Ajker Patrika

সেই সমীর ওয়াংখেড়ের জুতার মূল্য ২ লাখ রুপি! 

আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ১১
সেই সমীর ওয়াংখেড়ের জুতার মূল্য ২ লাখ রুপি! 

বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের মাদক মামলার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে সৎ অফিসার হয়েও কীভাবে দুই লাখ রুপি মূল্যের জুতা পরেন—এমন প্রশ্ন করেছেন ভারতের মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নওয়াব মালিক। আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি এমনটি জানান। এ সময় একজন মাদক চোরাচালানির সঙ্গে সমীর ওয়াংখেড়ের বোনের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনও প্রকাশ করেছেন নওয়াব মালিক।  

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) কর্মকর্তা ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, একজন মাদক ব্যবসায়ী তাঁর বোন ইয়াসমিন ওয়াংখেড়ের কাছে আইনি প্রতিনিধিত্বের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। পাশাপাশি নওয়াব মালিকের সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। 

সমীর ওয়াংখেড়ে বলেন, মাদক কারবারি সালমান একজন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আমার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে যেসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা মিথ্যা। 

এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে ভারতের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা মালিক সাংবাদিকদের বলেন, `আমি আপনাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন দেখাচ্ছি। এই কথোপকথনে লেডি ডন ইয়াসমিন একজনকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য বলছে।' 

নওয়াব মালিক অভিযোগ করেন, সমীর ওয়াংখেড়ের জুতার দাম দুই লাখ রুপি, ঘড়ির দাম ২০ লাখ রুপি এবং শার্ট-টিশার্টের দাম ৫০ হাজার ও ৩০ হাজার রুপি। 

মহারাষ্ট্রের এই মন্ত্রী বলেন, `কীভাবে একজন সৎ অফিসার এত দামি পোশাক পরতে পারেন? একজন সৎ কর্মকর্তার জীবনযাপন যদি এমন হয়, আমরা তা সারা দেশের জন্য তা কামনা করি।'

গত ২ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরিতে অভিযান চালিয়ে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানসহ ১০ জনকে আটক করেন এনসিবির কর্মকর্তারা। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ আনা হয়। কাছে কোনো মাদক না পেলেও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ঘেঁটে মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দাবি করে গত ৩ অক্টোবর আরিয়ানকে গ্রেপ্তার দেখায় এনসিবি। 

মোট দুবার আরিয়ানের জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যায়। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, জামিনে ছাড়া পেলে আরিয়ান তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন। 

আরিয়ান খানের মাদক মামলায় এনসিবির ‘স্বাধীন সাক্ষী’ কেপি গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর সাইল গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, গত ৩ অক্টোবর গোসাভি ও জনৈক স্যাম ডি’ সুজার মধ্যে ফোনালাপ তিনি শুনেছেন। সেই আলাপে গোসাভি ২৫ কোটি রুপিতে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। শেষ পর্যন্ত ১৮ কোটি রুপিতে রফা হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি রুপি সমীরকে দেওয়ার কথা হয়। 

কেপি গোসাভি নিখোঁজ ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে আটক করে পুনের পুলিশ । পরে পুনের একটি আদালত ২০১৮ সালের একটি প্রতারণা মামলায় তাঁর ৫ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

গোসাভিকে এনসিবি আরিয়ানের মাদক মামলার স্বাধীন সাক্ষী হিসেবে দাবি করেছিল। এখন প্রভাকরের বক্তব্যের বিষয়ে আদালতে একটি হলফনামা দিয়েছে এনসিবি। সেখানে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এনসিবি আদালতকে দেওয়া হলফনামায় বলছে, প্রভাকর সাইল ‘বৈরী সাক্ষী’ হিসেবে কাজ করছেন। 

এরই মধ্যে সমীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগর বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এনসিবি। 

গত বৃহস্পতিবার মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের তিন সপ্তাহ পর জামিন পেলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত