অনলাইন ডেস্ক
এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন পার্টির সদস্য ড্যান ইলাউজ। ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েল কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে না। একমাত্র যে চুক্তিতে ইসরায়েল স্বাক্ষর করতে পারে, তা হলো ইরানের আত্মসমর্পণ চুক্তি।’
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে এ তথ্য। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো চুক্তি করা যায় না। এটি এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যাকে পরাজিত করতেই হবে। যদি তা না করা যায়, তাহলে তারা নতুন উপায়ে আবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করবে।’
ইসরায়েলের ডানপন্থী দল ‘ইসরায়েল বেইতেনু’র প্রধান ও সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অবিগদোর লাইবারম্যানও যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে বিপজ্জনক ভুল বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, ইরান সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের সমঝোতা ইসরায়েলের জন্য ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ যুদ্ধ ডেকে আনবে।
এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে লাইবারম্যান লিখেছেন, ‘আঘাতপ্রাপ্ত সিংহকে ছেড়ে দেওয়ার চেয়ে বিপজ্জনক কিছু নেই। এটি নিশ্চিতভাবে আমাদের আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আরও একটি যুদ্ধের মুখোমুখি করবে, যা আরও বিপজ্জনক হবে আমাদের জন্য।’
নানা নাটকীয়তার পর আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইরান ও ইসরায়েল।
ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলায় ১২ দিন ধরে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বিবদমান দুই পক্ষ। তবে, ইরান বা ইসরায়েল কোনো পক্ষই এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি। কিছুক্ষণ পর ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক মাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে কোনো যুদ্ধবিরতি হয়নি। কিন্তু, ইসরায়েল যদি আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে ইরানও হামলা থামাবে।
এর কিছুক্ষণ পরই এক্সে আরেকটি পোস্ট করে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেন, ‘শেষ মুহূর্ত ভোর ৪টা পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সব ইরানির সঙ্গে আমিও আমাদের সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই যোদ্ধারা দেশের প্রতিরক্ষায় শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াইয়ে প্রস্তুত থাকে। এবং শত্রুর প্রতিটি হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়ে এসেছে তারা।’
আরাঘচির এই পোস্টের পরই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে মুহুর্মুহু হামলা চালানো শুরু করে ইরান। একের পর এক মিসাইল ব্যারেজ আঘাত হানতে শুরু করে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে। এক ঘণ্টার ব্যবধানে ৬ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেহরান। শেষ মুহূর্তে ইরানের হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বিরশেবায় নিহত হয়েছে তিনজন, আহত আরও অনেকে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের আরও এক পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি। সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, নিহত ওই বিজ্ঞানীর নাম সেদিঘি সাবের। এর আগে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইরাকের চারটি স্থানে হামলার ঘটনা ঘটে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদের উত্তরে তাজি সামরিক ঘাঁটি, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা ভিক্টরি ঘাঁটি, বালাদ সামরিক ঘাঁটি ও ইমাম আলি ঘাঁটিতে চালানো হয় এসব হামলা। তবে, এই হামলার পেছনে ইরান নেই বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তাদের ভাষ্য—চলমান উত্তেজনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এসব হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন পার্টির সদস্য ড্যান ইলাউজ। ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েল কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে না। একমাত্র যে চুক্তিতে ইসরায়েল স্বাক্ষর করতে পারে, তা হলো ইরানের আত্মসমর্পণ চুক্তি।’
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে এ তথ্য। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো চুক্তি করা যায় না। এটি এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যাকে পরাজিত করতেই হবে। যদি তা না করা যায়, তাহলে তারা নতুন উপায়ে আবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করবে।’
ইসরায়েলের ডানপন্থী দল ‘ইসরায়েল বেইতেনু’র প্রধান ও সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অবিগদোর লাইবারম্যানও যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে বিপজ্জনক ভুল বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, ইরান সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের সমঝোতা ইসরায়েলের জন্য ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ যুদ্ধ ডেকে আনবে।
এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে লাইবারম্যান লিখেছেন, ‘আঘাতপ্রাপ্ত সিংহকে ছেড়ে দেওয়ার চেয়ে বিপজ্জনক কিছু নেই। এটি নিশ্চিতভাবে আমাদের আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আরও একটি যুদ্ধের মুখোমুখি করবে, যা আরও বিপজ্জনক হবে আমাদের জন্য।’
নানা নাটকীয়তার পর আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইরান ও ইসরায়েল।
ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলায় ১২ দিন ধরে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বিবদমান দুই পক্ষ। তবে, ইরান বা ইসরায়েল কোনো পক্ষই এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি। কিছুক্ষণ পর ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক মাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে কোনো যুদ্ধবিরতি হয়নি। কিন্তু, ইসরায়েল যদি আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে ইরানও হামলা থামাবে।
এর কিছুক্ষণ পরই এক্সে আরেকটি পোস্ট করে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেন, ‘শেষ মুহূর্ত ভোর ৪টা পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সব ইরানির সঙ্গে আমিও আমাদের সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই যোদ্ধারা দেশের প্রতিরক্ষায় শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াইয়ে প্রস্তুত থাকে। এবং শত্রুর প্রতিটি হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়ে এসেছে তারা।’
আরাঘচির এই পোস্টের পরই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে মুহুর্মুহু হামলা চালানো শুরু করে ইরান। একের পর এক মিসাইল ব্যারেজ আঘাত হানতে শুরু করে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে। এক ঘণ্টার ব্যবধানে ৬ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেহরান। শেষ মুহূর্তে ইরানের হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বিরশেবায় নিহত হয়েছে তিনজন, আহত আরও অনেকে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের আরও এক পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি। সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, নিহত ওই বিজ্ঞানীর নাম সেদিঘি সাবের। এর আগে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইরাকের চারটি স্থানে হামলার ঘটনা ঘটে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদের উত্তরে তাজি সামরিক ঘাঁটি, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা ভিক্টরি ঘাঁটি, বালাদ সামরিক ঘাঁটি ও ইমাম আলি ঘাঁটিতে চালানো হয় এসব হামলা। তবে, এই হামলার পেছনে ইরান নেই বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তাদের ভাষ্য—চলমান উত্তেজনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এসব হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হদিস না মেলা ইউরেনিয়ামকে ইরানের জন্য শক্তিশালী দর-কষাকষির অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় ফিরতে চায়।
১৪ মিনিট আগেইসরায়েল ফের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার যে দাবি করেছে, সেটি ভুয়া বলে জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেইরান আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্লেষক সৈয়দ মোহাম্মাদ মারান্দি ইজাদি আল-জাজিরাকে বলেন, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা করেও কোনো লাভ হয়নি—এমন অভিযোগ তুলে
৩ ঘণ্টা আগেইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং এই কর্মসূচি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পারমাণবিক সংস্থা প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
৩ ঘণ্টা আগে