
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাদ জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে তিন দিন। তার পরও বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭। এ ছাড়া আরও অন্তত ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছে এখনো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ওয়েনাদের মেপ্পাদি, মুন্দাকাল টাউন ও চুরালমালায় তিন দফা ভূমিধস হয়। সেতু ধসে পড়ায় এবং সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়কপথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে অঞ্চলটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিকূল যোগাযোগব্যবস্থা ছাড়াও ভারী বর্ষণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছাতে একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
রাজ্যের চার জেলা ওয়েনাদ, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম ও কান্নুরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফ, কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কোর এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারযোগে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উদ্ধারকারীদের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ আছে এখনো অন্তত ২০০ জন। এর বাইরে ভূমিধসের কারণে বিধ্বস্ত হওয়া বিভিন্ন বাড়ি থেকে ১ হাজার ৩৮৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষকে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৪৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের মধ্যে ৭৯ জন পুরুষ, ৬৪ জন নারী। প্রায় ১৯১ জন এখনো নিখোঁজ।’ তিনি আরও বলেন, ওয়েনাদে স্থাপিত ৮২টি ত্রাণশিবিরে ৮ হাজার ১৭ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ত্রাণশিবিরে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ডাক্তার এবং প্যারা-মেডিকেল স্টাফ মোতায়েন করেছে।’
মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভূমিধসটি হয় মুণ্ডাক্কাই শহরে। তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। সেখানে উদ্ধার তৎপরতার মধ্যেই ভোর ৪টা নাগাদ চুরালমালায় একটি স্কুলের কাছে দ্বিতীয় দফায় ভূমিধস হয়। স্কুলটিকে একটি অস্থায়ী আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ভূমিধসে পুরো এলাকার সব দোকানপাট, বাড়িঘর পানি ও কাদায় ভরে যায়। এর মধ্যে একটি সেতু ভেঙে পড়ায় অঞ্চলটিতে প্রায় ৪০০ পরিবার আটকা পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কাঁচা রাস্তা ও বনাঞ্চল দিয়ে কাদাপানি ঢুকে পড়ছে। ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং মানুষ ও যানবাহন আটকে পড়েছে। চুরালমালা থেকে মুণ্ডাক্কাই ও আট্টামালার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় ওই দুটি এলাকা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আটকে পড়া পরিবারগুলোর কাছে উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ পাদিক্কাল পারাম্বান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মধ্যরাতের দিকে অন্তত তিনটি ভূমিধস হয়। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা রাঘবন সি অরুণামালা ওই এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া একজনকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনতে পাই। উদ্ধারকর্মীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।’
কয়েক দিন ধরে কেরালার বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য জেলা ওয়েনাদে এমনিতেই বর্ষা মৌসুমে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে। আগেও এমন ঘটনার নজির রয়েছে। গতকাল ভূমিধসের পর কেরালার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ সাধারণ মানুষকে ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
ভূমিধসে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিধসে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করেছেন।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাদ জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে তিন দিন। তার পরও বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭। এ ছাড়া আরও অন্তত ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছে এখনো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ওয়েনাদের মেপ্পাদি, মুন্দাকাল টাউন ও চুরালমালায় তিন দফা ভূমিধস হয়। সেতু ধসে পড়ায় এবং সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়কপথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে অঞ্চলটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিকূল যোগাযোগব্যবস্থা ছাড়াও ভারী বর্ষণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছাতে একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
রাজ্যের চার জেলা ওয়েনাদ, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম ও কান্নুরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফ, কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কোর এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারযোগে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উদ্ধারকারীদের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ আছে এখনো অন্তত ২০০ জন। এর বাইরে ভূমিধসের কারণে বিধ্বস্ত হওয়া বিভিন্ন বাড়ি থেকে ১ হাজার ৩৮৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষকে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৪৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের মধ্যে ৭৯ জন পুরুষ, ৬৪ জন নারী। প্রায় ১৯১ জন এখনো নিখোঁজ।’ তিনি আরও বলেন, ওয়েনাদে স্থাপিত ৮২টি ত্রাণশিবিরে ৮ হাজার ১৭ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ত্রাণশিবিরে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ডাক্তার এবং প্যারা-মেডিকেল স্টাফ মোতায়েন করেছে।’
মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভূমিধসটি হয় মুণ্ডাক্কাই শহরে। তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। সেখানে উদ্ধার তৎপরতার মধ্যেই ভোর ৪টা নাগাদ চুরালমালায় একটি স্কুলের কাছে দ্বিতীয় দফায় ভূমিধস হয়। স্কুলটিকে একটি অস্থায়ী আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ভূমিধসে পুরো এলাকার সব দোকানপাট, বাড়িঘর পানি ও কাদায় ভরে যায়। এর মধ্যে একটি সেতু ভেঙে পড়ায় অঞ্চলটিতে প্রায় ৪০০ পরিবার আটকা পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কাঁচা রাস্তা ও বনাঞ্চল দিয়ে কাদাপানি ঢুকে পড়ছে। ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং মানুষ ও যানবাহন আটকে পড়েছে। চুরালমালা থেকে মুণ্ডাক্কাই ও আট্টামালার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় ওই দুটি এলাকা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আটকে পড়া পরিবারগুলোর কাছে উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ পাদিক্কাল পারাম্বান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মধ্যরাতের দিকে অন্তত তিনটি ভূমিধস হয়। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা রাঘবন সি অরুণামালা ওই এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া একজনকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনতে পাই। উদ্ধারকর্মীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।’
কয়েক দিন ধরে কেরালার বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য জেলা ওয়েনাদে এমনিতেই বর্ষা মৌসুমে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে। আগেও এমন ঘটনার নজির রয়েছে। গতকাল ভূমিধসের পর কেরালার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ সাধারণ মানুষকে ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
ভূমিধসে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিধসে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করেছেন।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাদ জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে তিন দিন। তার পরও বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭। এ ছাড়া আরও অন্তত ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছে এখনো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ওয়েনাদের মেপ্পাদি, মুন্দাকাল টাউন ও চুরালমালায় তিন দফা ভূমিধস হয়। সেতু ধসে পড়ায় এবং সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়কপথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে অঞ্চলটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিকূল যোগাযোগব্যবস্থা ছাড়াও ভারী বর্ষণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছাতে একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
রাজ্যের চার জেলা ওয়েনাদ, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম ও কান্নুরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফ, কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কোর এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারযোগে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উদ্ধারকারীদের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ আছে এখনো অন্তত ২০০ জন। এর বাইরে ভূমিধসের কারণে বিধ্বস্ত হওয়া বিভিন্ন বাড়ি থেকে ১ হাজার ৩৮৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষকে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৪৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের মধ্যে ৭৯ জন পুরুষ, ৬৪ জন নারী। প্রায় ১৯১ জন এখনো নিখোঁজ।’ তিনি আরও বলেন, ওয়েনাদে স্থাপিত ৮২টি ত্রাণশিবিরে ৮ হাজার ১৭ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ত্রাণশিবিরে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ডাক্তার এবং প্যারা-মেডিকেল স্টাফ মোতায়েন করেছে।’
মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভূমিধসটি হয় মুণ্ডাক্কাই শহরে। তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। সেখানে উদ্ধার তৎপরতার মধ্যেই ভোর ৪টা নাগাদ চুরালমালায় একটি স্কুলের কাছে দ্বিতীয় দফায় ভূমিধস হয়। স্কুলটিকে একটি অস্থায়ী আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ভূমিধসে পুরো এলাকার সব দোকানপাট, বাড়িঘর পানি ও কাদায় ভরে যায়। এর মধ্যে একটি সেতু ভেঙে পড়ায় অঞ্চলটিতে প্রায় ৪০০ পরিবার আটকা পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কাঁচা রাস্তা ও বনাঞ্চল দিয়ে কাদাপানি ঢুকে পড়ছে। ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং মানুষ ও যানবাহন আটকে পড়েছে। চুরালমালা থেকে মুণ্ডাক্কাই ও আট্টামালার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় ওই দুটি এলাকা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আটকে পড়া পরিবারগুলোর কাছে উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ পাদিক্কাল পারাম্বান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মধ্যরাতের দিকে অন্তত তিনটি ভূমিধস হয়। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা রাঘবন সি অরুণামালা ওই এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া একজনকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনতে পাই। উদ্ধারকর্মীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।’
কয়েক দিন ধরে কেরালার বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য জেলা ওয়েনাদে এমনিতেই বর্ষা মৌসুমে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে। আগেও এমন ঘটনার নজির রয়েছে। গতকাল ভূমিধসের পর কেরালার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ সাধারণ মানুষকে ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
ভূমিধসে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিধসে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করেছেন।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাদ জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে তিন দিন। তার পরও বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭। এ ছাড়া আরও অন্তত ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছে এখনো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ওয়েনাদের মেপ্পাদি, মুন্দাকাল টাউন ও চুরালমালায় তিন দফা ভূমিধস হয়। সেতু ধসে পড়ায় এবং সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়কপথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে অঞ্চলটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিকূল যোগাযোগব্যবস্থা ছাড়াও ভারী বর্ষণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছাতে একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
রাজ্যের চার জেলা ওয়েনাদ, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম ও কান্নুরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফ, কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কোর এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারযোগে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উদ্ধারকারীদের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ আছে এখনো অন্তত ২০০ জন। এর বাইরে ভূমিধসের কারণে বিধ্বস্ত হওয়া বিভিন্ন বাড়ি থেকে ১ হাজার ৩৮৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষকে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৪৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের মধ্যে ৭৯ জন পুরুষ, ৬৪ জন নারী। প্রায় ১৯১ জন এখনো নিখোঁজ।’ তিনি আরও বলেন, ওয়েনাদে স্থাপিত ৮২টি ত্রাণশিবিরে ৮ হাজার ১৭ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ত্রাণশিবিরে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ডাক্তার এবং প্যারা-মেডিকেল স্টাফ মোতায়েন করেছে।’
মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভূমিধসটি হয় মুণ্ডাক্কাই শহরে। তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। সেখানে উদ্ধার তৎপরতার মধ্যেই ভোর ৪টা নাগাদ চুরালমালায় একটি স্কুলের কাছে দ্বিতীয় দফায় ভূমিধস হয়। স্কুলটিকে একটি অস্থায়ী আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ভূমিধসে পুরো এলাকার সব দোকানপাট, বাড়িঘর পানি ও কাদায় ভরে যায়। এর মধ্যে একটি সেতু ভেঙে পড়ায় অঞ্চলটিতে প্রায় ৪০০ পরিবার আটকা পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কাঁচা রাস্তা ও বনাঞ্চল দিয়ে কাদাপানি ঢুকে পড়ছে। ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং মানুষ ও যানবাহন আটকে পড়েছে। চুরালমালা থেকে মুণ্ডাক্কাই ও আট্টামালার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় ওই দুটি এলাকা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আটকে পড়া পরিবারগুলোর কাছে উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ পাদিক্কাল পারাম্বান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মধ্যরাতের দিকে অন্তত তিনটি ভূমিধস হয়। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা রাঘবন সি অরুণামালা ওই এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া একজনকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনতে পাই। উদ্ধারকর্মীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।’
কয়েক দিন ধরে কেরালার বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য জেলা ওয়েনাদে এমনিতেই বর্ষা মৌসুমে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে। আগেও এমন ঘটনার নজির রয়েছে। গতকাল ভূমিধসের পর কেরালার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ সাধারণ মানুষকে ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
ভূমিধসে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিধসে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করেছেন।

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলারুশ সীমান্তঘেঁষা বনে গোপন এক সুড়ঙ্গ দিয়ে ১৮০ জনের বেশি অভিবাসী পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষীরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই পথটির সন্ধান পাওয়ার পর প্রায় ১৩০ জনকে পোল্যান্ডে আটক করা হয়। তবে বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পোলিশ বর্ডার গার্ড।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসী সংকট মোকাবিলা করছে।
পোল্যান্ডের অভিযোগ, মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মানুষদের সীমান্ত পার হতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে বেলারুশ ও তাদের মিত্র মস্কো।
তবে বেলারুশ ও রাশিয়া বারবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পোলিশ বর্ডার গার্ড জানায়, চলতি বছরে পশ্চিম পোদলাস্কি অঞ্চলে আবিষ্কৃত এটি চতুর্থ সুড়ঙ্গ। এ ছাড়া অভিবাসীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা ৬৯ বছর বয়সী এক পোলিশ নাগরিক এবং ৪৯ বছর বয়সী এক লিথুয়ানিয়ান নাগরিককেও আটক করেছে সীমান্তরক্ষীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বনের ভেতর সুড়ঙ্গটির লুকানো প্রবেশপথটি বেলারুশ অংশে সীমান্ত প্রাচীর থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে এর বহির্গমন পথটি পোল্যান্ডের সীমানা প্রাচীর থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে পাওয়া গেছে।
কতজন মানুষ এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পার হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহার করেন। নিখোঁজ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলেও জানানো হয়।
পোল্যান্ড ২০২২ সালে তাদের ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল।

বেলারুশ সীমান্তঘেঁষা বনে গোপন এক সুড়ঙ্গ দিয়ে ১৮০ জনের বেশি অভিবাসী পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষীরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই পথটির সন্ধান পাওয়ার পর প্রায় ১৩০ জনকে পোল্যান্ডে আটক করা হয়। তবে বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পোলিশ বর্ডার গার্ড।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসী সংকট মোকাবিলা করছে।
পোল্যান্ডের অভিযোগ, মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মানুষদের সীমান্ত পার হতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে বেলারুশ ও তাদের মিত্র মস্কো।
তবে বেলারুশ ও রাশিয়া বারবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পোলিশ বর্ডার গার্ড জানায়, চলতি বছরে পশ্চিম পোদলাস্কি অঞ্চলে আবিষ্কৃত এটি চতুর্থ সুড়ঙ্গ। এ ছাড়া অভিবাসীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা ৬৯ বছর বয়সী এক পোলিশ নাগরিক এবং ৪৯ বছর বয়সী এক লিথুয়ানিয়ান নাগরিককেও আটক করেছে সীমান্তরক্ষীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বনের ভেতর সুড়ঙ্গটির লুকানো প্রবেশপথটি বেলারুশ অংশে সীমান্ত প্রাচীর থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে এর বহির্গমন পথটি পোল্যান্ডের সীমানা প্রাচীর থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে পাওয়া গেছে।
কতজন মানুষ এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পার হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহার করেন। নিখোঁজ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলেও জানানো হয়।
পোল্যান্ড ২০২২ সালে তাদের ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাদ জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে তিন দিন। তার পরও বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭। এ ছাড়া আরও অন্তত ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে
০১ আগস্ট ২০২৪
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দীর্ঘদিন নজরদারির পর শুক্রবার রাতে কুলেন্দ্র শর্মাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলেন্দ্র শর্মা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন। তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে কিছু ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে।
আসামের শোণিতপুর জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) হরিচরণ ভূমিজ জানিয়েছেন, কুলেন্দ্র শর্মার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের সন্দেহ প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাবে না।
জানা গেছে, অবসরের আগে কুলেন্দ্র শর্মা তেজপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্টেশনে সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনসহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। তিনি ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং এরপর অল্প সময়ের জন্য তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুলেন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দীর্ঘদিন নজরদারির পর শুক্রবার রাতে কুলেন্দ্র শর্মাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলেন্দ্র শর্মা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন। তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে কিছু ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে।
আসামের শোণিতপুর জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) হরিচরণ ভূমিজ জানিয়েছেন, কুলেন্দ্র শর্মার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের সন্দেহ প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাবে না।
জানা গেছে, অবসরের আগে কুলেন্দ্র শর্মা তেজপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্টেশনে সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনসহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। তিনি ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং এরপর অল্প সময়ের জন্য তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুলেন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাদ জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে তিন দিন। তার পরও বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭। এ ছাড়া আরও অন্তত ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে
০১ আগস্ট ২০২৪
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাদ জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে তিন দিন। তার পরও বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭। এ ছাড়া আরও অন্তত ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে
০১ আগস্ট ২০২৪
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাদ জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে তিন দিন। তার পরও বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭। এ ছাড়া আরও অন্তত ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে
০১ আগস্ট ২০২৪
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে