গাজা নিয়ে তৈরি একটি তথ্যচিত্র প্রচার করার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে বিবিসি। দাবি করা হচ্ছে, তথ্যচিত্রটির প্রচার সংস্থাটির ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হয়েছে। দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি বিবিসি কর্তৃপক্ষ এই তথ্যচিত্র তৈরির সময় ঘটে যাওয়া ‘গুরুতর ত্রুটিগুলোর’ পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছে।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সানডে টাইমস জানিয়েছে, ‘গাজা: হাউ টু সারভাইভ অ্যা ওয়ারজোন’ নামের তথ্যচিত্রটি বিবিসি টু-তে প্রচারিত হওয়ার চার দিন পর বিবিসি আইপ্লেয়ার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। জানা যায়, তথ্যচিত্রটিতে ১৪ বছর বয়সী যে কিশোরকে কথকের ভূমিকায় দেখা যায়—সে একজন হামাস কর্মকর্তার সন্তান।
এদিকে হামাস কর্মকর্তার সন্তানের বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর তথ্যচিত্রটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব এবং সেন্সরশিপের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থী গ্যারি লিনেকারের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
তথ্যচিত্রটি নিয়ে বিবিসির সংবাদ ও সমসাময়িক বিষয় বিভাগে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ, মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী ডেবোরাহ টার্নেস।
এক বিবৃতিতে পরিচালনা পর্ষদ চলচ্চিত্র তৈরির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও স্বীকার করেছে, এটি বিবিসির জন্য গুরুতরভাবে ভাবমূর্তির ক্ষতি করেছে। তারা বলেছে, ‘পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে, ভুল হতে পারে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ভুলগুলো গুরুতর এবং বিবিসির জন্য ক্ষতিকর।’
পর্ষদ বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিভিউ’ বা তথ্য যাচাই পর্যালোচনা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি পরিচালনা করবেন পিটার জনস্টন, যিনি এর আগে বিবিসির রাসেল ব্র্যান্ড তদন্ত পরিচালনা করেছিলেন। তিনি পর্যালোচনা করবেন তথ্যচিত্র তৈরির সময় বিবিসির সম্পাদনা নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে কি না। এ ছাড়া তিনি অভিযোগগুলোও খতিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না তা বিবেচনা করবেন।
জানা গেছে, ‘হাউ টু সারভাইভ অ্যা ওয়ারজোন’ তথ্যচিত্রটি পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিবিসি আইপ্লেয়ারে ফেরত আনা হবে না।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই তথ্যচিত্র তৈরির সময় বিবিসি ও এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হোইয়ো ফিল্মস উভয়ই ‘গুরুতর ভুল’ করেছে। বিবিসি বলেছে, ‘আমাদের সাংবাদিকতায় দর্শকদের বিশ্বাসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনায় সেই বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও তথ্যচিত্রটির উদ্দেশ্য আমাদের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু এর প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন আমাদের মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খায়নি।’
বিবিসি জানিয়েছে, হোইয়ো ফিল্মস তথ্যচিত্রটির কথকের পরিবার সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও বিষয়টি গোপন রেখেছিল। যদিও বিবিসি একাধিকবার এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিল।
এক বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘প্রচারিত হওয়ার পর হোইয়ো স্বীকার করেছে যে, তারা জানত ওই বালকের বাবা হামাস সরকারের উপ-মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু বিবিসির নিজেরও ব্যর্থতা ছিল। কারণ আমরা এই তথ্য যথাযথভাবে যাচাই করতে পারিনি এবং তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারিত হয়েছে।’
বিবিসি জানিয়েছে, তথ্যচিত্রটি তৈরির জন্য সীমিত পরিমাণ অর্থ কিশোরের মায়ের কাছে পাঠানো হয়েছিল, যা তার বোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এই লেনদেন খতিয়ে দেখতে বিবিসি এখন তার হিসাব পর্যালোচনা করছে।
বিবিসির পর্যালোচনায় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে হোইয়ো ফিল্মস। এ্যামি পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক জেমি রবার্টস এটি পরিচালনা করেন।
গাজা নিয়ে তৈরি একটি তথ্যচিত্র প্রচার করার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে বিবিসি। দাবি করা হচ্ছে, তথ্যচিত্রটির প্রচার সংস্থাটির ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হয়েছে। দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি বিবিসি কর্তৃপক্ষ এই তথ্যচিত্র তৈরির সময় ঘটে যাওয়া ‘গুরুতর ত্রুটিগুলোর’ পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছে।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সানডে টাইমস জানিয়েছে, ‘গাজা: হাউ টু সারভাইভ অ্যা ওয়ারজোন’ নামের তথ্যচিত্রটি বিবিসি টু-তে প্রচারিত হওয়ার চার দিন পর বিবিসি আইপ্লেয়ার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। জানা যায়, তথ্যচিত্রটিতে ১৪ বছর বয়সী যে কিশোরকে কথকের ভূমিকায় দেখা যায়—সে একজন হামাস কর্মকর্তার সন্তান।
এদিকে হামাস কর্মকর্তার সন্তানের বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর তথ্যচিত্রটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব এবং সেন্সরশিপের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থী গ্যারি লিনেকারের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
তথ্যচিত্রটি নিয়ে বিবিসির সংবাদ ও সমসাময়িক বিষয় বিভাগে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ, মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী ডেবোরাহ টার্নেস।
এক বিবৃতিতে পরিচালনা পর্ষদ চলচ্চিত্র তৈরির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও স্বীকার করেছে, এটি বিবিসির জন্য গুরুতরভাবে ভাবমূর্তির ক্ষতি করেছে। তারা বলেছে, ‘পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে, ভুল হতে পারে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ভুলগুলো গুরুতর এবং বিবিসির জন্য ক্ষতিকর।’
পর্ষদ বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিভিউ’ বা তথ্য যাচাই পর্যালোচনা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি পরিচালনা করবেন পিটার জনস্টন, যিনি এর আগে বিবিসির রাসেল ব্র্যান্ড তদন্ত পরিচালনা করেছিলেন। তিনি পর্যালোচনা করবেন তথ্যচিত্র তৈরির সময় বিবিসির সম্পাদনা নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে কি না। এ ছাড়া তিনি অভিযোগগুলোও খতিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না তা বিবেচনা করবেন।
জানা গেছে, ‘হাউ টু সারভাইভ অ্যা ওয়ারজোন’ তথ্যচিত্রটি পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিবিসি আইপ্লেয়ারে ফেরত আনা হবে না।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই তথ্যচিত্র তৈরির সময় বিবিসি ও এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হোইয়ো ফিল্মস উভয়ই ‘গুরুতর ভুল’ করেছে। বিবিসি বলেছে, ‘আমাদের সাংবাদিকতায় দর্শকদের বিশ্বাসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনায় সেই বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও তথ্যচিত্রটির উদ্দেশ্য আমাদের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু এর প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন আমাদের মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খায়নি।’
বিবিসি জানিয়েছে, হোইয়ো ফিল্মস তথ্যচিত্রটির কথকের পরিবার সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও বিষয়টি গোপন রেখেছিল। যদিও বিবিসি একাধিকবার এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিল।
এক বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘প্রচারিত হওয়ার পর হোইয়ো স্বীকার করেছে যে, তারা জানত ওই বালকের বাবা হামাস সরকারের উপ-মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু বিবিসির নিজেরও ব্যর্থতা ছিল। কারণ আমরা এই তথ্য যথাযথভাবে যাচাই করতে পারিনি এবং তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারিত হয়েছে।’
বিবিসি জানিয়েছে, তথ্যচিত্রটি তৈরির জন্য সীমিত পরিমাণ অর্থ কিশোরের মায়ের কাছে পাঠানো হয়েছিল, যা তার বোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এই লেনদেন খতিয়ে দেখতে বিবিসি এখন তার হিসাব পর্যালোচনা করছে।
বিবিসির পর্যালোচনায় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে হোইয়ো ফিল্মস। এ্যামি পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক জেমি রবার্টস এটি পরিচালনা করেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
৪ ঘণ্টা আগে