লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হ্যানিবল গাদ্দাফিকে লেবাননের কারা হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে লিবিয়ার বর্তমান সরকার। সম্প্রতি লেবাননের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড কারাগারে নিজের দুরবস্থার বর্ণনা করছেন—হ্যানিবলের এমন একটি ভিডিও প্রকাশের পর তাঁর মুক্তি দাবি করেছে লিবিয়া।
এ বিষয়ে সোমবার দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যানিবল গাদ্দাফি ২০১৫ সাল থেকে লেবাননের কারাগারে বন্দী আছেন। কারাগারে নিজের দুর্দশার জন্য অনশন করলে গত বছর তাঁকে অন্তত তিনবার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৭৮ সালে লিবিয়া সফরে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া লেবাননের একজন শিয়া ধর্মগুরুর বিষয়ে তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে হ্যানিবল বলছেন—যে সময়ে শিয়া ধর্মগুরু নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। ফলে এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানার কথা নয়। তাঁকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।
লেবাননে আটক হ্যানিবলের বিষয়ে লিবিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় বলেছে, গাদ্দাফিকে অবশ্যই নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। কারণ যে মামলার জন্য তাঁকে আটক করা হয়েছে সেই ঘটনার সঙ্গে তাঁর যুক্ত থাকার সামান্যতম প্রমাণ নেই।
এ বিষয়ে লেবাননের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়ারও আশা করছে লিবিয়া।
গত সপ্তাহেই লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-জাদেদের প্রকাশিত একটি ফুটেজে হ্যানিবল বলেন, ‘আমি অপমানিত জীবনযাপন করছি। আমি একজন রাজনৈতিক বন্দী এবং আমার মামলাটি এমন একটি ফাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত যে সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’
বহু বছর আগে নিখোঁজ শিয়া ধর্মগুরুর বিষয়ে হ্যানিবল বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে জানিয়েছিলেন, ইমাম মুসা আল সদর লিবিয়া ছেড়ে রোমে চলে গেছেন এবং সেখানে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন।’
মুয়াম্মার গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিপ্লব শুরু হলে তাঁর পুত্র হ্যানিবল ২০১১ সালে লিবিয়া ছেড়ে পালান। পরে তিনি সিরিয়ায় তাঁর লেবানিজ স্ত্রীর সঙ্গে আত্মগোপন করে ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে একটি স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী তাঁকে অপহরণ করে লেবাননের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছিল, হ্যানিবলকে ভুয়া অভিযোগে বিচারের আগে আটকে রাখা হয়েছে।
গত বছর, লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল সিদ্দিক আল সৌর তার লেবানিজ সমকক্ষের কাছে একটি অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি হ্যানিবলকে বন্দী করে রাখার কারণ জানতে চেয়েছিলেন এবং তাঁকে লিবিয়ার কাছে হস্তান্তর কিংবা সিরিয়ায় যেতে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ মুসা আল সদর আমাল আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কিত এবং লেবাননের শিয়া মুসলিম রাজনীতিতে প্রভাবশালী হিসেবে খ্যাত।
লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হ্যানিবল গাদ্দাফিকে লেবাননের কারা হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে লিবিয়ার বর্তমান সরকার। সম্প্রতি লেবাননের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড কারাগারে নিজের দুরবস্থার বর্ণনা করছেন—হ্যানিবলের এমন একটি ভিডিও প্রকাশের পর তাঁর মুক্তি দাবি করেছে লিবিয়া।
এ বিষয়ে সোমবার দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যানিবল গাদ্দাফি ২০১৫ সাল থেকে লেবাননের কারাগারে বন্দী আছেন। কারাগারে নিজের দুর্দশার জন্য অনশন করলে গত বছর তাঁকে অন্তত তিনবার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৭৮ সালে লিবিয়া সফরে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া লেবাননের একজন শিয়া ধর্মগুরুর বিষয়ে তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে হ্যানিবল বলছেন—যে সময়ে শিয়া ধর্মগুরু নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। ফলে এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানার কথা নয়। তাঁকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।
লেবাননে আটক হ্যানিবলের বিষয়ে লিবিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় বলেছে, গাদ্দাফিকে অবশ্যই নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। কারণ যে মামলার জন্য তাঁকে আটক করা হয়েছে সেই ঘটনার সঙ্গে তাঁর যুক্ত থাকার সামান্যতম প্রমাণ নেই।
এ বিষয়ে লেবাননের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়ারও আশা করছে লিবিয়া।
গত সপ্তাহেই লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-জাদেদের প্রকাশিত একটি ফুটেজে হ্যানিবল বলেন, ‘আমি অপমানিত জীবনযাপন করছি। আমি একজন রাজনৈতিক বন্দী এবং আমার মামলাটি এমন একটি ফাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত যে সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’
বহু বছর আগে নিখোঁজ শিয়া ধর্মগুরুর বিষয়ে হ্যানিবল বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে জানিয়েছিলেন, ইমাম মুসা আল সদর লিবিয়া ছেড়ে রোমে চলে গেছেন এবং সেখানে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন।’
মুয়াম্মার গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিপ্লব শুরু হলে তাঁর পুত্র হ্যানিবল ২০১১ সালে লিবিয়া ছেড়ে পালান। পরে তিনি সিরিয়ায় তাঁর লেবানিজ স্ত্রীর সঙ্গে আত্মগোপন করে ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে একটি স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী তাঁকে অপহরণ করে লেবাননের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছিল, হ্যানিবলকে ভুয়া অভিযোগে বিচারের আগে আটকে রাখা হয়েছে।
গত বছর, লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল সিদ্দিক আল সৌর তার লেবানিজ সমকক্ষের কাছে একটি অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি হ্যানিবলকে বন্দী করে রাখার কারণ জানতে চেয়েছিলেন এবং তাঁকে লিবিয়ার কাছে হস্তান্তর কিংবা সিরিয়ায় যেতে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ মুসা আল সদর আমাল আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কিত এবং লেবাননের শিয়া মুসলিম রাজনীতিতে প্রভাবশালী হিসেবে খ্যাত।
চাঞ্চল্যকর এক অভিযোগে অ্যাপস্টেইন ফাইলসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম থাকার কথা বলেছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ মাস্ক লিখেছেন, ‘এবার সময় এসেছে বড় বিস্ফোরণের—অ্যাপস্টেইন ফাইলসে ট্রাম্পও আছেন।’
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গে আর কোনো ধরনের আলোচনা করতে আগ্রহী নন। সম্প্রতি করছাড় বিল নিয়ে এই দুই ব্যক্তির মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার তাদের মধ্যে ফোনালাপের কথা ছিল। তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প-মাস্
৯ ঘণ্টা আগেভারত-কানাডা সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কানাডার কানানাসকিসে অনুষ্ঠিতব্য জি-৭ সম্মেলনে (১৫-১৭ জুন) আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। ট্রুডোর পদত্যাগের আগে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। সেই অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে নতুন প্রধান
৯ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা ইসলামের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার সূচনা করল চরম অনিশ্চয়তা ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে খোলা আকাশের নিচে তাঁরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছে।
১০ ঘণ্টা আগে