বুকারজয়ী ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায় ভারতকে একটি উল্টো হয়ে ওড়া বিমানের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, ‘দেশটি দুর্ঘটনার দিকে যাচ্ছে।’ ভারতের কারাগারে বন্দী মানবাধিকারকর্মী জি এন সাইবাবার নির্বাচিত কবিতা ও চিঠি সংকলিত বই ‘হোয়াই ডু ইউ ফিয়ার মাই ওয়ে সো মাচ’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার অরুন্ধতী এমন মন্তব্য করেছেন। বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
গতকালের অনুষ্ঠানে অরুন্ধতী রায় বলেন, ‘সম্পদ ও জমির পুনর্বণ্টনের জন্য সেই ষাটের দশক থেকে ‘‘সত্যিকার বিপ্লবী আন্দোলন’’ চলে আসছে। আর এখনকার নেতারা মাত্র পাঁচ কেজি চাল আর এক কেজি লবণ বিতরণ করেই ভোট চাইছেন এবং নির্বাচনে জিতেও যাচ্ছেন।’
প্রখ্যাত এই লেখক আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আমি আমার একজন পাইলট বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি কি উল্টো করে বিমান চালাতে পারো? সে হা হা করে হেসে উঠেছিল। আমি বললাম, ভারত এখন সেভাবেই চলছে। এই দেশের নেতারা ভারত নামের বিমানটিকে উল্টো করে চালাচ্ছেন। সবকিছু পড়ে যাচ্ছে। আমরা নিশ্চিতভাবে একটি দুর্ঘটনার দিকে যাচ্ছি।’
ভারতকে ‘পরিশীলিত আইন শাস্ত্রের দেশ’ উল্লেখ করে অরুন্ধতী বলেন, ‘ভারতে পরিশীলিত আইন রয়েছে। কিন্তু এখানে জাত, পাত, শ্রেণি ও লিঙ্গের ভিত্তিতে আইন প্রয়োগ করা হয়।’
গড অব স্মল থিংকস ও দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস উপন্যাসের এই লেখক বলেন, ‘আজ এখানে আমরা কী করতে এসেছি? একজন অধ্যাপকের ব্যাপারে কথা বলতে এসেছি, যিনি ৯০ শতাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েও সাত বছর ধরে জেল খাটছেন। আমাদের দেশে কী হচ্ছে তা বোঝার জন্য এটিই যথেষ্ট। আমাদের আর বেশি কিছু বলার দরকার নেই। আমরা কোন দেশে বাস করছি, তা বোঝার জন্য এই একটি ঘটনাই যথেষ্ট। কী লজ্জা!’
জি এন সাইবাবার শরীরের ৯০ শতাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তিনি হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন। মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ‘দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর’ মতো কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের গদচিরোলি জেলার একটি দায়রা আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।
সাইবাবা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাম লাল আনন্দ কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর বইটি প্রকাশ করেছেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। তিনি সাইবাবার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।
বুকারজয়ী ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায় ভারতকে একটি উল্টো হয়ে ওড়া বিমানের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, ‘দেশটি দুর্ঘটনার দিকে যাচ্ছে।’ ভারতের কারাগারে বন্দী মানবাধিকারকর্মী জি এন সাইবাবার নির্বাচিত কবিতা ও চিঠি সংকলিত বই ‘হোয়াই ডু ইউ ফিয়ার মাই ওয়ে সো মাচ’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার অরুন্ধতী এমন মন্তব্য করেছেন। বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
গতকালের অনুষ্ঠানে অরুন্ধতী রায় বলেন, ‘সম্পদ ও জমির পুনর্বণ্টনের জন্য সেই ষাটের দশক থেকে ‘‘সত্যিকার বিপ্লবী আন্দোলন’’ চলে আসছে। আর এখনকার নেতারা মাত্র পাঁচ কেজি চাল আর এক কেজি লবণ বিতরণ করেই ভোট চাইছেন এবং নির্বাচনে জিতেও যাচ্ছেন।’
প্রখ্যাত এই লেখক আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আমি আমার একজন পাইলট বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি কি উল্টো করে বিমান চালাতে পারো? সে হা হা করে হেসে উঠেছিল। আমি বললাম, ভারত এখন সেভাবেই চলছে। এই দেশের নেতারা ভারত নামের বিমানটিকে উল্টো করে চালাচ্ছেন। সবকিছু পড়ে যাচ্ছে। আমরা নিশ্চিতভাবে একটি দুর্ঘটনার দিকে যাচ্ছি।’
ভারতকে ‘পরিশীলিত আইন শাস্ত্রের দেশ’ উল্লেখ করে অরুন্ধতী বলেন, ‘ভারতে পরিশীলিত আইন রয়েছে। কিন্তু এখানে জাত, পাত, শ্রেণি ও লিঙ্গের ভিত্তিতে আইন প্রয়োগ করা হয়।’
গড অব স্মল থিংকস ও দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস উপন্যাসের এই লেখক বলেন, ‘আজ এখানে আমরা কী করতে এসেছি? একজন অধ্যাপকের ব্যাপারে কথা বলতে এসেছি, যিনি ৯০ শতাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েও সাত বছর ধরে জেল খাটছেন। আমাদের দেশে কী হচ্ছে তা বোঝার জন্য এটিই যথেষ্ট। আমাদের আর বেশি কিছু বলার দরকার নেই। আমরা কোন দেশে বাস করছি, তা বোঝার জন্য এই একটি ঘটনাই যথেষ্ট। কী লজ্জা!’
জি এন সাইবাবার শরীরের ৯০ শতাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তিনি হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন। মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ‘দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর’ মতো কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের গদচিরোলি জেলার একটি দায়রা আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।
সাইবাবা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাম লাল আনন্দ কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর বইটি প্রকাশ করেছেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। তিনি সাইবাবার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১০ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৩ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগে