
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। তা আছে দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের। দৃশ্যত এ কারণেই নেতানিয়াহু শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে এ সংঘাতে সরাসরি জড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কি কূটনীতির পথ বেছে নেবেন, নাকি ইসরায়েলের উসকানিতে বাংকার বাস্টার বোমা জোগাবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্র কোম শহরের অদূরে অবস্থিত ফোরদোয়। এখানে পাথুরে মাটির অনেক নিচে আর কংক্রিটের পুরু আবরণের নিরাপত্তায় পরমাণু কর্মসূচি চলছে। তা ধ্বংস করার ক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ বোমারই রয়েছে। তার কেতাবি নাম ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর’ বা ‘জিবিইউ-৫৭’। এই বোমা ফেলতেও ব্যবহার করতে হবে বিশেষ ধরনের বি-২ বোমারু বিমান, যা ইসরায়েলের নেই।। ট্রাম্প যদি বাংকার বাস্টারের পথই বেছে নেন, তাহলে তাঁর দেশ মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়বে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি আর ইরাক বা আফগানিস্তানের মতো কোনো বিদেশি সংঘাতে জড়াবেন না।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, ট্রাম্প তাঁর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকেও বৈঠকে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ‘তেহরানের সব বাসিন্দাকে অবিলম্বে সরে যেতে’ বলেন। ট্রাম্পের এই পোস্ট আভাস দিচ্ছে, নেপথ্যে বিশেষ কূটনৈতিক কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি।
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস জানায়, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির কারণে কানাডায় চলমান জি৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফিরছেন প্রেসিডেন্ট। সে সময় ট্রাম্প বলেন, ‘এখান থেকে বিদায় নিয়েই আমরা কিছু একটা করতে চলেছি। আমাকে যেতে হবে।’ তবে ট্রাম্প ঠিক কী করবেন, তা গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে আভাস দিয়েছেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে এবং চুক্তি করতে প্রস্তুত। আরাগচি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর মতো ব্যক্তিকে থামাতে ওয়াশিংটন থেকে একটা ফোনকলই যথেষ্ট। সেটা করলেই কেবল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পুনরায় শুরুর পথ খুলবে।’
কিন্তু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যদি ব্যর্থ হয় কিংবা ইরানের শাসকগোষ্ঠী যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোদমে বন্ধে রাজি না হয়, তাহলে কী ঘটবে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো তখন ইরানের ফোরদো এবং অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসে বোমারু বিমান ওড়ানোর কথা ভাববেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ থেকে জো বাইডেন পর্যন্ত টানা চার সরকারের মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে কাজ করেছেন ব্রেট ম্যাকগার্ক। তাঁর মতে, ‘ফোরদো সব সময়ই কঠিন এক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ইসরায়েলের অভিযান যদি ফোরদোকে ঠেকাতে না পারে, তাহলে কোনো কৌশলগত অর্জন থাকবে না।’
মার্কিন সামরিক বাহিনী ফোরদোর বিষয়টি মাথায় রেখেই দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতিতে যেসব মহড়া হয়েছে তার সারমর্ম হলো, কেবল একটি বাংকার বাস্টার বোমা দিয়ে ফোরদো ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কয়েকটি বি২ বোমারু বিমান থেকে নিখুঁতভাবে একই জায়গায় একের পর এক বোমা ফেলতে হবে। অর্থাৎ আগের বোমার সৃষ্টি করা গর্তে পরের বোমাটি পড়ে আরও তা গভীরে ঢুকবে। আর এ অভিযানে মার্কিন পাইলট ও ক্রুদের সরাসরি অংশ নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিকল্পনায় এটাই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই নেতানিয়াহু ‘ইসরায়েলের জন্য বিপদ আসন্ন’ দাবি করে ইরানে হামলার নির্দেশ দেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীরা দ্রুত একটি বোমা বানানোর চেষ্টা করছেন ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা বড় কোনো সাফল্য পাননি। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ব্রেট ম্যাকগার্কের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ফোরদো যদি এবারের সংঘাতে টিকে যায়, তাহলে ইরান ঠিকই একদিন পারমাণবিক বোমার অধিকারী হবে। তবে তার আগে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক অবকাঠামোগুলো মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে।
ট্রাম্পের সামনে বোমা ছাড়াও আরেকটি বিকল্প রয়েছে। কিন্তু সেই বিকল্প কতটা সফল হবে, তা বলা কঠিন। ফোরদোর বিদ্যুৎ-সংযোগ কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সেন্ট্রিফিউজগুলো ধ্বংস করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, এরই মধ্যে সম্ভবত বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় নাতাঞ্জের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪ সালে বাংকার বাস্টার তৈরি শুরু করে। লক্ষ্য ছিল, তা দিয়ে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পাহাড়ে লুকানো সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই বোমার প্রথম পরীক্ষা করা হয় এবং সামরিক বাহিনীতে এটি যুক্ত হয়। নেতানিয়াহু জর্জ বুশের সময় থেকেই তাঁদের বাংকার বাস্টার দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি সফল না হলেও চাপ এখন অনেক বেড়েছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জেরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জোয়াভ গালান্ট সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘কাজটা করতেই হবে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকেই করতে হবে।’ মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম গত রোববার সিবিএসকে বলেছেন, ‘কূটনীতি সফল না হলে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন, যাতে এই অভিযান শেষে ইরানে পরমাণু কর্মসূচির ছিটেফোঁটাও না থাকে। তার অর্থ যদি হয় বোমা (বাংকার বাস্টার) সরবরাহ করা, সেটাই করতে হবে।’
কিন্তু সব রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে একমত নন। দলের যুদ্ধবিরোধী অংশটি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালে তার ফল ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো হতে পারে। অর্জনের বদলে তা বোঝা হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন গত শুক্রবার রিপাবলিকান পার্টির যুদ্ধবিরোধী এই অংশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে ত্যাগ করো, ওদের যুদ্ধ ওদেরই লড়তে দাও।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। তা আছে দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের। দৃশ্যত এ কারণেই নেতানিয়াহু শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে এ সংঘাতে সরাসরি জড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কি কূটনীতির পথ বেছে নেবেন, নাকি ইসরায়েলের উসকানিতে বাংকার বাস্টার বোমা জোগাবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্র কোম শহরের অদূরে অবস্থিত ফোরদোয়। এখানে পাথুরে মাটির অনেক নিচে আর কংক্রিটের পুরু আবরণের নিরাপত্তায় পরমাণু কর্মসূচি চলছে। তা ধ্বংস করার ক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ বোমারই রয়েছে। তার কেতাবি নাম ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর’ বা ‘জিবিইউ-৫৭’। এই বোমা ফেলতেও ব্যবহার করতে হবে বিশেষ ধরনের বি-২ বোমারু বিমান, যা ইসরায়েলের নেই।। ট্রাম্প যদি বাংকার বাস্টারের পথই বেছে নেন, তাহলে তাঁর দেশ মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়বে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি আর ইরাক বা আফগানিস্তানের মতো কোনো বিদেশি সংঘাতে জড়াবেন না।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, ট্রাম্প তাঁর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকেও বৈঠকে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ‘তেহরানের সব বাসিন্দাকে অবিলম্বে সরে যেতে’ বলেন। ট্রাম্পের এই পোস্ট আভাস দিচ্ছে, নেপথ্যে বিশেষ কূটনৈতিক কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি।
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস জানায়, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির কারণে কানাডায় চলমান জি৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফিরছেন প্রেসিডেন্ট। সে সময় ট্রাম্প বলেন, ‘এখান থেকে বিদায় নিয়েই আমরা কিছু একটা করতে চলেছি। আমাকে যেতে হবে।’ তবে ট্রাম্প ঠিক কী করবেন, তা গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে আভাস দিয়েছেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে এবং চুক্তি করতে প্রস্তুত। আরাগচি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর মতো ব্যক্তিকে থামাতে ওয়াশিংটন থেকে একটা ফোনকলই যথেষ্ট। সেটা করলেই কেবল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পুনরায় শুরুর পথ খুলবে।’
কিন্তু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যদি ব্যর্থ হয় কিংবা ইরানের শাসকগোষ্ঠী যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোদমে বন্ধে রাজি না হয়, তাহলে কী ঘটবে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো তখন ইরানের ফোরদো এবং অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসে বোমারু বিমান ওড়ানোর কথা ভাববেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ থেকে জো বাইডেন পর্যন্ত টানা চার সরকারের মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে কাজ করেছেন ব্রেট ম্যাকগার্ক। তাঁর মতে, ‘ফোরদো সব সময়ই কঠিন এক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ইসরায়েলের অভিযান যদি ফোরদোকে ঠেকাতে না পারে, তাহলে কোনো কৌশলগত অর্জন থাকবে না।’
মার্কিন সামরিক বাহিনী ফোরদোর বিষয়টি মাথায় রেখেই দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতিতে যেসব মহড়া হয়েছে তার সারমর্ম হলো, কেবল একটি বাংকার বাস্টার বোমা দিয়ে ফোরদো ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কয়েকটি বি২ বোমারু বিমান থেকে নিখুঁতভাবে একই জায়গায় একের পর এক বোমা ফেলতে হবে। অর্থাৎ আগের বোমার সৃষ্টি করা গর্তে পরের বোমাটি পড়ে আরও তা গভীরে ঢুকবে। আর এ অভিযানে মার্কিন পাইলট ও ক্রুদের সরাসরি অংশ নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিকল্পনায় এটাই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই নেতানিয়াহু ‘ইসরায়েলের জন্য বিপদ আসন্ন’ দাবি করে ইরানে হামলার নির্দেশ দেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীরা দ্রুত একটি বোমা বানানোর চেষ্টা করছেন ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা বড় কোনো সাফল্য পাননি। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ব্রেট ম্যাকগার্কের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ফোরদো যদি এবারের সংঘাতে টিকে যায়, তাহলে ইরান ঠিকই একদিন পারমাণবিক বোমার অধিকারী হবে। তবে তার আগে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক অবকাঠামোগুলো মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে।
ট্রাম্পের সামনে বোমা ছাড়াও আরেকটি বিকল্প রয়েছে। কিন্তু সেই বিকল্প কতটা সফল হবে, তা বলা কঠিন। ফোরদোর বিদ্যুৎ-সংযোগ কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সেন্ট্রিফিউজগুলো ধ্বংস করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, এরই মধ্যে সম্ভবত বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় নাতাঞ্জের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪ সালে বাংকার বাস্টার তৈরি শুরু করে। লক্ষ্য ছিল, তা দিয়ে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পাহাড়ে লুকানো সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই বোমার প্রথম পরীক্ষা করা হয় এবং সামরিক বাহিনীতে এটি যুক্ত হয়। নেতানিয়াহু জর্জ বুশের সময় থেকেই তাঁদের বাংকার বাস্টার দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি সফল না হলেও চাপ এখন অনেক বেড়েছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জেরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জোয়াভ গালান্ট সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘কাজটা করতেই হবে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকেই করতে হবে।’ মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম গত রোববার সিবিএসকে বলেছেন, ‘কূটনীতি সফল না হলে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন, যাতে এই অভিযান শেষে ইরানে পরমাণু কর্মসূচির ছিটেফোঁটাও না থাকে। তার অর্থ যদি হয় বোমা (বাংকার বাস্টার) সরবরাহ করা, সেটাই করতে হবে।’
কিন্তু সব রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে একমত নন। দলের যুদ্ধবিরোধী অংশটি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালে তার ফল ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো হতে পারে। অর্জনের বদলে তা বোঝা হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন গত শুক্রবার রিপাবলিকান পার্টির যুদ্ধবিরোধী এই অংশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে ত্যাগ করো, ওদের যুদ্ধ ওদেরই লড়তে দাও।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। তা আছে দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের। দৃশ্যত এ কারণেই নেতানিয়াহু শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে এ সংঘাতে সরাসরি জড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কি কূটনীতির পথ বেছে নেবেন, নাকি ইসরায়েলের উসকানিতে বাংকার বাস্টার বোমা জোগাবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্র কোম শহরের অদূরে অবস্থিত ফোরদোয়। এখানে পাথুরে মাটির অনেক নিচে আর কংক্রিটের পুরু আবরণের নিরাপত্তায় পরমাণু কর্মসূচি চলছে। তা ধ্বংস করার ক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ বোমারই রয়েছে। তার কেতাবি নাম ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর’ বা ‘জিবিইউ-৫৭’। এই বোমা ফেলতেও ব্যবহার করতে হবে বিশেষ ধরনের বি-২ বোমারু বিমান, যা ইসরায়েলের নেই।। ট্রাম্প যদি বাংকার বাস্টারের পথই বেছে নেন, তাহলে তাঁর দেশ মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়বে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি আর ইরাক বা আফগানিস্তানের মতো কোনো বিদেশি সংঘাতে জড়াবেন না।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, ট্রাম্প তাঁর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকেও বৈঠকে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ‘তেহরানের সব বাসিন্দাকে অবিলম্বে সরে যেতে’ বলেন। ট্রাম্পের এই পোস্ট আভাস দিচ্ছে, নেপথ্যে বিশেষ কূটনৈতিক কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি।
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস জানায়, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির কারণে কানাডায় চলমান জি৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফিরছেন প্রেসিডেন্ট। সে সময় ট্রাম্প বলেন, ‘এখান থেকে বিদায় নিয়েই আমরা কিছু একটা করতে চলেছি। আমাকে যেতে হবে।’ তবে ট্রাম্প ঠিক কী করবেন, তা গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে আভাস দিয়েছেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে এবং চুক্তি করতে প্রস্তুত। আরাগচি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর মতো ব্যক্তিকে থামাতে ওয়াশিংটন থেকে একটা ফোনকলই যথেষ্ট। সেটা করলেই কেবল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পুনরায় শুরুর পথ খুলবে।’
কিন্তু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যদি ব্যর্থ হয় কিংবা ইরানের শাসকগোষ্ঠী যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোদমে বন্ধে রাজি না হয়, তাহলে কী ঘটবে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো তখন ইরানের ফোরদো এবং অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসে বোমারু বিমান ওড়ানোর কথা ভাববেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ থেকে জো বাইডেন পর্যন্ত টানা চার সরকারের মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে কাজ করেছেন ব্রেট ম্যাকগার্ক। তাঁর মতে, ‘ফোরদো সব সময়ই কঠিন এক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ইসরায়েলের অভিযান যদি ফোরদোকে ঠেকাতে না পারে, তাহলে কোনো কৌশলগত অর্জন থাকবে না।’
মার্কিন সামরিক বাহিনী ফোরদোর বিষয়টি মাথায় রেখেই দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতিতে যেসব মহড়া হয়েছে তার সারমর্ম হলো, কেবল একটি বাংকার বাস্টার বোমা দিয়ে ফোরদো ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কয়েকটি বি২ বোমারু বিমান থেকে নিখুঁতভাবে একই জায়গায় একের পর এক বোমা ফেলতে হবে। অর্থাৎ আগের বোমার সৃষ্টি করা গর্তে পরের বোমাটি পড়ে আরও তা গভীরে ঢুকবে। আর এ অভিযানে মার্কিন পাইলট ও ক্রুদের সরাসরি অংশ নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিকল্পনায় এটাই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই নেতানিয়াহু ‘ইসরায়েলের জন্য বিপদ আসন্ন’ দাবি করে ইরানে হামলার নির্দেশ দেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীরা দ্রুত একটি বোমা বানানোর চেষ্টা করছেন ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা বড় কোনো সাফল্য পাননি। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ব্রেট ম্যাকগার্কের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ফোরদো যদি এবারের সংঘাতে টিকে যায়, তাহলে ইরান ঠিকই একদিন পারমাণবিক বোমার অধিকারী হবে। তবে তার আগে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক অবকাঠামোগুলো মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে।
ট্রাম্পের সামনে বোমা ছাড়াও আরেকটি বিকল্প রয়েছে। কিন্তু সেই বিকল্প কতটা সফল হবে, তা বলা কঠিন। ফোরদোর বিদ্যুৎ-সংযোগ কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সেন্ট্রিফিউজগুলো ধ্বংস করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, এরই মধ্যে সম্ভবত বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় নাতাঞ্জের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪ সালে বাংকার বাস্টার তৈরি শুরু করে। লক্ষ্য ছিল, তা দিয়ে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পাহাড়ে লুকানো সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই বোমার প্রথম পরীক্ষা করা হয় এবং সামরিক বাহিনীতে এটি যুক্ত হয়। নেতানিয়াহু জর্জ বুশের সময় থেকেই তাঁদের বাংকার বাস্টার দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি সফল না হলেও চাপ এখন অনেক বেড়েছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জেরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জোয়াভ গালান্ট সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘কাজটা করতেই হবে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকেই করতে হবে।’ মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম গত রোববার সিবিএসকে বলেছেন, ‘কূটনীতি সফল না হলে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন, যাতে এই অভিযান শেষে ইরানে পরমাণু কর্মসূচির ছিটেফোঁটাও না থাকে। তার অর্থ যদি হয় বোমা (বাংকার বাস্টার) সরবরাহ করা, সেটাই করতে হবে।’
কিন্তু সব রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে একমত নন। দলের যুদ্ধবিরোধী অংশটি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালে তার ফল ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো হতে পারে। অর্জনের বদলে তা বোঝা হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন গত শুক্রবার রিপাবলিকান পার্টির যুদ্ধবিরোধী এই অংশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে ত্যাগ করো, ওদের যুদ্ধ ওদেরই লড়তে দাও।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। তা আছে দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের। দৃশ্যত এ কারণেই নেতানিয়াহু শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে এ সংঘাতে সরাসরি জড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কি কূটনীতির পথ বেছে নেবেন, নাকি ইসরায়েলের উসকানিতে বাংকার বাস্টার বোমা জোগাবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্র কোম শহরের অদূরে অবস্থিত ফোরদোয়। এখানে পাথুরে মাটির অনেক নিচে আর কংক্রিটের পুরু আবরণের নিরাপত্তায় পরমাণু কর্মসূচি চলছে। তা ধ্বংস করার ক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ বোমারই রয়েছে। তার কেতাবি নাম ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর’ বা ‘জিবিইউ-৫৭’। এই বোমা ফেলতেও ব্যবহার করতে হবে বিশেষ ধরনের বি-২ বোমারু বিমান, যা ইসরায়েলের নেই।। ট্রাম্প যদি বাংকার বাস্টারের পথই বেছে নেন, তাহলে তাঁর দেশ মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়বে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি আর ইরাক বা আফগানিস্তানের মতো কোনো বিদেশি সংঘাতে জড়াবেন না।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, ট্রাম্প তাঁর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকেও বৈঠকে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ‘তেহরানের সব বাসিন্দাকে অবিলম্বে সরে যেতে’ বলেন। ট্রাম্পের এই পোস্ট আভাস দিচ্ছে, নেপথ্যে বিশেষ কূটনৈতিক কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি।
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস জানায়, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির কারণে কানাডায় চলমান জি৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফিরছেন প্রেসিডেন্ট। সে সময় ট্রাম্প বলেন, ‘এখান থেকে বিদায় নিয়েই আমরা কিছু একটা করতে চলেছি। আমাকে যেতে হবে।’ তবে ট্রাম্প ঠিক কী করবেন, তা গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে আভাস দিয়েছেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে এবং চুক্তি করতে প্রস্তুত। আরাগচি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর মতো ব্যক্তিকে থামাতে ওয়াশিংটন থেকে একটা ফোনকলই যথেষ্ট। সেটা করলেই কেবল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পুনরায় শুরুর পথ খুলবে।’
কিন্তু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যদি ব্যর্থ হয় কিংবা ইরানের শাসকগোষ্ঠী যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোদমে বন্ধে রাজি না হয়, তাহলে কী ঘটবে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো তখন ইরানের ফোরদো এবং অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসে বোমারু বিমান ওড়ানোর কথা ভাববেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ থেকে জো বাইডেন পর্যন্ত টানা চার সরকারের মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে কাজ করেছেন ব্রেট ম্যাকগার্ক। তাঁর মতে, ‘ফোরদো সব সময়ই কঠিন এক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ইসরায়েলের অভিযান যদি ফোরদোকে ঠেকাতে না পারে, তাহলে কোনো কৌশলগত অর্জন থাকবে না।’
মার্কিন সামরিক বাহিনী ফোরদোর বিষয়টি মাথায় রেখেই দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতিতে যেসব মহড়া হয়েছে তার সারমর্ম হলো, কেবল একটি বাংকার বাস্টার বোমা দিয়ে ফোরদো ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কয়েকটি বি২ বোমারু বিমান থেকে নিখুঁতভাবে একই জায়গায় একের পর এক বোমা ফেলতে হবে। অর্থাৎ আগের বোমার সৃষ্টি করা গর্তে পরের বোমাটি পড়ে আরও তা গভীরে ঢুকবে। আর এ অভিযানে মার্কিন পাইলট ও ক্রুদের সরাসরি অংশ নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিকল্পনায় এটাই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই নেতানিয়াহু ‘ইসরায়েলের জন্য বিপদ আসন্ন’ দাবি করে ইরানে হামলার নির্দেশ দেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীরা দ্রুত একটি বোমা বানানোর চেষ্টা করছেন ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা বড় কোনো সাফল্য পাননি। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ব্রেট ম্যাকগার্কের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ফোরদো যদি এবারের সংঘাতে টিকে যায়, তাহলে ইরান ঠিকই একদিন পারমাণবিক বোমার অধিকারী হবে। তবে তার আগে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক অবকাঠামোগুলো মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে।
ট্রাম্পের সামনে বোমা ছাড়াও আরেকটি বিকল্প রয়েছে। কিন্তু সেই বিকল্প কতটা সফল হবে, তা বলা কঠিন। ফোরদোর বিদ্যুৎ-সংযোগ কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সেন্ট্রিফিউজগুলো ধ্বংস করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, এরই মধ্যে সম্ভবত বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় নাতাঞ্জের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪ সালে বাংকার বাস্টার তৈরি শুরু করে। লক্ষ্য ছিল, তা দিয়ে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পাহাড়ে লুকানো সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই বোমার প্রথম পরীক্ষা করা হয় এবং সামরিক বাহিনীতে এটি যুক্ত হয়। নেতানিয়াহু জর্জ বুশের সময় থেকেই তাঁদের বাংকার বাস্টার দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি সফল না হলেও চাপ এখন অনেক বেড়েছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জেরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জোয়াভ গালান্ট সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘কাজটা করতেই হবে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকেই করতে হবে।’ মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম গত রোববার সিবিএসকে বলেছেন, ‘কূটনীতি সফল না হলে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন, যাতে এই অভিযান শেষে ইরানে পরমাণু কর্মসূচির ছিটেফোঁটাও না থাকে। তার অর্থ যদি হয় বোমা (বাংকার বাস্টার) সরবরাহ করা, সেটাই করতে হবে।’
কিন্তু সব রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে একমত নন। দলের যুদ্ধবিরোধী অংশটি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালে তার ফল ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো হতে পারে। অর্জনের বদলে তা বোঝা হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন গত শুক্রবার রিপাবলিকান পার্টির যুদ্ধবিরোধী এই অংশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে ত্যাগ করো, ওদের যুদ্ধ ওদেরই লড়তে দাও।’

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৯ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা...
১৭ জুন ২০২৫
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা...
১৭ জুন ২০২৫
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৯ মিনিট আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা...
১৭ জুন ২০২৫
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৯ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্থ দিয়েছেন তাঁর পরিচয় প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অর্থ ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন প্রদানে ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর দাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ওই দাতা ‘আমার বড় সমর্থক’ এবং ‘মার্কিন নাগরিক।’ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে, কারণ কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ। গত সপ্তাহে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেনাদের বেতন দিয়েছে, সামরিক গবেষণার বাজেট থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে এনে। তবে মাসের শেষের বেতন দিবসে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রোববার অচলাবস্থার ২৫ তম দিন পার হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থাগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দান এমন শর্তে দেওয়া হয়েছে যে তা সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে।’ তিনি জানান, দপ্তরের ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের নীতিমালা’ অনুযায়ী এই অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই দানের বিষয়টি আভাস দিয়েছিলেন, তবে তখনো দাতার নাম গোপন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি স্বীকৃতি চান না।’ শনিবার এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এক অসাধারণ ভদ্রলোক, এক দেশপ্রেমিক, এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রচারবিমুখ।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি চান না তাঁর নাম বলা হোক—যা আমার পরিচিত রাজনীতির জগতে বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে তো সবাই চায় তাদের নাম উচ্চারিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন যেন সেনারা বেতন পায়। এটা বিশাল অঙ্কের অর্থ। তিনি আমার বড় সমর্থকও বটে।’
এই অর্থ সেনাপ্রতি প্রায় ১০০ ডলারের সমান। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস প্রতিরক্ষা বাজেট পুনর্বিন্যাস করে বেতন দিতে পেরেছিল, কিন্তু ৩১ অক্টোবরের পরবর্তী বেতন দিবসে কী হবে, তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এমন কোনো বিল পাস করতে পারেনি যা সেনাদের বেতন নিশ্চিত রাখবে।
অচলাবস্থার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী ছুটিতে আছেন বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দান নৈতিকতা পর্যালোচনার আওতায় আসে, যাতে নিশ্চিত করা যায় দাতার কোনো ব্যবসায়িক দাবি, মামলা, বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনো স্বার্থ সংঘাত নেই।
বিদেশি নাগরিকের দান হলে তা আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। যদিও পেন্টাগন মাঝে মাঝে দান গ্রহণ করে, সাধারণত সেই অর্থ স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, জাদুঘর বা সমাধিক্ষেত্রের মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। তবে এবার সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে নাম-গোপন দান গ্রহণে সমালোচনা উঠেছে।
সিনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ উপকমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য, ডেলাওয়্যারের সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে নাম-গোপন দানের অর্থে চালানো এক ভয়াবহ নজির। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় যে আমাদের সৈন্যরা বিদেশি শক্তির হাতে ‘কেনা সৈন্যে’ পরিণত হচ্ছে কি না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্থ দিয়েছেন তাঁর পরিচয় প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অর্থ ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন প্রদানে ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর দাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ওই দাতা ‘আমার বড় সমর্থক’ এবং ‘মার্কিন নাগরিক।’ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে, কারণ কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ। গত সপ্তাহে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেনাদের বেতন দিয়েছে, সামরিক গবেষণার বাজেট থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে এনে। তবে মাসের শেষের বেতন দিবসে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রোববার অচলাবস্থার ২৫ তম দিন পার হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থাগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দান এমন শর্তে দেওয়া হয়েছে যে তা সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে।’ তিনি জানান, দপ্তরের ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের নীতিমালা’ অনুযায়ী এই অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই দানের বিষয়টি আভাস দিয়েছিলেন, তবে তখনো দাতার নাম গোপন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি স্বীকৃতি চান না।’ শনিবার এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এক অসাধারণ ভদ্রলোক, এক দেশপ্রেমিক, এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রচারবিমুখ।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি চান না তাঁর নাম বলা হোক—যা আমার পরিচিত রাজনীতির জগতে বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে তো সবাই চায় তাদের নাম উচ্চারিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন যেন সেনারা বেতন পায়। এটা বিশাল অঙ্কের অর্থ। তিনি আমার বড় সমর্থকও বটে।’
এই অর্থ সেনাপ্রতি প্রায় ১০০ ডলারের সমান। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস প্রতিরক্ষা বাজেট পুনর্বিন্যাস করে বেতন দিতে পেরেছিল, কিন্তু ৩১ অক্টোবরের পরবর্তী বেতন দিবসে কী হবে, তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এমন কোনো বিল পাস করতে পারেনি যা সেনাদের বেতন নিশ্চিত রাখবে।
অচলাবস্থার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী ছুটিতে আছেন বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দান নৈতিকতা পর্যালোচনার আওতায় আসে, যাতে নিশ্চিত করা যায় দাতার কোনো ব্যবসায়িক দাবি, মামলা, বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনো স্বার্থ সংঘাত নেই।
বিদেশি নাগরিকের দান হলে তা আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। যদিও পেন্টাগন মাঝে মাঝে দান গ্রহণ করে, সাধারণত সেই অর্থ স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, জাদুঘর বা সমাধিক্ষেত্রের মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। তবে এবার সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে নাম-গোপন দান গ্রহণে সমালোচনা উঠেছে।
সিনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ উপকমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য, ডেলাওয়্যারের সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে নাম-গোপন দানের অর্থে চালানো এক ভয়াবহ নজির। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় যে আমাদের সৈন্যরা বিদেশি শক্তির হাতে ‘কেনা সৈন্যে’ পরিণত হচ্ছে কি না।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা...
১৭ জুন ২০২৫
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৯ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে