Ajker Patrika

তীব্র তাপপ্রবাহে দিল্লিতে ২০ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ৪৫ জন। তাঁদের সবাইকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর অন্য হাসপাতালগুলোতেও ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। 

এমতাবস্থায় ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীদের গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা পরিস্থিতি এবং কেন্দ্র পরিচালিত সরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। রোগীদের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে তিনি কর্মকর্তাদের বিশেষ হিটওয়েভ ইউনিট চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

দিল্লির মাত্র তিনটি বড় হাসপাতালে ২০ জন মারা যাওয়ায় দিল্লি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ হিটস্ট্রোক এবং অন্যান্য তাপ-সম্পর্কিত ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছে। 

দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ২৭ মে থেকে তাপজনিত সমস্যায় ৪৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এই হাসপাতালেই এ পর্যন্ত ৯ জন তাপজনিত কারণে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৭টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গত দুই দিনে। সফদরজং হাসপাতালেও ৯ জন মারা গেছে। এর মধ্যে আজ বুধবারেই মারা গেছেন পাঁচজন। এদিকে গত সাত দিনে লোক নায়ক হাসপাতালে মারা গেছেন দুজন। 

রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের সুপার ডা. অজয় শুক্ল বলেন, ‘যদি এই ধরনের কোনো রোগীকে হাসপাতালে দেরিতে আনা হয়, একের পর এক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করবে। এই বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তা ছাড়াও হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো অনেক সময় ঠিকভাবে ধরতে পারেন না অনেকে। ফলে বিপত্তি আরও বাড়ে।’ 

দিল্লিতে গত এক মাস ধরে তাপপ্রবাহ চলছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এখনই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। উত্তর ভারতের বেশির ভাগ অংশে তাপপ্রবাহ চলবে আগামী ২৪ ঘণ্টা। 

তারপর পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গরমে পুড়ছে দিল্লিসহ উত্তর ভারতের একাংশ। শুধু গরমই নয়, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে তাপপ্রবাহ। দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গরমে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও হয়েছে অনেকের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত