Ajker Patrika

মহারাষ্ট্রে তিন মাসে ৭৬৭ কৃষকের আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভারতের মহারাষ্ট্রে গত তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত) মোট ৭৬৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে সিংহভাগ ঘটনাই ঘটেছে বিদর্ভ রাজ্যে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজ্য বিধানসভায় মহারাষ্ট্র সরকার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে। খবর দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

কংগ্রেস বিধায়কেরা রাজ্যের শাসক দলের কাছে মহারাষ্ট্র, বিশেষ করে বিদর্ভ অঞ্চলে কৃষকদের আত্মহত্যার সংখ্যাবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে একটি লিখিত প্রশ্ন করেন। তাঁরা নিহত কৃষকদের পরিবারকে রাজ্য সরকার কীভাবে সহায়তা করছে, তার বিস্তারিত বিবরণ চান এবং বর্তমান ১ লাখ রুপি আর্থিক সহায়তা বাড়ানোরও দাবি জানান।

লিখিত জবাবে ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী এবং এনসিপি বিধায়ক মকরন্দ পাটিল বিধানসভায় লিখিত উত্তর পেশ করেন। তিনি জানান, মহারাষ্ট্র সরকার কৃষকদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্র সরকার আত্মহত্যা করা কৃষকের পরিবারকে ১ লাখ রুপি আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।

বিধানসভায় পেশ করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে মোট ৭৬৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে ৩৭৬ জন কৃষক সরকারি ক্ষতিপূরণের জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন, তবে ২০০ জন কৃষক সরকারি মানদণ্ড পূরণ না করায় কোনো সহায়তা পাননি।

মকরন্দ পাটিল আরও জানান, পশ্চিম বিদর্ভের যাবতমাল, অমরাবতী, আকোলা, বুলদানা ও ওয়াশিম জেলায় জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ২৫৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৬ জন কৃষকের পরিবার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। তবে বাতিল করা হয়েছে ৭৪টি আবেদন। এ ছাড়া মারাঠাওয়াড়ার হিঙ্গোলি জেলায় এই তিন মাসে ২৪ জন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

কংগ্রেস বিধায়কেরা অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার কৃষকদের দ্রুত আর্থিক সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং অনেক যোগ্য কৃষককেও তুচ্ছ কারণে তাঁদের ন্যায্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, নিহত কৃষকদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব বর্তমানে নেই।

তবে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কৃষকদের আত্মহত্যা বন্ধ করতে তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের লিখিত নোটে বলা হয়েছে, অকাল বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। এ ছাড়া পিএম কিষান সম্মান প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবছর ৬ হাজার রুপি দিচ্ছে। রাজ্য সরকারও দরিদ্র ও অভাবী কৃষকদের জন্য বার্ষিক ৬ হাজার রুপি সহায়তা দিচ্ছে। রাজ্য সরকার হতাশ ও দুস্থ কৃষকদের জন্য মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং সেশনও পরিচালনা করছে। তাঁদের আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করছে এবং কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও বাড়াচ্ছে। এ ছাড়া রাজ্য সরকার যত বেশি সম্ভব জমি সেচব্যবস্থার আওতায় আনার চেষ্টা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই নিয়ে ফেসবুকে পুলিশ সদস্যের আপত্তিকর পোস্ট, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

ভালো নেই ওয়েল গ্রুপ

গাজায় ইসরায়েলি ‘গণহত্যায়’ সহযোগিতা করছে যেসব বহুজাতিক কোম্পানি

বিএনপির অনুষ্ঠানে সাংবাদিককে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা, প্রতিবাদ জানালেন ফখরুল

৪০ ঘণ্টার যানজটে ৩ জনের মৃত্যু, সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন ‘মানুষ এত তাড়াতাড়ি বেরোয় কেন?’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত