অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণভাবে দখলের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পথ ঠিক করা হয়েছে—আমরা পুরো গাজা দখলের পথে যাচ্ছি এবং হামাসকে পরাজিত করব।’
তবে বিবিসি জানিয়েছে, এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধানসহ সামরিক বাহিনীর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা। সরকারি ওই কর্মকর্তা এই বিষয়ে বলেন, ‘যদি এটা সেনাপ্রধানের পছন্দ না হয়, তাহলে তাঁর উচিত পদত্যাগ করা।’
বন্দীদের পরিবারগুলোর শঙ্কা, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে গাজায় জিম্মি হয়ে থাকা ২০ জনের জীবন আরও হুমকিতে পড়বে। ইসরায়েলি জনমত জরিপ অনুযায়ী, ৭৫ শতাংশ মানুষ যুদ্ধবিরতির পক্ষে এবং তাঁরা চান বন্দীদের ফিরিয়ে আনার চুক্তি হোক।
এদিকে, ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ বহু মিত্র দেশও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে। কারণ এতে যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা ও মানবিক সহায়তার পথে বাধা তৈরি হবে। এমনকি গত সোমবার (৪ আগস্ট) প্রায় ২০০ অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়ে নেতানিয়াহুর ওপর চাপ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন। এসব কর্মকর্তার মধ্যে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানেরাও আছেন।
সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আমি আয়ালোন বিবিসিকে বলেন, ‘সামরিক দিক থেকে হামাস ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু একটি মতবাদ হিসেবে তা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’ তাঁর মতে, হামাসকে আদর্শিকভাবে পরাজিত করতে হলে ভবিষ্যতের একটি ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে হবে।
সম্প্রতি গাজায় হামাসের হাতে আটক দুই ইসরায়েলি বন্দীর দুর্বল ও ক্ষীণ চেহারার ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। এটি ইসরায়েল জুড়ে ক্ষোভ তৈরি করেছে। এ অবস্থায় নেতানিয়াহুর পরিকল্পনাকে কেউ কেউ কৌশলগত চাপ প্রয়োগ হিসেবেও দেখছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে গাজার ৭৫ শতাংশ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে নতুন পরিকল্পনায় পুরো গাজা দখলের কথা বলা হচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দার মধ্যে ৯০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত এবং অনেকে না খেয়ে আছেন।
পশ্চিম তীর শাসনকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজা দখলের এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। ফিলিস্তিনিরা বলছে, কট্টর ডানপন্থী ইসরায়েলি নেতারা গাজা সম্পূর্ণ দখল ও ইহুদি বসতি গড়ে তুলতে চায়।
প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন আন্তর্জাতিক মহলে দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান আবারও আলোচনায় এসেছে। যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
জানা গেছে, নেতানিয়াহু শিগগিরই তাঁর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সঙ্গে গাজা দখলের বিষয়ে আলোচনা করবেন। ইসরায়েলি সামরিক রেডিও জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শরণার্থীশিবির ঘিরে বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা নেতানিয়াহুর এ সিদ্ধান্তকে ঝুঁকিপূর্ণ ও কৌশলগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হিসেবে দেখছেন। ইয়েদিয়থ আহরোনোথ পত্রিকার এক কলাম লেখক বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু কখনো এত বড় জুয়া খেলেননি। ২২ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর নেতানিয়াহুর প্রতিশ্রুতি আর আগের মতো বিশ্বাসযোগ্য নয়—যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণভাবে দখলের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পথ ঠিক করা হয়েছে—আমরা পুরো গাজা দখলের পথে যাচ্ছি এবং হামাসকে পরাজিত করব।’
তবে বিবিসি জানিয়েছে, এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধানসহ সামরিক বাহিনীর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা। সরকারি ওই কর্মকর্তা এই বিষয়ে বলেন, ‘যদি এটা সেনাপ্রধানের পছন্দ না হয়, তাহলে তাঁর উচিত পদত্যাগ করা।’
বন্দীদের পরিবারগুলোর শঙ্কা, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে গাজায় জিম্মি হয়ে থাকা ২০ জনের জীবন আরও হুমকিতে পড়বে। ইসরায়েলি জনমত জরিপ অনুযায়ী, ৭৫ শতাংশ মানুষ যুদ্ধবিরতির পক্ষে এবং তাঁরা চান বন্দীদের ফিরিয়ে আনার চুক্তি হোক।
এদিকে, ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ বহু মিত্র দেশও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে। কারণ এতে যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা ও মানবিক সহায়তার পথে বাধা তৈরি হবে। এমনকি গত সোমবার (৪ আগস্ট) প্রায় ২০০ অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়ে নেতানিয়াহুর ওপর চাপ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন। এসব কর্মকর্তার মধ্যে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানেরাও আছেন।
সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আমি আয়ালোন বিবিসিকে বলেন, ‘সামরিক দিক থেকে হামাস ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু একটি মতবাদ হিসেবে তা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’ তাঁর মতে, হামাসকে আদর্শিকভাবে পরাজিত করতে হলে ভবিষ্যতের একটি ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে হবে।
সম্প্রতি গাজায় হামাসের হাতে আটক দুই ইসরায়েলি বন্দীর দুর্বল ও ক্ষীণ চেহারার ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। এটি ইসরায়েল জুড়ে ক্ষোভ তৈরি করেছে। এ অবস্থায় নেতানিয়াহুর পরিকল্পনাকে কেউ কেউ কৌশলগত চাপ প্রয়োগ হিসেবেও দেখছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে গাজার ৭৫ শতাংশ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে নতুন পরিকল্পনায় পুরো গাজা দখলের কথা বলা হচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দার মধ্যে ৯০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত এবং অনেকে না খেয়ে আছেন।
পশ্চিম তীর শাসনকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজা দখলের এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। ফিলিস্তিনিরা বলছে, কট্টর ডানপন্থী ইসরায়েলি নেতারা গাজা সম্পূর্ণ দখল ও ইহুদি বসতি গড়ে তুলতে চায়।
প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন আন্তর্জাতিক মহলে দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান আবারও আলোচনায় এসেছে। যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
জানা গেছে, নেতানিয়াহু শিগগিরই তাঁর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সঙ্গে গাজা দখলের বিষয়ে আলোচনা করবেন। ইসরায়েলি সামরিক রেডিও জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শরণার্থীশিবির ঘিরে বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা নেতানিয়াহুর এ সিদ্ধান্তকে ঝুঁকিপূর্ণ ও কৌশলগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হিসেবে দেখছেন। ইয়েদিয়থ আহরোনোথ পত্রিকার এক কলাম লেখক বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু কখনো এত বড় জুয়া খেলেননি। ২২ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর নেতানিয়াহুর প্রতিশ্রুতি আর আগের মতো বিশ্বাসযোগ্য নয়—যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য।’
ইরানে নারীদের ওপর দুইটি পৃথক সহিংস হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেশজুড়ে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার তৈরি হয়েছে। একটি ভিডিওতে রাস্তায় এক নারীকে ভয়াবহভাবে নির্যাতন এবং অপরটিতে একটি পেশাদার সভায় নারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত অবৈধ কন্যা এলিজাভেটা ক্রিভোনোগিখ ব্যক্তিগত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে আবেগঘন পোস্ট করে আবারও আলোচনায় এসেছেন। তিনি এই পোস্টে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘যে লোক কোটি কোটি মানুষের জীবন নিয়েছে, সে আমার জীবনও ধ্বংস করে দিয়েছে।’
৬ ঘণ্টা আগেহাবিবুল্লাহ খাত্তি এখন তাঁর পরিবারকে নিয়ে কাছের করাচি শহরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাকিস্তানের বৃহত্তম এ শহরে সিন্ধু বদ্বীপসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে।
৭ ঘণ্টা আগেরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া যুদ্ধবিরতির আলটিমেটাম মানবেন না এবং ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল—দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন সম্পূর্ণভাবে দখলে নেওয়ার লক্ষ্যে তিনি অটল রয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে