আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে অন্তত ৯৮ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে নিহত হয়েছে। গাজা থেকে আটক শত শত মানুষ নিখোঁজ হওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস–ইসরায়েল (পিএইচআরআই)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পিএইচআরআই–এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে—মৃত্যুর কারণ হলো—শারীরিক নির্যাতন, চিকিৎসা অবহেলা ও অপুষ্টির মতো বিষয়। এ তথ্য সংগ্রহে তারা ব্যবহার করেছে তথ্য অধিকার আইনের আবেদন, ফরেনসিক রিপোর্ট, আইনজীবী, কর্মী, স্বজন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার।
যুদ্ধের প্রথম আট মাসের বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়েছে। ওই সময়ের সরকারি হিসাব বলছে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মধ্যে নজিরবিহীন মৃত্যুহার দেখা গেছে—গড়ে প্রতি ৪ দিনে একজন করে বন্দী মারা গেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সর্বশেষ হেফাজতে মৃত্যুর তথ্য হালনাগাদ করেছে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত। আর ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস দিয়েছে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য। কিন্তু পিএইচআরআই গবেষকেরা এই সময়সীমার পর আরও ৩৫টি মৃত্যুর ঘটনা শনাক্ত করেছেন এবং সেগুলোও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত করেছেন।
পিএইচআরআই–এর বন্দী ও আটক–বিষয়ক বিভাগের পরিচালক নাজি আব্বাস বলেছেন, মোট মৃত্যুর এ হিসাব সাম্প্রতিক অন্য সব অনুমানের তুলনায় অনেক বড়। তবে এটিই প্রকৃত চিত্র নয়। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা নিশ্চিত—হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে এমন আরও অনেকে আছেন, যাদের সম্পর্কে আমাদের কোনো তথ্যই নেই।’
ইসরায়েলের গোপন নথি দেখাচ্ছে, গাজা থেকে আটক হয়ে কারাগারে মারা যাওয়া ফিলিস্তিনিদের বড় অংশই সাধারণ বেসামরিক মানুষ। দ্য গার্ডিয়ান, ইসরায়েল–ফিলিস্তিনি প্রকাশনা ‘+৯৭২ ম্যাগাজিন’ এবং হিব্রু ভাষার স্থানীয় গণমাধ্যম ‘লোকাল কলের’ যৌথ অনুসন্ধান এ তথ্য তুলে ধরেছে।
২০২৪ সালের মে মাসে সামরিক গোয়েন্দাদের একটি ডেটাবেইসে—যেখানে হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের ৪৭ হাজারের বেশি যোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত—ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র ২১ জন। অথচ ওই সময় পর্যন্ত গাজা থেকে আটক হয়ে কারাগারে মারা গিয়েছিল ৬৫ জন ফিলিস্তিনি।
এই মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে ‘নিরাপত্তা বন্দী’ বিভাগে। এ তালিকায় এমন বেসামরিক ফিলিস্তিনিরাও আছেন, যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই আনা হয়নি, যাদের বিচারও হয়নি এবং পশ্চিম তীরের বন্দীরাও এতে অন্তর্ভুক্ত। নিহতদের মধ্যে তিনজন ছিলেন ইসরায়েলের নাগরিকত্ব বা বসবাসের অধিকারপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি।
দুই বছরের যুদ্ধে ইসরায়েলের কারাগার ব্যবস্থায় ফিলিস্তিনিদের ওপর শারীরিক নির্যাতন, যৌন সহিংসতা ও অন্যান্য নিষ্ঠুরতা যেন স্বাভাবিকতায় রূপ নিয়েছে। কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন–গভির প্রকাশ্যে গর্ব করেছেন রোজাদারদের মতো ক্ষুদ্র খাবার সরবরাহ এবং এমন এক ভূগর্ভস্থ কারাগারের কথা, যেখানে বন্দীরা কখনো দিনের আলো দেখতে পায় না।
বর্তমান–সাবেক বন্দী, সামরিক বাহিনীর হুইসেলব্লোয়ার—সবাইই আন্তর্জাতিক আইনের নিয়ম লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ তুলেছেন। এই প্রাতিষ্ঠানিক নির্মমতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্তত ১২টি বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনায় মৃত্যুর সংখ্যা ভয়ংকরভাবে বেড়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগের দশ বছরে যেখানে বছরে গড়ে দুই–তিনটি মৃত্যু ঘটত, এখন সেই সংখ্যা বহু গুণ।
নাজি আব্বাস বলেন, ‘এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এটা পুরো ব্যবস্থাজুড়ে ছড়িয়ে আছে, আর চলতেই থাকবে।’ এর একটি বড় কারণ—ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ভেতরে প্রায় সম্পূর্ণ দায়মুক্তির সংস্কৃতি। দুই বছরের মধ্যে নির্যাতনের একটি ঘটনাতেই কেবল বিচার হয়েছে; তাও অভিযুক্ত সৈন্যকে দেওয়া হয়েছে মাত্র সাত মাসের সাজা। যৌন সহিংসতাসহ ভয়াবহ নির্যাতনের আরেক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হলে ডানপন্থীদের বিক্ষোভ শুরু হয় এবং গ্রেপ্তার হন ইসরায়েলের সামরিক বিভাগের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা। অভিযুক্তরা এখন চাইছে সব মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
আব্বাস বলছেন, ‘এত মানুষের মৃত্যুর পরেও দুই বছরে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কোনো হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে মামলা হয়নি। এই নীতিগুলো বহাল থাকলে প্রতিটি ফিলিস্তিনি বন্দীই ঝুঁকিতে থাকবে—শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও, বয়স কম হলেও, কোনো দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা না থাকলেও।’
কিছু মৃত্যু ছিল আলোচিত। যেমন, ৫০ বছর বয়সী আদনান আল–বুরশ। তিনি আল–শিফা হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের প্রধান ছিলেন। আটক হওয়ার চার মাস পর তিনি মারা যান ওফের কারাগারে। তাঁর সঙ্গে থাকা এক বন্দী জানান, মৃত্যুর ঠিক আগে বুরশকে প্রহরীরা আঙিনায় নিয়ে আসে—তিনি ছিলেন আহত, কোমর থেকে নিচে উলঙ্গ। তাঁর মরদেহ আজও গাজায় ফেরত দেওয়া হয়নি।
অনেকের মৃত্যু কিন্তু অজানাই থেকে গেছে। প্রিজন সার্ভিস ও সামরিক বাহিনী পিএইচআরআই–কে শুধু মৃত্যুর সংখ্যা এবং কোন স্থাপনায় তারা মারা গেছে সেই সামান্য তথ্য দিয়েছে, কিন্তু মৃতদের নাম দেয়নি। ২১টি ক্ষেত্রে—যার বেশিরভাগই গাজার মানুষ—পিএইচআরআই কর্তৃপক্ষের দেওয়া অল্প তথ্য কোনো সাক্ষী, গণমাধ্যম বা মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীর সাক্ষ্যেও মেলাতে পারেনি।
বন্দীদের পরিবারগুলোও হয়তো এখনো জানে না তাদের আপনজন মারা গেছেন। কারণ, ইসরায়েল বন্দীদের অবস্থান জানতে চাওয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে কঠিন করে রেখেছে। যুদ্ধের প্রথম সাত মাসে গাজা থেকে আটক হাজারো মানুষের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্যই দিত না সামরিক বাহিনী। পিএইচআরআই বলছে, এটি কার্যত বলপূর্বক গুম করানোর নীতি ছিল।
২০২৪ সালের মে মাস থেকে গাজার ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে জানতে একটি ইমেইল ঠিকানা দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এতে পরিস্থিতির খুব সামান্যই উন্নতি হয়েছে। পিএইচআরআই বলছে, ‘অব্যাহত ব্যর্থতা এবং অস্বচ্ছতা’ রয়ে গেছে।
আইনজীবীরা বারবার শুনছেন, তাদের যেসব ক্লায়েন্টের ব্যাপারে তথ্য চাইছেন, তাদের গ্রেপ্তারের নথিই নেই—যদিও সেই গ্রেপ্তার বিভিন্ন উৎসে প্রমাণিত। মানবাধিকার সংগঠন হামোকেদ জানায়, গত বছরের ছয় মাসে প্রায় ৪০০ ব্যক্তির বিষয়ে এভাবে ‘রেকর্ড নেই’ বলা হয়েছে।
সবচেয়ে আলোচিত বন্দীদের একজন হলেন হুস্সাম আবু সাফিয়া, গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের এক অভিযানে তাঁকে আটক করা হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এরপর পুরো এক সপ্তাহ সামরিক বাহিনী দাবি করে, তাঁরা তাকে হেফাজতে নেয়নি।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে অন্তত ৯৮ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে নিহত হয়েছে। গাজা থেকে আটক শত শত মানুষ নিখোঁজ হওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস–ইসরায়েল (পিএইচআরআই)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পিএইচআরআই–এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে—মৃত্যুর কারণ হলো—শারীরিক নির্যাতন, চিকিৎসা অবহেলা ও অপুষ্টির মতো বিষয়। এ তথ্য সংগ্রহে তারা ব্যবহার করেছে তথ্য অধিকার আইনের আবেদন, ফরেনসিক রিপোর্ট, আইনজীবী, কর্মী, স্বজন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার।
যুদ্ধের প্রথম আট মাসের বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়েছে। ওই সময়ের সরকারি হিসাব বলছে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মধ্যে নজিরবিহীন মৃত্যুহার দেখা গেছে—গড়ে প্রতি ৪ দিনে একজন করে বন্দী মারা গেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সর্বশেষ হেফাজতে মৃত্যুর তথ্য হালনাগাদ করেছে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত। আর ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস দিয়েছে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য। কিন্তু পিএইচআরআই গবেষকেরা এই সময়সীমার পর আরও ৩৫টি মৃত্যুর ঘটনা শনাক্ত করেছেন এবং সেগুলোও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত করেছেন।
পিএইচআরআই–এর বন্দী ও আটক–বিষয়ক বিভাগের পরিচালক নাজি আব্বাস বলেছেন, মোট মৃত্যুর এ হিসাব সাম্প্রতিক অন্য সব অনুমানের তুলনায় অনেক বড়। তবে এটিই প্রকৃত চিত্র নয়। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা নিশ্চিত—হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে এমন আরও অনেকে আছেন, যাদের সম্পর্কে আমাদের কোনো তথ্যই নেই।’
ইসরায়েলের গোপন নথি দেখাচ্ছে, গাজা থেকে আটক হয়ে কারাগারে মারা যাওয়া ফিলিস্তিনিদের বড় অংশই সাধারণ বেসামরিক মানুষ। দ্য গার্ডিয়ান, ইসরায়েল–ফিলিস্তিনি প্রকাশনা ‘+৯৭২ ম্যাগাজিন’ এবং হিব্রু ভাষার স্থানীয় গণমাধ্যম ‘লোকাল কলের’ যৌথ অনুসন্ধান এ তথ্য তুলে ধরেছে।
২০২৪ সালের মে মাসে সামরিক গোয়েন্দাদের একটি ডেটাবেইসে—যেখানে হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের ৪৭ হাজারের বেশি যোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত—ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র ২১ জন। অথচ ওই সময় পর্যন্ত গাজা থেকে আটক হয়ে কারাগারে মারা গিয়েছিল ৬৫ জন ফিলিস্তিনি।
এই মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে ‘নিরাপত্তা বন্দী’ বিভাগে। এ তালিকায় এমন বেসামরিক ফিলিস্তিনিরাও আছেন, যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই আনা হয়নি, যাদের বিচারও হয়নি এবং পশ্চিম তীরের বন্দীরাও এতে অন্তর্ভুক্ত। নিহতদের মধ্যে তিনজন ছিলেন ইসরায়েলের নাগরিকত্ব বা বসবাসের অধিকারপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি।
দুই বছরের যুদ্ধে ইসরায়েলের কারাগার ব্যবস্থায় ফিলিস্তিনিদের ওপর শারীরিক নির্যাতন, যৌন সহিংসতা ও অন্যান্য নিষ্ঠুরতা যেন স্বাভাবিকতায় রূপ নিয়েছে। কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন–গভির প্রকাশ্যে গর্ব করেছেন রোজাদারদের মতো ক্ষুদ্র খাবার সরবরাহ এবং এমন এক ভূগর্ভস্থ কারাগারের কথা, যেখানে বন্দীরা কখনো দিনের আলো দেখতে পায় না।
বর্তমান–সাবেক বন্দী, সামরিক বাহিনীর হুইসেলব্লোয়ার—সবাইই আন্তর্জাতিক আইনের নিয়ম লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ তুলেছেন। এই প্রাতিষ্ঠানিক নির্মমতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্তত ১২টি বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনায় মৃত্যুর সংখ্যা ভয়ংকরভাবে বেড়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগের দশ বছরে যেখানে বছরে গড়ে দুই–তিনটি মৃত্যু ঘটত, এখন সেই সংখ্যা বহু গুণ।
নাজি আব্বাস বলেন, ‘এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এটা পুরো ব্যবস্থাজুড়ে ছড়িয়ে আছে, আর চলতেই থাকবে।’ এর একটি বড় কারণ—ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ভেতরে প্রায় সম্পূর্ণ দায়মুক্তির সংস্কৃতি। দুই বছরের মধ্যে নির্যাতনের একটি ঘটনাতেই কেবল বিচার হয়েছে; তাও অভিযুক্ত সৈন্যকে দেওয়া হয়েছে মাত্র সাত মাসের সাজা। যৌন সহিংসতাসহ ভয়াবহ নির্যাতনের আরেক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হলে ডানপন্থীদের বিক্ষোভ শুরু হয় এবং গ্রেপ্তার হন ইসরায়েলের সামরিক বিভাগের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা। অভিযুক্তরা এখন চাইছে সব মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
আব্বাস বলছেন, ‘এত মানুষের মৃত্যুর পরেও দুই বছরে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কোনো হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে মামলা হয়নি। এই নীতিগুলো বহাল থাকলে প্রতিটি ফিলিস্তিনি বন্দীই ঝুঁকিতে থাকবে—শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও, বয়স কম হলেও, কোনো দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা না থাকলেও।’
কিছু মৃত্যু ছিল আলোচিত। যেমন, ৫০ বছর বয়সী আদনান আল–বুরশ। তিনি আল–শিফা হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের প্রধান ছিলেন। আটক হওয়ার চার মাস পর তিনি মারা যান ওফের কারাগারে। তাঁর সঙ্গে থাকা এক বন্দী জানান, মৃত্যুর ঠিক আগে বুরশকে প্রহরীরা আঙিনায় নিয়ে আসে—তিনি ছিলেন আহত, কোমর থেকে নিচে উলঙ্গ। তাঁর মরদেহ আজও গাজায় ফেরত দেওয়া হয়নি।
অনেকের মৃত্যু কিন্তু অজানাই থেকে গেছে। প্রিজন সার্ভিস ও সামরিক বাহিনী পিএইচআরআই–কে শুধু মৃত্যুর সংখ্যা এবং কোন স্থাপনায় তারা মারা গেছে সেই সামান্য তথ্য দিয়েছে, কিন্তু মৃতদের নাম দেয়নি। ২১টি ক্ষেত্রে—যার বেশিরভাগই গাজার মানুষ—পিএইচআরআই কর্তৃপক্ষের দেওয়া অল্প তথ্য কোনো সাক্ষী, গণমাধ্যম বা মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীর সাক্ষ্যেও মেলাতে পারেনি।
বন্দীদের পরিবারগুলোও হয়তো এখনো জানে না তাদের আপনজন মারা গেছেন। কারণ, ইসরায়েল বন্দীদের অবস্থান জানতে চাওয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে কঠিন করে রেখেছে। যুদ্ধের প্রথম সাত মাসে গাজা থেকে আটক হাজারো মানুষের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্যই দিত না সামরিক বাহিনী। পিএইচআরআই বলছে, এটি কার্যত বলপূর্বক গুম করানোর নীতি ছিল।
২০২৪ সালের মে মাস থেকে গাজার ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে জানতে একটি ইমেইল ঠিকানা দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এতে পরিস্থিতির খুব সামান্যই উন্নতি হয়েছে। পিএইচআরআই বলছে, ‘অব্যাহত ব্যর্থতা এবং অস্বচ্ছতা’ রয়ে গেছে।
আইনজীবীরা বারবার শুনছেন, তাদের যেসব ক্লায়েন্টের ব্যাপারে তথ্য চাইছেন, তাদের গ্রেপ্তারের নথিই নেই—যদিও সেই গ্রেপ্তার বিভিন্ন উৎসে প্রমাণিত। মানবাধিকার সংগঠন হামোকেদ জানায়, গত বছরের ছয় মাসে প্রায় ৪০০ ব্যক্তির বিষয়ে এভাবে ‘রেকর্ড নেই’ বলা হয়েছে।
সবচেয়ে আলোচিত বন্দীদের একজন হলেন হুস্সাম আবু সাফিয়া, গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের এক অভিযানে তাঁকে আটক করা হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এরপর পুরো এক সপ্তাহ সামরিক বাহিনী দাবি করে, তাঁরা তাকে হেফাজতে নেয়নি।

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলিগড়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের কাউন্টারে রাখা ‘বিফ কারি’ লেখা একটি লেবেলকে কেন্দ্র করে রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। লেবেল দেখে আকাশ ও গৌরব কুমার নামে দুই অতিথি আপত্তি জানিয়ে ভিডিও ধারণের চেষ্টা করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
গত বছর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে বিবিসির অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও দাঙ্গা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সূত্রের মতে, এই পদার্থটি ছিল ‘ক্যামাইট’। এর রাসায়নিক নাম ব্রোমোবেনজিল সায়ানাইড।
৪ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার কর্তৃত্ববাদী নেতা নিকোলাস মাদুরোকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মাদুরো তা প্রত্যাখ্যান করে নিজের ও ঘনিষ্ঠ মিত্রদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের পক্ষে ভ্যাটিকানের জোরালো আহ্বান তুলে ধরেছেন পোপ লিও চতুর্দশ। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক স্বীকৃতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র কার্যকর পথ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলিগড়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের কাউন্টারে রাখা ‘বিফ কারি’ লেখা একটি লেবেলকে কেন্দ্র করে রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। লেবেল দেখে আকাশ ও গৌরব কুমার নামে দুই অতিথি আপত্তি জানিয়ে ভিডিও ধারণের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিয়ের আয়োজকদের সঙ্গে তাঁদের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতের পুলিশ ও ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং এটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠান।
সার্কেল অফিসার সর্বম সিং ভারতের টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে জানান, ঘটনায় ক্যাটারারসহ সংশ্লিষ্ট তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। পরে রাতেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘ফরেনসিক রিপোর্টে মাংসের ধরন নিশ্চিত হলে তবেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।’
এদিকে ক্যাটারারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন আপত্তি জানানো গৌরব কুমার। তিনি দাবি করেছেন—ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশেই ইচ্ছাকৃতভাবে ওই লেবেল ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ‘বিফ’ শব্দটি অনেক সময় মহিষের মাংস (ভারতে খাবার হিসেবে আইনত বৈধ) এবং গরুর মাংস (যা নিষিদ্ধ) উভয় অর্থে ব্যবহৃত হয়। এই বিভ্রান্তি থেকে প্রায়ই ওই অঞ্চলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে বিজেপি কর্মীরা স্থানীয় সিভিল লাইন্স থানায় গিয়ে জড়ো হয় এবং কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানায়। এ সময় বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) নেতা সালমান শহিদও থানায় উপস্থিত হন। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি কর্মীরা কোনো ব্যাখ্যা না শুনে ‘অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তারের’ চেষ্টা করেছে এবং শুরু থেকেই বিষয়টিকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে ব্যাখ্যা করা সত্ত্বেও তারা উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে এবং ফরেনসিক রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলিগড়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের কাউন্টারে রাখা ‘বিফ কারি’ লেখা একটি লেবেলকে কেন্দ্র করে রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। লেবেল দেখে আকাশ ও গৌরব কুমার নামে দুই অতিথি আপত্তি জানিয়ে ভিডিও ধারণের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিয়ের আয়োজকদের সঙ্গে তাঁদের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতের পুলিশ ও ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং এটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠান।
সার্কেল অফিসার সর্বম সিং ভারতের টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে জানান, ঘটনায় ক্যাটারারসহ সংশ্লিষ্ট তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। পরে রাতেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘ফরেনসিক রিপোর্টে মাংসের ধরন নিশ্চিত হলে তবেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।’
এদিকে ক্যাটারারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন আপত্তি জানানো গৌরব কুমার। তিনি দাবি করেছেন—ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশেই ইচ্ছাকৃতভাবে ওই লেবেল ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ‘বিফ’ শব্দটি অনেক সময় মহিষের মাংস (ভারতে খাবার হিসেবে আইনত বৈধ) এবং গরুর মাংস (যা নিষিদ্ধ) উভয় অর্থে ব্যবহৃত হয়। এই বিভ্রান্তি থেকে প্রায়ই ওই অঞ্চলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে বিজেপি কর্মীরা স্থানীয় সিভিল লাইন্স থানায় গিয়ে জড়ো হয় এবং কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানায়। এ সময় বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) নেতা সালমান শহিদও থানায় উপস্থিত হন। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি কর্মীরা কোনো ব্যাখ্যা না শুনে ‘অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তারের’ চেষ্টা করেছে এবং শুরু থেকেই বিষয়টিকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে ব্যাখ্যা করা সত্ত্বেও তারা উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে এবং ফরেনসিক রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে অন্তত ৯৮ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে নিহত হয়েছে। গাজা থেকে আটক শত শত মানুষ নিখোঁজ হওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস–ইসরায়েল (পিএইচআরআই)।
১৪ দিন আগে
গত বছর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে বিবিসির অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও দাঙ্গা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সূত্রের মতে, এই পদার্থটি ছিল ‘ক্যামাইট’। এর রাসায়নিক নাম ব্রোমোবেনজিল সায়ানাইড।
৪ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার কর্তৃত্ববাদী নেতা নিকোলাস মাদুরোকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মাদুরো তা প্রত্যাখ্যান করে নিজের ও ঘনিষ্ঠ মিত্রদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের পক্ষে ভ্যাটিকানের জোরালো আহ্বান তুলে ধরেছেন পোপ লিও চতুর্দশ। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক স্বীকৃতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র কার্যকর পথ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে বিবিসির অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও দাঙ্গা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সূত্রের মতে, পদার্থটি ছিল ‘ক্যামাইট’। এর রাসায়নিক নাম ব্রোমোবেনজিল সায়ানাইড।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর জর্জিয়া সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের প্রক্রিয়া স্থগিতের ঘোষণা দিলে রাজধানী তিবিলিসির রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করা হলে পরবর্তী সময়ে তারা তীব্র শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয় বলে জানা গেছে। বিক্ষোভকারীরা জানান, জলকামান থেকে ছিটানো পানি গায়ে পড়ার পর তীব্র জ্বালা শুরু হয়। সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করলে সেটা আরও বেশি খারাপ হতে থাকে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে কয়েক সপ্তাহ বা ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বমি, মাথাব্যথা, ক্লান্তিসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় ভুগেছে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. কনস্তানতিন চাকুনাশভিলি নিজেও এই পানির সংস্পর্শে এসেছিলেন। তিনি জানান, তাঁর ত্বক কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড জ্বলেছে। ধোয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে।
এটি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি জরিপ চালান। প্রায় ৩৫০ জন সেখানে সাড়া দেয়। তাদের প্রায় অর্ধেকই জানায়, ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে তাদের এই সমস্যা ছিল।
বিবিসি তাদের অনুসন্ধানের জন্য দাঙ্গা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়। জর্জিয়ার দাঙ্গা পুলিশের অস্ত্র বিভাগের সাবেক প্রধান লাশা শেরগেলাশভিলি জানান, ২০০৯ সালে তিনি যে রাসায়নিকটি জলকামানে ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা করেছিলেন, সেটির প্রভাব ছিল সাধারণ কাঁদানে গ্যাসের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ শক্তিশালী। তিনি এটি ব্যবহার করতে নিষেধ করতে করেছিলেন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি।
লাশা শেরগেলাশভিলি বলেন, যদি মেঝেতে এই রাসায়নিক পড়ে, তাহলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেও পরবর্তী দুই থেকে তিন দিন সেই এলাকায় থাকা যাবে না।
বিখ্যাত টক্সিকোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্রিস্টোফার হলস্টেগে এসব প্রমাণ বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত করেন, আক্রান্তদের উপসর্গ গুলি ব্রোমোবেনজিল সায়ানাইড (ক্যামাইট) ব্যবহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ক্যামাইট প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। এর দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে এটি ১৯৩০-এর দশকে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয় এবং এর পরিবর্তে সিএস গ্যাস (কাঁদানে গ্যাস) ব্যবহার শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, পুলিশের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিকের প্রভাব অস্থায়ী এবং আনুপাতিক হতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও নিরাপদ ও প্রচলিত দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণকারী পদার্থ থাকা সত্ত্বেও একটি অপ্রচলিত এবং আরও শক্তিশালী রাসায়নিকের ব্যবহারকে রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক (নির্যাতন-সংক্রান্ত) অ্যালিস এডওয়ার্ডস বলেন, রাসায়নিক ব্যবহার-সংক্রান্ত নিয়মের অভাবেই কেউ কেউ এগুলো ব্যবহার করে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। অপরাধ বিবেচনায় এসব ঘটনার তদন্ত করা উচিত।
তবে জর্জিয়ার ক্ষমতাসীন দল ‘জর্জিয়ান ড্রিম’ বিবিসির এই অনুসন্ধানকে অবাস্তব বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগে তারা বিবিসির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে।

গত বছর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে বিবিসির অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও দাঙ্গা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সূত্রের মতে, পদার্থটি ছিল ‘ক্যামাইট’। এর রাসায়নিক নাম ব্রোমোবেনজিল সায়ানাইড।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর জর্জিয়া সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের প্রক্রিয়া স্থগিতের ঘোষণা দিলে রাজধানী তিবিলিসির রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করা হলে পরবর্তী সময়ে তারা তীব্র শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয় বলে জানা গেছে। বিক্ষোভকারীরা জানান, জলকামান থেকে ছিটানো পানি গায়ে পড়ার পর তীব্র জ্বালা শুরু হয়। সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করলে সেটা আরও বেশি খারাপ হতে থাকে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে কয়েক সপ্তাহ বা ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বমি, মাথাব্যথা, ক্লান্তিসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় ভুগেছে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. কনস্তানতিন চাকুনাশভিলি নিজেও এই পানির সংস্পর্শে এসেছিলেন। তিনি জানান, তাঁর ত্বক কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড জ্বলেছে। ধোয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে।
এটি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি জরিপ চালান। প্রায় ৩৫০ জন সেখানে সাড়া দেয়। তাদের প্রায় অর্ধেকই জানায়, ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে তাদের এই সমস্যা ছিল।
বিবিসি তাদের অনুসন্ধানের জন্য দাঙ্গা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়। জর্জিয়ার দাঙ্গা পুলিশের অস্ত্র বিভাগের সাবেক প্রধান লাশা শেরগেলাশভিলি জানান, ২০০৯ সালে তিনি যে রাসায়নিকটি জলকামানে ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা করেছিলেন, সেটির প্রভাব ছিল সাধারণ কাঁদানে গ্যাসের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ শক্তিশালী। তিনি এটি ব্যবহার করতে নিষেধ করতে করেছিলেন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি।
লাশা শেরগেলাশভিলি বলেন, যদি মেঝেতে এই রাসায়নিক পড়ে, তাহলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেও পরবর্তী দুই থেকে তিন দিন সেই এলাকায় থাকা যাবে না।
বিখ্যাত টক্সিকোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্রিস্টোফার হলস্টেগে এসব প্রমাণ বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত করেন, আক্রান্তদের উপসর্গ গুলি ব্রোমোবেনজিল সায়ানাইড (ক্যামাইট) ব্যবহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ক্যামাইট প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। এর দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে এটি ১৯৩০-এর দশকে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয় এবং এর পরিবর্তে সিএস গ্যাস (কাঁদানে গ্যাস) ব্যবহার শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, পুলিশের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিকের প্রভাব অস্থায়ী এবং আনুপাতিক হতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও নিরাপদ ও প্রচলিত দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণকারী পদার্থ থাকা সত্ত্বেও একটি অপ্রচলিত এবং আরও শক্তিশালী রাসায়নিকের ব্যবহারকে রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক (নির্যাতন-সংক্রান্ত) অ্যালিস এডওয়ার্ডস বলেন, রাসায়নিক ব্যবহার-সংক্রান্ত নিয়মের অভাবেই কেউ কেউ এগুলো ব্যবহার করে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। অপরাধ বিবেচনায় এসব ঘটনার তদন্ত করা উচিত।
তবে জর্জিয়ার ক্ষমতাসীন দল ‘জর্জিয়ান ড্রিম’ বিবিসির এই অনুসন্ধানকে অবাস্তব বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগে তারা বিবিসির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে অন্তত ৯৮ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে নিহত হয়েছে। গাজা থেকে আটক শত শত মানুষ নিখোঁজ হওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস–ইসরায়েল (পিএইচআরআই)।
১৪ দিন আগে
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলিগড়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের কাউন্টারে রাখা ‘বিফ কারি’ লেখা একটি লেবেলকে কেন্দ্র করে রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। লেবেল দেখে আকাশ ও গৌরব কুমার নামে দুই অতিথি আপত্তি জানিয়ে ভিডিও ধারণের চেষ্টা করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার কর্তৃত্ববাদী নেতা নিকোলাস মাদুরোকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মাদুরো তা প্রত্যাখ্যান করে নিজের ও ঘনিষ্ঠ মিত্রদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের পক্ষে ভ্যাটিকানের জোরালো আহ্বান তুলে ধরেছেন পোপ লিও চতুর্দশ। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক স্বীকৃতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র কার্যকর পথ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার কর্তৃত্ববাদী নেতা নিকোলাস মাদুরোকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মাদুরো তা প্রত্যাখ্যান করে নিজের ও ঘনিষ্ঠ মিত্রদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক এক ফোনালাপে ট্রাম্প এই আলটিমেটাম দেন।
রোববার সাংবাদিকদের কাছে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের ফোনালাপ হয়েছে। আমি বলব না এটি ভালো হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে, এটি শুধুই একটি ফোনকল ছিল।’
তবে গত ২১ নভেম্বর হওয়া এই ফোনালাপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা ভেনেজুয়েলার কেউই এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
মায়ামি হেরাল্ড নামে আমেরিকান একটি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার মাদুরোকে একটি ‘স্পষ্ট বার্তা’ দিয়েছিলেন। মায়ামি হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প মাদুরোকে বলেছিলেন, ‘আপনি নিজেকে ও আপনার মিত্রদের রক্ষা করতে পারেন, কিন্তু একটাই শর্ত—আপনাকে এখনই দেশ ছাড়তে হবে।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি মাদুরোকে প্রস্তাব দেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করলে মাদুরো, তাঁর স্ত্রী ও পুত্রের পালানোর জন্য নিরাপদ পথের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
তবে মাদুরো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। মাদুরো তাঁর পরিবারসহ ঘনিষ্ঠ মিত্রদের জন্য বৈশ্বিক আইনি সুরক্ষার দাবি করেন। তিনি নির্বাচনের কথা বললেও সামরিক বাহিনীর ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার দাবি করেন। অন্যদিকে, ওয়াশিংটন মাদুরোর সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাঁকে ‘শিগগির ক্ষমতা ছাড়তে’ বলে।
মায়ামি হেরাল্ড জানিয়েছে, ব্রাজিল, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় প্রথম ফোনালাপটি হয়েছিল। পরে ট্রাম্প যখন ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ‘সম্পূর্ণরূপে বন্ধ’ বলে ঘোষণা করেন, তখন মাদুরো দ্বিতীয়বার ফোনালাপের অনুরোধ জানালেও তাতে কোনো সাড়া পাননি।
এদিকে ট্রাম্পের এই আলটিমেটামের হুমকি বড় আকারের সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবে কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, মাদুরো ও তাঁর মিত্ররা এখনো মার্কিন সামরিক হুমকিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ বলে মনে করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার কর্তৃত্ববাদী নেতা নিকোলাস মাদুরোকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মাদুরো তা প্রত্যাখ্যান করে নিজের ও ঘনিষ্ঠ মিত্রদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক এক ফোনালাপে ট্রাম্প এই আলটিমেটাম দেন।
রোববার সাংবাদিকদের কাছে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের ফোনালাপ হয়েছে। আমি বলব না এটি ভালো হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে, এটি শুধুই একটি ফোনকল ছিল।’
তবে গত ২১ নভেম্বর হওয়া এই ফোনালাপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা ভেনেজুয়েলার কেউই এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
মায়ামি হেরাল্ড নামে আমেরিকান একটি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার মাদুরোকে একটি ‘স্পষ্ট বার্তা’ দিয়েছিলেন। মায়ামি হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প মাদুরোকে বলেছিলেন, ‘আপনি নিজেকে ও আপনার মিত্রদের রক্ষা করতে পারেন, কিন্তু একটাই শর্ত—আপনাকে এখনই দেশ ছাড়তে হবে।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি মাদুরোকে প্রস্তাব দেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করলে মাদুরো, তাঁর স্ত্রী ও পুত্রের পালানোর জন্য নিরাপদ পথের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
তবে মাদুরো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। মাদুরো তাঁর পরিবারসহ ঘনিষ্ঠ মিত্রদের জন্য বৈশ্বিক আইনি সুরক্ষার দাবি করেন। তিনি নির্বাচনের কথা বললেও সামরিক বাহিনীর ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার দাবি করেন। অন্যদিকে, ওয়াশিংটন মাদুরোর সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাঁকে ‘শিগগির ক্ষমতা ছাড়তে’ বলে।
মায়ামি হেরাল্ড জানিয়েছে, ব্রাজিল, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় প্রথম ফোনালাপটি হয়েছিল। পরে ট্রাম্প যখন ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ‘সম্পূর্ণরূপে বন্ধ’ বলে ঘোষণা করেন, তখন মাদুরো দ্বিতীয়বার ফোনালাপের অনুরোধ জানালেও তাতে কোনো সাড়া পাননি।
এদিকে ট্রাম্পের এই আলটিমেটামের হুমকি বড় আকারের সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবে কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, মাদুরো ও তাঁর মিত্ররা এখনো মার্কিন সামরিক হুমকিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ বলে মনে করেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে অন্তত ৯৮ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে নিহত হয়েছে। গাজা থেকে আটক শত শত মানুষ নিখোঁজ হওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস–ইসরায়েল (পিএইচআরআই)।
১৪ দিন আগে
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলিগড়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের কাউন্টারে রাখা ‘বিফ কারি’ লেখা একটি লেবেলকে কেন্দ্র করে রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। লেবেল দেখে আকাশ ও গৌরব কুমার নামে দুই অতিথি আপত্তি জানিয়ে ভিডিও ধারণের চেষ্টা করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
গত বছর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে বিবিসির অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও দাঙ্গা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সূত্রের মতে, এই পদার্থটি ছিল ‘ক্যামাইট’। এর রাসায়নিক নাম ব্রোমোবেনজিল সায়ানাইড।
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের পক্ষে ভ্যাটিকানের জোরালো আহ্বান তুলে ধরেছেন পোপ লিও চতুর্দশ। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক স্বীকৃতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র কার্যকর পথ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের পক্ষে ভ্যাটিকানের জোরালো আহ্বান তুলে ধরেছেন পোপ লিও চতুর্দশ। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক স্বীকৃতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র কার্যকর পথ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ‘রাশিয়া টুডে’ জানিয়েছে, তুরস্ক থেকে লেবাননে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পোপ তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন। এর আগে ২০১৫ সালে ভ্যাটিকান আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং তখন থেকেই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকেই সমর্থন করে আসছে। তবে গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পোপের এবারের মন্তব্যকে ভ্যাটিকানের সবচেয়ে দৃঢ় আহ্বান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথা উল্লেখ করে পোপ লিও বলেন, ‘আমরা জানি ইসরায়েল এই সমাধানটি এখনো গ্রহণ করেনি। আমরা ইসরায়েলেরও বন্ধু। তারপরও আমরা মনে করি, এটাই একমাত্র পথ।’
তিনি জানান, ভ্যাটিকান মধ্যস্থতার জন্য কাজ চালিয়ে যাবে যাতে ন্যায়সম্মত সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত আলোচনায়ও গাজা ও ইউক্রেন ইস্যু উঠে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পোপ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর প্রচেষ্টায় এরদোয়ান ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ শান্তির জন্য কিছু বাস্তব প্রস্তাব রয়েছে এবং আশা করছি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেন—তিন পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক ব্যবহার করে সংলাপ ও যুদ্ধবিরতি এগিয়ে নিতে পারবেন।’
গাজা প্রসঙ্গে তিনি পুনরাবৃত্তি করেন—বহু দশক জুড়ে এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া বিকল্প নেই। যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেছেন, তাঁর দেশের রাষ্ট্রীয় নীতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরোধিতা একচুলও পরিবর্তন হয়নি এবং কোনো আন্তর্জাতিক চাপেই তা বদলাবে না।

মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের পক্ষে ভ্যাটিকানের জোরালো আহ্বান তুলে ধরেছেন পোপ লিও চতুর্দশ। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক স্বীকৃতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র কার্যকর পথ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ‘রাশিয়া টুডে’ জানিয়েছে, তুরস্ক থেকে লেবাননে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পোপ তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন। এর আগে ২০১৫ সালে ভ্যাটিকান আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং তখন থেকেই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকেই সমর্থন করে আসছে। তবে গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পোপের এবারের মন্তব্যকে ভ্যাটিকানের সবচেয়ে দৃঢ় আহ্বান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথা উল্লেখ করে পোপ লিও বলেন, ‘আমরা জানি ইসরায়েল এই সমাধানটি এখনো গ্রহণ করেনি। আমরা ইসরায়েলেরও বন্ধু। তারপরও আমরা মনে করি, এটাই একমাত্র পথ।’
তিনি জানান, ভ্যাটিকান মধ্যস্থতার জন্য কাজ চালিয়ে যাবে যাতে ন্যায়সম্মত সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত আলোচনায়ও গাজা ও ইউক্রেন ইস্যু উঠে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পোপ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর প্রচেষ্টায় এরদোয়ান ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ শান্তির জন্য কিছু বাস্তব প্রস্তাব রয়েছে এবং আশা করছি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেন—তিন পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক ব্যবহার করে সংলাপ ও যুদ্ধবিরতি এগিয়ে নিতে পারবেন।’
গাজা প্রসঙ্গে তিনি পুনরাবৃত্তি করেন—বহু দশক জুড়ে এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া বিকল্প নেই। যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেছেন, তাঁর দেশের রাষ্ট্রীয় নীতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরোধিতা একচুলও পরিবর্তন হয়নি এবং কোনো আন্তর্জাতিক চাপেই তা বদলাবে না।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে অন্তত ৯৮ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে নিহত হয়েছে। গাজা থেকে আটক শত শত মানুষ নিখোঁজ হওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস–ইসরায়েল (পিএইচআরআই)।
১৪ দিন আগে
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলিগড়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের কাউন্টারে রাখা ‘বিফ কারি’ লেখা একটি লেবেলকে কেন্দ্র করে রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। লেবেল দেখে আকাশ ও গৌরব কুমার নামে দুই অতিথি আপত্তি জানিয়ে ভিডিও ধারণের চেষ্টা করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
গত বছর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে বিবিসির অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও দাঙ্গা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সূত্রের মতে, এই পদার্থটি ছিল ‘ক্যামাইট’। এর রাসায়নিক নাম ব্রোমোবেনজিল সায়ানাইড।
৪ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার কর্তৃত্ববাদী নেতা নিকোলাস মাদুরোকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মাদুরো তা প্রত্যাখ্যান করে নিজের ও ঘনিষ্ঠ মিত্রদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে