অনলাইন ডেস্ক
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানিদের লক্ষ্য করে ভারতের গুজরাটে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে আজ শনিবার ভোররাত ৩টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখন পর্যন্ত আটক হয়েছে ১ হাজার ২৪ জন, যাদের সবাই বাংলাভাষী। ভারতের দাবি, তারা সবাই বাংলাদেশি এবং অবৈধভাবে অবস্থান করছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই খবর দিয়েছে।
পুলিশের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে আহমেদাবাদ থেকে ৮৯০ জন ও সুরাট থেকে ১৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ব্যক্তিরা বেআইনিভাবে গুজরাটে বসবাস করছিল।
গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি এই পদক্ষেপকে গুজরাট পুলিশের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বেআইনিভাবে বসবাসকারীদের পুলিশ ‘রক্তচক্ষু’ দেখিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারাও এই অভিযানকে ‘বেআইনি অভিবাসী ও অবৈধ দখলদারদের ওপর ঐতিহাসিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর এই অভিযান চালানো হলো। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও গুজরাটে আটক ব্যক্তিদের সবাই ‘বাংলাদেশি নাগরিক’ বলে দাবি করেছে গুজরাট সরকার। কিন্তু তাদের বক্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
আহমেদাবাদের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আজ ভোররাত ৩টা থেকে আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ, এসওজি, ইওডব্লিউ, জোন-৬ ও পুলিশ সদর দপ্তরের দলগুলো মিলে আহমেদাবাদে বেআইনিভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযান চালায়। এই অভিযানে ৪০০ জনের বেশি সন্দেহভাজন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। তবে দুপুরের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ৮৯০ জনে দাঁড়ায়।
আটক ব্যক্তিদের প্রথমে কঙ্করিয়া ফুটবল মাঠে রাখা হয়েছিল, পরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের গায়কোয়াড় হাভেলি সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। এই দীর্ঘ যাত্রার ড্রোন ভিডিও পুলিশ প্রচার করেছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংভি বলেন, গুজরাট পুলিশ এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ জন অবৈধ বাংলাদেশিকে এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ জনকে আটক করেছে। এটি গুজরাট পুলিশের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় অভিযান।
সাংভি বলেন, এই বাংলাদেশিরা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বেআইনিভাবে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ভারতে প্রবেশ করে এবং গুজরাটসহ অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের অনেকে মাদক চক্র, মানব পাচারের মতো অপরাধে জড়িত। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, তথাকথিত ‘বাংলাদেশিদের’ অনেকে আল-কায়েদার মতো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তবে এ বিষয়েও গুজরাটের এই মন্ত্রী কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেছেন।
সাংভি অন্যান্য অবৈধ অভিবাসীকেও স্থানীয় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এসব বাংলাদেশির অতীত কার্যকলাপের তদন্ত চলছে। আমি তাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, হয় আপনারা আগামী দুদিনের মধ্যে নিজে থানায় গিয়ে অবৈধ বাংলাদেশি হিসেবে আত্মসমর্পণ করুন, না হলে গুজরাট পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এই নির্দেশ গুজরাটের সব প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
বেআইনিভাবে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয়দাতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে সাংভি বলেন, ‘একজন অনুপ্রবেশকারীকেও যদি কেউ আশ্রয় দেয়, তাহলে তাদের অবস্থাও খারাপ করে দেওয়া হবে। যারা তাদের আশ্রয় দেবে, তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, বেআইনি ‘বাংলাদেশি অভিবাসীদের’ জন্য যারা জাল কাগজপত্র তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশ তদন্ত করবে।
ভারতে বসবাসকারী পাকিস্তানি নাগরিকদের তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর জাতীয় আদেশের পর সাংভি বলেন, জাতীয় স্বার্থে এটি বাস্তবায়ন করা রাজ্যের দায়িত্ব। এই দায়িত্বের অধীনে গুজরাট সরকার ভারত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করবে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানিদের লক্ষ্য করে ভারতের গুজরাটে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে আজ শনিবার ভোররাত ৩টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখন পর্যন্ত আটক হয়েছে ১ হাজার ২৪ জন, যাদের সবাই বাংলাভাষী। ভারতের দাবি, তারা সবাই বাংলাদেশি এবং অবৈধভাবে অবস্থান করছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই খবর দিয়েছে।
পুলিশের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে আহমেদাবাদ থেকে ৮৯০ জন ও সুরাট থেকে ১৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ব্যক্তিরা বেআইনিভাবে গুজরাটে বসবাস করছিল।
গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি এই পদক্ষেপকে গুজরাট পুলিশের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বেআইনিভাবে বসবাসকারীদের পুলিশ ‘রক্তচক্ষু’ দেখিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারাও এই অভিযানকে ‘বেআইনি অভিবাসী ও অবৈধ দখলদারদের ওপর ঐতিহাসিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর এই অভিযান চালানো হলো। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও গুজরাটে আটক ব্যক্তিদের সবাই ‘বাংলাদেশি নাগরিক’ বলে দাবি করেছে গুজরাট সরকার। কিন্তু তাদের বক্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
আহমেদাবাদের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আজ ভোররাত ৩টা থেকে আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ, এসওজি, ইওডব্লিউ, জোন-৬ ও পুলিশ সদর দপ্তরের দলগুলো মিলে আহমেদাবাদে বেআইনিভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযান চালায়। এই অভিযানে ৪০০ জনের বেশি সন্দেহভাজন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। তবে দুপুরের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ৮৯০ জনে দাঁড়ায়।
আটক ব্যক্তিদের প্রথমে কঙ্করিয়া ফুটবল মাঠে রাখা হয়েছিল, পরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের গায়কোয়াড় হাভেলি সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। এই দীর্ঘ যাত্রার ড্রোন ভিডিও পুলিশ প্রচার করেছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংভি বলেন, গুজরাট পুলিশ এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ জন অবৈধ বাংলাদেশিকে এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ জনকে আটক করেছে। এটি গুজরাট পুলিশের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় অভিযান।
সাংভি বলেন, এই বাংলাদেশিরা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বেআইনিভাবে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ভারতে প্রবেশ করে এবং গুজরাটসহ অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের অনেকে মাদক চক্র, মানব পাচারের মতো অপরাধে জড়িত। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, তথাকথিত ‘বাংলাদেশিদের’ অনেকে আল-কায়েদার মতো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তবে এ বিষয়েও গুজরাটের এই মন্ত্রী কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেছেন।
সাংভি অন্যান্য অবৈধ অভিবাসীকেও স্থানীয় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এসব বাংলাদেশির অতীত কার্যকলাপের তদন্ত চলছে। আমি তাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, হয় আপনারা আগামী দুদিনের মধ্যে নিজে থানায় গিয়ে অবৈধ বাংলাদেশি হিসেবে আত্মসমর্পণ করুন, না হলে গুজরাট পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এই নির্দেশ গুজরাটের সব প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
বেআইনিভাবে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয়দাতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে সাংভি বলেন, ‘একজন অনুপ্রবেশকারীকেও যদি কেউ আশ্রয় দেয়, তাহলে তাদের অবস্থাও খারাপ করে দেওয়া হবে। যারা তাদের আশ্রয় দেবে, তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, বেআইনি ‘বাংলাদেশি অভিবাসীদের’ জন্য যারা জাল কাগজপত্র তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশ তদন্ত করবে।
ভারতে বসবাসকারী পাকিস্তানি নাগরিকদের তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর জাতীয় আদেশের পর সাংভি বলেন, জাতীয় স্বার্থে এটি বাস্তবায়ন করা রাজ্যের দায়িত্ব। এই দায়িত্বের অধীনে গুজরাট সরকার ভারত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করবে।
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এবং প্রাচীন ধর্মীয় রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটির শাসনব্যবস্থা, পোপের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও তাদের কর্তৃত্ব নিয়ে এই নিবন্ধে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁর অনাড়ম্বর সমাধি এবং বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে বিশাল শোকানুষ্ঠানের বিবরণও তুলে ধরা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসকে সমাহিত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভ্যাটিকানের সীমানার বাইরে রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাগিওরে ব্যাসিলিকায় তাঁকে সমাহিত করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তাইয়েবার সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিচিত দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। সংগঠনটি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘মিথ্যা, প্রমাণ ছাড়া তড়িঘড়ি করে দায় চাপানো ও কাশ্মীরি প্রতিরোধকে হেয় করার জন্য সাজানো অভিযানের অংশ’ বল
৪ ঘণ্টা আগেশতাধিক মামলার পর বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ট্রাম্প প্রশাসন। SEVIS রেকর্ড পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বৈধতা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, তবে ভবিষ্যতে নিয়ম লঙ্ঘনে ভিসা বাতিলের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে