Ajker Patrika

বাবরি মসজিদ থেকে রামমন্দির: ১৬৫ বছরের দ্বন্দ্ব-সংঘাতপূর্ণ যাত্রা

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৩৪
বাবরি মসজিদ থেকে রামমন্দির: ১৬৫ বছরের দ্বন্দ্ব-সংঘাতপূর্ণ যাত্রা

মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় একটি অংশের দাবি, এই মসজিদটি হিন্দুধর্মের অন্যতম দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। সেই সূত্র ধরে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রথম আপত্তি উত্থাপিত হয় ১৭৫১ সালে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রামমন্দির। আজ সোমবার সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

অযোধ্যার বাবরি মসজিদ বনাম রামমন্দিরের ২ দশমিক ৭৭ একর জায়গাকে কেন্দ্র করে মূল দ্বন্দ্ব। এই বাবরি মসজিদ বনাম রামমন্দিরকে ইস্যু করে বিজেপি ক্রমেই জনমত হাসিল করেছে। তার ফলাফল হিসেবে ১৯৮৪ সালে লোকসভায় মাত্র দুটি আসন পাওয়া বিজেপি ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৩০৩টি আসন নিয়ে প্রধান দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

যা হোক, ১৫২৮ সালে মীর বাকির নির্মিত বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম আপত্তি উত্থাপিত হয় ১৭৫১ সালে। মারাঠারা সে বছর অযোধ্যা, কাশী, মাথুরাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। এর ফলে বেশ কয়েক দফা বিবাদ-সংঘাত সংঘটিত হয়। যদিও এর কোনো রেকর্ড কোনো নথিপত্রে পাওয়া যায় না।

এরপর ১০০ বছরের বেশি সময় পর সিপাহি বিদ্রোহের ঠিক এক বছর পর ১৮৫৮ সালে নিহাং শিখরা অযোধ্যার বাবরি মসজিদে ভাঙচুর চালায় এবং ‘হওয়ান’ নামে একধরনের আচার পালন করে। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের পুলিশের নথি অনুসারে, বাবরি মসজিদ দখলের এটিই প্রথম প্রচেষ্টা। নিহাং শিখদের পর সে সময় স্থানীয় হিন্দুরা মসজিদে প্রবেশ করে পূজা করেছিল।

তবে আইনি দিক থেকে বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৮৮৫ সালে। নির্মোহী আখড়া নামে একটি গোষ্ঠীর সন্ন্যাসী মোহন্ত রঘুবীর দাস উত্তর প্রদেশের ফয়জাবাদ জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রঘুবীর দাবি করেন, তাঁকে বাবরি মসজিদের বাইরের প্রাঙ্গণে একটি মন্দির তৈরির অনুমতি দেওয়া হোক। সে সময় আদালত সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

এ ঘটনার দীর্ঘদিন পর ১৯৪৯ সালে অর্থাৎ ভারত স্বাধীন হওয়ার দুই বছর পর বাবরি মসজিদের মূল গম্বুজের নিচে ‘রাম লাল্লার’ মূর্তি স্থাপন করা হয়। সে বছর ডিসেম্বরের ২২ ও ২৩ তারিখে একদল হিন্দু মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেন। অনেকে দাবি করেন, সে সময় রামের সেই মূর্তি ‘অলৌকিকভাবে’ মসজিদের ভেতরে গিয়েছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফয়জাবাদ আদালত মসজিদটিতে মুসলিম ও হিন্দু—দুই সম্প্রদায়ের জন্যই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং সরকারের হাওলায় ছেড়ে দেন।

যা হোক, ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে যে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, তা আর সরানো হয়নি। পরে ১৯৫০ সালে সেই মূর্তি পূজা করার অনুমতি চেয়ে গোপাল শিমলা বিশারদ নামে একজন ফয়জাবাদ আদালতে আবেদন করেন। এর প্রায় ৯ বছর পর নির্মোহী আখড়া আবারও দৃশ্যপটে হাজির হয়। সে বছর গোষ্ঠীটি বাবরি মসজিদের স্থানে মূর্তিপূজার অনুমতি চায়। ১৯৬১ সালে সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াক্ফ বোর্ড মসজিদ খুলে দেওয়ার আবেদন করে আদালতে।

নবনির্মিত রামমন্দিরের প্রতিকৃতি।১৯৮৪-৮৬ সালের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৬ সালে স্থানীয় আদালত হিন্দুদের জন্য বাবরি মসজিদের তালা খোলার অনুমতি দেন। ধারণা করা হয়, সে সময় রাজীব গান্ধীর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল। ১৯৮৬-৮৭ সালের মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) বাবরি মসজিদ ও তৎসংলগ্ন জায়গা রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানায়। পাশাপাশি গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের মতো একটি বিশাল মন্দির প্রতিষ্ঠারও দাবি জানায় গোষ্ঠীটি।

কিন্তু দুই বছর পরেই অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের আগস্টে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত বাবরি মসজিদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ পুনর্বহাল করেন। পরে ১৯৮৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি আবেদন করে। আবেদনে বিতর্কিত জায়গাটিকে ভগবান রামের নামের ঘোষণা করার আরজি জানানো হয়।

একই বছরে ফয়জাবাদ আদালতে এ-সংক্রান্ত যত মামলা ঝুলে ছিল, তা হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হয়। সে বছরের নভেম্বরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিতর্কিত ভূমিসংলগ্ন একটি ভূমিতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। সে মাসেই রাজীব গান্ধী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেন ফয়জাবাদ থেকে।

এ বছরই প্রথমবার রামমন্দির আন্দোলনে যোগ দেয় বিজেপি। দলটি পালামপুর অধিবেশনে একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব পাস করে। সেখানে বলা হয়, বাবরি মসজিদকেন্দ্রিক বিরোধ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। এটি সম্ভব না হলে সক্রিয় আইনের মাধ্যমে তা করা উচিত। তবে প্রস্তাবে আরও বলা হয়, এটা হিন্দুদের বিশ্বাসের বিষয় এবং তাই এটি কোনোভাবেই আইন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না।

বিজেপির নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি সোমনাথ মন্দির থেকে অযোধ্যা অভিমুখে একটি ‘যাত্রা’র আয়োজন করেন। তিনি দাবি করেন, অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সে বছরের অক্টোবরে বিহারে আদভানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তিনি গ্রেপ্তার হলেও যাত্রা থামেনি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির নেতা-কর্মীরা অযোধ্যা অভিমুখে যাত্রা এগিয়ে নেন এবং মসজিদ ভাঙচুর করার চেষ্টা করেন। অক্টোবরের ৩০ তারিখে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ যাত্রায় গুলি করে। ফলে বাবরি মসজিদ সে যাত্রায় রক্ষা পায়।

কিন্তু সেই ঘটনার মাত্র এক মাস ছয় দিনের মাথায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেন আন্দোলনকারীরা। সে সময় উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় ছিলেন কল্যাণ সিং। ঘটনার দিন কয়েক হাজার করসেবক (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির সমর্থক) মসজিদ ভেঙে ফেলেন।

তার আগে, বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর যোশী, নৃত্য গোপাল দাস ও সাধ্বী রীতাম্বরা সমবেত ব্যক্তিদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন এবং মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর করসেবকেরা বাবরি মসজিদে হামলা চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো কাঠামো ভেঙে ফেলেন। সে সময় কল্যাণ সিং সরকার সুপ্রিম কোর্টকে মসজিদের ক্ষতি হবে না—এমন আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ করসেবকদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে যায়নি।

এই ভাঙচুরের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটিতে মসজিদ ধ্বংসের জন্য অজ্ঞাত করসেবকদের আসামি করা হয় এবং অপরটিতে বিজেপি নেতা আদভানি, যোশী, উমা ভারতী ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের আগে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। পরে অবশ্য সবাই অভিযোগ থেকে খালাস পান। এর পরপরই ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।

পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত স্থানসহ অযোধ্যায় ৬৭ দশমিক ৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে। সে বছরের অক্টোবরে সিবিআই আদভানি ও অন্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জশিট ফাইল করে। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। একই সময়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ বিতর্কিত এলাকার সব মামলার শুনানি শুরু করেন এবং সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের নির্দেশ দেন।

দীর্ঘ কয়েক বছর পর ২০০৩ সালে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ বিতর্কিত স্থানটির খনন শুরু করে। ২০০৯ সালে লিবারহান কমিশন গঠনের ১৬ বছর পর তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে। কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না; বরং এটি দীর্ঘদিনে শ্রমসাধ্য প্রস্তুতি ও পূর্বপরিকল্পনার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছিল।

এরপর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে এই বিতর্কিত ভূমিকে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বলে ঘোষণা দেন। পরে আদালত ২ দশমিক ৭৭ একর বিতর্কিত এলাকাটি সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লাল্লার মধ্যে ভাগ করে দেন। পরে সে বছরের মে মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন এবং উভয় পক্ষের আপিলের ওপর স্টে অর্ডার দেন।

ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার ২০১৭ সালের মার্চে বিরোধের বিষয়টি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন। সে বছরের আগস্টে বিরোধের বিভিন্ন পক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বেঞ্চ গঠন করে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জমি বিরোধ মামলার আপিলের শুনানি শুরু হয়।

এই মামলার শুনানির জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। সে বছরের ৯ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত স্থানে মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা, বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমি রামমন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের স্থাপিত একটি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রায়ে আরও বলা হয়, ‘বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা, আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন ছিল।’ রায়ে নতুন করে মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যায় মুসলমানদের জন্য ৫ একর জায়গা বরাদ্দ করারও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির পার্লামেন্টে জানান, মন্ত্রিসভা মন্দির নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার সভাপতি হবেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সভাপতি ও রাম জন্মভূমি নিবাসের প্রধান মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস। পরে সে বছর ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি।

পরে মন্দির নির্মাণের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৪৫ দিনব্যাপী তহবিল সংগ্রহের অভিযান শুরু হয়। সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি রুপিরও বেশি সংগ্রহ করা হয় এবং সর্বশেষ স্থানীয় সময় আজ সোমবার দুপুরে মোদি এই মন্দিরের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ও টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দীপাবলিতে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশি হাইকমিশনের ভিডিও প্রকাশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভিডিও থেকে নেওয়া
ভিডিও থেকে নেওয়া

কালীপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অ্যানিমেশন ভিডিও শেয়ার করে এ শুভেচ্ছা জানান।

ভিডিওটি শেয়ার করে রিয়াজ হামিদুল্লাহ লেখেন, ‘আমি এটি শেয়ার করছি কারণ এটি বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের লালিত মূল্যবোধের পাশাপাশি সংস্কৃতিগত বহুত্ববাদ ও সহনশীলতার প্রতিফলন ঘটায়। একই সঙ্গে এটি বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকেও তুলে ধরে।’

প্রকাশিত অ্যানিমেশন ভিডিওটিতে দেখা যায় ভাইফোঁটা, কালীপূজা ও দীপাবলির প্রতীক হিসেবে প্রদীপ জ্বালানোর দৃশ্য।

ভিডিওটির সঙ্গে সংযুক্ত লেখায় বলা হয়েছে, ‘বাংলা কার্তিক মাসের অমাবস্যার রাতে বাংলাদেশজুড়ে হাজারো প্রদীপ জ্বলে ওঠে—যেন দেবী কালী মুণ্ডমালিনীর ত্রিনয়নের অগ্নিতেজে অন্ধকার ভেদ করে অসংখ্য তারা জেগে উঠছে। মায়ের আহ্বানের মন্ত্রধ্বনিতে নদীমাতৃক এই ভূখণ্ডে মেয়েরা ভাইদের কপালে শুভচিহ্ন এঁকে দেয়। ভারতের, বাংলাদেশের ও বিশ্বের প্রত্যেক হিন্দু ভাই-বোনকে জানাই শুভ দীপাবলি, কালীপূজা ও ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা।’

ভিডিওতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ক্ষমতাসীন বিজেপি, বিরোধী কংগ্রেসসহ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমকে ট্যাগ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: দ্য প্রিন্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নারীকে মুখোশধারী ইসরায়েলির বেধড়ক পিটুনি ভাইরাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৫২
ছবি: বিবিসি
ছবি: বিবিসি

পশ্চিমতীরের তুরমুস আয়া গ্রামে মুখোশধারী এক ইসরায়েলি দখলদারের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি নারী। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে জলপাই সংগ্রহের সময় ওই নারীকে একটি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এই ঘটনাটি ভিডিওতে ধারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জ্যাসপার ন্যাথানিয়েল।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক বড় কাঠের লাঠি দিয়ে এক নারীর মাথায় আঘাত করে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় ওই নারীকে আরও দুইবার আঘাত করেন তিনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহত নারীর নাম উম সালেহ আবু আলিয়া।

ভিডিও ধারণ করা ন্যাথানিয়েল বলেছেন, ‘প্রথম আঘাতেই আলিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তারপরও হামলাকারী নির্মমভাবে লাঠি চালিয়ে যায়।’

এই বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের সদস্যরা পৌঁছানোর পর ঘটনাস্থল ছত্রভঙ্গ করা হয়। অবৈধ বসতি নির্মাণকারীদের যে কোনো ধরনের সহিংসতার নিন্দাও জানায় এই বাহিনী। তবে ন্যাথানিয়েল অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা হামলার আগেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং সাংবাদিক ও সহায়তাকারীদের আটকে রেখেছিল। সৈন্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুখোশধারী উপনিবেশকারীরা আক্রমণ চালায়।

পাঁচ সন্তানের মা আবু আলিয়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার মাথার দুই জায়গায় গুরুতর আঘাত পাওয়া গেছে। তিনি আগে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন, এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন।

তুরমুস আয়া গ্রামে এদিন অন্তত ১৫ জন মুখোশধারী উপনিবেশকারীকে আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনি কৃষক ও সহায়তাকারীদের ওপর পাথর ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় তারা ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং কয়েকটির জানালা ভেঙে দেয়।

জলপাই সংগ্রহ ফিলিস্তিনি সংস্কৃতি ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে প্রতিবছর এই মৌসুমে দখলদারদের হামলা, রাস্তা বন্ধ এবং জমিতে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনা বাড়ছে। জাতিসংঘের মানবিক দপ্তর জানিয়েছে, ৭ থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিম তীরে ৭১টি উপনিবেশকারী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার অর্ধেকই জলপাই সংগ্রহ মৌসুমে।

২০২৫ সালেই পশ্চিমতীর জুড়ে উপনিবেশকারীদের হাতে ৩ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই হামলাগুলোর মূল লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনিদের ভয় দেখিয়ে জমি ছাড়তে বাধ্য করা—যাতে ইসরায়েলি উপনিবেশকারীরা তা দখল করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চীন যাবেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০১৭ সালের নভেম্বরে চীনের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
২০১৭ সালের নভেম্বরে চীনের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বছরের শুরুর দিকে চীন সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আজ সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগামী বছরের শুরুতে চীন সফরে যাব।’

এর আগের দিন ফক্স বিজনেসের সংবাদ উপস্থাপক মারিয়া বার্টিরোমোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি আসন্ন অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন, যা নভেম্বরের শুরু থেকে কার্যকর হতে পারে বলে জানান। চীনা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের প্রতিক্রিয়ায় নতুন এ পদক্ষেপের কথা বলেন তিনি। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে বার্টিরোমোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, এত উচ্চমাত্রার শুল্ক দীর্ঘ মেয়াদে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আমি চীনকে ধ্বংস করতে চাই না।’

উল্লেখ্য, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ই পরস্পরের ওপর অন্তত ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে চীনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১০ শতাংশ আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে চীনা পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক বজায় রয়েছে, যা আগের শুল্কের ওপর যুক্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরীক্ষায় সফল ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস, আরও যেসব অস্ত্রে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পরীক্ষায় সফল ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস, আরও যেসব অস্ত্রে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত

প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে যাচ্ছে ভারত। দেশটি নতুন প্রজন্মের ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এটি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োগের উপযোগী হবে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের এই উন্নত সংস্করণে পরিবর্তিত র‍্যামজেট ইঞ্জিন ও অত্যাধুনিক নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ এটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

বর্তমানে ভারতের হাতে থাকা ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতি শব্দের গতির প্রায় তিন গুণ (মাক ২.৮)। এই ক্ষেপণাস্ত্রই গত মে মাসে পাকিস্তানে চালানো অপারেশন সিঁদুরের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মসের র‍্যামজেট ইঞ্জিনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন প্রায় শেষ। এখন কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (আইএনএস) ও বৈশ্বিক স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের নির্ভুলতা যাচাই করা হচ্ছে, যাতে শত্রুপক্ষের জ্যামিং প্রতিরোধ করা যায়।

তিনি আরও জানান, নৌবাহিনী ও স্থল বাহিনীর হাতে থাকা ইতিমধ্যে ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এগুলোর সফটওয়্যার ও ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমে সামান্য পরিবর্তন করে নতুন ৮০০ কিলোমিটার সংস্করণে উন্নীত করা যাবে। মৌলিক ক্ষেপণাস্ত্র ও লঞ্চার একই থাকবে, শুধু সফটওয়্যারের কিছু অংশে পরিবর্তন আনলেই হবে।

এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) তাদের ‘অস্ত্র’ (Astra) সিরিজের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে। অস্ত্র মার্ক-২ সংস্করণের পাল্লা আগের ১৬০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ২০০ কিলোমিটারের বেশি করা হচ্ছে।

ভারতীয় বিমানবাহিনী ইতিমধ্যে ১০০ কিলোমিটার পাল্লার ২৮০টিরও বেশি অস্ত্র মার্ক-১ ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। নতুন মার্ক-২ সংস্করণের উৎপাদন ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও উন্নত অস্ত্র মার্ক-৩ সংস্করণ তৈরির কাজও চলছে, যা সলিড-ফুয়েল ডাকটেড র‍্যামজেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটে আঘাত করতে পারবে। তবে এটি কার্যকর হতে তিন বছর সময় লাগবে। রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইসরায়েল থেকে আমদানি করা ব্যয়বহুল ‘পিএল-১৫ বিভিআরএএএম’ ক্ষেপণাস্ত্রের বিকল্প এই ‘অস্ত্র’ মার্ক-৩ সিরিজ।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, গত ৭ মে পাকিস্তানের নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলার সময় পাকিস্তানি বাহিনী চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ২০০ কিলোমিটার পাল্লার পিএল-১৫ বিভিআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। এতে শুরুর দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনী বিপাকে পড়ে। তবে ব্রহ্মস ব্যবহারের পর সফল হয় ভারতীয় বাহিনী।

ইতিমধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রায় ২০টি যুদ্ধজাহাজে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে গত বছর ১৯ হাজার ৫১৯ কোটি রুপি ব্যয়ে নৌবাহিনীর জন্য ২২০টিরও বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অপারেশন সিঁদুরের পর বিমানবাহিনীর জন্যও ১১০টি আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের অনুমোদন দেয় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, যার মূল্য প্রায় ১০ হাজার ৮০০ কোটি রুপি।

ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ভবিষ্যতে ভারতের প্রস্তাবিত ইন্টিগ্রেটেড রকেট ফোর্সের (আইআরএফ) অংশ হবে। এতে প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (৪০০ কিলোমিটার পাল্লা) এবং নির্ভয় ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ (১,০০০ কিলোমিটার পাল্লা) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত