করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন জেএন-১-এর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ অবস্থায় ওই ভাইরাসকে ‘আগ্রহের বিষয়’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে, ভারতে এরই মধ্যে এই উপধরনে আক্রান্ত ২১ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির একাধিক রাজ্যে ওই সব রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারত সরকারের জননীতিবিষয়ক থিংকট্যাংক নীতি আয়োগ ওই ২১ রোগীর শনাক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, নতুন উপধরন জেএন-১-এ আক্রান্ত ২১ জনের মধ্যে ১৯ জনই গোয়ার। বাকি দুজনের একজন কেরালায় এবং অন্যজন মহারাষ্ট্রের।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া দেশের কিছু অংশে ক্রমবর্ধমান কোভিড মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের নতুন ও উদীয়মান উপধরনের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা এবং প্রস্তুত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’
কোভিডের দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য উভয় স্তরে প্রতি তিন মাসে একবার কোভিড ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি অনুশীলন করি এবং নিজেদের দক্ষতা অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করি।’
এদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেএন-১ নামের ওই ধরন ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, এই ভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তার পরও এই শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। উত্তর গোলার্ধে ইতিমধ্যে সর্দি-কাশি, শ্বাসযন্ত্রে ভাইরাস সংক্রমণসহ শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার জন্য দায়ী কোভিড-১৯ ভাইরাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় এবং কখনো কখনো এটি নতুন রূপের বিকাশ ঘটায়। উদাহরণস্বরূপ—ওমিক্রন ধরনটির কথাই ধরা যাক। মহামারির শেষের দিকে এটি করোনার শক্তিশালী ধরন হিসেবে বিশ্বজুড়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেই ওমিক্রনেরই উপধরন জেএন-১।
মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে—দেশটিতে বর্তমানে জেএন-১ ধরনটিই সবচেয়ে দ্রুত এবং বেশি হারে ছড়াচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৯ শতাংশ মানুষই এই ধরনে আক্রান্ত হয়েছে।
চলমান শীতের মধ্যে এটি বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত যেসব ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে, সেগুলো এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর সে বিষয়ে প্রমাণ এখনো সীমিত।
এ অবস্থায় নতুন ভাইরাসটিকে এড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শও দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জনসাধারণের ভিড় এবং আবদ্ধ স্থানগুলোতে মুখে মাস্ক পরিধান করা ছাড়াও হাঁচি-কাশি ঢেকে রাখা, প্রতিদিন হাত পরিষ্কার করা, আপডেট ভ্যাকসিনগুলো নেওয়া, অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা এবং সন্দেহ হলে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন জেএন-১-এর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ অবস্থায় ওই ভাইরাসকে ‘আগ্রহের বিষয়’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে, ভারতে এরই মধ্যে এই উপধরনে আক্রান্ত ২১ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির একাধিক রাজ্যে ওই সব রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারত সরকারের জননীতিবিষয়ক থিংকট্যাংক নীতি আয়োগ ওই ২১ রোগীর শনাক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, নতুন উপধরন জেএন-১-এ আক্রান্ত ২১ জনের মধ্যে ১৯ জনই গোয়ার। বাকি দুজনের একজন কেরালায় এবং অন্যজন মহারাষ্ট্রের।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া দেশের কিছু অংশে ক্রমবর্ধমান কোভিড মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের নতুন ও উদীয়মান উপধরনের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা এবং প্রস্তুত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’
কোভিডের দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য উভয় স্তরে প্রতি তিন মাসে একবার কোভিড ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি অনুশীলন করি এবং নিজেদের দক্ষতা অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করি।’
এদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেএন-১ নামের ওই ধরন ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, এই ভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তার পরও এই শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। উত্তর গোলার্ধে ইতিমধ্যে সর্দি-কাশি, শ্বাসযন্ত্রে ভাইরাস সংক্রমণসহ শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার জন্য দায়ী কোভিড-১৯ ভাইরাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় এবং কখনো কখনো এটি নতুন রূপের বিকাশ ঘটায়। উদাহরণস্বরূপ—ওমিক্রন ধরনটির কথাই ধরা যাক। মহামারির শেষের দিকে এটি করোনার শক্তিশালী ধরন হিসেবে বিশ্বজুড়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেই ওমিক্রনেরই উপধরন জেএন-১।
মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে—দেশটিতে বর্তমানে জেএন-১ ধরনটিই সবচেয়ে দ্রুত এবং বেশি হারে ছড়াচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৯ শতাংশ মানুষই এই ধরনে আক্রান্ত হয়েছে।
চলমান শীতের মধ্যে এটি বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত যেসব ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে, সেগুলো এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর সে বিষয়ে প্রমাণ এখনো সীমিত।
এ অবস্থায় নতুন ভাইরাসটিকে এড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শও দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জনসাধারণের ভিড় এবং আবদ্ধ স্থানগুলোতে মুখে মাস্ক পরিধান করা ছাড়াও হাঁচি-কাশি ঢেকে রাখা, প্রতিদিন হাত পরিষ্কার করা, আপডেট ভ্যাকসিনগুলো নেওয়া, অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা এবং সন্দেহ হলে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর জম্মু-কাশ্মীরের জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। কাশ্মীরের শ্রীনগরে গতকাল রোববার বাজারঘাটে সাধারণ মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে। তবে এখনো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ভারত। কোনো আঘাত এলে তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশটির সেনা
৭ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক মনোভাব দেখিয়েছেন। রোববার জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন আলোচনার জন্য প্রস্তুত শুধুমাত্র যদি রাশিয়া আগেই যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়।
৯ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তান চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতের ঠিক কী পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ বিষয়ে তিনি কোনো বিস্তারিত তথ্য জানাতে রাজি হননি।
৯ ঘণ্টা আগেসমুদ্রে টানা ৫৫ দিন ভেসে থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন পাঁচ জেলে। স্থানীয় সময় শনিবার তাঁদের ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের এক বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি টুনা ধরার নৌকা ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে ইকুয়েডর নৌবাহিনী।
১২ ঘণ্টা আগে