ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মধ্যে একটি ‘অদ্ভুত’ সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছেন প্রণবকন্যা শর্মিষ্ঠা মুখার্জি। গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে বাবাকে নিয়ে লেখা শর্মিষ্ঠার স্মৃতিচারণমূলক বই ‘ইন প্রণব, মাই ফাদার: এ ডটার রিমেম্বার্স’। বইটিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই একাধিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে এনডিটিভিতে।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে নরেন্দ্র মোদি ও প্রণব মুখার্জির মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক ছিল—সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে শর্মিষ্ঠা বলেছেন, ‘বিজেপি নেতা (মোদি) শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে সব সময় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতার (প্রণব) পা স্পর্শ করতেন।’ প্রধানমন্ত্রী মোদি এই কাজটি সততার সঙ্গে প্রকাশ্যেই করতেন বলে জানিয়েছেন শর্মিষ্ঠা।
এ বিষয়ে এনডিটিভিকে শর্মিষ্ঠা আরও জানান—তাঁর বাবা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার সময় নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে খুব ভালো করেই ওয়াকিবহাল ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদিকে তিনি বলেছিলেন, ভিন্ন মতাদর্শের হলেও তিনি তাঁর শাসনে কখনো হস্তক্ষেপ করবেন না।
শর্মিষ্ঠা বলেন, ‘আমি মনে করি, ভিন্ন মতাদর্শ বিবেচনায় এটি খুব অদ্ভুত ছিল। যদিও তাদের সম্পর্কটি বহু বছর আগে থেকেই ছিল, এমনকি মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেও।’
একবার মোদি শর্মিষ্ঠাকে বলেছিলেন—একজন সাধারণ পার্টি কর্মী হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি দিল্লি আসতেন এবং সকালে হাঁটার সময় তিনি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করতেন।
শর্মিষ্ঠা বলেন, ‘তিনি (মোদি) আমাকে বলেছিলেন, বাবা সব সময় তাঁর সঙ্গে খুব সুন্দরভাবে কথা বলতেন এবং তিনি সর্বদা বাবার পা স্পর্শ করবেন।’
মোদির বিষয়ে প্রণব মুখার্জি তাঁর ডায়েরিতে কী লিখেছিলেন সেই বিষয়ও নিজের বইয়ে তুলে ধরেছেন শর্মিষ্ঠা মুখার্জি। এ বিষয়ে এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘যখন জনাব মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তখন বাবা লিখেছিলেন—তিনি কংগ্রেস সরকার এবং এর নীতির তীব্র সমালোচক...কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে তিনি সর্বদা আমার পা স্পর্শ করেন। বলেন, এটা তাকে আনন্দ দেয়। আমি বুঝতে পারছি না কেন...।’
রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জি বিশ্বাস করতেন, নির্বাচিত সরকারে হস্তক্ষেপ না করাও তার দায়িত্ব। তাই প্রথম সাক্ষাতেই তিনি খুব অকপটে মোদি বলেছিলেন, ‘আমরা ভিন্ন মতাদর্শের, কিন্তু জনগণ আপনাকে একটি ম্যান্ডেট দিয়েছে। আমি সরকারে হস্তক্ষেপ করব না...এটা আপনার কাজ। তবে সাংবিধানিক কোনো বিষয়ে আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমি সেখানে থাকব।’
তবে এর মানে এই নয় যে—প্রয়াত রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে প্রধানমন্ত্রীকে কোনো প্রশ্ন করেননি। সংসদকে বাইপাস করা কিংবা অধ্যাদেশ পাস করার মতো সরকারের প্রবণতা নিয়ে প্রণব মুখার্জি সব সময় জিজ্ঞাসু ছিলেন বলে জানিয়েছেন শর্মিষ্ঠা।
এদিকে একই দিনে এনডিটিভিতে প্রকাশিত আরেকটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রণব মুখার্জি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অফিসের সময়জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ বিষয়ে শর্মিষ্ঠা জানিয়েছেন, সকাল বেলায় একদিন হাঁটতে বের হয়েছিলেন তাঁর বাবা প্রণব মুখার্জি। সকালে হাঁটার সময়টিতে তিনি কারও সঙ্গেই দেখা করেন না। কিন্তু সেদিন রাহুল গান্ধী এসে হাজির। পরে জানা গিয়েছিল, আসলে সেদিন সন্ধ্যায় আসার কথা ছিল রাহুলের। কিন্তু রাহুলের অফিস ভুল করে তাঁকে সকালে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সেদিনই কন্যা শর্মিষ্ঠাকে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, ‘রাহুলের অফিস যদি এএম আর পিএম এর মধ্যে পার্থক্য করতে না পারে তবে তারা একদিন প্রধানমন্ত্রীর অফিস চালানোর আশা করে কীভাবে?’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মধ্যে একটি ‘অদ্ভুত’ সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছেন প্রণবকন্যা শর্মিষ্ঠা মুখার্জি। গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে বাবাকে নিয়ে লেখা শর্মিষ্ঠার স্মৃতিচারণমূলক বই ‘ইন প্রণব, মাই ফাদার: এ ডটার রিমেম্বার্স’। বইটিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই একাধিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে এনডিটিভিতে।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে নরেন্দ্র মোদি ও প্রণব মুখার্জির মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক ছিল—সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে শর্মিষ্ঠা বলেছেন, ‘বিজেপি নেতা (মোদি) শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে সব সময় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতার (প্রণব) পা স্পর্শ করতেন।’ প্রধানমন্ত্রী মোদি এই কাজটি সততার সঙ্গে প্রকাশ্যেই করতেন বলে জানিয়েছেন শর্মিষ্ঠা।
এ বিষয়ে এনডিটিভিকে শর্মিষ্ঠা আরও জানান—তাঁর বাবা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার সময় নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে খুব ভালো করেই ওয়াকিবহাল ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদিকে তিনি বলেছিলেন, ভিন্ন মতাদর্শের হলেও তিনি তাঁর শাসনে কখনো হস্তক্ষেপ করবেন না।
শর্মিষ্ঠা বলেন, ‘আমি মনে করি, ভিন্ন মতাদর্শ বিবেচনায় এটি খুব অদ্ভুত ছিল। যদিও তাদের সম্পর্কটি বহু বছর আগে থেকেই ছিল, এমনকি মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেও।’
একবার মোদি শর্মিষ্ঠাকে বলেছিলেন—একজন সাধারণ পার্টি কর্মী হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি দিল্লি আসতেন এবং সকালে হাঁটার সময় তিনি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করতেন।
শর্মিষ্ঠা বলেন, ‘তিনি (মোদি) আমাকে বলেছিলেন, বাবা সব সময় তাঁর সঙ্গে খুব সুন্দরভাবে কথা বলতেন এবং তিনি সর্বদা বাবার পা স্পর্শ করবেন।’
মোদির বিষয়ে প্রণব মুখার্জি তাঁর ডায়েরিতে কী লিখেছিলেন সেই বিষয়ও নিজের বইয়ে তুলে ধরেছেন শর্মিষ্ঠা মুখার্জি। এ বিষয়ে এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘যখন জনাব মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তখন বাবা লিখেছিলেন—তিনি কংগ্রেস সরকার এবং এর নীতির তীব্র সমালোচক...কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে তিনি সর্বদা আমার পা স্পর্শ করেন। বলেন, এটা তাকে আনন্দ দেয়। আমি বুঝতে পারছি না কেন...।’
রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জি বিশ্বাস করতেন, নির্বাচিত সরকারে হস্তক্ষেপ না করাও তার দায়িত্ব। তাই প্রথম সাক্ষাতেই তিনি খুব অকপটে মোদি বলেছিলেন, ‘আমরা ভিন্ন মতাদর্শের, কিন্তু জনগণ আপনাকে একটি ম্যান্ডেট দিয়েছে। আমি সরকারে হস্তক্ষেপ করব না...এটা আপনার কাজ। তবে সাংবিধানিক কোনো বিষয়ে আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমি সেখানে থাকব।’
তবে এর মানে এই নয় যে—প্রয়াত রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে প্রধানমন্ত্রীকে কোনো প্রশ্ন করেননি। সংসদকে বাইপাস করা কিংবা অধ্যাদেশ পাস করার মতো সরকারের প্রবণতা নিয়ে প্রণব মুখার্জি সব সময় জিজ্ঞাসু ছিলেন বলে জানিয়েছেন শর্মিষ্ঠা।
এদিকে একই দিনে এনডিটিভিতে প্রকাশিত আরেকটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রণব মুখার্জি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অফিসের সময়জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ বিষয়ে শর্মিষ্ঠা জানিয়েছেন, সকাল বেলায় একদিন হাঁটতে বের হয়েছিলেন তাঁর বাবা প্রণব মুখার্জি। সকালে হাঁটার সময়টিতে তিনি কারও সঙ্গেই দেখা করেন না। কিন্তু সেদিন রাহুল গান্ধী এসে হাজির। পরে জানা গিয়েছিল, আসলে সেদিন সন্ধ্যায় আসার কথা ছিল রাহুলের। কিন্তু রাহুলের অফিস ভুল করে তাঁকে সকালে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সেদিনই কন্যা শর্মিষ্ঠাকে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, ‘রাহুলের অফিস যদি এএম আর পিএম এর মধ্যে পার্থক্য করতে না পারে তবে তারা একদিন প্রধানমন্ত্রীর অফিস চালানোর আশা করে কীভাবে?’
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ শনিবার রাতে বিকট বিস্ফোরণে শব্দ শোনা গেছে। ভারত সরকারের একটি সূত্র অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মাথায় পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়াকে ৩০ দিনের একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী সোমবার থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সঙ্গে বর্তমান যুদ্ধবিরতি ‘শর্তসাপেক্ষ’ ও সিন্ধু পানিচুক্তিসহ কূটনৈতিক পদক্ষেপগুলো নিয়ে ভারতের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও পেহেলগাম হামলার জেরে দুই দেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তার সমাধান সহজে হবে
৮ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার মাত্র ঘণ্টা তিনেক পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাশ্মীর উপত্যকা। শনিবার রাত ৮টার দিকে শ্রীনগরের রামবাগ এলাকায় শক্তিশালী বিস্ফোরণে এক শিশুসহ তিনজন আহত হন। এর পর থেকেই উপত্যকার একাধিক শহরে ব্ল্যাকআউট ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে