কলকাতা প্রতিনিধি
আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। কিন্তু এই অধিবেশনকে কেন্দ্র করে শুধু আইন প্রণয়নের আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং রাজনীতি আরও তপ্ত হতে চলেছে। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছে, এবার মূল লক্ষ্য হবে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ।
নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিবালয় ইতিমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলীয় সূত্রের দাবি, অধিবেশনে মমতা নিজে বক্তব্য দেবেন এবং সেখান থেকে দিল্লিকে কড়া বার্তা দেওয়া হবে।
শাসক দলের মূল অভিযোগ, বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাস হওয়া একাধিক বিল এখনো রাজভবন বা দিল্লিতে আটকে রয়েছে। ফলে সে বিলগুলো আইনে পরিণত হচ্ছে না, আর এর জেরে সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনিক সংস্কার—বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বিলগুলো আইন হিসেবে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো আটকে থাকায় রাজ্য কার্যত আইনি জটিলতায় ফেঁসে যাচ্ছে।
তৃণমূল নেতাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের সক্রিয় ভূমিকার কারণে রাজ্যের বিলগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এটি কেন্দ্র ও রাজ্যের দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনেরই সম্প্রসারিত রূপ, যা অধিবেশনে নতুন মাত্রা পাবে।
নবান্নের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে সমস্ত ‘অপেক্ষমাণ বিল’-এর তালিকা চেয়ে নিয়েছে। সে তথ্য অধিবেশনে ব্যবহার করে বিজেপিকে চাপে ফেলার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে ‘অপরাজিতা বিল’। গত ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিলটি ফেরত পাঠানো হয় রাজভবনে, যেখানে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কিছু ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। রাজভবন সে বার্তা পাঠিয়েছে নবান্নে। যদিও ব্যাখ্যা এখনো পাঠানো হয়নি, তবে তা প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তৃণমূল নেতারা এটিকে স্পষ্ট ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শুধু বিল আটকে থাকার ইস্যুই নয়, বিশেষ অধিবেশনে আরও দুটি সংবেদনশীল বিষয় আলোচনায় আসবে। প্রথমত, বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলা ও ভয় দেখানোর অভিযোগ। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে, যা রাজ্য সরকারকে উদ্বিগ্ন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নে দিল্লিকে একাধিকবার আক্রমণ করেছেন। এবার বিধানসভা থেকে বিষয়টি তোলা হবে বলে জানা গেছে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার বিরোধিতা। তৃণমূলের অভিযোগ, এটি বিরোধীদের দুর্বল করার ষড়যন্ত্র এবং বিজেপির স্বার্থে ভোটার তালিকায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ তিন ইস্যু—বিল আটকে রাখা, শ্রমিক নির্যাতন, ভোটার তালিকার সমীক্ষা—একই সূত্রে বাঁধা। এগুলো সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবন, নিরাপত্তা ও ভোটাধিকারকে স্পর্শ করছে। ফলে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে জনমানসে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভকে আরও উসকে দিতে। অনেকে বলছেন, এই অধিবেশন আসলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, বিজেপিকে কোণঠাসা করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়া এবং সে লড়াইকে জন-আন্দোলনে রূপ দেওয়া।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা মন্তব্য করেছেন, দিল্লি শুধু প্রশাসনিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও বাংলার সরকারকে অচল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিধানসভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা যাবে। অন্যদিকে বিজেপি বলছে, রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে বিলগুলো আটকে রয়েছে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল আসলে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এ ইস্যুতে সরব হচ্ছে।
তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপি যতই অভিযোগ তুলুক, বিশেষ অধিবেশন কার্যত তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রচারের বড় মঞ্চ হয়ে উঠতে চলেছে। বাংলার ভোটারদের কাছে এ বার্তা পৌঁছাতে যে, কেন্দ্র ইচ্ছাকৃতভাবে উন্নয়নমূলক কাজ আটকে দিচ্ছে এবং দিল্লি বাংলাকে বঞ্চিত করছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও ভোটার তালিকার মতো ইস্যু আরও আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করবে। ফলে এই অধিবেশন শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং কেন্দ্র–রাজ্যের সংঘাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আগামীকাল সোমবার বিধানসভা থেকে কী বার্তা আসে, তা শুধু বর্তমান রাজনীতির নয়, ভবিষ্যৎ নির্বাচনের সমীকরণেও বড় ভূমিকা রাখবে।
আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। কিন্তু এই অধিবেশনকে কেন্দ্র করে শুধু আইন প্রণয়নের আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং রাজনীতি আরও তপ্ত হতে চলেছে। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছে, এবার মূল লক্ষ্য হবে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ।
নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিবালয় ইতিমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলীয় সূত্রের দাবি, অধিবেশনে মমতা নিজে বক্তব্য দেবেন এবং সেখান থেকে দিল্লিকে কড়া বার্তা দেওয়া হবে।
শাসক দলের মূল অভিযোগ, বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাস হওয়া একাধিক বিল এখনো রাজভবন বা দিল্লিতে আটকে রয়েছে। ফলে সে বিলগুলো আইনে পরিণত হচ্ছে না, আর এর জেরে সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনিক সংস্কার—বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বিলগুলো আইন হিসেবে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো আটকে থাকায় রাজ্য কার্যত আইনি জটিলতায় ফেঁসে যাচ্ছে।
তৃণমূল নেতাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের সক্রিয় ভূমিকার কারণে রাজ্যের বিলগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এটি কেন্দ্র ও রাজ্যের দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনেরই সম্প্রসারিত রূপ, যা অধিবেশনে নতুন মাত্রা পাবে।
নবান্নের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে সমস্ত ‘অপেক্ষমাণ বিল’-এর তালিকা চেয়ে নিয়েছে। সে তথ্য অধিবেশনে ব্যবহার করে বিজেপিকে চাপে ফেলার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে ‘অপরাজিতা বিল’। গত ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিলটি ফেরত পাঠানো হয় রাজভবনে, যেখানে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কিছু ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। রাজভবন সে বার্তা পাঠিয়েছে নবান্নে। যদিও ব্যাখ্যা এখনো পাঠানো হয়নি, তবে তা প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তৃণমূল নেতারা এটিকে স্পষ্ট ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শুধু বিল আটকে থাকার ইস্যুই নয়, বিশেষ অধিবেশনে আরও দুটি সংবেদনশীল বিষয় আলোচনায় আসবে। প্রথমত, বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলা ও ভয় দেখানোর অভিযোগ। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে, যা রাজ্য সরকারকে উদ্বিগ্ন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নে দিল্লিকে একাধিকবার আক্রমণ করেছেন। এবার বিধানসভা থেকে বিষয়টি তোলা হবে বলে জানা গেছে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার বিরোধিতা। তৃণমূলের অভিযোগ, এটি বিরোধীদের দুর্বল করার ষড়যন্ত্র এবং বিজেপির স্বার্থে ভোটার তালিকায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ তিন ইস্যু—বিল আটকে রাখা, শ্রমিক নির্যাতন, ভোটার তালিকার সমীক্ষা—একই সূত্রে বাঁধা। এগুলো সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবন, নিরাপত্তা ও ভোটাধিকারকে স্পর্শ করছে। ফলে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে জনমানসে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভকে আরও উসকে দিতে। অনেকে বলছেন, এই অধিবেশন আসলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, বিজেপিকে কোণঠাসা করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়া এবং সে লড়াইকে জন-আন্দোলনে রূপ দেওয়া।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা মন্তব্য করেছেন, দিল্লি শুধু প্রশাসনিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও বাংলার সরকারকে অচল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিধানসভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা যাবে। অন্যদিকে বিজেপি বলছে, রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে বিলগুলো আটকে রয়েছে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল আসলে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এ ইস্যুতে সরব হচ্ছে।
তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপি যতই অভিযোগ তুলুক, বিশেষ অধিবেশন কার্যত তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রচারের বড় মঞ্চ হয়ে উঠতে চলেছে। বাংলার ভোটারদের কাছে এ বার্তা পৌঁছাতে যে, কেন্দ্র ইচ্ছাকৃতভাবে উন্নয়নমূলক কাজ আটকে দিচ্ছে এবং দিল্লি বাংলাকে বঞ্চিত করছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও ভোটার তালিকার মতো ইস্যু আরও আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করবে। ফলে এই অধিবেশন শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং কেন্দ্র–রাজ্যের সংঘাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আগামীকাল সোমবার বিধানসভা থেকে কী বার্তা আসে, তা শুধু বর্তমান রাজনীতির নয়, ভবিষ্যৎ নির্বাচনের সমীকরণেও বড় ভূমিকা রাখবে।
নেপালের পর্যটন এলাকা চন্দ্রগিরিতে একটি কেবল কারে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নেপালি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন মার্কেট, নেতাদের বাসভবন এমনকি থানাতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে‘মধ্যস্থতাকারী’—শব্দটা যেন কাতারের প্রতিশব্দই হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দ্বন্দ্ব চলছে এমন দুই দেশের সঙ্গে বেশ আলাদাভাবে সুসম্পর্ক রয়েছে কাতারের। এবং বরাবরই বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা যায় এই আরব দেশটিকে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, হামাস-
১ ঘণ্টা আগেভারত মিয়ানমারের শক্তিশালী এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সহায়তায় দেশটি থেকে বিরল খনিজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চীনের কড়া নিয়ন্ত্রণে থাকা এ কৌশলগত সম্পদের বিকল্প উৎস খুঁজছে দিল্লি। ভারতের খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মিয়ানমারের উত্তর
১ ঘণ্টা আগেভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, নেপালের উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সশস্ত্র সীমা বল পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে।
২ ঘণ্টা আগে