Ajker Patrika

হামাসকে ‘মেরে ফেলার’ হুমকি ট্রাম্পের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ০২
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছেন—হামাস যদি গাজায় গ্যাং ও অভিযুক্ত ইসরায়েলি সহযোগীদের লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে, তাহলে তিনি হামাসের বিরুদ্ধে হামলা সমর্থন করবেন। এতে কার্যত ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘যদি হামাস গাজায় মানুষ হত্যা চালিয়ে যায়, যা চুক্তির অংশ ছিল না, তাহলে আমাদের কোনো উপায় থাকবে না।’ এ সময় তিনি ইসরায়েলের দিকে ইঙ্গিত করে হুমকি দিয়ে বলেন, তাহলে ‘আমাদের তাদের (গাজায়) ঢোকাতে হবে এবং তাদের (হামাসকে) মেরে ফেলতে হবে। এ বিষয়টির প্রতি আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!’

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প তাঁর হুমকিকে পরিমার্জন করে স্পষ্ট করেছেন যে মার্কিন বাহিনী গাজায় প্রবেশ করবে না। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের করতে হবে না। আমাদের এগোনোর প্রয়োজন পড়বে না। খুব কাছাকাছি, খুব নিকটবর্তী এমন কিছু মানুষ আছে, যারা গিয়ে কাজটি করবে এবং তারা সহজেই কাজটি করবে, কিন্তু আমাদের নজরদারির আওতায়।’

হামাসের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এসব হুমকি আগের মনোভাব থেকে বিরূপ বলে মনে হচ্ছে। সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, হামাস কর্তৃক গাজায় অপরাধী গ্যাং দমন নিয়ে তিনি বেশ সন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা কিছু ভয়ংকর গ্যাং তুলে নিয়েছে, খুবই ভয়ংকর গ্যাং। তারা তাদের নির্মূল করেছে এবং বেশ কিছু গ্যাং সদস্যকে মেরে ফেলেছে। তা আমাকে বেশ কষ্ট দেয়নি, সত্যিই বলছি। তা ঠিক আছে।’

গাজায় হামাস ও সশস্ত্র গোপন গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। এই গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে গাজায় মানবিক সহায়তা লুটপাট এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতার অভিযোগ আছে।

গত রোববারের সংঘর্ষের পরে গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অংশ নেয়নি এমন গ্যাং সদস্যদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। এর আগে, গত জুন মাসে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছিলেন যে তাঁরা গাজার কিছু গ্যাংকে অস্ত্র দিয়েছে, আবার কিছু গ্যাংয়ের সঙ্গে আইএসআইএসের (আইএসআইএল) সংযোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়, যাতে হামাসকে অস্থিতিশীল করা যায়। গত রোববার, ইসরায়েলের সঙ্গে জড়িত একটি গ্যাংয়ের গুলিতে গাজার প্রভাবশালী সাংবাদিক সালেহ আলজাফারাওয়ি নিহত হন।

তবে গাজার গ্যাংগুলোই শুধু ট্রাম্পের হামাসকে হুমকি না দেওয়ার একমাত্র কারণ নয়। ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার আওতায় হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে এবং গাজার শাসনে যেকোনো ভূমিকা ছেড়ে দিতে হবে। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে হামাস এই শর্তগুলো মেনে নিয়েছে কি না।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প আরও সতর্ক করে বলেছেন, হামাস যদি স্বেচ্ছায় অস্ত্র ছেড়ে না দেয়, তাহলে তাদের জোর করে অস্ত্রমুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, ‘তারা অস্ত্র ত্যাগ করবে, আর যদি তারা তা না করে, তাহলে আমরা তাদের অস্ত্রমুক্ত করে দেব এবং সেটা দ্রুত এবং হয়তো হিংস্রভাবে ঘটবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত