Ajker Patrika

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হলো শিক্ষার্থীদের, গ্রেপ্তার ৫

আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২২, ২২: ৫৯
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হলো শিক্ষার্থীদের, গ্রেপ্তার ৫

ভারতের কেরালায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নারী শিক্ষার্থীদের অন্তর্বাস খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত রোববার এই ঘটনা ঘটে বলে আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরে তাঁরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এই ঘটনায় ৫ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে কেরালা পুলিশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী বলেছেন এই ঘটনাটি তার জীবনের একটি ভয়াবহ বাজে ঘটনা। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

ওই শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘তাঁরা আমাকে ডেকে বলে, আমাদের স্ক্যান করা হবে। আমার ভেবেছিলাম স্ক্যান করা শেষ হলেই আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্র যেতে দেওয়া হবে। কিন্তু স্ক্যান শেষে নারী শিক্ষার্থীদের দুটি আলাদা লাইনে দাঁড় করানো হয়। এক লাইনে তাঁদের দাঁড় করানো হয়, যারা মেটাল হুকের অন্তর্বাস  পরে এসেছিল এবং বাকিদের আরেক লাইনে...।’ 

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘তাঁরা আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি মেটাল হুকযুক্ত অন্তর্বাস  পরেছি কিনা? তখন আমি হ্যাঁ জবাব দিলে তাঁরা আমাকে লাইনে দাঁড়াতে বলে।’ তিনি আবারও বলেন, আমরা বুঝতেই পারছিলাম না, আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে। 

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘তাঁরা আমাদের অন্তর্বাস  খুলে একটি টেবিলে রাখতে বলে। পরে সেগুলোকে এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়। আমরা জানতাম না কখন আমাদের এসব ফেরত দেওয়া হবে। পরে পরীক্ষা শেষে খুব কষ্টে আমি আমার বস্ত্র ফিরে পাই।’ 

ঘটনার সময় অনেক শিক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের কান্না দেখে সেখানকার এক নারী নিরাপত্তাকর্মী তাদের জিজ্ঞেস করেন, তারা কেন কাঁদছে? ঘটনার এখানেই শেষ নয়। পরীক্ষা শেষে যখন শিক্ষার্থীরা তাদের বস্ত্র ফিরে পান তখন তাদের বলা হয়, অন্তর্বাস  পরার কোনো দরকার নেই। হাতে নিয়েই যেন তারা চলে যায়। 

ঘটনার সময় এক শিক্ষার্থীর বাবা প্রতিবাদ করলে তাঁকে বলা হয়, আপনার মেয়ের ভবিষ্যতের চেয়ে অন্তর্বাসই কী বড়? 

এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায়ই উক্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় চাপের মুখে পড়ে ভারতের ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠানটি বিষয়টি অস্বীকার করেছিল। সেই সময় প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, এই অভিযোগ বানোয়াট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত