Ajker Patrika

কেরালায় বৃষ্টিপাত–ভূমিধসে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

কেরালায় বৃষ্টিপাত–ভূমিধসে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

ভারতের কেরালায় ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও কয়কেজন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ সোমবার কেরালার ইদুক্কি জেলার থুদুপুজার পাশের গ্রামে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, গত দুদিন ধরেই কেরালার পাহাড়ি অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে আজ সোমবার ভোরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কানজারের বাসিন্দা থানকাম্মা (৮০) তাঁর স্ত্রী শাজি (৫০) তাঁদের ছেলে সোমেন (৫২) ও মেয়ে সিমা (৫০) এবং দেবানন্দসহ (৫) সব মিলিয়ে ৫ জন ভূমিধসে মারা যান। 

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামীকাল মঙ্গলবার রাজ্যটির কাসারাগোদ জেলা ব্যতীত সকল জেলায় ‘হলুদ সতর্কবার্তা’ জারি করার প্রয়োজন হতে পারে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে। এ ছাড়া কেরালার কোট্টায়াম জেলার নেদুনকুন্নাম, কারুকাচল অঞ্চলগুলোও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে, ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুর্গতদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। 

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেরালার পাথানামথিত্তা জেলার মল্লাপল্লী তালুকে বন্যা হয়েছে। এতে মাল্লাপল্লী, অনিক্কাদ এবং থল্লিউর অঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। এ বিষয়ে জেলার তথ্য কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মাল্লাপল্লী তালুকের কোটাঙ্গল গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকেছে।’ তিনি জানান, বন্যার পানির স্রোতে একটি গাড়ি ভেসে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা দড়ি দিয়ে গাড়িটি গাছের সঙ্গে বেঁধে কোনো মতে তা রক্ষা করতে সক্ষম হয়। 

এ ছাড়া, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড় এবং কান্নুর জেলার পাহাড়ি অঞ্চলেও গত দুদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে অঞ্চলগুলোতে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। মালাপ্পুরাম জেলার ওলিপুঝা এলাকায় বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

খাদ্যে ভেজাল: বিদেশের মথবীজ দেশে রং মিশিয়ে মুগ ডাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুদানে ফের ভাঙনের আশঙ্কা, দারফুরে ৩ দিনে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা বিদ্রোহীদের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিদ্রোহে জর্জরিত সুদানের এল–ফাশের শহরের একটি বাজার পুড়িয়ে দেয় বিদ্রোহীরা। ছবি: সংগৃহীত
বিদ্রোহে জর্জরিত সুদানের এল–ফাশের শহরের একটি বাজার পুড়িয়ে দেয় বিদ্রোহীরা। ছবি: সংগৃহীত

সুদানের পশ্চিম দারফুরের এল-ফাশের শহর দখলের সময় আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বহু মানুষকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে এক চিকিৎসক সংগঠন ও কয়েকজন গবেষক। সুদান ডক্টর্স নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশের নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে থাকা আরএসএফ গত ৩ দিনে অন্তত দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। সংগঠনটি একে ‘সত্যিকারের গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সুদান ডক্টর্স নেটওয়ার্কের ভাষায়, ‘আজ বিশ্বের সামনে যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, তা আসলে সেই হত্যারই ধারাবাহিকতা যা দেড় বছর আগে এল-ফাশেরে ঘটেছিল। সে সময় বোমা হামলা, অনাহার ও বিচারবহির্ভূত হত্যায় ১৪ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল।’

তাদের দাবি, এসব হামলা ‘পরিকল্পিত ও পদ্ধতিগতভাবে মানুষ হত্যার একটি অভিযানের অংশ।’ যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব থেকে প্রকাশিত নতুন তথ্যও এই হত্যাযজ্ঞের প্রমাণ দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, আরএসএফের দখলের পর তোলা স্যাটেলাইট চিত্রে মানুষের মৃতদেহের আকারের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন বহু বস্তু দেখা গেছে। পাশাপাশি, মাটিতে বড় বড় লালচে দাগও ধরা পড়েছে, যা রক্তপাতের ইঙ্গিত দেয়।

এর আগে, ২০২৩ সাল থেকে আরএসএফ ও সুদানি সেনাবাহিনীর মধ্যে চলছে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আর বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। ১৭ মাস অবরুদ্ধ থাকার পর গত রোববার এল-ফাশের দখল করে নেয় আরএসএফ। এটি দারফুর অঞ্চলে সুদানি সেনাবাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি ছিল।

বুধবার সুদান সরকার জানায়, শহরটিতে অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। সাহায্য সংস্থাগুলোও জানিয়েছে, তারা বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে খবর পেয়েছে যে শহরে গণহত্যা, পালিয়ে যাওয়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা, এবং ঘরে ঘরে ঢুকে হত্যার মতো ভয়াবহ নৃশংসতা চলছে।

এল-ফাশের শহরে নারী ও কিশোরীদের ওপর ব্যাপক যৌন সহিংসতার খবরও পাওয়া গেছে। এই শহর দখলের মধ্য দিয়ে দারফুরের প্রায় পুরোটাই আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এতে আবারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে—এক দশকেরও বেশি আগে দক্ষিণ সুদানের মতো, সুদান হয়তো আবারও বিভক্ত হবে।

সুদানের সেনা-সমর্থিত সরকার আরও অভিযোগ করেছে, এল-ফাশের দখলের সময় আরএসএফ মসজিদে অবস্থানরত সাধারণ মানুষদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মকর্তা মোনা নুর আল-দাইম বলেন, ‘মিলিশিয়ারা এল-ফাশেরে প্রবেশের সময় দুই হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে, তাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন মসজিদে আশ্রয় নেওয়া স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্য।’

খার্তুম থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হিবা মর্গান জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আরএসএফের ভিডিওতে দেখা গেছে, তাদের যোদ্ধারা পালিয়ে যাওয়া বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হলো—আরএসএফ যোদ্ধারা এল-ফাশেরের সৌদি হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে রোগীদের গুলি করে হত্যা করছে।’

বেঁচে ফেরা প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই হাসপাতালে অন্তত ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। নিহতদের মধ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও ছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস জানান, শুধু সৌদি ম্যাটারনিটি হাসপাতালেই ৪৬০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

সুদান ডক্টর্স নেটওয়ার্ক জানায়, মঙ্গলবার আরএসএফ যোদ্ধারা ‘সৌদি হাসপাতালের ভেতরে যাকে পেয়েছে তাকেই ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে—রোগী, তাদের স্বজন, এমনকি হাসপাতালে উপস্থিত অন্য সবাইকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

খাদ্যে ভেজাল: বিদেশের মথবীজ দেশে রং মিশিয়ে মুগ ডাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অর্থনৈতিক সংঘাত’ স্বাভাবিক সি’র কাছে, বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানে আশাবাদী ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বুসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। ছবি: এএফপি
বুসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার এক বিমানঘাঁটিতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের অবসান ঘটাতে এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক ফল আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প। আর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, দুই দেশের সম্পর্কের এক দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলার ব্যাপারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী বুসানে এই বৈঠক হচ্ছে। ২০১৯ সালের পর এটিই ট্রাম্প ও শির প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। এটি ট্রাম্পের এশিয়া সফরের শেষ ধাপ। এর আগে, এই সফরে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে একাধিক বাণিজ্যিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের বৈঠক অত্যন্ত সফল হবে, এতে আমার কোনো সন্দেহ নেই। তবে তিনি (সি চিনপিং) খুব কঠিন আলোচক।’ সি-র সঙ্গে করমর্দনের সময় সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প আরও জানান, বৃহস্পতিবারই হয়তো তাঁরা ‘একটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর’ করতে পারেন। সেই সময় সির মুখচ্ছবি ছিল বরাবরের মতোই প্রায় নিরাবেগ।

দুই দেশের প্রতিনিধিদল আলোচনায় বসলে, দোভাষীর মাধ্যমে সি ট্রাম্পকে বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে মাঝেমধ্যে কিছু সংঘাত স্বাভাবিক।’ তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমাদের আলোচকেরা উভয় পক্ষের মূল উদ্বেগ দূর করার বিষয়ে একটি মৌলিক ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে চাই, যাতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি গড়ে ওঠে।’

বৈঠকের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ডলারের বিপরীতে চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মান এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, বাণিজ্য উত্তেজনা কমলে বিশ্ববাজার স্থিতিশীলতা ফিরে পাবে। ওয়াল স্ট্রিট থেকে টোকিও পর্যন্ত শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রেকর্ড উচ্চতা দেখা গেছে।

এপেক (এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন) সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠকের বিষয়ে ট্রাম্প বারবার আশাবাদী মন্তব্য করেছেন। গত রোববার কুয়ালালামপুরে দুই দেশের আলোচকেরা সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছানোর পর থেকেই তিনি এটি নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করে আসছেন।

তবে অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির নানা ক্ষেত্রে দুই দেশই ক্রমশ শক্ত অবস্থান নিচ্ছে। তাই এই অস্থায়ী সমঝোতা কত দিন টিকবে, সে বিষয়ে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। এ মাসেই বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন করে তীব্র হয়, যখন বেইজিং বিরল ধাতু রপ্তানিতে বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রস্তাব দেয়। এই খনিজগুলো উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পে অপরিহার্য, আর চীন এই খাতের প্রায় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।

জবাবে ট্রাম্প চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার ব্যবহার করা পণ্যের চীনে রপ্তানিতেও সীমাবদ্ধতা আনার হুমকি দেন—যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিতে পারত।

এর আগে, গত সপ্তাহের শেষ দিকে দুই দেশের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচকদের মধ্যে জোরদার যোগাযোগের পর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানান, বেইজিং এক বছরের জন্য বিরল ধাতুর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ স্থগিত করতে পারে এবং মার্কিন কৃষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সয়াবিন কেনা আবার শুরু করতে পারে। এ বিষয়ে ট্রাম্প ও শির মধ্যে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো চুক্তি’ হতে যাচ্ছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সম্মেলনের আগে চীন কয়েক মাস পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কিনেছে বলে বুধবার রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়। হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়েছে, এই বৈঠক বছরের মধ্যে ট্রাম্প ও শির মধ্যে আরও কয়েকটি বৈঠকের সূচনা হতে পারে, এমনকি একে অপরের দেশে সফরও হতে পারে—অর্থাৎ আলোচনা দীর্ঘমেয়াদি রূপ নিতে পারে।

তবে ট্রাম্প দ্রুত কিছু ফল চান। বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়ী মহলও তাই গভীর মনোযোগে এই বৈঠক পর্যবেক্ষণ করছে। বুধবার ট্রাম্প বলেন, ফেন্টানিল নামের প্রাণঘাতী সিনথেটিক মাদকের উপকরণ সরবরাহ কমাতে চীনের প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যে আরোপিত শুল্ক কমাতে পারে।

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা টিকটকের বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতেও শির সঙ্গে তিনি স্বাক্ষর করতে পারেন, যদি চীনা মালিকেরা অ্যাপটির যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কার্যক্রম বিক্রি করতে সম্মত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

খাদ্যে ভেজাল: বিদেশের মথবীজ দেশে রং মিশিয়ে মুগ ডাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন করে ‘কার্যকর’ যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ফের ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৩৬
ফাইল ছবি। ছবি: এএফপি
ফাইল ছবি। ছবি: এএফপি

এক দিন আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলা চালিয়ে প্রায় ১০০ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল। তারপর তারাই আবার যুদ্ধবিরতি ‘কার্যকর’ করার ঘোষণা দেয়। এবার সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় আবারও হামলা চালিয়েছে। এতে দুজন নিহত হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, উত্তর গাজায় নতুন করে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যদিও তারা দাবি করেছে—সংবেদনশীল যুদ্ধবিরতি ‘আবারও কার্যকর’ হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমাবর্ষণের পর থেকেই এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। সেই হামলায় অন্তত ১০৪ জন নিহত হয়।

এদিকে মঙ্গলবারের হামলার পর ইসরায়েলের দাবি করা ‘কার্যকর হওয়া’ যুদ্ধবিরতি ভেঙে স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গাজার বাইত লাহিয়ায় ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল একটি অস্ত্রভান্ডার, যা সেনাদের জন্য ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ হয়ে উঠেছিল।

এই হামলায় গাজার নাজুক যুদ্ধবিরতি আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার রাতের ভয়াবহ বোমাবর্ষণ ছিল ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর এই যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে তীব্র হামলা। দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় মঙ্গলবার এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় ‘প্রচণ্ড প্রতিশোধমূলক হামলা’ চালানোর নির্দেশ দেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ওই হামলায় ১০৪ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলায় বহু সিনিয়র হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে। পরে তারা ঘোষণা দেয়, বুধবার মধ্যাহ্ন থেকে আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক হামলার পরও যুদ্ধবিরতি ‘বিপদের মুখে নেই’। আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী কাতার এই সহিংসতায় হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, তারা এখনো যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ, বিশেষ করে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

গাজা শহর থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, নতুন করে হামলা শুরু হওয়ায় দুই বছরের যুদ্ধের ক্লান্ত জনগণের মনে আবারও ভয় ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, ‘এক মুহূর্তের জন্য শান্তির যে আশা দেখা দিয়েছিল, তা এখন হতাশায় পরিণত হয়েছে। অনেকের জন্য এটা গণহত্যার শুরুর দিকের সেই ভয়ংকর দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, যখন বিশাল বোমার আঘাতে গাজা শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।’

শাতি শরণার্থীশিবিরের একটি স্কুলে সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মা খাদিজা আল-হুসনি বলেন, ‘মানুষ একটু করে শ্বাস নিচ্ছিল, আবার জীবন গুছিয়ে নিতে চাইছিল, ঠিক তখনই এই হামলা শুরু হলো।’ তিনি বলেন, ‘এটা অপরাধ। হয় যুদ্ধবিরতি থাকবে, নয় যুদ্ধ—দুটি একসঙ্গে হতে পারে না। শিশুরা রাতভর ঘুমাতে পারেনি; তারা ভেবেছিল যুদ্ধ শেষ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

খাদ্যে ভেজাল: বিদেশের মথবীজ দেশে রং মিশিয়ে মুগ ডাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডো পসাইডনের সফল পরীক্ষা চালাল রাশিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রাচীন গ্রিক পুরাণের সমুদ্র দেবতা পসাইডনের নামে এই টর্পেডোর নামকরণ করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
প্রাচীন গ্রিক পুরাণের সমুদ্র দেবতা পসাইডনের নামে এই টর্পেডোর নামকরণ করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অস্ত্র বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন রাশিয়ার প্রতি তাঁর কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন, ঠিক তখনই পুতিন প্রকাশ্যে এমন পারমাণবিক শক্তির প্রদর্শন করলেন।

প্রাচীন গ্রিক পুরাণের সমুদ্র দেবতা পসাইডনের নামে নামকরণ করা এই টর্পেডো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে এটি মূলত একটি পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন টর্পেডো এবং ড্রোনের সংমিশ্রণ।

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) মস্কোর একটি হাসপাতালে ইউক্রেন যুদ্ধে আহত রুশ সৈন্যদের দেখতে গিয়েছিলেন পুতিন। এ সময় তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) পারমাণবিক শক্তিচালিত এই সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালানো হয়।

পুতিন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা এটিকে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি এর পারমাণবিক শক্তি ইউনিটটিও চালু করেছি, যার ওপর নির্ভর করে এই ডিভাইস নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, এটিকে বাধা দেওয়ার কোনো উপায় নেই।

সামরিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই টর্পেডোর পাল্লা ১০ হাজার কিলোমিটার (৬ হাজার ২০০ মাইল) এবং এটি ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। রুশ সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ন্যাটোতে ‘ক্যানিয়ন’ নামে পরিচিত পসাইডন ২০ মিটার লম্বা, ১ দশমিক ৮ মিটার ব্যাস এবং এর ওজন ১০০ টন।

অনেকে বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বুরেভেস্তনিক ও পসাইডনের পরীক্ষা পশ্চিমাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। পুতিনের কথায়, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের চাপের কাছে রাশিয়া কখনোই মাথা নত করবে না।

এর আগে ২১ অক্টোবর বুরেভেস্তনিক নামে নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না।

২০১৮ সালে পসাইডন ও বুরেভেস্তনিকের প্রথম ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রতিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ওয়াশিংটন ২০০১ সালে একতরফাভাবে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং পরে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ শুরু করে।

এদিকে রাশিয়ার বুরেভেস্তনিক পরীক্ষার পর ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনের উচিত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না করে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

খাদ্যে ভেজাল: বিদেশের মথবীজ দেশে রং মিশিয়ে মুগ ডাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত