জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদন
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মুক্তি দেওয়ার জন্য ৩৪ জনের তালিকা হামাসকে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি বলেছে, এই বন্দীদের অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। তবে হামাস জানিয়েছে, এই তালিকায় থাকা ১১ জন তাদের শর্ত পূরণ করে না। গতকাল শনিবার রাতে মিসরের সম্প্রচারমাধ্যম আল-ঘাদ দেশটির সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে বিষয়টি জানিয়েছে। একই সঙ্গে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আল-ঘাদকে মিসরের সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলের তালিকায় থাকা কিছু বন্দীকে হামাস সৈনিক হিসেবে বিবেচনা করছে—তাই তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা কেবল অসুস্থ, বৃদ্ধ এবং শিশুদের মুক্তি দেবে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বন্দীদের বিনিময়ে ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। যেমন—রাফা সীমান্ত পয়েন্ট, নেতজারিম পয়েন্ট থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীদের উত্তর গাজা উপত্যকায় প্রত্যাবর্তনের সুযোগ।
হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে এই আলোচনা সরাসরি অনুষ্ঠিত হয়নি বরং মিসরীয় কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় হয়েছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসরে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং শনিবার বলেছেন, ‘কায়রোতে কোনো ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল যাচ্ছে না বা যাওয়ার পরিকল্পনাও নেই।’
এদিকে, হামাস ও ইসরায়েল ফিলাডেলফি করিডর থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের শর্ত নিয়েও আলোচনা করছে। আল-ঘাদ জানিয়েছে, শুক্রবার একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে কায়রো পৌঁছায় এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
মিসরের পক্ষ থেকে আলোচনায় রাফা সীমান্ত, ফিলাডেলফি ও নেতজারিম অক্ষের ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আল-ঘাদের প্রতিবেদনে আরও বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোতে একটি মিসরীয়-কাতারি-আমেরিকান-ইসরায়েলি বৈঠকের ব্যবস্থা চলছে।’
এদিকে, গতকাল শনিবার হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েল নতুন শর্ত আরোপ বন্ধ করলে চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।’ শুক্রবার হামাসের একটি প্রতিনিধি দল—যার নেতৃত্ব দেন বন্দী চুক্তি ও যুদ্ধবিরতির আলোচনাকারী দলের প্রধান খলিল আল-হাইয়্যা—ইসলামি জিহাদ ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিএফএলপি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন।
শনিবার এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ নিয়ে আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ফিলাডেলফি করিডর এবং ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে একটি বাফার জোন তৈরি করার সম্ভাবনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দোহায় চলমান যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আলোচনা তুলে ধরে ওই কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় গাজার সীমান্ত বরাবর কয়েক কিলোমিটার চওড়া একটি বাফার জোন তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। এই অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক উপস্থিতি থাকবে। এসব আলোচনায় সমাধান পেলে, তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
এই চুক্তির অধীনে প্রথম পর্যায়ে প্রতি নারী সৈন্যর বিনিময়ে ২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। বন্দীদের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে শাস্তি ভোগ করছেন এমন প্রায় ৪০০ জন বন্দীর তালিকা থেকে নির্বাচিত হবে।
ইসরায়েলি জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে। কারণ হামাস এখনো কিছু নিখোঁজ জিম্মিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। গাজায় থাকা ৯৬ জিম্মির মধ্যে এখন ৬২ জন জীবিত আছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাব অনুযায়ী মিসর বা কাতারের তত্ত্বাবধানে গাজার বেসামরিক জনগণ উত্তরাঞ্চলে ফিরতে পারবে এবং প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক সাহায্য নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে।
তিন ধাপের ওই পরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে, ১৪ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে গাজা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে। এই কমিটির সদস্যরা আগে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না, তবে সব ফিলিস্তিনি দলের সমর্থন পাবেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মুক্তি দেওয়ার জন্য ৩৪ জনের তালিকা হামাসকে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি বলেছে, এই বন্দীদের অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। তবে হামাস জানিয়েছে, এই তালিকায় থাকা ১১ জন তাদের শর্ত পূরণ করে না। গতকাল শনিবার রাতে মিসরের সম্প্রচারমাধ্যম আল-ঘাদ দেশটির সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে বিষয়টি জানিয়েছে। একই সঙ্গে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আল-ঘাদকে মিসরের সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলের তালিকায় থাকা কিছু বন্দীকে হামাস সৈনিক হিসেবে বিবেচনা করছে—তাই তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা কেবল অসুস্থ, বৃদ্ধ এবং শিশুদের মুক্তি দেবে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বন্দীদের বিনিময়ে ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। যেমন—রাফা সীমান্ত পয়েন্ট, নেতজারিম পয়েন্ট থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীদের উত্তর গাজা উপত্যকায় প্রত্যাবর্তনের সুযোগ।
হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে এই আলোচনা সরাসরি অনুষ্ঠিত হয়নি বরং মিসরীয় কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় হয়েছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসরে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং শনিবার বলেছেন, ‘কায়রোতে কোনো ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল যাচ্ছে না বা যাওয়ার পরিকল্পনাও নেই।’
এদিকে, হামাস ও ইসরায়েল ফিলাডেলফি করিডর থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের শর্ত নিয়েও আলোচনা করছে। আল-ঘাদ জানিয়েছে, শুক্রবার একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে কায়রো পৌঁছায় এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
মিসরের পক্ষ থেকে আলোচনায় রাফা সীমান্ত, ফিলাডেলফি ও নেতজারিম অক্ষের ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আল-ঘাদের প্রতিবেদনে আরও বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোতে একটি মিসরীয়-কাতারি-আমেরিকান-ইসরায়েলি বৈঠকের ব্যবস্থা চলছে।’
এদিকে, গতকাল শনিবার হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েল নতুন শর্ত আরোপ বন্ধ করলে চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।’ শুক্রবার হামাসের একটি প্রতিনিধি দল—যার নেতৃত্ব দেন বন্দী চুক্তি ও যুদ্ধবিরতির আলোচনাকারী দলের প্রধান খলিল আল-হাইয়্যা—ইসলামি জিহাদ ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিএফএলপি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন।
শনিবার এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ নিয়ে আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ফিলাডেলফি করিডর এবং ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে একটি বাফার জোন তৈরি করার সম্ভাবনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দোহায় চলমান যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আলোচনা তুলে ধরে ওই কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় গাজার সীমান্ত বরাবর কয়েক কিলোমিটার চওড়া একটি বাফার জোন তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। এই অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক উপস্থিতি থাকবে। এসব আলোচনায় সমাধান পেলে, তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
এই চুক্তির অধীনে প্রথম পর্যায়ে প্রতি নারী সৈন্যর বিনিময়ে ২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। বন্দীদের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে শাস্তি ভোগ করছেন এমন প্রায় ৪০০ জন বন্দীর তালিকা থেকে নির্বাচিত হবে।
ইসরায়েলি জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে। কারণ হামাস এখনো কিছু নিখোঁজ জিম্মিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। গাজায় থাকা ৯৬ জিম্মির মধ্যে এখন ৬২ জন জীবিত আছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাব অনুযায়ী মিসর বা কাতারের তত্ত্বাবধানে গাজার বেসামরিক জনগণ উত্তরাঞ্চলে ফিরতে পারবে এবং প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক সাহায্য নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে।
তিন ধাপের ওই পরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে, ১৪ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে গাজা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে। এই কমিটির সদস্যরা আগে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না, তবে সব ফিলিস্তিনি দলের সমর্থন পাবেন।
এত ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ অসম্ভবই মনে হয়। তবে এবার সৌদি সরকারের তত্ত্বাবধানে ‘দুই পবিত্র মসজিদের সার্বিক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’র আওতায় পরিচালিত এআই প্রযুক্তি এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে। সৌদির ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, ‘অনুবাদ এখন কেবল প্রযুক্তিগত একটি ফিচার নয়, এটি আধ্যাত্মিক সেতুবন্ধন।’
৯ ঘণ্টা আগেসাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। আর এই ফোনালাপটি হয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের সাহসী ড্রোন হামলার পর। এই হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটিগুলোকে টার্গেট করেছিল ইউক্রেন।
৯ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চলতি বছরের সন্ত্রাস দমন কমিটিতে সহসভাপতিত্ব করবে পাকিস্তান। এ বছর নিরাপত্তা পরিষদের ওই কমিটিতে সভাপতিত্ব করবে আলজেরিয়া। পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়া ও ফ্রান্স ওই কমিটিতে সহসভাপতিত্ব করবে। এ ছাড়া আফগানিস্তানের তালেবানের ওপর নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের
১০ ঘণ্টা আগেআইপিএলে ১৮ বছর পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) প্রথম শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতেছিল পুরো বেঙ্গালুরু। কিন্তু সেই উন্মাদনা রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায়। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
১১ ঘণ্টা আগে