Ajker Patrika

চাকরির প্রলোভনে ভারতে পাচার বাংলাদেশি কিশোরী, চলছে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১: ৫৮
Thumbnail image
প্রতীকী ছবি

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ওডিশায় এক কিশোরীকে পাচার করা হয়েছিল। পরে তাকে স্থানীয় একটি ম্যাসাজ পারলারে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। মাসের পর মাস বিনা বেতনে কাজ করার পর ওই কিশোরী পালিয়ে ওডিশার কটকের মধুপাটনার লিংক রোড এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মধুপাটনা থানার পুলিশ।

ওডিশার সম্প্রচারমাধ্যম ওডিশা টিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত ১০ নভেম্বর তাকে উদ্ধার করে মধুপাটনা পুলিশ। কিশোরীটিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মধুপাটনা পুলিশ তার বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে ওই কিশোরীর কাছে কোনো নথিপত্র পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর রাজ্যে মানব পাচার নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। কিশোরীর অভিযোগ, ফেসবুকে পরিচিত এক ব্যক্তি তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসে। তার বক্তব্য অনুসারে, প্রথমে তাকে কলকাতায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বর হয়ে কটকে আনা হয় এবং তাকে একটি ম্যাসাজ পারলারে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।

মধুপাটনা পুলিশ তাকে কটকের লিংক রোড এলাকায় একা পায় এবং স্থানীয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লিউসি) তত্ত্বাবধানে রাখে। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত চলছে। কিশোরীটির কাছে কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় তার জাতীয়তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান প্রমোদ আচার্য বলেন, ‘মধুপাটনা পুলিশ ১০ নভেম্বর মেয়েটিকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে আনে। আমরা জানতে পারি, সে একজন বাংলাদেশি। তবে তার কাছে কোনো পরিচয়পত্র বা ভ্রমণসংক্রান্ত নথি নেই।’

প্রমোদ আচার্য আরও বলেন, ‘গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে তার পরিবারের আর্থিক প্রয়োজনের কারণে তাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় আনা হয়। এরপর ভুবনেশ্বর এবং পরে কটকে নিয়ে গিয়ে তাকে অবৈধভাবে ম্যাসাজ পারলারে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। তদন্ত চলছে, আমরা চেষ্টা করছি তাকে তার দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার। এ বিষয়ে আমরা ডিসিপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত