Ajker Patrika

কলকাতায় ভারতীয় দোসরসহ দুই বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

দুই বাংলাদেশি ও তাদের ভারতীয় দোসরকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের আর্থিক তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অনুপ্রবেশ ও মানবপাচারে সহায়তার অভিযোগে কলকাতা থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন রনি মণ্ডল ও সামির চৌধুরী এবং ভারতীয় নাগরিক পিন্টু হালদার। ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের ১৭টি স্থানে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ সংশ্লিষ্ট অর্থপাচার মামলায় ইডির অভিযানের একদিনের মাথায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হলো। চলতি বছরের ৪ জুন দায়েরকৃত মামলায় অভিযানটি চালানো হয়।

মামলাটি ঝাড়খণ্ডের রাঁচি জেলার বারিয়াতু থানায় দাখিল করা হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ এবং ৩৪ ধারা, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৭-এর ১২ ধারা এবং বিদেশি আইন ১৯৪৬-এর ১৪-এ ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এফআইআর অনুযায়ী, বাংলাদেশি নাগরিক নিপা আখতার খুশিকে (বয়স আনুমানিক ২১ বছর) চলতি বছরের ৩১ মে মধ্যরাতে মানিশা রাই নামে এক তরুণীর সহায়তায় এবং ঝুমা নামে আরেকজনের সহযোগিতায় বাংলাদেশের সীমান্ত অবৈধভাবে পার করে বনের ভেতর দিয়ে কলকাতায় আনা হয়।

এই মামলাটি বাংলাদেশি নাগরিকদের এজেন্টদের সহায়তায় ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত, যারা তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য জাল নথি সরবরাহ করে।

ইডির ভাষ্যমতে, বেশ কয়েকজন অনুপ্রবেশ, জাল পরিচয়পত্র তৈরির মতো অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত, যা ২০০২-এর পিএমএলএ আইনের ধারা ২(১)(ইউ) অনুযায়ী অপরাধমূলক কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিত। এই কারণে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করা এবং এই কার্যকলাপে জড়িত এজেন্টদের নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে যারা এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ‘অপরাধমূলক আয়’ অর্জনের চেষ্টা করছে। এ জন্য অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের (২০০২) আওতায় একটি পূর্ণাঙ্গ এবং বিস্তৃত তদন্ত করা জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত