ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, দেশের কোনো বিশেষ অংশ (সম্প্রদায়) বা বিরোধী দলকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য পূর্ববর্তী কোনো প্রধানমন্ত্রী এমন বাজে, অসংসদীয় ও নিম্নমানের ভাষা ব্যবহার করেননি। আর দেশের একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় থেকে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়কে আলাদা নজরে দেখা বিজেপির ‘বিশেষ অধিকার’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের আগে দেশের জনগণকে সম্বোধন করে লেখা এক চিঠিতে মনমোহন সিং আজ বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মনমোহন সিং বলেছিলেন—সম্পত্তিতে প্রথম অধিকার পাবে মুসলিমরা। তবে কংগ্রেস সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু যাকে নিয়ে মোদির মন্তব্য, সেই মনমোহন সিং দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মুখ খুলছিলেন না। অবশেষে তিনি মুখ খুলেছেন এবং বলেছেন, ‘সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরি বা আলাদা নজরে দেখা কখনোই ঠিক হবে না।’
মনমোহন সিং বলেন, ‘আমি এই নির্বাচনের প্রচারের সময় রাজনৈতিক আলোচনা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছি। মোদি জঘন্য ঘৃণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন, যা একেবারেই বিভাজন সৃষ্টিকারী। মোদি হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি তাঁর পদের মর্যাদাহানি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভাবগাম্ভীর্য কমিয়েছেন।’
কংগ্রেস সরকারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের কোনো বিশেষ অংশ (সম্প্রদায়) বা বিরোধী দলকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য পূর্ববর্তী কোনো প্রধানমন্ত্রী এমন বাজে, অসংসদীয় ও নিম্নমানের ভাষা ব্যবহার করেননি। তাঁরা আমার বিষয়েও কিছু ভুল বক্তব্য দিয়েছে। আমি জীবনে কখনোই এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায় থেকে আলাদা করে দেখিনি। এটি বিজেপির “বিশেষ অধিকার” ও অভ্যাস।’
শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মনমোহন সিং আরও বলেন, ‘আমি পাঞ্জাবের প্রত্যেক ভোটারকে উন্নয়ন ও সমন্বিত অগ্রগতির পক্ষে ভোট দেওয়ার আবেদন করছি। আমি তরুণদের সাবধানে ভোট দিতে এবং ভবিষ্যতের জন্য ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই। শুধু কংগ্রেসই একটি প্রগতিশীল ভবিষ্যতের গ্যারান্টি দিতে পারে, যেখানে গণতন্ত্র ও সংবিধান সুরক্ষিত থাকবে।’
এর আগে, গত মাসের শুরুর দিকে জাতীয় ‘জাত সমীক্ষার’ অংশ হিসেবে ‘অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদনের’ পরিকল্পনা প্রকাশ করে কংগ্রেস। দলটির নির্বাচনী ইশতেহার ও তাদের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের এক মন্তব্যকে ইঙ্গিত করে মোদি বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস বলে যে, তারা আমাদের মা-বোনদের কাছে থাকা সোনার হিসাব করবে এবং সেই সম্পত্তি বণ্টন করবে সবার মাঝে। মনমোহন সিংয়ের সরকার বলেছিল যে, সমস্ত সম্পদের ওপর মুসলমানদের প্রথম অধিকার আছে...।’
রাজস্থানের বাঁশবাড়ায় এক জনসভায় মোদি বলেন, ‘...এটা (সম্পদ) কাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে? যাদের (মুসলিমদের ইঙ্গিত করে) বেশি সন্তান আছে তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। আপনাদের কষ্টার্জিত অর্থ কি অনুপ্রবেশকারীদের কাছে যাওয়া উচিত?’
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, দেশের কোনো বিশেষ অংশ (সম্প্রদায়) বা বিরোধী দলকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য পূর্ববর্তী কোনো প্রধানমন্ত্রী এমন বাজে, অসংসদীয় ও নিম্নমানের ভাষা ব্যবহার করেননি। আর দেশের একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় থেকে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়কে আলাদা নজরে দেখা বিজেপির ‘বিশেষ অধিকার’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের আগে দেশের জনগণকে সম্বোধন করে লেখা এক চিঠিতে মনমোহন সিং আজ বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মনমোহন সিং বলেছিলেন—সম্পত্তিতে প্রথম অধিকার পাবে মুসলিমরা। তবে কংগ্রেস সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু যাকে নিয়ে মোদির মন্তব্য, সেই মনমোহন সিং দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মুখ খুলছিলেন না। অবশেষে তিনি মুখ খুলেছেন এবং বলেছেন, ‘সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরি বা আলাদা নজরে দেখা কখনোই ঠিক হবে না।’
মনমোহন সিং বলেন, ‘আমি এই নির্বাচনের প্রচারের সময় রাজনৈতিক আলোচনা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছি। মোদি জঘন্য ঘৃণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন, যা একেবারেই বিভাজন সৃষ্টিকারী। মোদি হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি তাঁর পদের মর্যাদাহানি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভাবগাম্ভীর্য কমিয়েছেন।’
কংগ্রেস সরকারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের কোনো বিশেষ অংশ (সম্প্রদায়) বা বিরোধী দলকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য পূর্ববর্তী কোনো প্রধানমন্ত্রী এমন বাজে, অসংসদীয় ও নিম্নমানের ভাষা ব্যবহার করেননি। তাঁরা আমার বিষয়েও কিছু ভুল বক্তব্য দিয়েছে। আমি জীবনে কখনোই এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায় থেকে আলাদা করে দেখিনি। এটি বিজেপির “বিশেষ অধিকার” ও অভ্যাস।’
শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মনমোহন সিং আরও বলেন, ‘আমি পাঞ্জাবের প্রত্যেক ভোটারকে উন্নয়ন ও সমন্বিত অগ্রগতির পক্ষে ভোট দেওয়ার আবেদন করছি। আমি তরুণদের সাবধানে ভোট দিতে এবং ভবিষ্যতের জন্য ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই। শুধু কংগ্রেসই একটি প্রগতিশীল ভবিষ্যতের গ্যারান্টি দিতে পারে, যেখানে গণতন্ত্র ও সংবিধান সুরক্ষিত থাকবে।’
এর আগে, গত মাসের শুরুর দিকে জাতীয় ‘জাত সমীক্ষার’ অংশ হিসেবে ‘অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদনের’ পরিকল্পনা প্রকাশ করে কংগ্রেস। দলটির নির্বাচনী ইশতেহার ও তাদের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের এক মন্তব্যকে ইঙ্গিত করে মোদি বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস বলে যে, তারা আমাদের মা-বোনদের কাছে থাকা সোনার হিসাব করবে এবং সেই সম্পত্তি বণ্টন করবে সবার মাঝে। মনমোহন সিংয়ের সরকার বলেছিল যে, সমস্ত সম্পদের ওপর মুসলমানদের প্রথম অধিকার আছে...।’
রাজস্থানের বাঁশবাড়ায় এক জনসভায় মোদি বলেন, ‘...এটা (সম্পদ) কাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে? যাদের (মুসলিমদের ইঙ্গিত করে) বেশি সন্তান আছে তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। আপনাদের কষ্টার্জিত অর্থ কি অনুপ্রবেশকারীদের কাছে যাওয়া উচিত?’
চাঞ্চল্যকর এক অভিযোগে অ্যাপস্টেইন ফাইলসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম থাকার কথা বলেছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ মাস্ক লিখেছেন, ‘এবার সময় এসেছে বড় বিস্ফোরণের—অ্যাপস্টেইন ফাইলসে ট্রাম্পও আছেন।’
১৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গে আর কোনো ধরনের আলোচনা করতে আগ্রহী নন। সম্প্রতি করছাড় বিল নিয়ে এই দুই ব্যক্তির মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার তাদের মধ্যে ফোনালাপের কথা ছিল। তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প-মাস্
১৩ ঘণ্টা আগেভারত-কানাডা সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কানাডার কানানাসকিসে অনুষ্ঠিতব্য জি-৭ সম্মেলনে (১৫-১৭ জুন) আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। ট্রুডোর পদত্যাগের আগে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। সেই অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে নতুন প্রধান
১৪ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা ইসলামের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার সূচনা করল চরম অনিশ্চয়তা ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে খোলা আকাশের নিচে তাঁরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে