Ajker Patrika

মোদির ‘বিকশিত ভারতের’ হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

কলকাতা প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪, ২০: ২৩
মোদির ‘বিকশিত ভারতের’ হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে—বিরোধীদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বিকশিত ভারতের’ হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

আজ বৃহস্পতিবার বিরোধীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নরেন্দ্র মোদির হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। 

১৬ মার্চ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। লোকসভা নির্বাচন যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে, তার আগপর্যন্ত গোটা দেশের আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন। 

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বিকশিত ভারতের’ ভাবনার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দেশের সাধারণ মানুষের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকে যেত দেশের বিভিন্ন ভাষায়। কোথাও হিন্দি, কোথাও ইংরেজি, কোথাও বা আঞ্চলিক ভাষায় এই বার্তা পৌঁছে যেত। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এখন তা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের কথা ঘোষণার আগে এবং পরেও প্রধানমন্ত্রীর ‘বিকশিত ভারত’ প্রসঙ্গে একাধিক মেসেজ পৌঁছে যেত দেশের সাধারণ মানুষের মোবাইল ফোনে। 

এতে দেশের সাধারণ ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে কমিশনের কাছে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ে। এতে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনও হচ্ছে বলে অভিযোগ জানায় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে এই নির্দেশের জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জবাবে বলেছে, কিছু মেসেজ এখনো চলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতার।

উল্লেখ করা যেতে পারে, দেশের লাখ লাখ জনগণের কাছে ‘বিকশিত ভারত’ সম্পর্কে লেখা প্রধানমন্ত্রী মোদির নামে যে বার্তা হোয়াটসঅ্যাপে পৌঁছে যেত; সেখানে দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত ও পরামর্শও চাওয়া হতো। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প এবং নীতি সম্পর্কে তাঁদের মতামত জানতে চাইতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

সংশ্লিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার সঙ্গে একটি পিডিএফে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, মাতৃবন্দনা যোজনা ইত্যাদির বর্ণনা, সুবিধা ও আবেদনের বিষয়ে জানানো হতো। শুধু ভারতীয় নন পাকিস্তান, আরব আমিরশাহি এবং ভুটানেও এসব মেসেজ চলে যেতে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। 

এমনকি কংগ্রেসের তরফে এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এর মধ্যে পিডিএফের যে কপি চলে যেত, সেটিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক কর্মসূচি বলে আখ্যা দিয়েছেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত