Ajker Patrika

অবরুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া, আক্রান্ত ৩৩ হাজারের বেশি 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ০৩
Thumbnail image

বিগত এক যুগের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি অবরোধের শিকার গাজা। সেই গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ধসে পড়েছে। সুপেয় পানির প্রায় সব উৎসই নষ্ট হয়ে গেছে। পয়োনিষ্কাশন প্রণালি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব কারণে অঞ্চলটিতে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া। ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গতকাল বুধবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ধসে পড়েছে, সুপেয় পানির প্রায় সব উৎসই নষ্ট হয়ে গেছে এবং পয়োনিষ্কাশন প্রণালি বিধ্বস্ত হয়েছে। মূলত এসব কারণেই অঞ্চলটিতে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।

ইসরায়েলি হামলাকে ইঙ্গিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রচণ্ড যুদ্ধের কারণে গাজায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মানুষকে একসঙ্গে থাকতে হচ্ছে। ফলে ছোট্ট স্থানে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য, পানি ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে, যা একটি অতিরিক্ত বিপদ ডেকে আনছে। বিভিন্ন সংক্রামক রোগে দ্রুত আক্রান্ত শুরু হয়েছে।’ বৈশ্বিক এই সংস্থা জানিয়েছে, ‘কিছু উদ্বেগজনক প্রবণতা এরই মধ্যে প্রকাশ পাওয়া শুরু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, জ্বালানিসংকটের কারণে ব্যাপকভাবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটিতে সব পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট বন্ধ হয়েছে। এর ফলে ডায়রিয়ার মতো ব্যাকটেরিয়াবাহিত সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে ৩৩ হাজার ৫৫১ জন ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১০ হাজার ৫১৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৩২৪ জনই শিশু। নারীর সংখ্যা ২ হাজার ৮২৩। এ ছাড়া ৬৪৯ জন বয়স্ক ফিলিস্তিনিও রয়েছেন নিহতের তালিকায়। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে ২৬ হাজারেরও বেশি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার বাইরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে নিহত হয়েছে আরও অন্তত ১৬৩ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে আরও ২ হাজার ৪০০ জন। গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর এখনো অন্তত ২ হাজার ৫৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে আবার ১ হাজার ৩৫০ জনই শিশু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত