেশ কখনো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয় না।’ তিনি দাবি করেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না, তবে ‘কিছু ক্ষতি অনিবার্য।’ এ সময় তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তাঁর উচিত ভেবে দেখা—তাঁর প্রশাসন আসলে কার স্বার্থে কাজ করছে।’ তিনি সতর্ক করেন, এই নিষেধাজ্ঞা তেলের দাম আরও বাড়াবে।
পুতিন আরও হুঁশিয়ারি দেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘টমাহক ক্রুজ মিসাইল’ দেয় এবং তা দিয়ে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ‘অত্যন্ত শক্তিশালী, এমনকি ধ্বংসাত্মক।’
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অন্যান্য দেশ ও কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার বড় তেল উৎপাদকদের সঙ্গে ব্যবসা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে তারা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার বৃহৎ অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবারই এর প্রাথমিক প্রভাব দেখা গেছে। রাশিয়ার দুই প্রধান ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত তেল আমদানি স্থগিতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানায়, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রক্রিয়া ‘পুনর্মূল্যায়ন’ করছে। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘রিলায়েন্স সম্পূর্ণভাবে ভারতের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাশিয়ান তেল আমদানিতে সামঞ্জস্য আনছে।’ রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলোও আপাতত সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা স্থগিত করেছে। তারা আশঙ্কা করছে, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জটিলতায় না জড়িয়ে পড়ে।
রাশিয়ার জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশই তেল ও গ্যাস খাত থেকে আসে। চীন ও ভারতের মতো প্রধান ক্রেতারা যদি হঠাৎ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তা ক্রেমলিনের অর্থনীতিতে ভয়াবহ আঘাত হানবে, আর বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন এবং ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে এবং দুই দেশই এত দিন পশ্চিমা চাপকে ‘ফাঁপা হুমকি’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এবার তারা বাস্তবিকই নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। নিষেধাজ্ঞা মানতে হলে তাদের রাশিয়ার সস্তা তেল ত্যাগ করতে হবে, যা তাদের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট থেকে রক্ষা করেছিল।
এদিকে, ট্রাম্প বুদাপেস্টে বৈঠকের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা বাতিলের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, বৈঠকটি ‘সম্ভবত পিছিয়ে যাবে’ এবং যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া তা আয়োজন করা ‘ভুল হবে।’ তবে তিনি জানান, তিনি এখনো ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, কারণ ‘সংলাপ সর্বদা যুদ্ধের চেয়ে ভালো।’
রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য অনেক কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ‘যুদ্ধের ঘোষণা।’ তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শত্রু। তাদের বাচাল ‘শান্তিদূত’ এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পথে পা রেখেছে।’
ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ কিছু বিশেষজ্ঞও স্বীকার করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রুশ অর্থনীতিতে আঘাত আনতে পারে। রাশিয়া সরকারের অধীন ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইগর ইউশকভ কমেরসান্ত পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে এশীয় ক্রেতারা সরাসরি রুশ তেল কিনতে দ্বিধা করবে। এতে কোম্পানিগুলোকে মধ্যস্বত্বভোগী ও জটিল লজিস্টিক চেইনের ওপর নির্ভর করতে হবে, যা খরচ বাড়াবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত প্রভাব নির্ভর করবে তা কতটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয় তার ওপর—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কি সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধেও ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ দেবে, যারা রুশ তেল কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার হাতে এখনো এক মাস সময় আছে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে। মস্কো সম্ভবত সেই সময়টা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যবহার করবে।
আগেও রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গেছে বিভিন্ন গোপন বাণিজ্যিক কৌশল ও তাদের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয় পুরোনো জাহাজ, যেগুলো অচেনা পতাকা নিয়ে চলে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অজানা কোম্পানির নামে নিবন্ধিত। এই পদ্ধতিতেই রাশিয়া এখনো ভারত ও চীনের মতো ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে, জি-৭ এর দামের সীমা ও ইইউ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও।
মস্কোর অনেকে আবার আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়া এবারও টিকে যাবে। রুশ সামরিক ঘনিষ্ঠ ব্লগার মিখাইল জভিঞ্চুক বলেন, ‘নতুন বিক্রয় কাঠামো গড়ে উঠবে। এতে পরিবহন জটিলতা ও খরচ বাড়বে ঠিকই, কিন্তু তেল ব্যবসা গত তিন বছর ধরেই এসব সামলে নিয়েছে, এখনো পারবে।’

দীর্ঘদিনের আশঙ্কা সত্যি করে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শতাধিক লেবানিজ নিহত হয়েছেন। জবাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে কয়েক শ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এই অবস্থায় এই যুদ্ধ আঞ্চলিক রূপ নেওয়ার আগেই ২১ দিন
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩০ মিনিট আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন, যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
চেলিয়াবিন্স্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সেই টেক্সলার জানান, বুধবার রাতে কোপেয়েস্ক শহরের একটি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
গভর্নর টেক্সলার জোর দিয়ে বলেন, এই বিস্ফোরণগুলো ড্রোন হামলার কারণে ঘটেনি। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত ছিল এবং এখনো ১০ জন কর্মী নিখোঁজ।
১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মোট ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানান গভর্নর। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর ১৪ জনকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টেক্সলার এই তথ্য টেলিগ্রামে প্রকাশ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের স্থানটি প্লাস্টমাস নামের একটি প্লাস্টিক প্রস্তুতকারী কারখানা, যেখানে রুশ সেনাবাহিনীর জন্য আর্টিলারি গোলাবারুদ তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে দক্ষিণাঞ্চলীয় স্তাভরোপল শহরে, যা একটি সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একটি বাসস্ট্যান্ডের পাশে শিশুর বেবি স্ট্রলারে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
সেখানে এক নারী ধাতব টুকরোতে আহত হন। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ব্যবসায়িক পত্রিকা কমারসান্ট জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ব্রিয়ানস্ক ও বেলগোরোদ অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় দুটি বেসামরিক যানবাহন লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় দুজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে রিয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভেল মালকভ জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম আস্ত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানায়, রিয়াজান তেল শোধনাগারটি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৩৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত বা আটক করেছে।
এর মধ্যে বেলগোরোদ অঞ্চলে ৫৬টি, ব্রিয়ানস্কে ২২টি এবং রিয়াজান অঞ্চলে ১৪টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
চেলিয়াবিন্স্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সেই টেক্সলার জানান, বুধবার রাতে কোপেয়েস্ক শহরের একটি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
গভর্নর টেক্সলার জোর দিয়ে বলেন, এই বিস্ফোরণগুলো ড্রোন হামলার কারণে ঘটেনি। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত ছিল এবং এখনো ১০ জন কর্মী নিখোঁজ।
১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মোট ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানান গভর্নর। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর ১৪ জনকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টেক্সলার এই তথ্য টেলিগ্রামে প্রকাশ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের স্থানটি প্লাস্টমাস নামের একটি প্লাস্টিক প্রস্তুতকারী কারখানা, যেখানে রুশ সেনাবাহিনীর জন্য আর্টিলারি গোলাবারুদ তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে দক্ষিণাঞ্চলীয় স্তাভরোপল শহরে, যা একটি সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একটি বাসস্ট্যান্ডের পাশে শিশুর বেবি স্ট্রলারে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
সেখানে এক নারী ধাতব টুকরোতে আহত হন। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ব্যবসায়িক পত্রিকা কমারসান্ট জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ব্রিয়ানস্ক ও বেলগোরোদ অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় দুটি বেসামরিক যানবাহন লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় দুজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে রিয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভেল মালকভ জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম আস্ত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানায়, রিয়াজান তেল শোধনাগারটি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৩৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত বা আটক করেছে।
এর মধ্যে বেলগোরোদ অঞ্চলে ৫৬টি, ব্রিয়ানস্কে ২২টি এবং রিয়াজান অঞ্চলে ১৪টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

দীর্ঘদিনের আশঙ্কা সত্যি করে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শতাধিক লেবানিজ নিহত হয়েছেন। জবাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে কয়েক শ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এই অবস্থায় এই যুদ্ধ আঞ্চলিক রূপ নেওয়ার আগেই ২১ দিন
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল
১৯ মিনিট আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন, যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ ও বাণিজ্য বন্ধ।
১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার ও বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওই সময় সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিমান হামলায় দুই পক্ষেই বহু মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকজাই আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন দুই দেশ প্রায় ১০ লাখ ডলার করে ক্ষতি করছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যার বেশির ভাগই তাজা ফল, শাকসবজি, খনিজ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য। সীমান্ত বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোকজা১ই বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় সব পণ্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান তোরখাম সীমান্তের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের দুই পাশে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার আটকা পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাজারে ইতিমধ্যে টমেটো, আপেল ও আঙুরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আপেল আমদানির বড় অংশ আফগানিস্তান থেকে আসে, ফলে এর দামও দ্রুত বাড়ছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। কাবুলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বৈঠক ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ ও বাণিজ্য বন্ধ।
১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার ও বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওই সময় সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিমান হামলায় দুই পক্ষেই বহু মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকজাই আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন দুই দেশ প্রায় ১০ লাখ ডলার করে ক্ষতি করছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যার বেশির ভাগই তাজা ফল, শাকসবজি, খনিজ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য। সীমান্ত বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোকজা১ই বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় সব পণ্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান তোরখাম সীমান্তের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের দুই পাশে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার আটকা পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাজারে ইতিমধ্যে টমেটো, আপেল ও আঙুরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আপেল আমদানির বড় অংশ আফগানিস্তান থেকে আসে, ফলে এর দামও দ্রুত বাড়ছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। কাবুলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বৈঠক ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

দীর্ঘদিনের আশঙ্কা সত্যি করে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শতাধিক লেবানিজ নিহত হয়েছেন। জবাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে কয়েক শ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এই অবস্থায় এই যুদ্ধ আঞ্চলিক রূপ নেওয়ার আগেই ২১ দিন
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল
১৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩০ মিনিট আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন, যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি অভিশংসিত হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন, যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
কোরিয়া হেরিটেজ সার্ভিসের (কেএইচএস) বরাতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অতিথিদের জন্য একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই কিম গিউন হি প্রাসাদের মূল ভবন গিনজংজনে থাকা রাজসিংহাসনে বসেন।
১৩৯২ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত জোসন রাজবংশের আমলে এই প্রাসাদ ছিল রাজপরিবারের প্রধান আবাস ও প্রশাসনিক কেন্দ্র। লাল-সোনালি রঙের সিংহাসনটি রাজকীয় ক্ষমতার প্রতীক এবং সাধারণ দর্শনার্থীদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি নেই।
কেএইচএস জানিয়েছে, এই সফরটি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর কিম যে সিংহাসনে বসেছিলেন সেটি ছিল পরবর্তীকালে নির্মিত একটি অনুলিপি, আসল নয়।
তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এক সাক্ষ্যে সাবেক প্রেসিডেন্টের সহকারী চুং ইয়ং সিওক বলেন, ‘তিনি (কিম গিউন হি) দেহরক্ষীদের সহায়তায় মঞ্চের পাশে থাকা সিঁড়ি বেয়ে উঠে সিংহাসনে বসেন।’
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ইউ হং জুন বলেন, ‘এটি ভুল কাজ ছিল—কোরিয়ার সবাই এটিকে ভুল হিসেবেই দেখছে।’
বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান বিরোধী দলের এক সদস্য ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘তিনি হয়তো রানি হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন।’
এটি কিম গিউন হির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ নয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জানা যায়, তিনি ও তার অতিথিরা জোসন যুগের ঐতিহ্যবাহী জংমিও মন্দিরের একটি নিষিদ্ধ অংশে চা পান করেছিলেন—যা ঐতিহ্যবিধি লঙ্ঘনের শামিল।
এসব অভিযোগ ওঠার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীর আচরণ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও ঐতিহ্যের প্রতি তাদের অবহেলা দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলকে গত আগস্টে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে সামরিক আইন জারিসহ বিদ্রোহের অভিযোগে। আর তাঁর স্ত্রী কিম গিউন হির বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি অভিশংসিত হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন, যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
কোরিয়া হেরিটেজ সার্ভিসের (কেএইচএস) বরাতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অতিথিদের জন্য একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই কিম গিউন হি প্রাসাদের মূল ভবন গিনজংজনে থাকা রাজসিংহাসনে বসেন।
১৩৯২ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত জোসন রাজবংশের আমলে এই প্রাসাদ ছিল রাজপরিবারের প্রধান আবাস ও প্রশাসনিক কেন্দ্র। লাল-সোনালি রঙের সিংহাসনটি রাজকীয় ক্ষমতার প্রতীক এবং সাধারণ দর্শনার্থীদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি নেই।
কেএইচএস জানিয়েছে, এই সফরটি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর কিম যে সিংহাসনে বসেছিলেন সেটি ছিল পরবর্তীকালে নির্মিত একটি অনুলিপি, আসল নয়।
তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এক সাক্ষ্যে সাবেক প্রেসিডেন্টের সহকারী চুং ইয়ং সিওক বলেন, ‘তিনি (কিম গিউন হি) দেহরক্ষীদের সহায়তায় মঞ্চের পাশে থাকা সিঁড়ি বেয়ে উঠে সিংহাসনে বসেন।’
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ইউ হং জুন বলেন, ‘এটি ভুল কাজ ছিল—কোরিয়ার সবাই এটিকে ভুল হিসেবেই দেখছে।’
বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান বিরোধী দলের এক সদস্য ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘তিনি হয়তো রানি হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন।’
এটি কিম গিউন হির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ নয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জানা যায়, তিনি ও তার অতিথিরা জোসন যুগের ঐতিহ্যবাহী জংমিও মন্দিরের একটি নিষিদ্ধ অংশে চা পান করেছিলেন—যা ঐতিহ্যবিধি লঙ্ঘনের শামিল।
এসব অভিযোগ ওঠার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীর আচরণ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও ঐতিহ্যের প্রতি তাদের অবহেলা দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলকে গত আগস্টে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে সামরিক আইন জারিসহ বিদ্রোহের অভিযোগে। আর তাঁর স্ত্রী কিম গিউন হির বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে।

দীর্ঘদিনের আশঙ্কা সত্যি করে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শতাধিক লেবানিজ নিহত হয়েছেন। জবাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে কয়েক শ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এই অবস্থায় এই যুদ্ধ আঞ্চলিক রূপ নেওয়ার আগেই ২১ দিন
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল
১৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩০ মিনিট আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৯ ঘণ্টা আগে