কলকাতা প্রতিনিধি
২০২৬ সালে হতে যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক এ সময় এক বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলেন বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার ও কবি জাভেদ আখতার। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার ইসলামি সংগঠনগুলোর কাছে মাথা নত করছে। উর্দু অ্যাকাডেমি আয়োজিত সাহিত্য উৎসবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো এবং পরে চাপের মুখে অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার পর এ মন্তব্য করেন জাভেদ আখতার। এই মন্তব্যে রাজ্যের ভোট রাজনীতিতে কতটা প্রভাব পড়বে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বাংলার সম্প্রীতির রাজনীতির প্রতীক হয়ে ছিলেন। বিজেপি যেখানে ধর্মীয় মেরুকরণকে নির্বাচনের হাতিয়ার করে তুলতে চাইছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস মুসলিম ভোটব্যাংক রক্ষায় পাশাপাশি হিন্দু ভোটকেও আস্থায় রাখার কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে। জাভেদ আখতারের অভিযোগ তাই অনেকের কাছে অতিরঞ্জিত বলেই মনে হয়েছে।
উর্দু অ্যাকাডেমির উৎসব বাতিল হওয়ার বিষয়টি অবশ্য বিতর্কিত। জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ এবং ওয়াহ্যাহিন ফাউন্ডেশনের মতো সংগঠনগুলো জাভেদ আখতারের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলে, কারণ তিনি প্রকাশ্যে নিজেকে নাস্তিক ঘোষণা করেছেন এবং ধর্মীয় আচার-অনুশাসন নিয়ে সমালোচনামূলক বক্তব্য রাখেন।
২০০৭ সালে লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে ঘিরে কলকাতায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেই স্মৃতি উসকে দিয়ে সংগঠনগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছিল নতুন করে বিক্ষোভের। রাজ্য সরকার আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় অনুষ্ঠানটি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুশান্ত ভট্টাচার্যের মতে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় একমাত্র নেতা যিনি একইসঙ্গে মুসলিম ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পেরেছেন। তাঁর নীতিতে মাঝে মাঝে কিছু আপস দেখা দিলেও তাকে দুর্বলতা বলা যাবে না। বরং এটি বাংলার বহুত্ববাদী রাজনীতির বাস্তবতা।’
অপর এক বিশ্লেষক মেহেদী হাসান বলেন, ‘জাভেদ আখতারের বক্তব্যকে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু সাধারণ ভোটাররা জানেন, মমতা যদি আপস না করতেন, তাহলে রাজ্যে অস্থিরতা বাড়ত। মানুষ স্থিতিশীলতা চাইবে।’
বাংলার সমাজে জাভেদ আখতার জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হলেও তাঁর বক্তব্যের কারণে তিনি অনেকসময় বিতর্কিত হন। বিশেষত ধর্ম প্রসঙ্গে তাঁর অবস্থান মুসলিম সংগঠনগুলোর কাছে অপ্রিয় হলেও, বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে এই বিতর্ক হয়তো ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ বাংলার রাজনীতি এখন মূলত কর্মসংস্থান, দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ভূমিকার মতো ইস্যুতে গড়ে উঠছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, এই ধরনের অভিযোগ মূলত রাজ্য সরকারের সম্প্রীতির রাজনীতি ভাঙার প্রচেষ্টা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দেখিয়েছেন, তিনি মুসলিম বা হিন্দু কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য রাজনীতি করেন না, বরং বহুত্ববাদকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছেন।
তবে বিরোধীরা বলছে, মমতা সরকারের এই ‘পিছু হটা’ রাজ্যের প্রশাসনিক দৃঢ়তার ঘাটতিরই প্রমাণ। বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘এটা আসলে ভোটের আগে আপস-এর রাজনীতি।’ আবার বাম শিবির বলছে, ‘মমতা হিন্দু–মুসলিম উভয় দিক সামলাতে গিয়েই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন।’
২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই বিতর্ক কতটা বড় ইস্যু হয়ে উঠবে সে প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাংস্কৃতিক ইভেন্ট বাতিল কিংবা জাভেদ আখতারের মন্তব্য সাধারণ ভোটারদের মন গলাবে না। তারা দেখবে, তাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা ও সরকারের সমাধান দেওয়ার সক্ষমতা। তবে বিরোধী দলগুলো এই ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে।
২০২৬ সালে হতে যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক এ সময় এক বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলেন বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার ও কবি জাভেদ আখতার। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার ইসলামি সংগঠনগুলোর কাছে মাথা নত করছে। উর্দু অ্যাকাডেমি আয়োজিত সাহিত্য উৎসবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো এবং পরে চাপের মুখে অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার পর এ মন্তব্য করেন জাভেদ আখতার। এই মন্তব্যে রাজ্যের ভোট রাজনীতিতে কতটা প্রভাব পড়বে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বাংলার সম্প্রীতির রাজনীতির প্রতীক হয়ে ছিলেন। বিজেপি যেখানে ধর্মীয় মেরুকরণকে নির্বাচনের হাতিয়ার করে তুলতে চাইছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস মুসলিম ভোটব্যাংক রক্ষায় পাশাপাশি হিন্দু ভোটকেও আস্থায় রাখার কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে। জাভেদ আখতারের অভিযোগ তাই অনেকের কাছে অতিরঞ্জিত বলেই মনে হয়েছে।
উর্দু অ্যাকাডেমির উৎসব বাতিল হওয়ার বিষয়টি অবশ্য বিতর্কিত। জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ এবং ওয়াহ্যাহিন ফাউন্ডেশনের মতো সংগঠনগুলো জাভেদ আখতারের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলে, কারণ তিনি প্রকাশ্যে নিজেকে নাস্তিক ঘোষণা করেছেন এবং ধর্মীয় আচার-অনুশাসন নিয়ে সমালোচনামূলক বক্তব্য রাখেন।
২০০৭ সালে লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে ঘিরে কলকাতায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেই স্মৃতি উসকে দিয়ে সংগঠনগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছিল নতুন করে বিক্ষোভের। রাজ্য সরকার আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় অনুষ্ঠানটি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুশান্ত ভট্টাচার্যের মতে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় একমাত্র নেতা যিনি একইসঙ্গে মুসলিম ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পেরেছেন। তাঁর নীতিতে মাঝে মাঝে কিছু আপস দেখা দিলেও তাকে দুর্বলতা বলা যাবে না। বরং এটি বাংলার বহুত্ববাদী রাজনীতির বাস্তবতা।’
অপর এক বিশ্লেষক মেহেদী হাসান বলেন, ‘জাভেদ আখতারের বক্তব্যকে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু সাধারণ ভোটাররা জানেন, মমতা যদি আপস না করতেন, তাহলে রাজ্যে অস্থিরতা বাড়ত। মানুষ স্থিতিশীলতা চাইবে।’
বাংলার সমাজে জাভেদ আখতার জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হলেও তাঁর বক্তব্যের কারণে তিনি অনেকসময় বিতর্কিত হন। বিশেষত ধর্ম প্রসঙ্গে তাঁর অবস্থান মুসলিম সংগঠনগুলোর কাছে অপ্রিয় হলেও, বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে এই বিতর্ক হয়তো ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ বাংলার রাজনীতি এখন মূলত কর্মসংস্থান, দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ভূমিকার মতো ইস্যুতে গড়ে উঠছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, এই ধরনের অভিযোগ মূলত রাজ্য সরকারের সম্প্রীতির রাজনীতি ভাঙার প্রচেষ্টা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দেখিয়েছেন, তিনি মুসলিম বা হিন্দু কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য রাজনীতি করেন না, বরং বহুত্ববাদকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছেন।
তবে বিরোধীরা বলছে, মমতা সরকারের এই ‘পিছু হটা’ রাজ্যের প্রশাসনিক দৃঢ়তার ঘাটতিরই প্রমাণ। বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘এটা আসলে ভোটের আগে আপস-এর রাজনীতি।’ আবার বাম শিবির বলছে, ‘মমতা হিন্দু–মুসলিম উভয় দিক সামলাতে গিয়েই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন।’
২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই বিতর্ক কতটা বড় ইস্যু হয়ে উঠবে সে প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাংস্কৃতিক ইভেন্ট বাতিল কিংবা জাভেদ আখতারের মন্তব্য সাধারণ ভোটারদের মন গলাবে না। তারা দেখবে, তাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা ও সরকারের সমাধান দেওয়ার সক্ষমতা। তবে বিরোধী দলগুলো এই ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজকের ভূমিকম্পটি মাটির ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরে আঘাত হানে, যা গত রোববার মধ্যরাতে হওয়া ভূমিকম্পের সমান। সেদিনের ভূমিকম্প ছিল আফগানিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প, যা প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়।
৯ মিনিট আগেইন্দোনেশিয়ায় সংসদ সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখন ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। রাজধানী জাকার্তা থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম জাভা থেকে শুরু করে বালি ও লোম্বক দ্বীপ পর্যন্ত।
৩০ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত মার্কিন পণ্যে শুল্ক ‘শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব’ দিয়েছে। তবুও তিনি দুই দেশের বাণিজ্যিক অচলাবস্থাকে ‘একেবারেই একতরফা বিপর্যয়’ বলে ভারতের উপর দায় চাপিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেএই শেষ ধাপের শুনানি ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বিচারপ্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া নজরদারির মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে, যিনি এই মামলাকে তাঁর ব্রাজিলের মিত্রের বিরুদ্ধে ‘উইচ হান্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে