আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত মে মাসে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জয় করেছেন ভারতের কর্ণাটকের লেখক বানু মুশতাক। এবার কর্ণাটকের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসবকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি রাজ্যের কংগ্রেস সরকার ঘোষণা করেছে, বানু মুশতাকই উদ্বোধন করবেন এবারের ঐতিহ্যবাহী ‘মাইসুরু দশরা’ উৎসব।
মাইসুরু দশরা ‘নাডা হাব্বা’ বা ‘ভূমির উৎসব’ নামেও পরিচিত। টানা ১০ দিন ধরে চলা এই উৎসবে প্রতিবছর হাজারো মানুষ অংশ নেন। সুসজ্জিত হাতির শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী ও আতশবাজির ভিড়ে উৎসবটি শুধু ধর্মীয় নয়, বরং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় রূপ পেয়েছে।
তবে উৎসবের উদ্বোধন নিয়ে কংগ্রেস সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধী বিজেপি। তাদের অভিযোগ, বানু মুশতাকের মতো একজন মুসলিম লেখককে হিন্দু উৎসব উদ্বোধনের দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হয়নি। যদিও মাইসুরু দশরা সরকারিভাবে আয়োজিত হয় এবং এতে সব ধর্মের মানুষই অংশ নেন।
উদ্বোধনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বানু মুশতাক অবশ্য জানিয়েছেন, এই আমন্ত্রণ তাঁর জন্য সম্মানের এবং শৈশব থেকেই তিনি উৎসবটির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। তবু বিতর্ক থামেনি।
বিজেপির কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, বানু মুশতাক অতীতে দেবী ভুবনেশ্বরী সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছিলেন, যা আঘাতজনক। ভুবনেশ্বরী কর্ণাটক ভাষা ও পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
মূলত গত জানুয়ারিতে দেওয়া বানু মুশতাকের একটি বক্তব্য নিয়ে এমন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই বক্তব্যে তিনি কন্নড় পরিচয়কে হিন্দু দেবীর সঙ্গে বেঁধে দেখার প্রথা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে শুধু বানু মুশতাক নন, বহু প্রগতিশীল লেখকও ইতিপূর্বে এ ধরনের ‘হিন্দুত্বকরণ’ নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রথমবারের মতো কোনো কন্নড় ভাষার লেখক হিসেবে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জয় করে রেকর্ড গড়েছিলেন বানু মুশতাক। দীপা ভাসতি অনূদিত তাঁর বই ‘হার্ট ল্যাম্প’-এ নারীদের সংগ্রাম, বিশেষত মুসলিম নারীদের ধর্মীয় রক্ষণশীলতা ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজে টিকে থাকার গল্প উঠে এসেছে।
এর আগে ২০১৭ সালে মুসলিম কবি কে এস নিসার আহমদকেও একই উৎসব উদ্বোধনের সম্মান দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার মুশতাককে ঘিরে বিতর্ক তীব্র হয়েছে। বানু মুশতাকের বুকার জয় কন্নড় সাহিত্যকে গৌরবান্বিত করেছে বলে স্বীকার করেছেন বিজেপি সাংসদ যাদুবীর ওয়াডিয়ার। কিন্তু তাঁর দাবি, মাইসুরু দশরা উৎসবটি শুধু সাংস্কৃতিক নয়, এটি সনাতন ধর্মীয় আচার। তাই লেখককে দেবী ভক্তির বিষয়ে পরিষ্কার বক্তব্য রাখতে হবে।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা প্রতাপ সিমহা প্রশ্ন তুলেছেন, মুশতাক হিন্দু ধর্মের আচার আদৌ মানেন কি না। তবে বানু মুশতাকের সমর্থকেরা বলছেন, এ বিতর্ক আসলে উৎসবকে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার প্রশ্ন বনাম একে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ধর্মীয় আয়োজনে সীমাবদ্ধ করার দ্বন্দ্ব। কবি মমতা সাগর বলেছেন, মাইসুরু দশরা সেক্যুলার উৎসব। বানুকে আমন্ত্রণ জানানো কর্ণাটকের জন্য গর্বের।
রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারও সরকারের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেছেন এবং উৎসবের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে মুশতাক জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চাপে নতি স্বীকার করবেন না। তাঁর ভাষায়, রাজনীতিকদের বোঝা উচিত, কোন বিষয় রাজনীতিকরণ করা যায় আর কোনটি নয়।
গত মে মাসে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জয় করেছেন ভারতের কর্ণাটকের লেখক বানু মুশতাক। এবার কর্ণাটকের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসবকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি রাজ্যের কংগ্রেস সরকার ঘোষণা করেছে, বানু মুশতাকই উদ্বোধন করবেন এবারের ঐতিহ্যবাহী ‘মাইসুরু দশরা’ উৎসব।
মাইসুরু দশরা ‘নাডা হাব্বা’ বা ‘ভূমির উৎসব’ নামেও পরিচিত। টানা ১০ দিন ধরে চলা এই উৎসবে প্রতিবছর হাজারো মানুষ অংশ নেন। সুসজ্জিত হাতির শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী ও আতশবাজির ভিড়ে উৎসবটি শুধু ধর্মীয় নয়, বরং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় রূপ পেয়েছে।
তবে উৎসবের উদ্বোধন নিয়ে কংগ্রেস সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধী বিজেপি। তাদের অভিযোগ, বানু মুশতাকের মতো একজন মুসলিম লেখককে হিন্দু উৎসব উদ্বোধনের দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হয়নি। যদিও মাইসুরু দশরা সরকারিভাবে আয়োজিত হয় এবং এতে সব ধর্মের মানুষই অংশ নেন।
উদ্বোধনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বানু মুশতাক অবশ্য জানিয়েছেন, এই আমন্ত্রণ তাঁর জন্য সম্মানের এবং শৈশব থেকেই তিনি উৎসবটির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। তবু বিতর্ক থামেনি।
বিজেপির কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, বানু মুশতাক অতীতে দেবী ভুবনেশ্বরী সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছিলেন, যা আঘাতজনক। ভুবনেশ্বরী কর্ণাটক ভাষা ও পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
মূলত গত জানুয়ারিতে দেওয়া বানু মুশতাকের একটি বক্তব্য নিয়ে এমন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই বক্তব্যে তিনি কন্নড় পরিচয়কে হিন্দু দেবীর সঙ্গে বেঁধে দেখার প্রথা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে শুধু বানু মুশতাক নন, বহু প্রগতিশীল লেখকও ইতিপূর্বে এ ধরনের ‘হিন্দুত্বকরণ’ নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রথমবারের মতো কোনো কন্নড় ভাষার লেখক হিসেবে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জয় করে রেকর্ড গড়েছিলেন বানু মুশতাক। দীপা ভাসতি অনূদিত তাঁর বই ‘হার্ট ল্যাম্প’-এ নারীদের সংগ্রাম, বিশেষত মুসলিম নারীদের ধর্মীয় রক্ষণশীলতা ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজে টিকে থাকার গল্প উঠে এসেছে।
এর আগে ২০১৭ সালে মুসলিম কবি কে এস নিসার আহমদকেও একই উৎসব উদ্বোধনের সম্মান দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার মুশতাককে ঘিরে বিতর্ক তীব্র হয়েছে। বানু মুশতাকের বুকার জয় কন্নড় সাহিত্যকে গৌরবান্বিত করেছে বলে স্বীকার করেছেন বিজেপি সাংসদ যাদুবীর ওয়াডিয়ার। কিন্তু তাঁর দাবি, মাইসুরু দশরা উৎসবটি শুধু সাংস্কৃতিক নয়, এটি সনাতন ধর্মীয় আচার। তাই লেখককে দেবী ভক্তির বিষয়ে পরিষ্কার বক্তব্য রাখতে হবে।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা প্রতাপ সিমহা প্রশ্ন তুলেছেন, মুশতাক হিন্দু ধর্মের আচার আদৌ মানেন কি না। তবে বানু মুশতাকের সমর্থকেরা বলছেন, এ বিতর্ক আসলে উৎসবকে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার প্রশ্ন বনাম একে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ধর্মীয় আয়োজনে সীমাবদ্ধ করার দ্বন্দ্ব। কবি মমতা সাগর বলেছেন, মাইসুরু দশরা সেক্যুলার উৎসব। বানুকে আমন্ত্রণ জানানো কর্ণাটকের জন্য গর্বের।
রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারও সরকারের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেছেন এবং উৎসবের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে মুশতাক জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চাপে নতি স্বীকার করবেন না। তাঁর ভাষায়, রাজনীতিকদের বোঝা উচিত, কোন বিষয় রাজনীতিকরণ করা যায় আর কোনটি নয়।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২ হাজার ৫০০-এর বেশি স্থানে তাদের বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে লাখো মানুষ অংশ নেবে। তাদের দাবি, ট্রাম্পের ‘স্বৈরাচারী মনোভাব ও কর্তৃত্ববাদী শাসন’ রুখতেই এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে লেখা, ‘প্রেসিডেন্ট মনে করেন, তিনিই সর্বেসর্বা।
৫ ঘণ্টা আগেসর্বশেষ সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকটি কেমন ছিল, তা একটি শব্দ দিয়েই বর্ণনা করা যায়। আর তা হলো ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বা জেলেনস্কির ভাষায় ‘তীক্ষ্ণ’ (pointed)। তিনি নিজেই এক্সে এভাবে লিখেছেন। এই শব্দের অর্থ বিশ্লেষণ না করলেও বোঝা যায়, জেলেনস্কি আসলে এর মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তান অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান আবারও তাদের সীমান্তে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দিনের যুদ্ধবিরতিও ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ তালেবান সরকারের।
৮ ঘণ্টা আগেরাজনাথ সিং বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় যা ঘটেছিল, তা ছিল ট্রেলার। পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি মাটি এখন ভারতের ব্রহ্মসের আওতায়।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্যে ছিল একটি কঠোর বার্তা—ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়া কেবল সীমান্তে প্রতিরক্ষামূলক নয়, বরং প্রয়োজনে আক্রমণাত্মক এবং সুনির্দিষ্টও হতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগে