Ajker Patrika

১০০ কোটি রুপির ৭ কিলোমিটার সড়কে গাড়িচালকদের ভিডিও গেম খেলার রোমাঞ্চ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, ২১: ২৫
সদ্যনির্মিত মসৃণ সড়কের মাঝখানে এভাবে গাছের অবস্থানকে অনেকেই ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হিসেবে দেখছেন। ছবি: সংগৃহীত
সদ্যনির্মিত মসৃণ সড়কের মাঝখানে এভাবে গাছের অবস্থানকে অনেকেই ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হিসেবে দেখছেন। ছবি: সংগৃহীত

বিহারের জেহানাবাদে ১০০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত একটি নতুন চওড়া রাস্তা এখন অদ্ভুত এক সমস্যার সম্মুখীন। রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে জেহানাবাদে পাটনা-গয়া প্রধান সড়কের ৭.৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথের মাঝখানে বেশ কিছু গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা পথচারী ও চালকদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে। সদ্যনির্মিত মসৃণ সড়কের মাঝখানে এভাবে গাছের অবস্থানকে অনেকেই ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হিসেবে দেখছেন।

প্রশ্ন উঠেছে, রাতারাতি তো গাছগুলো বড় হয়ে যায়নি, তাহলে কীভাবে এমন হলো? জানা গেছে, জেলা প্রশাসন যখন এই ১০০ কোটি রুপির সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়, তখন তারা বন বিভাগের কাছে গাছগুলো সরানোর অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু তাদের এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। পরিবর্তে বন বিভাগ ১৪ হেক্টর বনভূমির জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করে। জেলা প্রশাসন সেই অনুরোধ পূরণ করতে পারেনি। এর ফলস্বরূপ এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—তারা গাছগুলোকে অক্ষত রেখে সেগুলোর চারপাশে রাস্তা নির্মাণ করে ফেলে।

আরও গুরুতর সমস্যা হলো, গাছগুলো কোনো লাইন মেনে লাগানো হয়নি। তাই চালক সহজেই পাশ কাটিয়ে যেতে পারেন না। চালকদের আঁকাবাঁকা পথে গাছগুলো এড়িয়ে চলতে হয়, যা অনেকটা বিপজ্জনক ভিডিও গেম খেলার মতো। স্থানীয় লোকজন বলছেন, সড়কের মাঝখানে গাছ থাকার কারণে ইতিমধ্যেই অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তবে জেলা প্রশাসন এখনো গাছগুলো সরানোর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি। যদি কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটে এবং কেউ মারা যায়, তবে এর দায় কে নেবে—প্রশ্নটি বর্তমানে চলমান সমস্যার মতোই উত্তরহীন রয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

পায়ে নূপুর দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করলেন বাবা

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত