আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্ববিখ্যাত শিল্পপতিদের একজন ছিলেন ভারতের রতন টাটা। তিনি দেশটির অন্যতম বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান টাটা গ্রুপের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান ছিলেন। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার ৮৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
ভারতের সবচেয়ে সম্মাননীয় শিল্পপতিদের একজন ছিলেন রতন টাটা। শুধু ব্যবসার জগতে তাঁর অসামান্য অবদানের কারণে নয়, দানশীলতার জন্যও তিনি সর্বজন সমাদৃত ছিলেন। ‘লবণ থেকে সফটওয়্যার’—কী নেই টাটা গ্রুপের শিল্পে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে এই টাটা গ্রুপকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এই গ্রুপের রয়েছে শতাধিক কোম্পানি। কর্মী ৬ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। শিল্পগোষ্ঠীটির বার্ষিক রাজস্ব আয় ১০ হাজার কোটি (১০০ বিলিয়ন) ডলারের বেশি। চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় টাটা গ্রুপের আয় বেড়েছে ৪০ গুণ। আর মুনাফা বেড়েছে ৫০ গুণ।
১৯৯১ সালে রতন টাটা শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হন। ১০০ বছরের বেশি সময় আগে তাঁর প্রপিতামহ এই শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত রতন টাটা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
টাটা গ্রুপের সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কোটি রুপি। পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশের ১০০টি দেশে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কার্যক্রম রয়েছে। জ্বালানি, গাড়ি, প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে তাঁদের ব্যবসা রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকালের খবরে বলা হয়, রতন টাটার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি রুপি। তাঁর আয়ের বেশির ভাগই আসত টাটা গ্রুপ ও টাটা সন্স থেকে। আয়ের অনেকটাই তিনি দান করতেন। টাটা সন্সের সাবেক চেয়ারম্যান মাসিক বেতন পেতেন আড়াই কোটি টাকা। এ ছাড়া মুম্বাইয়ের কোলাবায় সমুদ্রসংলগ্ন এলাকায় তাঁর বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে, যার মূল্য প্রায় দেড় শ কোটি টাকা। টাটা সন্সে তাঁর যে শেয়ার ছিল, সেখান থেকে তিনি যে অর্থ উপার্জন করতেন, তার বেশির ভাগই দাতব্য সংস্থায় দান করতেন এই শিল্পপতি।
এ ছাড়া ওলা, পেটিএমের মতো সংস্থায় তাঁর বিনিয়োগ ছিল। তাঁর সংগ্রহে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি ছিল। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য টাটা ন্যানো, যা তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল। এ ছাড়া টাটা নেক্সন, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড রোভার, ক্যাডিল্যাক, শেভ্রলে, হোন্ডা সিভিক ইত্যাদি।
রতন টাটার মৃত্যুর পরে এখন বড় প্রশ্ন, কে হচ্ছেন বিপুল সম্পদের টাটা সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী, ব্যক্তিগত জীবনে রতন টাটা বিয়ে করেননি। তাঁর কোনো সন্তানও নেই। বিয়ে করেননি তাঁর আপন ভাই জিমি টাটাও। তাঁরা দুজন নাভাল টাটা ও সুনি কমিসারিয়াতের সন্তান। রতন টাটার বয়স যখন মাত্র ১০ বছর, তখন তাঁর মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বলা হয়ে থাকে, মা-বাবার অসুখী জীবন দেখেই দুই ভাইয়ের কেউই আর বিয়ের পথে হাঁটেননি। তাই তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি কে হচ্ছেন তা নিয়ে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে। টাটা গ্রুপের এই বিশাল সাম্রাজ্যের দায়িত্ব কার হাতে যাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন নোয়েল টাটা, মায়া টাটা, নেভিল টাটা ও লিয়াহ টাটা।
নোয়েল টাটা হচ্ছেন রতন টাটার সৎভাই। নোয়েল টাটার তিন সন্তান হচ্ছেন মায়া টাটা, নেভিল টাটা ও লিয়াহ টাটা। টাটা গ্রুপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে যেকোনো একজনই রতন টাটার উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিখ্যাত শিল্পপতিদের একজন ছিলেন ভারতের রতন টাটা। তিনি দেশটির অন্যতম বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান টাটা গ্রুপের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান ছিলেন। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার ৮৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
ভারতের সবচেয়ে সম্মাননীয় শিল্পপতিদের একজন ছিলেন রতন টাটা। শুধু ব্যবসার জগতে তাঁর অসামান্য অবদানের কারণে নয়, দানশীলতার জন্যও তিনি সর্বজন সমাদৃত ছিলেন। ‘লবণ থেকে সফটওয়্যার’—কী নেই টাটা গ্রুপের শিল্পে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে এই টাটা গ্রুপকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এই গ্রুপের রয়েছে শতাধিক কোম্পানি। কর্মী ৬ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। শিল্পগোষ্ঠীটির বার্ষিক রাজস্ব আয় ১০ হাজার কোটি (১০০ বিলিয়ন) ডলারের বেশি। চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় টাটা গ্রুপের আয় বেড়েছে ৪০ গুণ। আর মুনাফা বেড়েছে ৫০ গুণ।
১৯৯১ সালে রতন টাটা শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হন। ১০০ বছরের বেশি সময় আগে তাঁর প্রপিতামহ এই শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত রতন টাটা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
টাটা গ্রুপের সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কোটি রুপি। পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশের ১০০টি দেশে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কার্যক্রম রয়েছে। জ্বালানি, গাড়ি, প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে তাঁদের ব্যবসা রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকালের খবরে বলা হয়, রতন টাটার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি রুপি। তাঁর আয়ের বেশির ভাগই আসত টাটা গ্রুপ ও টাটা সন্স থেকে। আয়ের অনেকটাই তিনি দান করতেন। টাটা সন্সের সাবেক চেয়ারম্যান মাসিক বেতন পেতেন আড়াই কোটি টাকা। এ ছাড়া মুম্বাইয়ের কোলাবায় সমুদ্রসংলগ্ন এলাকায় তাঁর বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে, যার মূল্য প্রায় দেড় শ কোটি টাকা। টাটা সন্সে তাঁর যে শেয়ার ছিল, সেখান থেকে তিনি যে অর্থ উপার্জন করতেন, তার বেশির ভাগই দাতব্য সংস্থায় দান করতেন এই শিল্পপতি।
এ ছাড়া ওলা, পেটিএমের মতো সংস্থায় তাঁর বিনিয়োগ ছিল। তাঁর সংগ্রহে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি ছিল। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য টাটা ন্যানো, যা তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল। এ ছাড়া টাটা নেক্সন, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড রোভার, ক্যাডিল্যাক, শেভ্রলে, হোন্ডা সিভিক ইত্যাদি।
রতন টাটার মৃত্যুর পরে এখন বড় প্রশ্ন, কে হচ্ছেন বিপুল সম্পদের টাটা সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী, ব্যক্তিগত জীবনে রতন টাটা বিয়ে করেননি। তাঁর কোনো সন্তানও নেই। বিয়ে করেননি তাঁর আপন ভাই জিমি টাটাও। তাঁরা দুজন নাভাল টাটা ও সুনি কমিসারিয়াতের সন্তান। রতন টাটার বয়স যখন মাত্র ১০ বছর, তখন তাঁর মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বলা হয়ে থাকে, মা-বাবার অসুখী জীবন দেখেই দুই ভাইয়ের কেউই আর বিয়ের পথে হাঁটেননি। তাই তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি কে হচ্ছেন তা নিয়ে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে। টাটা গ্রুপের এই বিশাল সাম্রাজ্যের দায়িত্ব কার হাতে যাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন নোয়েল টাটা, মায়া টাটা, নেভিল টাটা ও লিয়াহ টাটা।
নোয়েল টাটা হচ্ছেন রতন টাটার সৎভাই। নোয়েল টাটার তিন সন্তান হচ্ছেন মায়া টাটা, নেভিল টাটা ও লিয়াহ টাটা। টাটা গ্রুপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে যেকোনো একজনই রতন টাটার উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১৬ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৯ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে