
ভারতের মুম্বাইয়ে ২০তলা ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে এখনো পর্যন্ত সাতজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাইয়ের তারদেও এলাকায় গোয়ালিয়া ট্যাংকের গান্ধী হাসপাতালের বিপরীতে সুউচ্চ ভবনটির ১৮তলায় শনিবার সকাল ৭টার দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা এএনআইকে আগুন নিয়ন্ত্রণের খবর জানিয়ে মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোরি পেড়নেকর বলেছেন, আবাসিক ভবনটির ছয়জন বয়স্ক বাসিন্দাকে অক্সিজেন সহায়তার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও প্রচুর ধোঁয়া বের হচ্ছে। আটকে পড়া সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৩টি ফায়ার ইঞ্জিন ও সাতটি ওয়াটার জেট কাজ করেছে। আহতদের নিকটবর্তী তিনটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ পাঁচজন নাইর হাসপাতালে, একজন কস্তুরবা হাসপাতালে এবং আরেক ভুক্তভোগী ভাটিয়া হাসপাতালে মারা যান।

ভারতের মুম্বাইয়ে ২০তলা ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে এখনো পর্যন্ত সাতজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাইয়ের তারদেও এলাকায় গোয়ালিয়া ট্যাংকের গান্ধী হাসপাতালের বিপরীতে সুউচ্চ ভবনটির ১৮তলায় শনিবার সকাল ৭টার দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা এএনআইকে আগুন নিয়ন্ত্রণের খবর জানিয়ে মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোরি পেড়নেকর বলেছেন, আবাসিক ভবনটির ছয়জন বয়স্ক বাসিন্দাকে অক্সিজেন সহায়তার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও প্রচুর ধোঁয়া বের হচ্ছে। আটকে পড়া সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৩টি ফায়ার ইঞ্জিন ও সাতটি ওয়াটার জেট কাজ করেছে। আহতদের নিকটবর্তী তিনটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ পাঁচজন নাইর হাসপাতালে, একজন কস্তুরবা হাসপাতালে এবং আরেক ভুক্তভোগী ভাটিয়া হাসপাতালে মারা যান।

এই অস্ত্রগুলো আদৌ কার্যকর কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০১৯ সালে একটি রকেট ইঞ্জিন বিস্ফোরণে পাঁচজন রুশ পারমাণবিক প্রকৌশলী মারা গিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, এই রকেট ইঞ্জিনটি বুরেভেস্তনিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
২ মিনিট আগে
ল্যুভর মিউজিয়ামে দুঃসাহসী চুরির পর আবারও ফ্রান্সে ঘটল চুরির ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দেশটির লিওঁ শহরে এক মূল্যবান ধাতুর কারখানায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় নির্বাচনপরবর্তী অস্থিরতার মধ্যেই খবর এলো ক্ষমতায় বহাল থাকছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। নির্বাচন কমিশনের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বুধবারের নির্বাচনে ৩২ মিলিয়ন ব্যালটের ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সামিয়া। অর্থাৎ প্রায় সব ভোটই তাঁর পক্ষে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘জেটিও নিউজ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কর্নেল স্টিভ গ্যাভাবিক্স অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে সন্তুষ্ট করতে এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুর্বল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মস্কোর একটি হাসপাতালে গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) ইউক্রেন যুদ্ধে আহত রুশ সৈন্যদের দেখতে গিয়েছিলেন পুতিন। এ সময় তিনি জানান, রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্র বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
পুতিন বলেন, ‘এর মতো অস্ত্র বিশ্বের আর কোথাও নেই।’ প্রাচীন গ্রিক পুরাণের সমুদ্রদেবতা পসাইডনের নামে নামকরণ করা এই টর্পেডো সম্পর্কে খুব বেশি বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে এটি মূলত একটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন টর্পেডো এবং ড্রোনের সংমিশ্রণ। রুশ পার্লামেন্টের এক জ্যেষ্ঠ সদস্যের ভাষায়, ‘পুরো একটি রাষ্ট্রকে অচল করে দিতে সক্ষম এই অস্ত্র।’
২০১৮ সালে প্রথমবার এই অস্ত্রের কথা প্রকাশ্যে আসে। সে সময় রুশ গণমাধ্যমের দাবি ছিল, পসাইডন প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে এবং এটি এমনভাবে রুট পরিবর্তন করতে পারে যে তাকে আটকানো ‘অসম্ভব’।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর ‘বুরেভেস্তনিক’ নামের নতুন এক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না। পুতিনের ভাষায়, ‘এটি এক অনন্য অস্ত্র, যা আর কোনো দেশের কাছে নেই।’
তবে রাশিয়ার জন্য নতুন অস্ত্র পরীক্ষা করা বা সেগুলোকে প্রচার করা নতুন কিছু নয়। বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃতপক্ষে এসব অস্ত্রের সামরিক মূল্য নিয়ে প্রশ্ন আছে।
রাশিয়া-বিশেষজ্ঞ মার্ক গ্যালিওটি বিবিসিকে বলেন, এসব মূলত পৃথিবী ধ্বংসকারী ‘আর্মাগেডন অস্ত্র’। এসব অস্ত্র কেবল তখনই ব্যবহার করা যায়, যখন আপনি পুরো বিশ্বকে ধ্বংস করতে চাইবেন।’
প্রসঙ্গত, ‘আর্মাগেডন’ একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ ‘পৃথিবীর শেষ সময়ে একটি ভয়ংকর যুদ্ধ’। অর্থাৎ ‘আর্মাগেডন অস্ত্র’ বলতে সেই অস্ত্রগুলোকে বোঝায়, যার ব্যবহারে পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
গ্যালিওটি জানান, পসাইডন ও বুরেভেস্তনিক দুটি এই ধরনের অস্ত্র। সেই সঙ্গে এগুলো ‘সেকেন্ড-স্ট্রাইক’ অস্ত্র, যা শুধু প্রতিশোধমূলক ব্যবহারের জন্য তৈরি।
তবে এই অস্ত্রগুলো আদৌ কার্যকর কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০১৯ সালে একটি রকেট ইঞ্জিন বিস্ফোরণে পাঁচজন রুশ পারমাণবিক প্রকৌশলী মারা গিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, এই রকেট ইঞ্জিন বুরেভেস্তনিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) তথ্যমতে, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পারমাণবিক প্রোপালশন ইউনিটের কর্মক্ষমতা নিয়ে নানান ধরনের ‘প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ’ আছে। আইআইএসএসের তথ্যমতে, এই জায়গায় রাশিয়ার এখনো ‘অনেক ঘাটতি’।
২০১৮ সালে পুতিন ‘অজেয়’ অস্ত্রের তালিকায় পসাইডন ও বুরেভেস্তনিকের নাম ঘোষণা করেছিলেন। প্রায় সাত বছর পর, আবারও এসব অস্ত্র নিয়ে নতুন করে আলোচনায় পুতিন। প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন আবার এসব অস্ত্র নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? এত দিন পর কি তবে রাশিয়া সফল হলো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুটি অস্ত্র নিয়ে পুতিনের ঘোষণা যতটা না নতুন, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক।
কয়েক মাস ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংলাপের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু এখন সেই কূটনৈতিক উদ্যোগ কার্যত ভেস্তে গেছে।
এরপর হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক হঠাৎ বাতিল করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, মস্কো ও ওয়াশিংটনের অবস্থান এতটাই ভিন্ন যে এই বৈঠকে কোনো কার্যত কোনো ফল আসত না। এর পরপরই ট্রাম্প রাশিয়ার দুই বৃহৎ তেল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে পুতিন হয়তো ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই নতুন অস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছেন। রাশিয়া-বিশেষজ্ঞ মার্ক গ্যালিওটি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনো ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতিশীল, আবার কখনো রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। এমন দোলাচালে পুতিনের কাছে এই অস্ত্রগুলো দেখানো হলো শক্তির প্রদর্শন।’
এদিকে, ইউক্রেন আক্রমণের সাড়ে তিন বছরেও বড় কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি রুশ বাহিনী। বিপুল প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও যুদ্ধ স্থবির।
ম্যাকেঞ্জি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসেসের গোয়েন্দা প্রধান ডেভিড হিথকোট বিবিসিকে বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধ মৌসুমের শেষের দিকে এসে রাশিয়ার পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই এই ধরনের অস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণাকে তাদের প্রচলিত সেনাশক্তির দুর্বলতার প্রতিফলন হিসেবেই দেখা উচিত।’
তাঁর মতে, ‘রাশিয়া যখনই সংকটে পড়ে, তখনই অপ্রয়োজনীয় ও অতিরঞ্জিত সামরিক হুমকি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়।’
অবশ্য পুতিনের এমন হুমকিতে কাজ হয়েছে। ৩৩ বছর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেনাবাহিনীকে আবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু অন্যরাও পরীক্ষা চালাচ্ছে, আমাদেরও করা উচিত।’ তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পরীক্ষা শুরু হতে কয়েক মাস সময় লাগবে। আবার ট্রাম্প কী ধরনের অস্ত্র পরীক্ষার কথা বলেছেন, সে বিষয়েও বিস্তারিত জানাননি।
ট্রাম্পের নির্দেশের পর ক্রেমলিন দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রাশিয়ার এই পরীক্ষাগুলো ‘কোনোভাবেই পারমাণবিক পরীক্ষা হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না’, বরং এগুলো ছিল পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহনে সক্ষম ডেলিভারি সিস্টেমের পরীক্ষা।
তবে আইআইএসএসের কৌশল ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান ড. আলেকজান্ডার বোলফ্রাস বলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত সম্ভবত সরাসরি রাশিয়ার বুরেভেস্তনিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্রও এখন একই ধরনের আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, মস্কোর ঘোষণা ট্রাম্পকে উসকে দিয়েছে। এদিকে, পুতিনের হুমকিতে ঘুম হারাম হয়ে গেছে ইউরোপের। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে তটস্থ ইউরোপ এখন এক নতুন সংকটে।
কিন্তু আসলেই কি পুতিনের রাশিয়া পসাইডন বা বুরভেস্তনিকের মতো বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে? নাকি পুতিন শুধু হুমকি দিয়েই পুরো বিশ্বকে জানান দিয়েছেন, ‘আমাদের এগুলো আছে, আমরা এটা করতে পারি’? সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক দর-কষাকষির প্রেক্ষাপটে মস্কোর সামরিক সক্ষমতা দেখানো একটি রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়।

মস্কোর একটি হাসপাতালে গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) ইউক্রেন যুদ্ধে আহত রুশ সৈন্যদের দেখতে গিয়েছিলেন পুতিন। এ সময় তিনি জানান, রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্র বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
পুতিন বলেন, ‘এর মতো অস্ত্র বিশ্বের আর কোথাও নেই।’ প্রাচীন গ্রিক পুরাণের সমুদ্রদেবতা পসাইডনের নামে নামকরণ করা এই টর্পেডো সম্পর্কে খুব বেশি বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে এটি মূলত একটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন টর্পেডো এবং ড্রোনের সংমিশ্রণ। রুশ পার্লামেন্টের এক জ্যেষ্ঠ সদস্যের ভাষায়, ‘পুরো একটি রাষ্ট্রকে অচল করে দিতে সক্ষম এই অস্ত্র।’
২০১৮ সালে প্রথমবার এই অস্ত্রের কথা প্রকাশ্যে আসে। সে সময় রুশ গণমাধ্যমের দাবি ছিল, পসাইডন প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে এবং এটি এমনভাবে রুট পরিবর্তন করতে পারে যে তাকে আটকানো ‘অসম্ভব’।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর ‘বুরেভেস্তনিক’ নামের নতুন এক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না। পুতিনের ভাষায়, ‘এটি এক অনন্য অস্ত্র, যা আর কোনো দেশের কাছে নেই।’
তবে রাশিয়ার জন্য নতুন অস্ত্র পরীক্ষা করা বা সেগুলোকে প্রচার করা নতুন কিছু নয়। বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃতপক্ষে এসব অস্ত্রের সামরিক মূল্য নিয়ে প্রশ্ন আছে।
রাশিয়া-বিশেষজ্ঞ মার্ক গ্যালিওটি বিবিসিকে বলেন, এসব মূলত পৃথিবী ধ্বংসকারী ‘আর্মাগেডন অস্ত্র’। এসব অস্ত্র কেবল তখনই ব্যবহার করা যায়, যখন আপনি পুরো বিশ্বকে ধ্বংস করতে চাইবেন।’
প্রসঙ্গত, ‘আর্মাগেডন’ একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ ‘পৃথিবীর শেষ সময়ে একটি ভয়ংকর যুদ্ধ’। অর্থাৎ ‘আর্মাগেডন অস্ত্র’ বলতে সেই অস্ত্রগুলোকে বোঝায়, যার ব্যবহারে পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
গ্যালিওটি জানান, পসাইডন ও বুরেভেস্তনিক দুটি এই ধরনের অস্ত্র। সেই সঙ্গে এগুলো ‘সেকেন্ড-স্ট্রাইক’ অস্ত্র, যা শুধু প্রতিশোধমূলক ব্যবহারের জন্য তৈরি।
তবে এই অস্ত্রগুলো আদৌ কার্যকর কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০১৯ সালে একটি রকেট ইঞ্জিন বিস্ফোরণে পাঁচজন রুশ পারমাণবিক প্রকৌশলী মারা গিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, এই রকেট ইঞ্জিন বুরেভেস্তনিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) তথ্যমতে, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পারমাণবিক প্রোপালশন ইউনিটের কর্মক্ষমতা নিয়ে নানান ধরনের ‘প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ’ আছে। আইআইএসএসের তথ্যমতে, এই জায়গায় রাশিয়ার এখনো ‘অনেক ঘাটতি’।
২০১৮ সালে পুতিন ‘অজেয়’ অস্ত্রের তালিকায় পসাইডন ও বুরেভেস্তনিকের নাম ঘোষণা করেছিলেন। প্রায় সাত বছর পর, আবারও এসব অস্ত্র নিয়ে নতুন করে আলোচনায় পুতিন। প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন আবার এসব অস্ত্র নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? এত দিন পর কি তবে রাশিয়া সফল হলো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুটি অস্ত্র নিয়ে পুতিনের ঘোষণা যতটা না নতুন, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক।
কয়েক মাস ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংলাপের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু এখন সেই কূটনৈতিক উদ্যোগ কার্যত ভেস্তে গেছে।
এরপর হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক হঠাৎ বাতিল করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, মস্কো ও ওয়াশিংটনের অবস্থান এতটাই ভিন্ন যে এই বৈঠকে কোনো কার্যত কোনো ফল আসত না। এর পরপরই ট্রাম্প রাশিয়ার দুই বৃহৎ তেল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে পুতিন হয়তো ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই নতুন অস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছেন। রাশিয়া-বিশেষজ্ঞ মার্ক গ্যালিওটি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনো ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতিশীল, আবার কখনো রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। এমন দোলাচালে পুতিনের কাছে এই অস্ত্রগুলো দেখানো হলো শক্তির প্রদর্শন।’
এদিকে, ইউক্রেন আক্রমণের সাড়ে তিন বছরেও বড় কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি রুশ বাহিনী। বিপুল প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও যুদ্ধ স্থবির।
ম্যাকেঞ্জি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসেসের গোয়েন্দা প্রধান ডেভিড হিথকোট বিবিসিকে বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধ মৌসুমের শেষের দিকে এসে রাশিয়ার পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই এই ধরনের অস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণাকে তাদের প্রচলিত সেনাশক্তির দুর্বলতার প্রতিফলন হিসেবেই দেখা উচিত।’
তাঁর মতে, ‘রাশিয়া যখনই সংকটে পড়ে, তখনই অপ্রয়োজনীয় ও অতিরঞ্জিত সামরিক হুমকি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়।’
অবশ্য পুতিনের এমন হুমকিতে কাজ হয়েছে। ৩৩ বছর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেনাবাহিনীকে আবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু অন্যরাও পরীক্ষা চালাচ্ছে, আমাদেরও করা উচিত।’ তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পরীক্ষা শুরু হতে কয়েক মাস সময় লাগবে। আবার ট্রাম্প কী ধরনের অস্ত্র পরীক্ষার কথা বলেছেন, সে বিষয়েও বিস্তারিত জানাননি।
ট্রাম্পের নির্দেশের পর ক্রেমলিন দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রাশিয়ার এই পরীক্ষাগুলো ‘কোনোভাবেই পারমাণবিক পরীক্ষা হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না’, বরং এগুলো ছিল পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহনে সক্ষম ডেলিভারি সিস্টেমের পরীক্ষা।
তবে আইআইএসএসের কৌশল ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান ড. আলেকজান্ডার বোলফ্রাস বলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত সম্ভবত সরাসরি রাশিয়ার বুরেভেস্তনিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্রও এখন একই ধরনের আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, মস্কোর ঘোষণা ট্রাম্পকে উসকে দিয়েছে। এদিকে, পুতিনের হুমকিতে ঘুম হারাম হয়ে গেছে ইউরোপের। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে তটস্থ ইউরোপ এখন এক নতুন সংকটে।
কিন্তু আসলেই কি পুতিনের রাশিয়া পসাইডন বা বুরভেস্তনিকের মতো বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে? নাকি পুতিন শুধু হুমকি দিয়েই পুরো বিশ্বকে জানান দিয়েছেন, ‘আমাদের এগুলো আছে, আমরা এটা করতে পারি’? সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক দর-কষাকষির প্রেক্ষাপটে মস্কোর সামরিক সক্ষমতা দেখানো একটি রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়।

ভারতের মুম্বাইয়ে ২০ তলা ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে এখনো পর্যন্ত সাতজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন
২২ জানুয়ারি ২০২২
ল্যুভর মিউজিয়ামে দুঃসাহসী চুরির পর আবারও ফ্রান্সে ঘটল চুরির ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দেশটির লিওঁ শহরে এক মূল্যবান ধাতুর কারখানায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় নির্বাচনপরবর্তী অস্থিরতার মধ্যেই খবর এলো ক্ষমতায় বহাল থাকছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। নির্বাচন কমিশনের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বুধবারের নির্বাচনে ৩২ মিলিয়ন ব্যালটের ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সামিয়া। অর্থাৎ প্রায় সব ভোটই তাঁর পক্ষে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘জেটিও নিউজ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কর্নেল স্টিভ গ্যাভাবিক্স অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে সন্তুষ্ট করতে এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুর্বল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ল্যুভর মিউজিয়ামে দুঃসাহসী চুরির পর আবারও ফ্রান্সে ঘটল চুরির ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দেশটির লিওঁ শহরে এক মূল্যবান ধাতুর কারখানায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চোরেরা বিস্ফোরক ব্যবহার করে পুরকুয়ের ল্যাবরেটরিজ নামে ওই কারখানায় প্রবেশ করে। সেখান থেকে তারা ১২ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ কোটি টাকা) মূল্যের জিনিসপত্র চুরি করে।
লিওঁতে ডাকাতির ঘটনাটির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, ওই কারখানার কাছে দুটি লোক একটি সাদা ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। একজনকে কারখানাটির সীমানার ওপর একটি মই রাখতে এবং তা বেয়ে উঠতে দেখা যায়।
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে এবং ভ্যানটির পিছনের দরজা খুলছে। আরেকজন গাড়িতে কিছু ব্যাগ তুলে রাখছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানান, তিনি বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটি সত্যিই ভয়াবহ ছিল।’
কর্মকর্তারা এএফপিকে জানান, পুরকুয়ের ল্যাবরেটরিজ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের পাঁচ কর্মী বিস্ফোরণে সামান্য আহত হয়েছেন।
কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনার পরপরই পুলিশ ধাওয়া করে চোরদের ধরে ফেলে এবং চুরি হওয়া মালামাল জব্দ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটকদের একজন নারীও রয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে অ্যাসাল্ট রাইফেল এবং বিস্ফোরকও জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, প্যারিসের ল্যুভরের ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর, চারজন সন্দেহভাজন যান্ত্রিক লিফট ব্যবহার করে মিউজিয়ামের গ্যালারি অব অ্যাপোলোতে প্রবেশ করে। তারা ডিস্ক কাটার ব্যবহার করে রাজকীয় অলঙ্কার রাখা ডিসপ্লে কেসগুলো ভেঙে ৮৮ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৮৫৭ কোটি টাকা) মূল্যের জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়।

ল্যুভর মিউজিয়ামে দুঃসাহসী চুরির পর আবারও ফ্রান্সে ঘটল চুরির ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দেশটির লিওঁ শহরে এক মূল্যবান ধাতুর কারখানায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চোরেরা বিস্ফোরক ব্যবহার করে পুরকুয়ের ল্যাবরেটরিজ নামে ওই কারখানায় প্রবেশ করে। সেখান থেকে তারা ১২ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ কোটি টাকা) মূল্যের জিনিসপত্র চুরি করে।
লিওঁতে ডাকাতির ঘটনাটির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, ওই কারখানার কাছে দুটি লোক একটি সাদা ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। একজনকে কারখানাটির সীমানার ওপর একটি মই রাখতে এবং তা বেয়ে উঠতে দেখা যায়।
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে এবং ভ্যানটির পিছনের দরজা খুলছে। আরেকজন গাড়িতে কিছু ব্যাগ তুলে রাখছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানান, তিনি বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটি সত্যিই ভয়াবহ ছিল।’
কর্মকর্তারা এএফপিকে জানান, পুরকুয়ের ল্যাবরেটরিজ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের পাঁচ কর্মী বিস্ফোরণে সামান্য আহত হয়েছেন।
কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনার পরপরই পুলিশ ধাওয়া করে চোরদের ধরে ফেলে এবং চুরি হওয়া মালামাল জব্দ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটকদের একজন নারীও রয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে অ্যাসাল্ট রাইফেল এবং বিস্ফোরকও জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, প্যারিসের ল্যুভরের ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর, চারজন সন্দেহভাজন যান্ত্রিক লিফট ব্যবহার করে মিউজিয়ামের গ্যালারি অব অ্যাপোলোতে প্রবেশ করে। তারা ডিস্ক কাটার ব্যবহার করে রাজকীয় অলঙ্কার রাখা ডিসপ্লে কেসগুলো ভেঙে ৮৮ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৮৫৭ কোটি টাকা) মূল্যের জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়।

ভারতের মুম্বাইয়ে ২০ তলা ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে এখনো পর্যন্ত সাতজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন
২২ জানুয়ারি ২০২২
এই অস্ত্রগুলো আদৌ কার্যকর কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০১৯ সালে একটি রকেট ইঞ্জিন বিস্ফোরণে পাঁচজন রুশ পারমাণবিক প্রকৌশলী মারা গিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, এই রকেট ইঞ্জিনটি বুরেভেস্তনিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
২ মিনিট আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় নির্বাচনপরবর্তী অস্থিরতার মধ্যেই খবর এলো ক্ষমতায় বহাল থাকছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। নির্বাচন কমিশনের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বুধবারের নির্বাচনে ৩২ মিলিয়ন ব্যালটের ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সামিয়া। অর্থাৎ প্রায় সব ভোটই তাঁর পক্ষে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘জেটিও নিউজ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কর্নেল স্টিভ গ্যাভাবিক্স অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে সন্তুষ্ট করতে এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুর্বল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় নির্বাচনপরবর্তী অস্থিরতার মধ্যেই খবর এলো ক্ষমতায় বহাল থাকছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। নির্বাচন কমিশনের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বুধবারের নির্বাচনে ৩২ মিলিয়ন ব্যালটের ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সামিয়া। অর্থাৎ প্রায় সব ভোটই তাঁর পক্ষে গেছে।
এদিকে নির্বাচনের স্বচ্ছতার অভাব ও ব্যাপক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা। তাদের দাবি, নির্বাচনপরবর্তী অস্থিরতায় শত শত মানুষ নিহত এবং আরও শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের প্রধান জ্যাকবস মওয়ামবেগেলে বলেন, ‘চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) দলের প্রার্থী সামিয়া সুলুহু হাসান তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা করছি।’
তানজানিয়ার আধা-স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জ জাঞ্জিবারে নিজস্ব সরকার ও নেতা নির্বাচিত হয়। সেখানেও সিসিএম প্রার্থী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট হুসেইন মউইনি প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
জাঞ্জিবারে বিরোধীরা ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনেছে বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে।
বুধবার নির্বাচন হলেও গতকাল শুক্রবারও বাণিজ্যিক রাজধানী দার এস সালামসহ তানজানিয়ার বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ অব্যাহত ছিল। সেনাবাহিনী প্রধানের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা সড়কে নেমে সামিয়া সুলুহু হাসানের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশ ও ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায়। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয় তরুণ প্রতিবাদকারীরা, যারা নির্বাচনের ফলাফলকে অন্যায্য ও অগণতান্ত্রিক বলে নিন্দা করেন।
তাদের অভিযোগ, সরকার গণতন্ত্রকে খর্ব করছে। প্রধান বিরোধী নেতাদের একজন জেলে বন্দি এবং আরেকজনকে প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
শুক্রবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাদেমা দলের মুখপাত্র জন কিতোকা বলেন, দার এস সালামে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মওয়ানজায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে তানজানিয়ায় অবস্থানরত এক কূটনৈতিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যুর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।
এই সহিংসতাকে ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে চিহ্নিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কম্বো থাবিত বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে।’
এই নির্বাচনে মূলত দুইজন প্রধান বিরোধী প্রার্থী ছিলেন তুনদু লিসু ও লুহাগা এমপিনা। এর মধ্যে লিসু রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আটক রয়েছেন যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে এসি-টি ওয়াজালেন্দো দলের এমপিনাকে আইনি জটিলতার কারণে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এছাড়া আরও ১৬টি ছোট দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেয়েছিল, যাদের ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন নেই।
সামিয়ার ক্ষমতাসীন দল সিসিএম শুরু থেকেই দেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বজায় রেখেছে এবং স্বাধীনতার পর থেকে কখনোই কোনো নির্বাচনে হারেনি।
নির্বাচনের আগে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সরকারের দমন-পীড়নের নিন্দা করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিরোধী দলের নেতাদের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ‘ভয়াবহতার ঢেউ’-এর কথা উল্লেখ করে।
সরকার এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে এবং কর্মকর্তারা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছিলেন।
২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পরে তানজানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন সামিয়া সুলুহু হাসান।

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় নির্বাচনপরবর্তী অস্থিরতার মধ্যেই খবর এলো ক্ষমতায় বহাল থাকছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। নির্বাচন কমিশনের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বুধবারের নির্বাচনে ৩২ মিলিয়ন ব্যালটের ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সামিয়া। অর্থাৎ প্রায় সব ভোটই তাঁর পক্ষে গেছে।
এদিকে নির্বাচনের স্বচ্ছতার অভাব ও ব্যাপক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা। তাদের দাবি, নির্বাচনপরবর্তী অস্থিরতায় শত শত মানুষ নিহত এবং আরও শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের প্রধান জ্যাকবস মওয়ামবেগেলে বলেন, ‘চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) দলের প্রার্থী সামিয়া সুলুহু হাসান তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা করছি।’
তানজানিয়ার আধা-স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জ জাঞ্জিবারে নিজস্ব সরকার ও নেতা নির্বাচিত হয়। সেখানেও সিসিএম প্রার্থী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট হুসেইন মউইনি প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
জাঞ্জিবারে বিরোধীরা ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনেছে বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে।
বুধবার নির্বাচন হলেও গতকাল শুক্রবারও বাণিজ্যিক রাজধানী দার এস সালামসহ তানজানিয়ার বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ অব্যাহত ছিল। সেনাবাহিনী প্রধানের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা সড়কে নেমে সামিয়া সুলুহু হাসানের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশ ও ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায়। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয় তরুণ প্রতিবাদকারীরা, যারা নির্বাচনের ফলাফলকে অন্যায্য ও অগণতান্ত্রিক বলে নিন্দা করেন।
তাদের অভিযোগ, সরকার গণতন্ত্রকে খর্ব করছে। প্রধান বিরোধী নেতাদের একজন জেলে বন্দি এবং আরেকজনকে প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
শুক্রবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাদেমা দলের মুখপাত্র জন কিতোকা বলেন, দার এস সালামে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মওয়ানজায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে তানজানিয়ায় অবস্থানরত এক কূটনৈতিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যুর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।
এই সহিংসতাকে ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে চিহ্নিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কম্বো থাবিত বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে।’
এই নির্বাচনে মূলত দুইজন প্রধান বিরোধী প্রার্থী ছিলেন তুনদু লিসু ও লুহাগা এমপিনা। এর মধ্যে লিসু রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আটক রয়েছেন যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে এসি-টি ওয়াজালেন্দো দলের এমপিনাকে আইনি জটিলতার কারণে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এছাড়া আরও ১৬টি ছোট দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেয়েছিল, যাদের ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন নেই।
সামিয়ার ক্ষমতাসীন দল সিসিএম শুরু থেকেই দেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বজায় রেখেছে এবং স্বাধীনতার পর থেকে কখনোই কোনো নির্বাচনে হারেনি।
নির্বাচনের আগে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সরকারের দমন-পীড়নের নিন্দা করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিরোধী দলের নেতাদের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ‘ভয়াবহতার ঢেউ’-এর কথা উল্লেখ করে।
সরকার এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে এবং কর্মকর্তারা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছিলেন।
২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পরে তানজানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন সামিয়া সুলুহু হাসান।

ভারতের মুম্বাইয়ে ২০ তলা ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে এখনো পর্যন্ত সাতজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন
২২ জানুয়ারি ২০২২
এই অস্ত্রগুলো আদৌ কার্যকর কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০১৯ সালে একটি রকেট ইঞ্জিন বিস্ফোরণে পাঁচজন রুশ পারমাণবিক প্রকৌশলী মারা গিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, এই রকেট ইঞ্জিনটি বুরেভেস্তনিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
২ মিনিট আগে
ল্যুভর মিউজিয়ামে দুঃসাহসী চুরির পর আবারও ফ্রান্সে ঘটল চুরির ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দেশটির লিওঁ শহরে এক মূল্যবান ধাতুর কারখানায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘জেটিও নিউজ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কর্নেল স্টিভ গ্যাভাবিক্স অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে সন্তুষ্ট করতে এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুর্বল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যুক্ত থাকা একজন অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন কর্নেল স্টিভ গ্যাভাবিক্স চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গিয়েছিল যে, আল-জাজিরার এই সাংবাদিককে একজন ইসরায়েলি সেনা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ গুলি করে হত্যা করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘জেটিও নিউজ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কর্নেল স্টিভ গ্যাভাবিক্স অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে সন্তুষ্ট করতে এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুর্বল করে দেয়।
২০২২ সালের মে মাসে যখন অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি হামলার সময় আবু আকলেহ নিহত হন। তখন গ্যাভাবিক্স ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য নিযুক্ত মার্কিন নিরাপত্তা সমন্বয়কের কার্যালয়ের (ইউএসএসসি) চিফ অব স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এফবিআই যখন এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন মার্কিন সরকারের পক্ষে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গ্যাভাবিক্সের ওপর।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, তাঁর অনুসন্ধান যুক্তিসংগত সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণ করেছে যে আকলেহকে হত্যা ছিল ‘ইচ্ছাকৃত’।
গ্যাভাবিক্সের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সৈন্যরা স্পষ্টভাবে অবগত ছিল যে ওই এলাকায় সাংবাদিকেরা উপস্থিত আছেন। এমনকি, নিহত আকলেহর পরনে থাকা নীল রঙের ‘প্রেস’ ভেস্টটি তারা দেখতেও সক্ষম ছিল। সাবেক এই কর্নেল আরও বলেন, যে নির্ভুলতার সঙ্গে গুলি আবু আকলেহর মাথায় আঘাত করেছিল, তা কোনো এলোপাতাড়ি গোলাগুলির মধ্যে পড়ে ঘটেনি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তদন্তে দাবি করা হয়েছিল, তাদের সেনার গুলিতে আকলেহ সম্ভবত নিহত হয়েছেন, তবে তিনি ইচ্ছাকৃত লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না। কিন্তু বিভিন্ন স্বাধীন তদন্তে বারবারই উঠে এসেছে, আবু আকলেহ এবং তাঁর সহকর্মীদের সাংবাদিক হিসেবে শনাক্ত করা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করা হয়েছিল।
গ্যাভাবিক্স জানান, তিনি হত্যার কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি সে সময় ইউএসএসসি যোগাযোগ কার্যালয়ের প্রধান জেনারেল মাইকেল ফেঞ্জেলের কাছে পেশ করেন। জেনারেল ফেঞ্জেল অবশ্য ইসরায়েলি কেন্দ্রীয় কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ইয়েহুদা ফক্সের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে জানিয়েছিলেন, একজন ইসরায়েলি সেনা ভুল করে গুলি চালিয়েছেন এবং এটিকে ‘দুঃখজনক পরিস্থিতি’ বলে উল্লেখ করেন।
ফেঞ্জেলের এই পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্যাভাবিক্স খুব হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইউএসএসসি-তে কাজ করার সময় তিনি দেখেছেন, ‘সুবিধা সব সময়ই ইসরায়েলিদের দিকে যায়।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্যাভাবিক্স বলেন, তিনি এবং তাঁর তিনজন সাবেক সহকর্মী পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতিতে আরও কড়া ভাষা যুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জেনারেল ফেঞ্জেল তা বাতিল করে দেন। তিনি বলেন, এমন আচরণে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা ‘হতবাক’ হয়েছিলেন। বিষয়টি এখনো তাঁর বিবেকে আঘাত করে চলেছে।
তবে জেনারেল ফেঞ্জেল দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন।

ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যুক্ত থাকা একজন অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন কর্নেল স্টিভ গ্যাভাবিক্স চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গিয়েছিল যে, আল-জাজিরার এই সাংবাদিককে একজন ইসরায়েলি সেনা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ গুলি করে হত্যা করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘জেটিও নিউজ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কর্নেল স্টিভ গ্যাভাবিক্স অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে সন্তুষ্ট করতে এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুর্বল করে দেয়।
২০২২ সালের মে মাসে যখন অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি হামলার সময় আবু আকলেহ নিহত হন। তখন গ্যাভাবিক্স ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য নিযুক্ত মার্কিন নিরাপত্তা সমন্বয়কের কার্যালয়ের (ইউএসএসসি) চিফ অব স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এফবিআই যখন এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন মার্কিন সরকারের পক্ষে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গ্যাভাবিক্সের ওপর।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, তাঁর অনুসন্ধান যুক্তিসংগত সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণ করেছে যে আকলেহকে হত্যা ছিল ‘ইচ্ছাকৃত’।
গ্যাভাবিক্সের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সৈন্যরা স্পষ্টভাবে অবগত ছিল যে ওই এলাকায় সাংবাদিকেরা উপস্থিত আছেন। এমনকি, নিহত আকলেহর পরনে থাকা নীল রঙের ‘প্রেস’ ভেস্টটি তারা দেখতেও সক্ষম ছিল। সাবেক এই কর্নেল আরও বলেন, যে নির্ভুলতার সঙ্গে গুলি আবু আকলেহর মাথায় আঘাত করেছিল, তা কোনো এলোপাতাড়ি গোলাগুলির মধ্যে পড়ে ঘটেনি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তদন্তে দাবি করা হয়েছিল, তাদের সেনার গুলিতে আকলেহ সম্ভবত নিহত হয়েছেন, তবে তিনি ইচ্ছাকৃত লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না। কিন্তু বিভিন্ন স্বাধীন তদন্তে বারবারই উঠে এসেছে, আবু আকলেহ এবং তাঁর সহকর্মীদের সাংবাদিক হিসেবে শনাক্ত করা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করা হয়েছিল।
গ্যাভাবিক্স জানান, তিনি হত্যার কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি সে সময় ইউএসএসসি যোগাযোগ কার্যালয়ের প্রধান জেনারেল মাইকেল ফেঞ্জেলের কাছে পেশ করেন। জেনারেল ফেঞ্জেল অবশ্য ইসরায়েলি কেন্দ্রীয় কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ইয়েহুদা ফক্সের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে জানিয়েছিলেন, একজন ইসরায়েলি সেনা ভুল করে গুলি চালিয়েছেন এবং এটিকে ‘দুঃখজনক পরিস্থিতি’ বলে উল্লেখ করেন।
ফেঞ্জেলের এই পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্যাভাবিক্স খুব হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইউএসএসসি-তে কাজ করার সময় তিনি দেখেছেন, ‘সুবিধা সব সময়ই ইসরায়েলিদের দিকে যায়।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্যাভাবিক্স বলেন, তিনি এবং তাঁর তিনজন সাবেক সহকর্মী পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতিতে আরও কড়া ভাষা যুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জেনারেল ফেঞ্জেল তা বাতিল করে দেন। তিনি বলেন, এমন আচরণে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা ‘হতবাক’ হয়েছিলেন। বিষয়টি এখনো তাঁর বিবেকে আঘাত করে চলেছে।
তবে জেনারেল ফেঞ্জেল দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন।

ভারতের মুম্বাইয়ে ২০ তলা ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে এখনো পর্যন্ত সাতজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন
২২ জানুয়ারি ২০২২
এই অস্ত্রগুলো আদৌ কার্যকর কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০১৯ সালে একটি রকেট ইঞ্জিন বিস্ফোরণে পাঁচজন রুশ পারমাণবিক প্রকৌশলী মারা গিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, এই রকেট ইঞ্জিনটি বুরেভেস্তনিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
২ মিনিট আগে
ল্যুভর মিউজিয়ামে দুঃসাহসী চুরির পর আবারও ফ্রান্সে ঘটল চুরির ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দেশটির লিওঁ শহরে এক মূল্যবান ধাতুর কারখানায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় নির্বাচনপরবর্তী অস্থিরতার মধ্যেই খবর এলো ক্ষমতায় বহাল থাকছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। নির্বাচন কমিশনের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বুধবারের নির্বাচনে ৩২ মিলিয়ন ব্যালটের ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সামিয়া। অর্থাৎ প্রায় সব ভোটই তাঁর পক্ষে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে