ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ইরানের বিরুদ্ধে শেষ আঘাত হানতে প্রস্তুত। আজ রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েল সফর করছেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘গত ১৬ মাসে ইসরায়েল ইরানের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে। আমি নিশ্চিত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করব।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেন, ‘ইরান কখনোই পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারবে না। হামাস, হিজবুল্লাহ, পশ্চিম তীরের সহিংসতা, সিরিয়ায় অস্থিরতা কিংবা ইরাকি মিলিশিয়াদের পেছনে একটি সাধারণ শক্তি রয়েছে—আর সেটি ইরান। এই শক্তিকে অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে।’
সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ট্রাম্প প্রশাসনসহ মার্কিন নেতৃত্বকে সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েল এ বছর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে। তবে ট্রাম্প বর্তমানে তেহরানের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি করতে চান, যা ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। এ ছাড়া, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ঝুঁকি আরও বাড়বে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েল এখনো ইরানে ‘শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন’ ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
এই সংবাদ সম্মেলনে গাজা নিয়েও কথা বলেন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি ও ট্রাম্প অভিন্ন কৌশল নিয়েছেন। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি সব বন্দীকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ‘‘নরকের দ্বার’’ খুলে দেব।’
সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করে এই ভূখণ্ডের দখল নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, একটি ব্যতিক্রমী পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা ঘোষণা করে গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায়’ পরিণত করা হবে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। তিনি জানান, তাঁর প্রশাসন গাজার অর্থনৈতিক উন্নয়নের নেতৃত্ব দেবে, যা এই অঞ্চলের জনগণের ‘চাকরি ও বাসস্থান’ নিশ্চিত করবে।
এই পরিকল্পনা নিয়ে মার্কো রুবিও বলেন, ‘এটি হয়তো অনেকের জন্য বিস্ময়কর, কিন্তু আগের মতো একই সংঘাতের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেওয়া যায় না।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২০০০ পাউন্ড ওজনের এমকে-৮৪ বোমার চালান পেয়েছে ইসরায়েল। আজ রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বাইডেনের প্রশাসন এই চালান আটকে রেখেছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চালানের অনুমোদন দেওয়ার পর এই চালান ইসরায়েলে এসেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ইরানের বিরুদ্ধে শেষ আঘাত হানতে প্রস্তুত। আজ রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েল সফর করছেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘গত ১৬ মাসে ইসরায়েল ইরানের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে। আমি নিশ্চিত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করব।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেন, ‘ইরান কখনোই পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারবে না। হামাস, হিজবুল্লাহ, পশ্চিম তীরের সহিংসতা, সিরিয়ায় অস্থিরতা কিংবা ইরাকি মিলিশিয়াদের পেছনে একটি সাধারণ শক্তি রয়েছে—আর সেটি ইরান। এই শক্তিকে অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে।’
সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ট্রাম্প প্রশাসনসহ মার্কিন নেতৃত্বকে সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েল এ বছর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে। তবে ট্রাম্প বর্তমানে তেহরানের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি করতে চান, যা ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। এ ছাড়া, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ঝুঁকি আরও বাড়বে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েল এখনো ইরানে ‘শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন’ ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
এই সংবাদ সম্মেলনে গাজা নিয়েও কথা বলেন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি ও ট্রাম্প অভিন্ন কৌশল নিয়েছেন। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি সব বন্দীকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ‘‘নরকের দ্বার’’ খুলে দেব।’
সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করে এই ভূখণ্ডের দখল নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, একটি ব্যতিক্রমী পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা ঘোষণা করে গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায়’ পরিণত করা হবে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। তিনি জানান, তাঁর প্রশাসন গাজার অর্থনৈতিক উন্নয়নের নেতৃত্ব দেবে, যা এই অঞ্চলের জনগণের ‘চাকরি ও বাসস্থান’ নিশ্চিত করবে।
এই পরিকল্পনা নিয়ে মার্কো রুবিও বলেন, ‘এটি হয়তো অনেকের জন্য বিস্ময়কর, কিন্তু আগের মতো একই সংঘাতের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেওয়া যায় না।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২০০০ পাউন্ড ওজনের এমকে-৮৪ বোমার চালান পেয়েছে ইসরায়েল। আজ রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বাইডেনের প্রশাসন এই চালান আটকে রেখেছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চালানের অনুমোদন দেওয়ার পর এই চালান ইসরায়েলে এসেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ইরানের বিরুদ্ধে শেষ আঘাত হানতে প্রস্তুত। আজ রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েল সফর করছেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘গত ১৬ মাসে ইসরায়েল ইরানের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে। আমি নিশ্চিত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করব।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেন, ‘ইরান কখনোই পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারবে না। হামাস, হিজবুল্লাহ, পশ্চিম তীরের সহিংসতা, সিরিয়ায় অস্থিরতা কিংবা ইরাকি মিলিশিয়াদের পেছনে একটি সাধারণ শক্তি রয়েছে—আর সেটি ইরান। এই শক্তিকে অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে।’
সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ট্রাম্প প্রশাসনসহ মার্কিন নেতৃত্বকে সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েল এ বছর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে। তবে ট্রাম্প বর্তমানে তেহরানের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি করতে চান, যা ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। এ ছাড়া, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ঝুঁকি আরও বাড়বে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েল এখনো ইরানে ‘শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন’ ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
এই সংবাদ সম্মেলনে গাজা নিয়েও কথা বলেন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি ও ট্রাম্প অভিন্ন কৌশল নিয়েছেন। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি সব বন্দীকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ‘‘নরকের দ্বার’’ খুলে দেব।’
সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করে এই ভূখণ্ডের দখল নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, একটি ব্যতিক্রমী পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা ঘোষণা করে গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায়’ পরিণত করা হবে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। তিনি জানান, তাঁর প্রশাসন গাজার অর্থনৈতিক উন্নয়নের নেতৃত্ব দেবে, যা এই অঞ্চলের জনগণের ‘চাকরি ও বাসস্থান’ নিশ্চিত করবে।
এই পরিকল্পনা নিয়ে মার্কো রুবিও বলেন, ‘এটি হয়তো অনেকের জন্য বিস্ময়কর, কিন্তু আগের মতো একই সংঘাতের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেওয়া যায় না।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২০০০ পাউন্ড ওজনের এমকে-৮৪ বোমার চালান পেয়েছে ইসরায়েল। আজ রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বাইডেনের প্রশাসন এই চালান আটকে রেখেছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চালানের অনুমোদন দেওয়ার পর এই চালান ইসরায়েলে এসেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ইরানের বিরুদ্ধে শেষ আঘাত হানতে প্রস্তুত। আজ রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েল সফর করছেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘গত ১৬ মাসে ইসরায়েল ইরানের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে। আমি নিশ্চিত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করব।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেন, ‘ইরান কখনোই পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারবে না। হামাস, হিজবুল্লাহ, পশ্চিম তীরের সহিংসতা, সিরিয়ায় অস্থিরতা কিংবা ইরাকি মিলিশিয়াদের পেছনে একটি সাধারণ শক্তি রয়েছে—আর সেটি ইরান। এই শক্তিকে অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে।’
সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ট্রাম্প প্রশাসনসহ মার্কিন নেতৃত্বকে সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েল এ বছর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে। তবে ট্রাম্প বর্তমানে তেহরানের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি করতে চান, যা ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। এ ছাড়া, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ঝুঁকি আরও বাড়বে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েল এখনো ইরানে ‘শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন’ ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
এই সংবাদ সম্মেলনে গাজা নিয়েও কথা বলেন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি ও ট্রাম্প অভিন্ন কৌশল নিয়েছেন। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি সব বন্দীকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ‘‘নরকের দ্বার’’ খুলে দেব।’
সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করে এই ভূখণ্ডের দখল নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, একটি ব্যতিক্রমী পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা ঘোষণা করে গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায়’ পরিণত করা হবে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। তিনি জানান, তাঁর প্রশাসন গাজার অর্থনৈতিক উন্নয়নের নেতৃত্ব দেবে, যা এই অঞ্চলের জনগণের ‘চাকরি ও বাসস্থান’ নিশ্চিত করবে।
এই পরিকল্পনা নিয়ে মার্কো রুবিও বলেন, ‘এটি হয়তো অনেকের জন্য বিস্ময়কর, কিন্তু আগের মতো একই সংঘাতের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেওয়া যায় না।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২০০০ পাউন্ড ওজনের এমকে-৮৪ বোমার চালান পেয়েছে ইসরায়েল। আজ রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বাইডেনের প্রশাসন এই চালান আটকে রেখেছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চালানের অনুমোদন দেওয়ার পর এই চালান ইসরায়েলে এসেছে।
ওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে...
৮ ঘণ্টা আগে১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরা
১০ ঘণ্টা আগেলন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো এক অভিবাসী মাত্র এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আবার ছোট নৌকায় করে ব্রিটেনে ফিরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার বরাতে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ফ্রান্সে মানবপাচারকারীদের হাতে আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওরা আমাকে পণ্যের মতো ব্যবহার করেছে, জোর করে কাজ করিয়েছে, নির্যাতন করেছে, বন্দুক তাক করে বলেছে—একটা কথা বললেও মেরে ফেলবে।’
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস সরাসরি ঘটনাটি স্বীকার না করলেও জানিয়েছে, এক অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে এবং দ্রুত তাঁকে আবারও ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের সীমান্ত অপব্যবহার করা হবে না। যাদের এখানে থাকার আইনি অধিকার নেই, আমরা তাদের সরিয়ে দেব।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ‘হিউম্যানস ফর রাইটস নেটওয়ার্ক’-এর পরিচালক ম্যাডি হ্যারিস বলেছেন, তাঁর সংস্থা ওই ইরানি ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে। ফ্রান্সে ফেরত পাঠানোর পর থেকেই তিনি তীব্র আতঙ্কে ভুগছিলেন। তিনি ধারণা করছিলেন ফ্রান্সে পাচারকারীরা আবারও তাকে নির্যাতন করতে পারে।
যুক্তরাজ্য–ফ্রান্সের এই ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ স্কিম চালু হয়েছে গত জুলাই মাসে। এর অধীনে অবৈধভাবে আসা ব্যক্তিদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং বিনিময়ে যুক্তরাজ্য গ্রহণ করছে এমন আশ্রয়প্রার্থীদের, যাদের প্রকৃত সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪২ জনকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং ফ্রান্স থেকে ২৩ জনকে গ্রহণ করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো এক অভিবাসী মাত্র এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আবার ছোট নৌকায় করে ব্রিটেনে ফিরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার বরাতে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ফ্রান্সে মানবপাচারকারীদের হাতে আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওরা আমাকে পণ্যের মতো ব্যবহার করেছে, জোর করে কাজ করিয়েছে, নির্যাতন করেছে, বন্দুক তাক করে বলেছে—একটা কথা বললেও মেরে ফেলবে।’
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস সরাসরি ঘটনাটি স্বীকার না করলেও জানিয়েছে, এক অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে এবং দ্রুত তাঁকে আবারও ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের সীমান্ত অপব্যবহার করা হবে না। যাদের এখানে থাকার আইনি অধিকার নেই, আমরা তাদের সরিয়ে দেব।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ‘হিউম্যানস ফর রাইটস নেটওয়ার্ক’-এর পরিচালক ম্যাডি হ্যারিস বলেছেন, তাঁর সংস্থা ওই ইরানি ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে। ফ্রান্সে ফেরত পাঠানোর পর থেকেই তিনি তীব্র আতঙ্কে ভুগছিলেন। তিনি ধারণা করছিলেন ফ্রান্সে পাচারকারীরা আবারও তাকে নির্যাতন করতে পারে।
যুক্তরাজ্য–ফ্রান্সের এই ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ স্কিম চালু হয়েছে গত জুলাই মাসে। এর অধীনে অবৈধভাবে আসা ব্যক্তিদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং বিনিময়ে যুক্তরাজ্য গ্রহণ করছে এমন আশ্রয়প্রার্থীদের, যাদের প্রকৃত সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪২ জনকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং ফ্রান্স থেকে ২৩ জনকে গ্রহণ করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ইরানের বিরুদ্ধে শেষ আঘাত হানতে প্রস্তুত। আজ রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পররা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে...
৮ ঘণ্টা আগে১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরা
১০ ঘণ্টা আগেলন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
১০ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘তোষণ নীতি’র অভিযোগ তুলেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি এ ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করে একাধিক অভিযোগ এনেছে। বিজেপি নেতা অমিতাভ মালব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অভিযোগ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মা কালীকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে গেছে! লজ্জা, লজ্জা—এই কলঙ্ক লুকানোর কোনো জায়গা নেই।’
বিজেপির এ নেতা আরও অভিযোগ করেন, ‘প্রশাসন প্রথমে গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়ে মন্দিরের গেটে তালা লাগায়। তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তা আবার খুলতে বাধ্য হয়।’
বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘দোষীদের গ্রেপ্তার না করে মা কালীর প্রতিমা পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে! সাতজন হিন্দুরক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপনাদের রাজ্য, আপনারা যা চান, তা-ই করতে পারেন!’
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করেন, ‘রাজ্য সরকার কট্টরপন্থীদের তোষণে ব্যস্ত। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার দলের নেতারা বারবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত হেনেছেন। কিন্তু মা কালীকে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার মতো লজ্জাজনক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।’
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু নিন্দনীয় নয়, বরং প্রতিটি ভক্তের মাথা লজ্জায় নত করার মতো।’
এই অভিযোগের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছে। দলের পক্ষ থেকে এক মুখপাত্র বলেন, পুলিশ এর ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু কিছু লোক একে বিকৃত রাজনীতি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘তোষণ নীতি’র অভিযোগ তুলেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি এ ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করে একাধিক অভিযোগ এনেছে। বিজেপি নেতা অমিতাভ মালব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অভিযোগ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মা কালীকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে গেছে! লজ্জা, লজ্জা—এই কলঙ্ক লুকানোর কোনো জায়গা নেই।’
বিজেপির এ নেতা আরও অভিযোগ করেন, ‘প্রশাসন প্রথমে গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়ে মন্দিরের গেটে তালা লাগায়। তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তা আবার খুলতে বাধ্য হয়।’
বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘দোষীদের গ্রেপ্তার না করে মা কালীর প্রতিমা পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে! সাতজন হিন্দুরক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপনাদের রাজ্য, আপনারা যা চান, তা-ই করতে পারেন!’
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করেন, ‘রাজ্য সরকার কট্টরপন্থীদের তোষণে ব্যস্ত। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার দলের নেতারা বারবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত হেনেছেন। কিন্তু মা কালীকে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার মতো লজ্জাজনক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।’
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু নিন্দনীয় নয়, বরং প্রতিটি ভক্তের মাথা লজ্জায় নত করার মতো।’
এই অভিযোগের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছে। দলের পক্ষ থেকে এক মুখপাত্র বলেন, পুলিশ এর ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু কিছু লোক একে বিকৃত রাজনীতি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ইরানের বিরুদ্ধে শেষ আঘাত হানতে প্রস্তুত। আজ রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পররা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরা
১০ ঘণ্টা আগেলন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলমান যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এই মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় ছিলেন না ফিলিস্তিনের সবচেয়ে আলোচিত বন্দী মারওয়ান বারগুতি। ফাতাহ আন্দোলনের শীর্ষ নেতা এবং ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত বারগুতি।
জনমত জরিপের তথ্য অনুসারে, বারগুতি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক এবং মনে করা হয়, তিনি ফিলিস্তিনি সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। কিন্তু দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০২ সাল থেকে তিনি ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা কীভাবে তাঁদের গ্রামে হামলা চালিয়ে তাঁর প্রিয় কুকুরটিকে গুলি করে মেরে ফেলে।
বারগুতি কৈশোরে যোগ দেন ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ দলে। এই ফাতাহ সে সময় গোপনে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করত। ১৮ বছর বয়সে ইসরায়েলি বাহিনী প্রথম বারগুতিকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই তাঁর জীবনে নেমে আসে নির্মম নির্যাতনের অধ্যায়।
২০১৭ সালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেন, ইসরায়েলি কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে নগ্ন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল এবং এক ইসরায়েলি সেনা তাঁর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিল।
দখলদার বিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বারগুতি চার বছর ছয় মাস কারাভোগ করেন। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়ে তিনি রামাল্লার নিকটবর্তী বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন।
১৯৮৭ সালে ইসরায়েল তাঁকে জর্ডানে নির্বাসিত করে। ওই বছরই শুরু হয় প্রথম ইন্তিফাদা, যা পাঁচ বছর স্থায়ী হয়। বারগুতি তখন প্রবাসে থেকে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের কাজ চালান। পরে ১৯৯৩ সালে অসলো শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে তাঁর দেশে ফেরার সুযোগ হয়।
দেশে ফিরে ১৯৯৪ সালে তিনি ফাতাহর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আরাফাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হন। কিন্তু অসলো চুক্তির পর ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অনেক ফিলিস্তিনিকে হতাশ করে তোলে। ১৯৯৫ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। এ সময় আরাফাতের প্রভাব কমতে থাকলেও বারগুতির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
২০০০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, লিকুদ নেতা অ্যারিয়েল শ্যারন আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করলে ফিলিস্তিনজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। এ থেকেই পরে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূচনা। এতে বারগুতি হয়ে ওঠেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য নেতা।
বারগুতির সহকর্মী আহমাদ গ্লোনেইম বলেন, তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা; টি-শার্ট ও প্যান্ট পরে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিতেন।
২০০২ সালে ইসরায়েলি বাহিনী তাঁকে হত্যা করার জন্য একাধিক অভিযান চালায়। কয়েকবার অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। অবশেষে গ্রেপ্তার হন এবং পাঁচটি হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে তাঁকে পাঁচবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ইসরায়েলের একটি আদালত। তবে বারগুতি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
লন্ডনের সাওয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিশেষজ্ঞ নিমের সুলতানি বলেন, ‘বারগুতির বিচার ছিল রাজনৈতিক। আসলে লক্ষ্য ছিল আরাফাত ও দ্বিতীয় ইন্তিফাদা আন্দোলনকেই অপরাধী প্রমাণ করা।’
২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যু হলে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছিল বারগুতিকে। কিন্তু তখন তিনি কারাগারে বন্দী। ২০০৬ সালে চ্যানেল-৪কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেছিলেন, ইসরায়েল দখলবিরোধী প্রত্যেক মানুষকেই সন্ত্রাসী মনে করে। কিন্তু সেটি সত্য নয়।
২০০২ সাল থেকে বারগুতি বিভিন্ন কারাগারে বন্দী। বেশির ভাগ সময় তাঁকে একা একা থাকতে হয়েছে। একাকী বন্দিত্বের পর তিনি কারাগারে শিক্ষাদান শুরু করেন। এরপর ২০১০ সালে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন। ২০১৭ সালে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে নিয়ে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। তখন দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে তিনি লেখেন, ‘ইসরায়েল একটি দ্বৈত আইনি ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা কার্যত বিচারিক বর্ণবাদের শামিল।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে কারাগারে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরিবারের দাবি, তাঁকে মারধর করা হয়েছে, খাবার-পানিতে কড়াকড়ি আনা হয়েছে, ওজন কমেছে প্রায় ১০ কেজি।
২০২৫ সালের আগস্টে ডানপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতামার বেন গাভিরের ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। সেখানে তাঁকে বারগুতিকে হুমকি দিতে দেখা যায়।
সাম্প্রতিক ঘটনায় বারগুতির অবস্থান স্পষ্ট জানা না গেলেও বারগুতি বরাবরই ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেছেন।
তিনি হিব্রু ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী, যা তাঁকে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম করেছে। ইসরায়েলের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য মেইর শিত্রিত বলেন, ‘তিনি শান্তির পক্ষে ছিলেন, সত্যিকারের শান্তির।’
২০০৬ সালে চ্যানেল-৪-এ এক সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেন, নারী, শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক হত্যা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। ফিলিস্তিন বা ইসরায়েল কোথাও নয়। তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের উচিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেওয়া, তবে দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অধিকার আমাদের আছে।’
ফাতাহ ও হামাস—দুই সংগঠনই বারগুতির মুক্তির দাবিতে একমত। ২০১১ ও ২০২৫ সালের বন্দিবিনিময় আলোচনাতেও তাঁর নাম তোলা হয়েছিল, তবে ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানায়, সাম্প্রতিক বন্দিবিনিময় তালিকায় তাঁর নাম ছিল। এমনকি ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফও এতে সম্মত হন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস তা বাদ দেয়।
ইসরায়েলি চ্যানেল-১৪ জানায়, বারগুতির মুক্তিকে ‘লাল রেখা’ (অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে দেখছেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গাভির। বারগুতিকে মুক্তি দিলে তিনি সরকারের জোট ভাঙার হুমকিও দেন। তবু ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধানসহ অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বারগুতি মুক্তি পেলে ফিলিস্তিনে নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা হতে পারে।
বারগুতির মুক্তির কোনো তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। গাজার শেষ জিম্মিদের মুক্তির পর ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর চাপও এখন দুর্বল। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের জন্য রাজনৈতিক হুমকি বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে ইসরায়েলের ডানপন্থী মহল তাঁকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতীক হিসেবে দেখে, যা তাদের দখলনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
বারগুতির ছেলে আরব বারগুতি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ৭৬ জন রাজনৈতিক বন্দীকে হারিয়েছি। এবার বাবার জীবন বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ জরুরি। তিনি এমন একজন নেতা, যিনি পুরো ফিলিস্তিনের আস্থা অর্জন করেছেন। সে কারণেই বর্তমান ইসরায়েলি সরকার তাঁকে ভয় পায়।’
তথ্যসূত্র: দ্য মিডল ইস্ট আই
চলমান যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এই মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় ছিলেন না ফিলিস্তিনের সবচেয়ে আলোচিত বন্দী মারওয়ান বারগুতি। ফাতাহ আন্দোলনের শীর্ষ নেতা এবং ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত বারগুতি।
জনমত জরিপের তথ্য অনুসারে, বারগুতি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক এবং মনে করা হয়, তিনি ফিলিস্তিনি সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। কিন্তু দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০২ সাল থেকে তিনি ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা কীভাবে তাঁদের গ্রামে হামলা চালিয়ে তাঁর প্রিয় কুকুরটিকে গুলি করে মেরে ফেলে।
বারগুতি কৈশোরে যোগ দেন ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ দলে। এই ফাতাহ সে সময় গোপনে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করত। ১৮ বছর বয়সে ইসরায়েলি বাহিনী প্রথম বারগুতিকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই তাঁর জীবনে নেমে আসে নির্মম নির্যাতনের অধ্যায়।
২০১৭ সালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেন, ইসরায়েলি কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে নগ্ন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল এবং এক ইসরায়েলি সেনা তাঁর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিল।
দখলদার বিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বারগুতি চার বছর ছয় মাস কারাভোগ করেন। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়ে তিনি রামাল্লার নিকটবর্তী বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন।
১৯৮৭ সালে ইসরায়েল তাঁকে জর্ডানে নির্বাসিত করে। ওই বছরই শুরু হয় প্রথম ইন্তিফাদা, যা পাঁচ বছর স্থায়ী হয়। বারগুতি তখন প্রবাসে থেকে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের কাজ চালান। পরে ১৯৯৩ সালে অসলো শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে তাঁর দেশে ফেরার সুযোগ হয়।
দেশে ফিরে ১৯৯৪ সালে তিনি ফাতাহর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আরাফাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হন। কিন্তু অসলো চুক্তির পর ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অনেক ফিলিস্তিনিকে হতাশ করে তোলে। ১৯৯৫ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। এ সময় আরাফাতের প্রভাব কমতে থাকলেও বারগুতির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
২০০০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, লিকুদ নেতা অ্যারিয়েল শ্যারন আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করলে ফিলিস্তিনজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। এ থেকেই পরে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূচনা। এতে বারগুতি হয়ে ওঠেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য নেতা।
বারগুতির সহকর্মী আহমাদ গ্লোনেইম বলেন, তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা; টি-শার্ট ও প্যান্ট পরে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিতেন।
২০০২ সালে ইসরায়েলি বাহিনী তাঁকে হত্যা করার জন্য একাধিক অভিযান চালায়। কয়েকবার অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। অবশেষে গ্রেপ্তার হন এবং পাঁচটি হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে তাঁকে পাঁচবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ইসরায়েলের একটি আদালত। তবে বারগুতি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
লন্ডনের সাওয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিশেষজ্ঞ নিমের সুলতানি বলেন, ‘বারগুতির বিচার ছিল রাজনৈতিক। আসলে লক্ষ্য ছিল আরাফাত ও দ্বিতীয় ইন্তিফাদা আন্দোলনকেই অপরাধী প্রমাণ করা।’
২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যু হলে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছিল বারগুতিকে। কিন্তু তখন তিনি কারাগারে বন্দী। ২০০৬ সালে চ্যানেল-৪কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেছিলেন, ইসরায়েল দখলবিরোধী প্রত্যেক মানুষকেই সন্ত্রাসী মনে করে। কিন্তু সেটি সত্য নয়।
২০০২ সাল থেকে বারগুতি বিভিন্ন কারাগারে বন্দী। বেশির ভাগ সময় তাঁকে একা একা থাকতে হয়েছে। একাকী বন্দিত্বের পর তিনি কারাগারে শিক্ষাদান শুরু করেন। এরপর ২০১০ সালে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন। ২০১৭ সালে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে নিয়ে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। তখন দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে তিনি লেখেন, ‘ইসরায়েল একটি দ্বৈত আইনি ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা কার্যত বিচারিক বর্ণবাদের শামিল।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে কারাগারে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরিবারের দাবি, তাঁকে মারধর করা হয়েছে, খাবার-পানিতে কড়াকড়ি আনা হয়েছে, ওজন কমেছে প্রায় ১০ কেজি।
২০২৫ সালের আগস্টে ডানপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতামার বেন গাভিরের ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। সেখানে তাঁকে বারগুতিকে হুমকি দিতে দেখা যায়।
সাম্প্রতিক ঘটনায় বারগুতির অবস্থান স্পষ্ট জানা না গেলেও বারগুতি বরাবরই ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেছেন।
তিনি হিব্রু ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী, যা তাঁকে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম করেছে। ইসরায়েলের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য মেইর শিত্রিত বলেন, ‘তিনি শান্তির পক্ষে ছিলেন, সত্যিকারের শান্তির।’
২০০৬ সালে চ্যানেল-৪-এ এক সাক্ষাৎকারে বারগুতি বলেন, নারী, শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক হত্যা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। ফিলিস্তিন বা ইসরায়েল কোথাও নয়। তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের উচিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেওয়া, তবে দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অধিকার আমাদের আছে।’
ফাতাহ ও হামাস—দুই সংগঠনই বারগুতির মুক্তির দাবিতে একমত। ২০১১ ও ২০২৫ সালের বন্দিবিনিময় আলোচনাতেও তাঁর নাম তোলা হয়েছিল, তবে ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানায়, সাম্প্রতিক বন্দিবিনিময় তালিকায় তাঁর নাম ছিল। এমনকি ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফও এতে সম্মত হন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস তা বাদ দেয়।
ইসরায়েলি চ্যানেল-১৪ জানায়, বারগুতির মুক্তিকে ‘লাল রেখা’ (অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে দেখছেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গাভির। বারগুতিকে মুক্তি দিলে তিনি সরকারের জোট ভাঙার হুমকিও দেন। তবু ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধানসহ অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বারগুতি মুক্তি পেলে ফিলিস্তিনে নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা হতে পারে।
বারগুতির মুক্তির কোনো তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। গাজার শেষ জিম্মিদের মুক্তির পর ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর চাপও এখন দুর্বল। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের জন্য রাজনৈতিক হুমকি বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে ইসরায়েলের ডানপন্থী মহল তাঁকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতীক হিসেবে দেখে, যা তাদের দখলনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
বারগুতির ছেলে আরব বারগুতি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ৭৬ জন রাজনৈতিক বন্দীকে হারিয়েছি। এবার বাবার জীবন বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ জরুরি। তিনি এমন একজন নেতা, যিনি পুরো ফিলিস্তিনের আস্থা অর্জন করেছেন। সে কারণেই বর্তমান ইসরায়েলি সরকার তাঁকে ভয় পায়।’
তথ্যসূত্র: দ্য মিডল ইস্ট আই
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ইরানের বিরুদ্ধে শেষ আঘাত হানতে প্রস্তুত। আজ রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পররা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে...
৮ ঘণ্টা আগেলন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ অক্টোবর রিচমন্ড অঞ্চলে। কিউ এলাকার বাসিন্দা বুরজু ইয়েসিলিউর্ত সকালে কাজে যাওয়ার পথে তাঁর কাপে বাকি থাকা সামান্য কফি রাস্তার পাশের ড্রেনে ঢেলে দেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন, বাসে উঠতে গিয়ে ওই কফিটুকু শরীরে ছিটকে পড়তে পারে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা ওই বাসটিকে তাড়া করে এসে থামান এবং ১৯৯০ সালের ব্রিটিশ পরিবেশ সুরক্ষা আইন-এর ৩৩ নম্বর ধারায় বুরজু ইয়েসিলিউর্তকে জরিমানা করেন।
এই বিষয়ে পরে অপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ইয়েসিলিউর্ত বলেন, ‘আমি ভাবলাম দায়িত্বশীল কাজ করছি। কিন্তু হঠাৎ তিন অফিসার এসে আমাকে ঘিরে ধরলেন—এটা সত্যিই ধাক্কার মতো ছিল।’
তিনি জানান, তাঁকে জানানো হয়, তরল বর্জ্যও ড্রেনে ফেলা আইনত নিষিদ্ধ এবং তা পরিবেশদূষণ হিসেবে গণ্য হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কফির অবশিষ্ট অংশটুকু নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলা উচিত ছিল।
ইয়েসিলিউর্ত অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কোথাও কোনো সতর্কবার্তা বা সাইনবোর্ড ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, কোনো সাইন আছে কি? তারা কিছু বলল না।’ ঘটনাটি তাঁকে ভীত ও অস্থির করে তুললেও পরে তিনি তাঁর কাজে যান।
জরিমানার পরিমাণ ১৫০ পাউন্ড হলেও ১৪ দিনের মধ্যে তা পরিশোধ করলে ১০০ পাউন্ডে নামানো যাবে। ইয়েসিলিউর্ত অবশ্য এখনো অর্থ পরিশোধ করেননি। এর বদলে তিনি কাউন্সিলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘আইনটি যদি এত কড়াকড়ি হয়, তবে সড়ক ও বাসস্টপে স্পষ্টভাবে সতর্কতামূলক সাইন থাকা উচিত।’
এদিকে এই বিষয়ে রিচমন্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, ইয়েসিলিউর্তকে বৈধভাবেই জরিমানা করা হয়েছে এবং কর্মকর্তারা পেশাদার ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছেন। কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা রিচমন্ডের জলপথ ও সড়ক পরিষ্কার রাখতে বদ্ধপরিকর। প্রয়োজন হলে আইন প্রয়োগ করা হয়। কেউ যদি মনে করেন তাঁর ওপর আরোপ করা জরিমানাটি অন্যায্য, তবে তিনি পর্যালোচনার আবেদন করতে পারেন।’
যুক্তরাজ্যের পরিবেশ সুরক্ষা আইনে বলা আছে, এমন কোনো বর্জ্য বা তরল ফেলা অপরাধ যা মাটি বা জল দূষণের কারণ হতে পারে। এমনকি রাস্তার পাশে থাকা ড্রেনে তরল ঢালাও এর অন্তর্ভুক্ত।
লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপের অবিশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় এক নারীকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্থানীয় কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।
বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ অক্টোবর রিচমন্ড অঞ্চলে। কিউ এলাকার বাসিন্দা বুরজু ইয়েসিলিউর্ত সকালে কাজে যাওয়ার পথে তাঁর কাপে বাকি থাকা সামান্য কফি রাস্তার পাশের ড্রেনে ঢেলে দেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন, বাসে উঠতে গিয়ে ওই কফিটুকু শরীরে ছিটকে পড়তে পারে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা ওই বাসটিকে তাড়া করে এসে থামান এবং ১৯৯০ সালের ব্রিটিশ পরিবেশ সুরক্ষা আইন-এর ৩৩ নম্বর ধারায় বুরজু ইয়েসিলিউর্তকে জরিমানা করেন।
এই বিষয়ে পরে অপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ইয়েসিলিউর্ত বলেন, ‘আমি ভাবলাম দায়িত্বশীল কাজ করছি। কিন্তু হঠাৎ তিন অফিসার এসে আমাকে ঘিরে ধরলেন—এটা সত্যিই ধাক্কার মতো ছিল।’
তিনি জানান, তাঁকে জানানো হয়, তরল বর্জ্যও ড্রেনে ফেলা আইনত নিষিদ্ধ এবং তা পরিবেশদূষণ হিসেবে গণ্য হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কফির অবশিষ্ট অংশটুকু নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলা উচিত ছিল।
ইয়েসিলিউর্ত অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কোথাও কোনো সতর্কবার্তা বা সাইনবোর্ড ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, কোনো সাইন আছে কি? তারা কিছু বলল না।’ ঘটনাটি তাঁকে ভীত ও অস্থির করে তুললেও পরে তিনি তাঁর কাজে যান।
জরিমানার পরিমাণ ১৫০ পাউন্ড হলেও ১৪ দিনের মধ্যে তা পরিশোধ করলে ১০০ পাউন্ডে নামানো যাবে। ইয়েসিলিউর্ত অবশ্য এখনো অর্থ পরিশোধ করেননি। এর বদলে তিনি কাউন্সিলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘আইনটি যদি এত কড়াকড়ি হয়, তবে সড়ক ও বাসস্টপে স্পষ্টভাবে সতর্কতামূলক সাইন থাকা উচিত।’
এদিকে এই বিষয়ে রিচমন্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, ইয়েসিলিউর্তকে বৈধভাবেই জরিমানা করা হয়েছে এবং কর্মকর্তারা পেশাদার ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছেন। কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা রিচমন্ডের জলপথ ও সড়ক পরিষ্কার রাখতে বদ্ধপরিকর। প্রয়োজন হলে আইন প্রয়োগ করা হয়। কেউ যদি মনে করেন তাঁর ওপর আরোপ করা জরিমানাটি অন্যায্য, তবে তিনি পর্যালোচনার আবেদন করতে পারেন।’
যুক্তরাজ্যের পরিবেশ সুরক্ষা আইনে বলা আছে, এমন কোনো বর্জ্য বা তরল ফেলা অপরাধ যা মাটি বা জল দূষণের কারণ হতে পারে। এমনকি রাস্তার পাশে থাকা ড্রেনে তরল ঢালাও এর অন্তর্ভুক্ত।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ইরানের বিরুদ্ধে শেষ আঘাত হানতে প্রস্তুত। আজ রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পররা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসংলগ্ন কাকদ্বীপে কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর পুলিশের একটি ভ্যানে করে সেই প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে...
৮ ঘণ্টা আগে১৯৫৯ সালের ৬ জুন পশ্চিম তীরের কোবার গ্রামে জন্ম মারওয়ান বারগুতির। দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখলের পর ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে ওঠেন বারগুতি। পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকে রাজনীতি-সচেতন ছিলেন বারগুতি। ছোটবেলায় তিনি দেখেছিলেন, ইসরা
১০ ঘণ্টা আগে