অনলাইন ডেস্ক
আর মাত্র ১০ মিটার বাকি। তাহলেই উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশি জেলার সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সুড়ঙ্গ খোঁড়া শেষ হবে। কিন্তু এই অবস্থায় অজানা বাধার কারণে থমকে গেছে ড্রিলিং। উদ্ধারকারী কর্মকর্তার বলছেন, একপ্রকার শেষ ধাপে এসে উদ্ধারকাজ থমকে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
উদ্ধারকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার একটু পর ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে গিয়ে বাধার মুখোমুখি হতে হয়। বাধার প্রকৃতি এখনো জানা যায়নি। বাধাটি পাথর, কংক্রিট নাকি কোনো ইস্পাতের বার, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে অজানা কারণে উদ্ধারকাজ থেমে রয়েছে।
ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার করপোরেশন লিমিটেডের মহাপরিচালক মাহমুদ আহমেদ বলেন, সর্বশেষ বাধা আমাদের উদ্ধারকারীদের গতিকে ধীর করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কোনো সময়সীমা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাই না। কারণ সামনের অবশিষ্ট ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে তা আমরা জানি না।’
গত ১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই শ্রমিকদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ৪১ জন শ্রমিকের আতঙ্কিত চেহারা। তাঁরা এখনো জীবিত আছেন। ব্রহ্মখাল-য়ামুনেত্রী মহাসড়কে অবস্থিত এই টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কারণে এই টানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে, ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে টানেল ধসে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে বড় পাইপের মাধ্যমে স্ট্রেচার দিয়ে উদ্ধার করা হবে। পাইপটি এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ড্রিলের কাজ চলছে। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) মহাপরিচালক অতুল কারওয়াল।
উদ্ধারকারীরা শ্রমিকদের হামাগুড়ির মাধ্যমে বের করে আনার বিকল্পও চিন্তা করেছিল। তবে তাঁদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনায় এই পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। কারওয়াল পিটিআইকে বলেন, এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরা প্রথমে পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাবেন। তারপর একে একে শ্রমিকদের স্ট্রেচারে শুইয়ে দড়ি দিয়ে টেনে বের করে আনবেন। শ্রমিকদের কাছে পাইপ পৌঁছাতে অগার মেশিনের মাধ্যমে ড্রিল করার পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পাইপ বসানো হচ্ছে। একটি পাইপ সম্পূর্ণ বসে গেলে অন্যটি এটিতে ঢালাই করা হয়। এভাবে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনার পথ তৈরি করা হচ্ছে।
কারওয়াল বলেন, পরবর্তী পাইপটি এখন ঢালাই করা হচ্ছে। আমরা এখন আরও দুটি পাইপ ড্রিল করার পরিকল্পনা করছি, যাতে আমরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত পাইপটি ৮০০ মিলিমিটার ব্যাসের এবং প্রশস্তে প্রায় ৩২ ইঞ্চি। এটি শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য যথেষ্ট। এ ছাড়া পাইপটি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যেন স্ট্রেচার চলাচলের পথে কোনো বাধা না পড়ে। পাশাপাশি এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরাও ইতিমধ্যে মহড়া চালিয়েছেন।
শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে কারওয়াল বলেন, যারা টানেলে কাজ করেন, তাঁরা মানসিকভাবে শক্ত থাকেন। আটকে থাকা শ্রমিকেরা তাঁদের উদ্ধারকাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই তাঁরাও আশাবাদী। আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আর মাত্র ১০ মিটার বাকি। তাহলেই উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশি জেলার সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সুড়ঙ্গ খোঁড়া শেষ হবে। কিন্তু এই অবস্থায় অজানা বাধার কারণে থমকে গেছে ড্রিলিং। উদ্ধারকারী কর্মকর্তার বলছেন, একপ্রকার শেষ ধাপে এসে উদ্ধারকাজ থমকে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
উদ্ধারকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার একটু পর ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে গিয়ে বাধার মুখোমুখি হতে হয়। বাধার প্রকৃতি এখনো জানা যায়নি। বাধাটি পাথর, কংক্রিট নাকি কোনো ইস্পাতের বার, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে অজানা কারণে উদ্ধারকাজ থেমে রয়েছে।
ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার করপোরেশন লিমিটেডের মহাপরিচালক মাহমুদ আহমেদ বলেন, সর্বশেষ বাধা আমাদের উদ্ধারকারীদের গতিকে ধীর করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কোনো সময়সীমা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাই না। কারণ সামনের অবশিষ্ট ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে তা আমরা জানি না।’
গত ১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই শ্রমিকদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ৪১ জন শ্রমিকের আতঙ্কিত চেহারা। তাঁরা এখনো জীবিত আছেন। ব্রহ্মখাল-য়ামুনেত্রী মহাসড়কে অবস্থিত এই টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কারণে এই টানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে, ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে টানেল ধসে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে বড় পাইপের মাধ্যমে স্ট্রেচার দিয়ে উদ্ধার করা হবে। পাইপটি এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ড্রিলের কাজ চলছে। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) মহাপরিচালক অতুল কারওয়াল।
উদ্ধারকারীরা শ্রমিকদের হামাগুড়ির মাধ্যমে বের করে আনার বিকল্পও চিন্তা করেছিল। তবে তাঁদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনায় এই পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। কারওয়াল পিটিআইকে বলেন, এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরা প্রথমে পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাবেন। তারপর একে একে শ্রমিকদের স্ট্রেচারে শুইয়ে দড়ি দিয়ে টেনে বের করে আনবেন। শ্রমিকদের কাছে পাইপ পৌঁছাতে অগার মেশিনের মাধ্যমে ড্রিল করার পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পাইপ বসানো হচ্ছে। একটি পাইপ সম্পূর্ণ বসে গেলে অন্যটি এটিতে ঢালাই করা হয়। এভাবে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনার পথ তৈরি করা হচ্ছে।
কারওয়াল বলেন, পরবর্তী পাইপটি এখন ঢালাই করা হচ্ছে। আমরা এখন আরও দুটি পাইপ ড্রিল করার পরিকল্পনা করছি, যাতে আমরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত পাইপটি ৮০০ মিলিমিটার ব্যাসের এবং প্রশস্তে প্রায় ৩২ ইঞ্চি। এটি শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য যথেষ্ট। এ ছাড়া পাইপটি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যেন স্ট্রেচার চলাচলের পথে কোনো বাধা না পড়ে। পাশাপাশি এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরাও ইতিমধ্যে মহড়া চালিয়েছেন।
শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে কারওয়াল বলেন, যারা টানেলে কাজ করেন, তাঁরা মানসিকভাবে শক্ত থাকেন। আটকে থাকা শ্রমিকেরা তাঁদের উদ্ধারকাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই তাঁরাও আশাবাদী। আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদ গতকাল শুক্রবার রাজধানী নেপিডোতে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। পরে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়
২ মিনিট আগেসীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকদের পাট বা ভুট্টা জাতীয় উঁচু ফসল চাষ না করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সীমান্তবর্তী জেলার জেলা প্রশাসকদের এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে। বিএসএফের
৮ ঘণ্টা আগে২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের অর্ধেকেরও বেশি বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন হাজারো বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের মধ্যে একজন মাহা জানুদ। যিনি সিরিয়ার প্রথম নারী ফুটবল কোচ
৯ ঘণ্টা আগেসামনে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দেশটির এ অবস্থান তুলে ধরেন। ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে ৫৫ তম বিজিবি–বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন।
৯ ঘণ্টা আগে