Ajker Patrika

সংক্রমণ তালিকায় ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় ভারত

সংক্রমণ তালিকায় ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় ভারত

ভারতে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতি হচ্ছে।  আজ সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ,  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটিই ভারতে একদিনে শনাক্ত হওয়া সর্বোচ্চ সংক্রমণ।

আজ ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯০৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৭০ হাজার জন ১৭৯ জনে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৩৫ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায়  ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। সংক্রমণ তালিকায় দেশটির  অবস্থান এখন দ্বিতীয়। এ তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে এখনো যুক্তরাষ্ট্র।  সংক্রমণ তালিকায় ব্রাজিল বর্তমানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ভারতে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র।  গত একদিনে এ রাজ্যে ৬৩ হাজার ২৯৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৩৪৯ জন। দেশের মধ্যে প্রায় ৫২ শতাংশ রোগীই মহারাষ্ট্রের। এই সপ্তাহেই মহারাষ্ট্রে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হতে পারে।

এর আগে রোববারও ভারতে  একদিনে দেড় লাখেরও বেশি  করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল।

বিশ্বে সংক্রমণ-মৃত্যুর দিক থেকে এখনও শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৮ জন মারা গেছেন। এছাড়া শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ১৯ লাখ ১৫ হাজার ১৭৯ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯২ জন।

সংক্রমণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে নেমে গেলেও মৃত্যুর দিক থেকে এখনও দ্বিতীয় স্থানে  ব্রাজিল।  দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ২৩ জন।  এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৭ জন। ব্রাজিলে এ পর্যন্ত  সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬৪ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বছরে সর্বোচ্চ ৭৫০০ শরণার্থী নেবে যুক্তরাষ্ট্র, ইতিহাসে সর্বনিম্ন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৫৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম শরণার্থী প্রবেশসীমা ঘোষণা করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৬ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ জন শরণার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি দেশটির আইন ভাঙেননি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই নথিতে স্বাক্ষর করলেও গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রেসিডেনশিয়াল নথি থেকে দেখা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে—বিশ্বজুড়ে বিপদগ্রস্ত লাখো মানুষের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী ব্যবস্থা মূলত বন্ধই থাকবে। তবে নির্ধারিত ৭ হাজার ৫০০ জনের বেশির ভাগ স্থান বরাদ্দ করা হবে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীদের জন্য।

নথিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের ‘নির্বাহী আদেশ ১৪২০৪ অনুযায়ী, প্রবেশসংখ্যা প্রধানত দক্ষিণ আফ্রিকান শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। নিজ নিজ দেশে বেআইনি বা অন্যায্য বৈষম্যের শিকার অন্য গোষ্ঠীর সদস্যরাও এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। যাঁরা আফ্রিকানার জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।

ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন, কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও শীর্ষ আফ্রিকান নেতারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই নথিতে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে শরণার্থী পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হবে।

বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু সংস্থা যেসব অনুদান ও চুক্তির মাধ্যমে শরণার্থী সেবা দেয়, সেগুলো এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা দপ্তরের অধীন শরণার্থী পুনর্বাসন কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হবে। এক পৃথক ঘোষণায় বলা হয়, ‘এই স্থানান্তর কার্যক্রমের তদারকি ও দায়বদ্ধতা আরও সুসংগঠিত করবে। কারণ, এসব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই পরিচালিত হয়।’

ট্রাম্পের নির্ধারিত সীমা ১৯৮০ সালের ‘রিফিউজি অ্যাক্ট’ পাস হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে কম। সেই আইনেই যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী গ্রহণ ও পুনর্বাসনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া চালু হয়। এর পর থেকে অন্তত ২০ লাখ শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেয়েছে। ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প সেই কর্মসূচি স্থগিত করার চেষ্টা করেছিলেন, যা আদালতে আটকে যায়।

২০২৬ অর্থবছরের এই নতুন সীমা বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছরের তুলনায় অতি সামান্য। বাইডেনের সময়ে ১ লাখ ২৫ হাজার শরণার্থী প্রবেশের অনুমতি ছিল। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪ কোটি ২৭ লাখ শরণার্থী রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট প্রতিবছর শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারেন, তবে সর্বনিম্ন সীমা নির্দিষ্ট নয়। এ কারণে ট্রাম্প আবারও কর্মসূচি প্রায় বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রাইকলিন-মেলনিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ট্রাম্পের ঘোষণায় ‘শরণার্থী’ শব্দের সংজ্ঞাই বদলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শরণার্থী বলতে বোঝায় এমন কাউকে, যিনি জাতি, ধর্ম, জাতীয়তা, নির্দিষ্ট সামাজিক গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক মতের কারণে নিপীড়নের শিকার—কেবল বৈষম্যের নয়।’

অ্যারন রাইকলিন আরও লিখেছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচি জাতিগত নিধন ও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের আশ্রয় দিয়েছে। এখন তা শ্বেতাঙ্গ অভিবাসনের পথ হয়ে দাঁড়াবে। আমেরিকার মানবিকতার মুকুট রত্নের কী পতন!’

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সহায়তা প্রকল্প (আইআরএপি) জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসের সঙ্গে বাধ্যতামূলক পরামর্শ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। সংগঠনটি একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে। সংস্থার প্রেসিডেন্ট শরিফ আলী বলেন, ‘আজকের এই ঘোষণা দেখিয়ে দিল, এই প্রশাসন বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি দায়িত্ব কত দূর বিসর্জন দিয়েছে। আমেরিকার শরণার্থী কর্মসূচি আমাদের মূল্যবোধের প্রতিফলন ছিল। যাদের আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি, তারা হয়তো হাজারো সম্প্রদায় ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারত।’

ট্রাম্পের ঘোষণায় এই বিশাল কাটছাঁটের কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। কেবল বলা হয়েছে, এটি ‘মানবিক উদ্বেগ বা জাতীয় স্বার্থ’ বিবেচনায় ন্যায্য। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। কেউ কেউ আশা করেছিলেন, শরণার্থী কর্মসূচি অন্তত এই কঠোরতার বাইরে থাকবে।

বিষয়:

অভিবাসী
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরও এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে রাজি পাকিস্তান–আফগানিস্তান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্তের একটি চেক পয়েন্টের কাছে টহলরত তালেবান এক সেনা। ছবি: এএফপি
আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্তের একটি চেক পয়েন্টের কাছে টহলরত তালেবান এক সেনা। ছবি: এএফপি

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান অন্তত আরও এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছে। তুরস্কে অনুষ্ঠিত আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৬ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আবার বসবে দুই দেশ। সেখানে যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হবে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তি বজায় রাখতে এবং যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের ঘটনায় দায়ী পক্ষকে শাস্তি দিতে একটি নজরদারি ও যাচাই ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে আফগানিস্তানে বিস্ফোরণের পর দুই দেশের সীমান্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। আফগান সরকার ওই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরপর দুই দেশের সেনারা পাল্টাপাল্টি হামলায় নামে। পাকিস্তানের দাবি, তাদের অভিযানে ২০০ জনের বেশি আফগান যোদ্ধা নিহত হয়। আফগানিস্তান বলে, তারা ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে।

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর এটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। পরে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ১৯ অক্টোবর দোহায় দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা যুদ্ধবিরতিতে সই করেন।

দুই দেশের মধ্যে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। গত শনিবার ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু হয়। বুধবার আলোচনা ভেঙে যায়। কারণ, পাকিস্তান কাবুলকে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চাপ দিতে থাকে। পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, টিটিপি তাদের দেশে হামলা চালায়। আফগান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার আলোচনা আবার শুরু হয়। এরপরই ৬ নভেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার বিষয়ে দুই দেশ রাজি হয়। আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, আলোচনা শেষ হয়েছে এবং দুই পক্ষ ভবিষ্যতেও আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তান এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

যুদ্ধবিরতি বজায় থাকলেও দুই দেশের সীমান্ত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ। এতে সীমান্ত এলাকার ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আফগানিস্তানের কান্দাহারে কাপড় ব্যবসায়ী নাজির আহমেদ এএফপিকে বলেন, ‘দুই দেশই ক্ষতির মুখে। আমাদের জাতি ক্লান্ত, ওদের জাতিও ক্লান্ত।’ অন্যদিকে পাকিস্তানের চামান সীমান্ত শহরের গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার বলেন, ‘বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত—দুই দেশই মুসলিম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরও দুই জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস, যুদ্ধবিরতি ভেঙেই চলেছে ইসরায়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৩১
ইসরায়েল ত্রাণ প্রবাহে বাধা দেওয়ায় গাজায় ক্ষুধা এখনো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল ত্রাণ প্রবাহে বাধা দেওয়ায় গাজায় ক্ষুধা এখনো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এর এক দিন আগেই গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ভেঙে একের পর এক ইসরায়েলি হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রেডক্রসের মাধ্যমে ওই দুই মরদেহ গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে পৌঁছেছে। পরে এগুলো শনাক্তের জন্য ইসরায়েলে নেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েলি সেনারাও গাজার শহরাঞ্চল থেকে আংশিকভাবে সরে গেছে। তবে ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১০৪ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৬ শিশু ও ২০ নারী।

চুক্তি অনুযায়ী হামাস ২৮ জন ইসরায়েলি বন্দীর মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিনিময়ে তারা ইসরায়েলে নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ ফেরত চায়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হামাস ১৫ জনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে। তাদের দাবি, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা আরও অনেক মরদেহ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সহায়তা তারা এখনো পায়নি।

ইসরায়েল দাবি করছে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহ হস্তান্তরে দেরি করছে। গাজার মধ্যাঞ্চল আজ-জুয়ায়দা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজযুম জানান, ধ্বংসস্তূপে মরদেহ উদ্ধারে হামাস লজিস্টিক ও প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়েছে। হামাস ভারী যন্ত্রপাতি ও বুলডোজার প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে, কিন্তু ইসরায়েল এখনো তা অনুমোদন দেয়নি।

এই মরদেহ ফেরত ইস্যুই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনাকে জটিল করে তুলেছে। গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন এবং হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবি—এ দুটি বিষয়ও এখন বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে।

এদিকে, গত বুধবার রাতে ইসরায়েলি বিমান দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বে ১০ দফা হামলা চালায়। একই সময়ে উত্তর গাজা সিটিতেও ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ‘নির্দিষ্ট’ হামলা চালিয়েছে সেসব এলাকায় যেখানে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার টনের বেশি জাতিসংঘের ত্রাণ গাজায় পৌঁছেছে। তিনি আরও বলেন, ত্রাণ বিতরণে এনজিওগুলোর অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে হবে। যুদ্ধবিরতির আগের তুলনায় এখন ত্রাণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। তবু তহবিল সংকট এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা বড় বাধা হয়ে আছে। সীমান্ত পারাপারও প্রায় বন্ধ।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মধ্যপ্রাচ্য পরিচালক সামের আবদেল জাবের বলেন, যুদ্ধবিরতির পর ২০ দিনে তারা গাজায় প্রায় ২০ হাজার টন খাদ্য সংগ্রহ করেছেন। জাতিসংঘের সমন্বয় কর্মকর্তা আলাকবারভ জানান, যুদ্ধবিরতির ২০ দফা পরিকল্পনা পূর্ণ বাস্তবায়ন না হলে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পূর্ণমাত্রায় সম্ভব নয়।

তিনি ইসরায়েলকে আরও এনজিওকে গাজায় কাজের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান। কারণ, ইসরায়েল অনেক সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে। তাঁর ভাষায়, ‘এনজিও নিবন্ধনের জটিলতা বড় বাধা হয়ে আছে। আমরা বারবার বলছি, মানবিক কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিওর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ইসরায়েলি হামলায় গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অনেকে একাধিকবার স্থান বদল করতে বাধ্য হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপে ফেরা সাহস পাচ্ছে না। কারণ তারা আশঙ্কা করছে, ফেরার পর আবারও হামলা হতে পারে।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির পূর্বে তুফাহ ও শুজাইয়া এলাকায় ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এ মাসের শুরু থেকে সেখানে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা—পুরো পাড়া-মহল্লা ধ্বংস করে বসবাসের অনুপযোগী করে ফেলার। বুলডোজারে রাস্তা, বাড়িঘর, অবকাঠামো—সবকিছু মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যতক্ষণ না গাজা সিটির পূর্বাঞ্চল পুরোপুরি দখলে আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত ১২ মে ভার্জিনিয়ার ডালস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীরা। ছবি: এপির সৌজন্যে
গত ১২ মে ভার্জিনিয়ার ডালস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীরা। ছবি: এপির সৌজন্যে

আগামী অর্থবছরে (২০২৬-২৭) যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৭ হাজার ৫০০ জনে নামিয়ে আনছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটি পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নির্ধারিত ১ লাখ ২৫ হাজারের তুলনায় প্রায় ৯৪ শতাংশ কম।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মার্কিন ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘মানবিক উদ্বেগ ও জাতীয় স্বার্থে’ শরণার্থী প্রবেশের নতুন সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত ৭ হাজার ৫০০ জনের বেশির ভাগই হবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ।

এর আগে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশ কর্মসূচি (ইউএসআরএপি) স্থগিত করার ঘোষণা দেন। তিনি দাবি করেন, এই পদক্ষেপ ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে’ সহায়ক হবে।

গত মে মাসে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, দেশটিতে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে।

বৈঠকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও দেখানো হয়। সেখানে আফ্রিকায় ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের কবরস্থান’ দেখানো হয়েছিল। তবে ট্রাম্প স্বীকার করেন, তিনি জানেন না ভিডিওটি দক্ষিণ আফ্রিকার কোন স্থানে ধারণ করা হয়েছে।

এ বৈঠকের কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ৬০ জন শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান নাগরিককে আশ্রয় দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত