আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক সপ্তাহ না যেতেই আবার লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি গ্রামে চালানো এই হামলায় অন্তত ১১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি সেনাচৌকি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এর জবাবে তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে। তবে আইডিএফের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হিজবুল্লাহ। তারা বলছে, আবার লেবাননে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েলই প্রথম যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ওই হামলায় যে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জবাবে ‘প্রতিরক্ষামূলক সতর্কতা’ হিসেবে ইসরায়েলি একটি সেনাচৌকি লক্ষ্য করে মর্টার হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইসরায়েলের মাউন্ট ডোভ এলাকায় চালানো ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
হিজবুল্লাহর হামলাকে ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েল ‘শক্তভাবে’ এর জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছে আইডিএফ। বিচ্ছিন্ন এসব সংঘাত একপর্যায়ে যুদ্ধে রূপ নেয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় গত ২৭ নভেম্বর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। যদিও চুক্তি ঘোষণার সময় নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হিজবুল্লাহ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে পাল্টা হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না আইডিএফ। এরপর সোমবার পাল্টাপাল্টি হামলাকে কেন্দ্র করে নতুন করে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, গত ২৭ নভেম্বর যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল, সেটির মাধ্যমে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে আশা করা হয়েছিল। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, লেবাননে বেসামরিক, সামরিক বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ইসরায়েল আক্রমণাত্মক কোনো সামরিক অভিযান চালাবে না। এর বিপরীতে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলে কোনো হামলা চালাবে না। লেবাননের অন্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীও যদি ইসরায়েলে হামলা চালাতে চায়, সেখানেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে হিজবুল্লাহ।
চুক্তিতে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে নিজেদের সশস্ত্র উপস্থিতি তুলে নিতে হিজবুল্লাহকে ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলও লেবানন থেকে তাদের সেনাসদস্যদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। চুক্তি কার্যকরের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের বিদ্যমান প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়ার বিষয়েও একমত হয় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ উঠলে পক্ষগুলোর সেটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানোর কথা।
চুক্তি অনুযায়ী, লেবাননের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা থাকবে না। তবে মার্কিন ও ফরাসি বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং যোগাযোগের মাধ্যমে লেবাননের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও অন্য দেশগুলো লেবাননের সামরিক বাহিনীকে একটি সামরিক কারিগরি কমিটির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দেবে।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার সময় নিজের ভাষণে নেতানিয়াহু প্রধানত তিনটি কারণ বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন। সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল ইরানের হুমকির প্রতি মনোযোগ দেওয়া। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু না বললেও তিনি উল্লেখ করেন, ইসরায়েল ইরানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রধান অংশ এবং পরমাণু কর্মসূচির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে।
এ ছাড়া হিজবুল্লাহকে সব সময় ইরানের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান ঢাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারের একটি বড় অংশ ধ্বংস হওয়ায় ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক ভারসাম্য ইসরায়েলের পক্ষে চলে গেছে। দ্বিতীয় কারণটি হলো সেনাদের ক্লান্তি। এই শব্দ সরাসরি উচ্চারণ না করলেও তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি বিরতি নেওয়া এবং পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ করাটা প্রয়োজন। আর তৃতীয় কারণটি ছিল হামাসকে বিচ্ছিন্ন করা। হিজবুল্লাহকে যুদ্ধ থেকে সরিয়ে নেওয়ার অর্থ হলো হামাসের ওপর চাপ বেড়ে যাওয়া। কেননা হামাস মনে করে, ইরানের ‘এক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ বা প্রতিরোধ অক্ষের বাকি সদস্যরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়বে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক সপ্তাহ না যেতেই আবার লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি গ্রামে চালানো এই হামলায় অন্তত ১১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি সেনাচৌকি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এর জবাবে তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে। তবে আইডিএফের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হিজবুল্লাহ। তারা বলছে, আবার লেবাননে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েলই প্রথম যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ওই হামলায় যে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জবাবে ‘প্রতিরক্ষামূলক সতর্কতা’ হিসেবে ইসরায়েলি একটি সেনাচৌকি লক্ষ্য করে মর্টার হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইসরায়েলের মাউন্ট ডোভ এলাকায় চালানো ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
হিজবুল্লাহর হামলাকে ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েল ‘শক্তভাবে’ এর জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছে আইডিএফ। বিচ্ছিন্ন এসব সংঘাত একপর্যায়ে যুদ্ধে রূপ নেয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় গত ২৭ নভেম্বর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। যদিও চুক্তি ঘোষণার সময় নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হিজবুল্লাহ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে পাল্টা হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না আইডিএফ। এরপর সোমবার পাল্টাপাল্টি হামলাকে কেন্দ্র করে নতুন করে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, গত ২৭ নভেম্বর যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল, সেটির মাধ্যমে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে আশা করা হয়েছিল। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, লেবাননে বেসামরিক, সামরিক বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ইসরায়েল আক্রমণাত্মক কোনো সামরিক অভিযান চালাবে না। এর বিপরীতে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলে কোনো হামলা চালাবে না। লেবাননের অন্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীও যদি ইসরায়েলে হামলা চালাতে চায়, সেখানেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে হিজবুল্লাহ।
চুক্তিতে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে নিজেদের সশস্ত্র উপস্থিতি তুলে নিতে হিজবুল্লাহকে ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলও লেবানন থেকে তাদের সেনাসদস্যদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। চুক্তি কার্যকরের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের বিদ্যমান প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়ার বিষয়েও একমত হয় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ উঠলে পক্ষগুলোর সেটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানোর কথা।
চুক্তি অনুযায়ী, লেবাননের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা থাকবে না। তবে মার্কিন ও ফরাসি বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং যোগাযোগের মাধ্যমে লেবাননের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও অন্য দেশগুলো লেবাননের সামরিক বাহিনীকে একটি সামরিক কারিগরি কমিটির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দেবে।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার সময় নিজের ভাষণে নেতানিয়াহু প্রধানত তিনটি কারণ বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন। সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল ইরানের হুমকির প্রতি মনোযোগ দেওয়া। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু না বললেও তিনি উল্লেখ করেন, ইসরায়েল ইরানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রধান অংশ এবং পরমাণু কর্মসূচির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে।
এ ছাড়া হিজবুল্লাহকে সব সময় ইরানের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান ঢাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারের একটি বড় অংশ ধ্বংস হওয়ায় ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক ভারসাম্য ইসরায়েলের পক্ষে চলে গেছে। দ্বিতীয় কারণটি হলো সেনাদের ক্লান্তি। এই শব্দ সরাসরি উচ্চারণ না করলেও তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি বিরতি নেওয়া এবং পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ করাটা প্রয়োজন। আর তৃতীয় কারণটি ছিল হামাসকে বিচ্ছিন্ন করা। হিজবুল্লাহকে যুদ্ধ থেকে সরিয়ে নেওয়ার অর্থ হলো হামাসের ওপর চাপ বেড়ে যাওয়া। কেননা হামাস মনে করে, ইরানের ‘এক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ বা প্রতিরোধ অক্ষের বাকি সদস্যরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়বে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
৪ ঘণ্টা আগে