অনলাইন ডেস্ক
লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর রাজধানী লিমায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে সহিংসতা, বেড়ে গেছে বিভিন্ন অপরাধের মাত্রা। এই অবস্থায় দেশটির প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে গতকাল সোমবার সারা দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পেরুর প্রেসিডেন্টের জারি করা এই জরুরির অবস্থার আওতায় দেশটির সেনাবাহিনীকে রাস্তায় মোতায়েন করা হবে এবং পুলিশ ও সামরিক বাহিনীকে নির্বাহী বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারা চাইলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম শর্তে যে কাউকে আটক করতে পারবেন। এই জরুরি অবস্থা আগামী ৩০ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
পেরুর জনপ্রিয় গায়ক পল ফ্লোরেসের মৃত্যুর পর এই জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত রোববার তিনি এক হামলায় নিহত হন। গায়ক ফ্লোরেস কুম্বিয়া গানের জন্য জনপ্রিয়। রোববার রাতে তাঁর ওপর হামলা হয়। পুলিশের অনুমান, এই হামলাটি সম্ভবত চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে হয়েছিল। কারণ, ঘটনার সময় পল ফ্লোরেস যে বাসে ছিলেন সেটিতে আক্রমণকারীরা বাসের পরিচালকের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিল।
পল ফ্লোরেসের মৃত্যুর পর সহিংসতা ও অপরাধের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। এর আগে, পেরুর একটি রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যেখানে অন্তত ১১ জন আহত হয়। এ ঘটনাগুলো জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং নাগরিকেরা অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
পেরুতে সাম্প্রতিক সময়ে হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি এবং জনসমাগমস্থলে হামলা বেড়ে গেছে। ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেশটির পুলিশ ৪৫৯টি হত্যাকাণ্ড এবং জানুয়ারিতে ১ হাজার ৯০৯টি চাঁদাবাজির ঘটনা রেকর্ড করেছে।
এরই মধ্যে, প্রেসিডেন্ট বলুয়ার্তে অপরাধের প্রতিরোধে কঠোর শাস্তি এমনকি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, পেরুতে কেবল বিশ্বাসঘাতকদের জন্য মৃত্যুদণ্ড অনুমোদিত হলেও, তিনি হত্যাকারীদের জন্যও এই শাস্তির প্রস্তাব করছেন। তাঁর সরকারের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিরোধী আইনপ্রণেতারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হুয়ান হোসে সান্তিভানেজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পার্লামেন্টে। তাদের দাবি, মন্ত্রী সহিংসতা মোকাবিলায় কার্যকর কোনো পরিকল্পনা প্রণয়ন করেননি এবং সরকারের পদক্ষেপগুলো যথাযথ নয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেরুতে অপরাধী কার্যকলাপ ও সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্তও এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এবং জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
জরুরি অবস্থার আওতায় পেরু কর্তৃপক্ষ কিছু মৌলিক অধিকার সীমিত করবে, যার মধ্যে সমাবেশের স্বাধীনতা এবং চলাচলের স্বাধীনতা অন্তর্ভুক্ত। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে আটক করার জন্য আর কোনো বিচারিক আদেশের প্রয়োজন হবে না, যার ফলে মানবাধিকার সংস্থা এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে, পেরু সরকারের মতে, এটি অপরাধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হবে।
লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর রাজধানী লিমায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে সহিংসতা, বেড়ে গেছে বিভিন্ন অপরাধের মাত্রা। এই অবস্থায় দেশটির প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে গতকাল সোমবার সারা দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পেরুর প্রেসিডেন্টের জারি করা এই জরুরির অবস্থার আওতায় দেশটির সেনাবাহিনীকে রাস্তায় মোতায়েন করা হবে এবং পুলিশ ও সামরিক বাহিনীকে নির্বাহী বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারা চাইলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম শর্তে যে কাউকে আটক করতে পারবেন। এই জরুরি অবস্থা আগামী ৩০ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
পেরুর জনপ্রিয় গায়ক পল ফ্লোরেসের মৃত্যুর পর এই জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত রোববার তিনি এক হামলায় নিহত হন। গায়ক ফ্লোরেস কুম্বিয়া গানের জন্য জনপ্রিয়। রোববার রাতে তাঁর ওপর হামলা হয়। পুলিশের অনুমান, এই হামলাটি সম্ভবত চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে হয়েছিল। কারণ, ঘটনার সময় পল ফ্লোরেস যে বাসে ছিলেন সেটিতে আক্রমণকারীরা বাসের পরিচালকের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিল।
পল ফ্লোরেসের মৃত্যুর পর সহিংসতা ও অপরাধের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। এর আগে, পেরুর একটি রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যেখানে অন্তত ১১ জন আহত হয়। এ ঘটনাগুলো জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং নাগরিকেরা অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
পেরুতে সাম্প্রতিক সময়ে হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি এবং জনসমাগমস্থলে হামলা বেড়ে গেছে। ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেশটির পুলিশ ৪৫৯টি হত্যাকাণ্ড এবং জানুয়ারিতে ১ হাজার ৯০৯টি চাঁদাবাজির ঘটনা রেকর্ড করেছে।
এরই মধ্যে, প্রেসিডেন্ট বলুয়ার্তে অপরাধের প্রতিরোধে কঠোর শাস্তি এমনকি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, পেরুতে কেবল বিশ্বাসঘাতকদের জন্য মৃত্যুদণ্ড অনুমোদিত হলেও, তিনি হত্যাকারীদের জন্যও এই শাস্তির প্রস্তাব করছেন। তাঁর সরকারের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিরোধী আইনপ্রণেতারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হুয়ান হোসে সান্তিভানেজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পার্লামেন্টে। তাদের দাবি, মন্ত্রী সহিংসতা মোকাবিলায় কার্যকর কোনো পরিকল্পনা প্রণয়ন করেননি এবং সরকারের পদক্ষেপগুলো যথাযথ নয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেরুতে অপরাধী কার্যকলাপ ও সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্তও এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এবং জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
জরুরি অবস্থার আওতায় পেরু কর্তৃপক্ষ কিছু মৌলিক অধিকার সীমিত করবে, যার মধ্যে সমাবেশের স্বাধীনতা এবং চলাচলের স্বাধীনতা অন্তর্ভুক্ত। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে আটক করার জন্য আর কোনো বিচারিক আদেশের প্রয়োজন হবে না, যার ফলে মানবাধিকার সংস্থা এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে, পেরু সরকারের মতে, এটি অপরাধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হবে।
গাজায় পবিত্র রমজান মাসেও থেকে নেই ইসরায়েলি বর্বরতা। প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির ইতি টেনে গাজায় গতকাল সোমবার থেকে ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত সেই হামলায় আরও ৪ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর এই আক্রমণের মুখে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলাপ যেন বানের জলে ভেসে গেছে।
৩১ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে কানাডা ও ইউরোপের দেশগুলোর ক্ষুব্ধ ভোক্তারা কোকাকোলা থেকে শুরু করে কোলগেট টুথপেস্ট পর্যন্ত মার্কিন সব পণ্য বর্জন করছেন। পণ্য বর্জনের এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন—ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর এটাই তাঁদের একমাত্র উপায়।
৩৬ মিনিট আগেগাজায় পবিত্র রমজান মাসেও থেকে নেই ইসরায়েলি বর্বরতা। প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির ইতি টেনে গাজায় গতকাল সোমবার থেকে ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত সেই হামলায় আরও ৪ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের...
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে স্ট্যাচু অব লিবার্টি উপহার দিয়েছিল ফ্রান্স। তাও প্রায় দেড়শ বছর হয়ে গেছে। তবে সম্প্রতি ফরাসি আইনপ্রণেতা রাফায়েল গ্লুকসম্যান সেই উপহার ফেরত চেয়েছেন। কারণ, তাঁর অভিযোগ—যুক্তরাষ্ট্র এখন স্বৈরশাসকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ
১ ঘণ্টা আগে