Ajker Patrika

হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সমর্থন করায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইসরায়েলের ধন্যবাদ

আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০: ১৬
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সমর্থন করায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইসরায়েলের ধন্যবাদ

হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করার জন্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ সমগ্র গণতান্ত্রিক দেশের যুদ্ধ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স (টুইটার) প্ল্যাটফর্মে এলি কোহেন পোস্ট শেয়ার করে বলেন, ‘জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য এস জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ। আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে একটি ঘৃণ্য সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে সমগ্র গণতান্ত্রিক বিশ্বের যুদ্ধ, যারা আইএসআইএসের চেয়েও নিকৃষ্ট।’

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের মধ্যেই শনিবার এস জয়শঙ্কর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ফোনালাপে তিনি ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে’ ভারতের অবস্থান ও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

জয়শঙ্করও এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ‘আজ বিকেলে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ইসরায়েলি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরার জন্য তাঁর প্রশংসা করছি। আমরা সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা এবং দুই রাষ্ট্র সমাধানে আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।’

এ আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল, গাজার চলমান পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করে এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তা।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জয়শঙ্কর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের অবিচল অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন। সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বেসামরিক মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিতে তিনি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

কথোপকথনের সময় জয়শঙ্কর কয়েক দশকের পুরোনো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে দুই রাষ্ট্র ধারণায় ভারতের অবিচল সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন।

জয়শঙ্কর বলেন, ‘এর মধ্যে আমাদের বিভিন্ন ইস্যুর মধ্যে ভারসাম্য খুঁজতে হবে। কারণ, এখানে কোনো প্রশ্ন নেই। ইস্যু যদি হয় সন্ত্রাসবাদের, তবে আমাদের সবার কাছে তা অগ্রহণযোগ্য এবং আমাদের সবাইকে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু এখানে ফিলিস্তিনের একটি ইস্যুও রয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের সমস্যার সমাধানও করতে হবে।’

এদিকে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলার পরপরই প্রথম কয়েকজন বিশ্বনেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হামাসের অভিযানকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ উল্লেখ করে নিন্দা করেছেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত